ফাতিমা মারিয়াম আপুর লিখা বৈবাহিক বিষয়ক পোষ্টের বৈবাহিক জটিলতা পোষ্ট গুলি পড়তে গিয়ে এর সম্বন্ধ্যে আরো যা জানলাম--
লিখেছেন লিখেছেন শর্থহীন ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৪:৪৭ বিকাল
বিয়ে বা বিবাহ মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ॥ বিয়ের মাধ্যেমেই একজন নর এবং একজন নারী পূণ্যতা লাভ করে ॥ বিয়ে নারীদের জন্য একটি স্বপ্ন আর পুরুষদের জন্যে দায়িত্ব॥
বিয়ে হলো সেই রীতিনীতি বা প্রথা বা চুক্তি যার মধ্যে দিয়ে সমাজ একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে অতি ঘনিষ্টভাবে ,বসবাস , সুখ দু:খ হাসি কান্না , দৈহিক চাহিদা ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং সন্তান সন্তানাদীদের উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করে । বিবাহ বা বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রী র সম্পক` সৃষ্টি হয় ॥
তারা একই ছাদের নিচে জীবনের অনেকটা সময় পার করে দেয়।
পৃথিবীর সকল দেশ জাতি ধম` সমাজেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার রীতি প্রচলিত আছে ।
বিয়ে প্রথম ধ`মীয় নীতি হলেও সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে সকল দেশেই এটি একটি আইনী রুপ নিয়েছে ॥ (তবে অনেক স্হানে সমকামী বিয়ের রীতি প্রচলিত আছে ) বিয়ে ব্যাতীত একজন ছেলে এবং মেয়ের মেলামেশা সামাজিক রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় ভাবেও নিষেধ করা হয়েছে ॥
॥ ইসলামে বিয়ে॥
ইসলামে বিয়ে করতে হলে প্রথম যেই বিধানটি মানতে হয় তা হলো পাত্রী কে অবশ্যই ইসলামের অনুসারী এবং আল্লাহর প্রতি অগাদ বিশ্বাসী হতে হবে॥ অন্য কোন উপসনায় বিশ্বাসী লোকদের বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ করা ইসলামে হারাম করা হয়েছে । এই ক্ষেত্রে সূরা নিসার ২২ থেকে ২৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “মূর্তি পূজক এবং শীরককারী তাদের বিয়ে করা হারাম।” সূরা বাকারার ২২১ নং আয়াতে এর ব্যাখ্যা রয়েছে।
বিয়ে তখনই করতে পারবেন যখন , সে ব্যক্তি নর অথবা নারী ইসলাম গ্রহণ করলে॥ ইয়াহুদি বা খ্রিষ্টান মেয়েদের বিয়ে করা যায় তবে ইয়াহুদি বা খ্রিষ্টান পুরুষদের কাছে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হারাম তবে কিছু শরীয়াহ্ মেনে ॥ এই জন্যে সূরা বাকারার ২২১ নং আয়াত লক্ষ্যণীয়।
কিছুকিছু ইসলামীচিন্তাবীদ (তৌওহীদ বাদী আহ্লে কিতাব) ইহুদী বা খ্রিষ্ঠান মেয়েদের বিয়ে করা যাবে যখন মুসলিম নারীদের অভাব হবে। ইসলামে বিয়ের জন্য পাত্র পাত্রী কেমন হবে সে বিষয়ে উল্লেখ আছে সূরা নূরের ২৬ নং আয়াতে॥ ইসলামে বিয়ে কখনও সুন্নাত কখনও ওয়াজীব কখনও ফরজ কখনও বা আবার হারাম॥ আল্লাহ্ পাকের সকল নবীগণ বিয়েকে সুন্নাত বলে আখ্যা দিয়েছেন॥
বিভিন্ন সমাজ গোত্রে আরো একটি বিয়ে রয়েছে যে বিয়েকে অস্হায়ী বা কন্ট্রাক্ট মেরিজ বলা হয়॥ নবী করিম হুজুরে পাক (স) এই বিয়েকে কেয়ামত অবদি নিষিদ্ধ করেছেন। ইসলামিক রীতিতে পাত্র পাত্রী সহ উভয়পক্ষের লোক আত্মীয় স্বজন উপস্হিত থাকে॥ কাজী ইসলামিক দোয়া সূরা পাঠ করে বিয়ে সম্পন্ন করে এবং বিয়েতে পাত্র পাত্রী উভয়েরই মতামত নেয়া হয় ,যদি বিয়েতে রাজী থাকলে কবুল বলার মাধ্যমে তাদের স্বীকৃতি জানায় ,এরপর কাবিন নামায় দস্তখত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায় ।
