বুঝ মনের কথা: ৩য় পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন জাতীয় আবাল ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১২:৪৪ রাত
বীচে এসে নামলাম তখন দুপুর সাড়ে একটা৷
পেটে দারুন ক্ষিধা থাকা সত্তেও কিছু খেতে ইচ্ছে করলো না৷অবশ্যই বেরোবার সময় আম্মায় গালের ভিতর ইয়া বড় পরোটার বিশাল অংশ ঢুকিয়ে দিলেন৷মোটামুটি আম্মা আব্বার আদরে বেশ নাদুসনুদুস হয়েছি৷এইটা কোন ব্যাপার না৷
বীচে এক ভাইয়্যা কিছু ছবি তুলে দিতে আবদার করলেন৷আমার মায়ার শরীর আবদার রাখতে ফটোশুট শুরু করলাম৷ওমা একি আমার বাবু নড়ে উঠে কেন৷আন্ডার ওয়্যার পরার অভ্যাস নাই কাজেই ভীষন লজ্জা লাগছিল৷ভাইয়্যা ভাবীর সাথে এমন পোজ মারা শুরু করলেন৷উল্টে পাল্টে ঠোট মুখ হাত চোখ বুক পেট আর সব যেন হানিমুন করতে আসছেন৷নিজেরে আমার তখন ইমরান হাশমী মনে হচ্ছিল৷আরে বাপ ছবি তুলে সাহায্য করতে এসে ফেঁসে গেলাম৷গোটা সত্তরখান ছবি তোলার পর উনাগো চেতনা হইল৷তাও ভাবী কইলো সোনা এটা খোলা আকাশের নিচে মানুষ আছে৷মানুষ থাকে থাক আমার বউ আমি যা খুশি করবো৷
আমার মনে হইলো চাকলা মালের কথাই ঠিক রাবিশকে রাবিশই বলতে হবে৷ভাগ্য ভাল ভাইজান আমাদের সোনার ছেলেদের দেখা পাননি৷
কোন মতে এখান থেকে ভেগে আসলাম৷বেশ দারুন করে গান শুনছি কানে হেডফোন গুজে আর টেলিটক কে ধন্যবাদ দিচ্ছি সী বীচেও থ্রী জী সার্ভিস দেওয়ার জন্যে৷এমন একটা জিনিস চোঁখে পড়ে গেল ভীষন অবাক হলাম একটা মুরগী মরে পড়ে আছে আর তাকে ঠোকর মারছে একটা পিচ্ছি কুৎসিত সুন্দর কালো কাক৷অথচ কাক কি ভুলেও ভাবতে পারত মুরগীটাকে ঠোকর মারার কথা যদি না সে মৃত হতো৷অদ্ভুত মরে গেলে সব নিয়ম কি বদলে যায়৷সত্যি কি বদলে যায় সব৷মুরগীটাকে খুবলে খুবলে খাচ্ছিল কাকটা৷এতো সামান্য মুরগী এখনতো এই দেশে সৃষ্টির সেরা জীব মানবের ও খুবলানো মস্তকহীন অঙ্গহীন লাশ পাওয়া যায়৷আবার কারো কারো গোর থেকে লাশ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷
অদ্ভুত এই পৃথিবী আর এখানকার মানুষ গুলো৷
অদ্ভুত সব আচার অনুষ্ঠান অখানে৷
আমার ছোট মাথায় ঢুকে মানুষ কিভাবে এতটা নির্মম হতে পারে৷
বিষয়: সাহিত্য
১০৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন