সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা

লিখেছেন লিখেছেন Medha ১৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৩:৪৭ সকাল

১৯৯২ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সার্কের চেয়ারম্যান। সার্কভুক্ত

সাতটি রাষ্ট্রের শীর্ষ সম্মেলন ঢাকায়।

**************

বিরোধী দলীয় সভানেত্রী বংগবন্ধু

কন্যা শেখ হাছিনা জরুরী ভিত্তিতে মটর সাইকেল আরোহীকে ডাকলেন। মটর সাইকেল আরোহী ২৯ নং মিন্টো রোডে শেখ হাছিনার বাসায় উপস্থিত হলে বাবুর্চি বিরেস দৌড়ে এসে খবর দেয় যে আম্মা (শেখ হাছিনা) আপনাকে এখনি ধানমন্ডি বত্রিশে বংগবন্ধু ভবনে যেতে বলেছে।

মটর সাইকেল আরোহী বত্রিশে পৌছালে সঙ্গে সঙ্গে জননেত্রী শেখ

হাছিনা তাকে বংগবন্ধুর লাইব্রেরিতে ডেকে বলেন, সারা দেশে হিন্দু মুসলিম রায়ট (সাম্প্রতিক দাঙ্গা) লাগিয়ে দাও।

মটর সাইকেল আরোহী বলে, এটা ঠিক হবে না।

নেত্রী বলেন, ঠিক - বেঠিক

তোমাকে ভাবতে হবে না ,রায়ট

লাগাতে বলেছি, তুমি লাগাও।

মটর সাইকেল আরোহী বলে,

আপনি এটা বলেন কী?আমি আরো রাত-দিন পরিশ্রম করে পাড়ায় মহল্লায় যুবকদের সতর্ক রেখেছি যাতে হিন্দুদের উপর কোন আক্রমণ না হয়,আর আপনি বলছেন রায়ট লাগিয়ে দিতে!

নেত্রী বলেন, হ্যাঁ আমি বলছি রায়ট লাগিয়ে দিতে।

মটর সাইকেল আরোহী বলে,না নেত্রী এটা নীতি বিরোধী কাজ!

নেত্রী রাগান্বিত হয়ে বলেন,রাখো তোমার নীতি ফীতি! আমি যা বলছি তাই করো, আমি তোমার

নেত্রী না তুমি আমার নেতা?

আমাকে যদি নেত্রী মানো তাহলে আমি যা বলছি তা করতে হবে।

**********************

নেত্রী বলেন, সার্ক সম্মেলন পন্ড

করতে হবে না!?

*****

জাহানারা ইমাম আমার নেতৃত্বের জন্য হুমকি। যেভাবে সে দিন দিন মুক্তিযুদ্ধের ধারক

ও বাহক হয়ে যাচ্ছে তা ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে!

*****************

এদেশের সকল হিন্দুরাই এখন

জাহানারা ইমামের পেছনে চলে গেছে!

ঢাকায় রায়ট লাগানোর দায়িত্বদেওয়া হলো মটর সাইকেল আরোহীকে এবং সিদ্ধান্ত হলো ২৯ নং মিন্টো রোডের বিরোধী দলের নেত্রীর বাসার এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বংগবন্ধু ভবনের টেলিফোন ব্যবহার না করে, বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার চাচাত চাচা বংগবন্ধু ট্রাস্টের মহাসচিব শেখ হাফিজুর

রহমানের টেলিফোন থেকে বাহিরেই জেলা গুলোতে রায়ট লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হবে।

খালেদা জিয়া সরকার যাতে বিরোধী দলের নেত্রী বংগবন্ধু কন্যা কর্তৃক রায়ট লাগানোর পরিক্ল্পনা টের না পায় সেই জন্য এই সতর্কতা।

[ঢাকা সহ হিন্দু মুসলিম রায়ট লাগানোর জন্য গুন্ডা, বদমাশ এবং সন্ত্রাসীদের এজন্য দেওয়া হলো নগদ পাঁচ (৫)লক্ষ টাকা ]

-তথ্যসূত্র -"আমার ফাঁসি চাই" (১১৬-১১৭)>মুক্তিযোদধা মতিউর রহমান রেন্টু (হাচিনার সাবেক পি.এস)

"সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় জামায়াত -শিবিরকে জড়ানো একটি শ্লোগান"

-হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ!

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সময় দিনাজপুরে দুই আওয়ামীলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা, পরে স্থানীয় এমপির আদেশে ছেড়ে দেওয়া হয়....!

"খবর - চ্যানেল 24"

বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানোয় এবং মহিলাদের নির্যাতন করায় গ্রামের পুরুষরা পাহারা দিচ্ছেন রাত জেগে, সাথে আছে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প।

অথচ মুসলিম এলাকা গুলো গ্রেপ্তার আতংকে আজ পুরুষ শূণ্য....!

দিনাজপুরে একটি এলাকায় চ্যানেল 24 এর গাড়ি দেখে শত শত নারী চলে এসেছে হয়তো একটু আশ্রয়ের আশায়, কিন্তু তা হয়তো কল্পনা!! পুরো গ্রাম পুরুষ শূণ্য এবং একজন বলল যে কোন মসজিদে আজান -নামাজ হচ্ছে না এমনকি গত শুক্রবারেও মসজিদে আজান ও নামাজ হয়নি ....!

গ্রামের মহিলারা প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে....! তাদের নিরাপত্তায় নেই কেউই ...!

"খবর -চ্যানেল 24"

"স্বাধীনতা পরবর্তী হিন্দুদের ওপর যত অত্যাচার করা হয়েছে তার ৮০% করেছে আওয়ামীলীগ"- বংগবীর কাদের সিদ্দিকী

এতো কিছুর পরেও বিএনপি, জামায়াত -শিবিরকে দোষ দিয়েই যাচ্ছে সরকার ও সুচিলরা....

একটা জায়গাতেও কি হাতেনাতে ধরা পরেছে বিএনপি বা জামায়াতের কেউ???

তবে কেন অনবরত তাদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।

তাছাড়া হাচিনা বিরোধী দলে থেকেও এইসব ঘৃণিত কাজ অত্যন্ত সন্তর্পনে করেছে, তবে এখন কেনইবা সে এইসব কাজ করবে না ...???

এখন তো ক্ষমতা তার হাতে ....

বাসে আগুন দেওয়ার সময়, ককটেল তৈরির সময়, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সময়,

শহীদ মিনার ভাঙ্গার সময় আওয়ামীলীগ ধরা পড়লেও তা নিয়ে কোন সুচিল কথা বলে না....!

(সুচিল! তোরা আসলেই কানা)

আমি বলছি না যে বিএনপি জামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করে না কিন্তু সরকারও এইসব কাজে পিছিয়ে নেই।

"যে দেশে সংখ্যাগুরুরা সর্বদাই নির্যাতিত, সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হবে এটা কতটুকু

স্বাভাবিক ...?

আপনাদের কাছেই প্রশ্ন রইলো .....

বিষয়: বিবিধ

৯৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File