এরপর অভিভাবকগণ বর এবং কনে কে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়ে বরের হাতে তুলে দেয়ার পর বর কনে কে নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় ॥ এরপর ইসলামে আল্লাহ্ সুবানুতাআলার একটি সুবিচার দেখেন বিবাহীত মেয়েদের প্রতি : ইসলামে আপনি কোনো মেয়েক বিয়ে করলে দেনমোহর দেওয়া আবশ্যক ।
যা আপনার ক্ষমতা এবং মেয়ের দাবীর উপর ভিত্তি করে॥
সূরা নিসার ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে – “তোমরা তোমাদের স্ত্রী র মোহরানা দিয়ে দাও॥”
বিয়ের আগে মনে মনে যদি আপনার দেনমোহর না দেওয়ার ইচ্ছা থাকে বা আপনি যদি দেনমোহর না দিন সেক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী কে ছোঁয়া আপনার জন্যে জায়েয নেই। সুবানাল্লাহ্! আল্লাহ্ পাকের ন্যায়বিচার।
দেনমোহর হলো একজন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অধিকার স্হাপন ও ইজ্জতের হাদিয়া এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তার হাতিয়ার যখন আপনি থাকবেন না॥
এখানে একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া দরকার, আমাদের দেশে বিয়ের পর দিন ছেলের বন্ধুরা এবং মেয়ের বান্ধবীরা তাদের জিজ্ঞেস করে -কাল রাতে কি করেছিস? এই ধরনের কথা একদম অনৈতিক ॥ কেউ কেউ বলে দেয়। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন -সে দিন রাতে দরজার ওপাশে কি হয় সেটা সবারই জানা , যেই স্বামী বা স্ত্রী তাদের এই মধুর সম্পকের কথা সবাইকে জানিয়ে দেয় তখন তার জন্য তার স্বামী বা স্ত্রী হারাম হয়ে যায়॥ এই কথাটা আমাদের সবার মনে রাখা দরকার ॥
আমারা মুসলমানগুলো এখন একটি সংস্কৃতিতে এসে পা দিয়েছি এই বৌভাত॥ ইসলামে বৌভাত বলে কোন কিছু শব্দ নেই । ওয়ালিমা বা বিয়ের পর ছেলের বাড়ীতে খাওয়ার আয়োজন করা ইসলামিকভাবে সুন্নাত॥
এসব যদি না মেনে আপনি যতই গায়ে হলুদ করেন অশ্লীল নাচগান , ছেলেমেয়ের অবাধ বিচরণ ,বর এর আগমনে গেট বানাইয়া তার গলায় ফুলের দড়ি লাগাইয়া চাঁদা আদায় করেন সে বিয়ে আল্লাহর কাছে কবুল হবে না ।
বিবাহ মানব জীবনে যতোটা গুরুত্ব বহন করে আখিরাতে সেই থেকে বেশী গুরুত্ব বহন করে। ইসলাম মূলত কুরআন , হাদীস ,ইজমা কিয়াস এসব ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত॥ সেই ক্ষেত্রে ইসলামে বিয়েও ইসলামী নিয়ম রীতি এবং শরীয়াহ্ মোতাবেক সংঘটিত হয় ॥
পবিত্র কুরআন এ কারীম এ সূরা নূরের ৩২ নং আয়াতে বিয়ে সম্পকে আল্লাহ্ পাক বলেন, ” তোমাদের মধ্যে যারা জুড়িহীন তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা উপযুক্ত তাদের বিয়ে দিয়ে দাও॥”
সূরা রাদ এর ৩৮ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, “আপনার আগেও আমি অনেক নবী রাসূল প্রেরণ করেছি এবং তাদের সন্তান এবং সন্তানাদী দান করেছি॥”
