ইহুদীরা তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েই বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে
লিখেছেন লিখেছেন Medha ০৮ জুন, ২০১৪, ১২:১২:২০ রাত
কথায় বলে হিন্দুদের বাড়ি মুসলমানদের ভুড়ি। অর্থাৎ হিন্দুরা অর্থ রোজগার করে বাড়ি তৈরি করার জন্য আর মুসলমানরা রোজগার করে রসনা নিবৃত করার জন্য। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠি কি উদ্দেশ্যে অর্থ রোজগার করে সে সম্পর্কে কোন প্রবাদ আমার জানা নেই। তবে ইহুদীরা যা কিছুই করুক না কেন তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য যে জ্ঞানার্জন করা এটা স্পষ্ট। কারণ তারা নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী। আর জ্ঞানই নেতৃত্বে আসীন করে। বিভিন্ন তথ্য এবং বুদ্ধিজীবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে বাহ্যিকভাবে আমেরিকা নেতৃত্বের সামনে থাকলেও সকল নেতৃত্ব নেপথ্যে থেকে ইহুদীরাই পরিচালনা করে থাকে। আর তারা নেতৃত্ব দেবার উপযুক্ততা অর্জন করেছে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে। যদিও জ্ঞানার্জনের উত্তরাধিকার মুসলমানেরা, কিন্তু তারা ’’ভুড়ি’’ নিয়েই ব্যস্ত, জ্ঞানার্জনের সময় কোথায়! ফেসবুকে পোষ্ট আর লাইক দেখলে বুঝা যায়। আমি কিন্তু মুসলমান বলতে তথাকথিত মুসলমান জাতিকে বুঝাচ্ছি না। কুরআন ঘোষিত মুসলমান দলকে বুঝাচ্ছি। যাই হোক এবার দেখা যাক লেখাপড়া তথা জ্ঞানার্জনের একটা তুলনা:
জনসংখ্যা: ইহুদী- এক কোটি চল্লিশ লাখ।
মুসলমান- একশত কোটি
একজন ইহুদীর বিপরীতে প্রায় ১০৭ জন মুসলমান।
গত ১০৫ বছর ধরে ১ কোটি ৪০ লাখ ইহুদী ১৮০টি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছে।
আর একশত কোটি মুসলমান জিতেছে মাত্র ৩টি নোবেল।
সাধারণত খৃষ্টানদের স্কুল-কলেজেই ইহুদীরা লেখাপড়া করে থাকে।
৫৭টি মুসলিম দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে মাত্র ৫০০টির মতো।
আর একমাত্র আমেরিকাতেই আছে ৫৭৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো ভারত জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৮৪০৭টি। দুনিয়াজুড়ে ইহুদী-খৃষ্টানদের শিক্ষার হার ৯০%, আর মুসলমানদের শিক্ষার হার ৪০%,
বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় আবিষ্কারগুলি করেছে ইহুদীরা। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীও তারা, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও তারাই।
আর আমরা প্রয়োজনীয় জ্ঞান সমৃদ্ধ কোন লেখাই পড়ছি না, বাথরুমে পায়ে দেবার স্যান্ডেল কিনে তার ছবি তুলে পোষ্ট করছি, তাতে লাইক দিচ্ছি শত শত। আর আশা করছি ইসলামী বিধান কায়েম হবে। আল্লাহ তুমি আমাদেরকে মাফ করো।
তথ্যসূত্র:''ইহুদীরাই সকল গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী'' লেখক:কমডোর(অবতারিক মজিদ।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো বলছেন......
মন্তব্য করতে লগইন করুন