অনেক আলেম ওলামাগণ বলেছেন, বিয়ে করা ওয়াজীব। এর ক্ষেত্রে তাঁরা হাদীসের প্রমাণ বা যুক্তি দেখান ” যৌন তাগিদ যখন সহ্য সীমা অতিক্রম করে এবং উক্ত খারাপ বা হারাম কাজে লিপ্ত হবার আশংকা বেশী হয় সে অবস্হায় মুমিন লোকের পক্ষে বিয়ে করা ওয়াজীব হয়ে যায়। যদি সেই সহ্যসীমা অতিক্রম না করে তখন যদি সে বিয়ে করে তখন তা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্। যে ব্যক্তি স্ত্রীর হক আদায় করার ব্যাপারে যদি সে সন্দীহান হন তখন ইসলামে বিয়ে থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তখন বিয়ে করা মাকরুহ ॥
এছাড়াও স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবেন না এই ব্যাপারে সে যদি নিশ্চিত থাকে তখন বিয়ে করা ইসলামে সরাসরী হারাম করা হয়েছে ।
আসুন দেখী হাদীসে বিয়ের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে, বুখারী শরিফ এর বিয়ে অধ্যায়ে নবীজি (স) বলেছেন – “হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামথ্য` রাখে সে যেনো বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে দৃষ্টিকে অধিকতর আনত এবং যৌনাঙ্গকে অধিকতর সংযত রাখে।”
ইবনে কাছীর ৩য় খন্ড ৩৮৩ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ আছে, হযরত মোহাম্মদ (স) বলেছেন, “তোমরা অধিক সন্তান প্রসবকারী স্ত্রীলোকদের বিয়ে কর এবং বংশ বৃদ্ধি কর। কিআমতের দিন তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য দের উপর গৌরব করব।” এই একই কথা উল্লেখ আছে মিশকাত শরীফ : কিতাবুন নিকাহ্ তে ॥
মিশকাত শরীফ এ বিয়ে প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “বিয়ে করলে মানুষ বহু রকম অনিষ্ট থেক বেঁচে যায়। বরং কেউ যদি স্বীয় কাম প্রবৃত্তির আঁচল থেকে নিষ্কুলুষ থেকে এবং পবিত্র থেকে দুনিয়া হতে বিদায় হতে চায় এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।”
আল্লাহর সাথে যে পাক পবিত্র হতে চায় সে যেনো ভদ্র মহিলাদের বিয়ে করে ॥ মিশকাত শরীফে বিবাহ্ নিয়ে একটি হাদীস আছে এই রকম , নবীজি (স) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি বিয়ে করলো সে যেনো দ্বীনের আধ অংশ পূরণ করলো।”
বুখারী শরিফের বিবাহ্ সম্ভন্ধে বলা হয়েছে, “একদিন নবীজি (স) এর দওলতখানাতে তিন জন লোক এসে উনার পত্নীর কাছে নবীজি (স) এর ইবাদত এর কথা জেনে মন্তব্য করলেন, কোথায় আল্লাহর রাসুল (স) যার সমস্ত গুনাহ্ আল্লাহ্ পার ক্ষমা করে দিয়েছেন! আর কোথায় আমরা গুনাহ্ এর সমুদ্রে ডুবে আছি ।
তখন প্রথম লোক বললো – আমি সারারাত নামায পরবো ॥
২য় লোক বললো- আমি সারাদিন রোযা রাখবো ॥
৩য় লোক বললো -আমি কোন দিন বিয়ে করবো না নারী সংঘ ত্যাগ করবো॥
নবীজি (স) এই কথা জানতে পেরে তাদের বলেন তোমরা কি এই ধরনের কথা বলেছো ?
শোনো তাহলে: তোমাদের মাঝে সবচেয়ে বড় মুত্তাকী হলাম আমি তবুও আমি নামায আদায় করি , রোযা রাখি ইফতার করি , বিয়ে শাদী ও করি আবার স্ত্রীর কাছেও যাই॥ যারা আমার এই তরিকা মানবেনা তারা আমার দলভুক্ত নয় ।
কোন কোন রিওয়ায়াত থেকে জানা যায় -
কারো টাকা পয়সার অসচ্ছলতার কারণে সে যদি বিয়ে করতে না পারে সে যেনো সিয়াম পালন করে বা রোযা রাখে কারণ রোযা সকল খারাপ বা অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং কামভাব নিস্তেজ করার উপদেশ দেয়া হয়েছে
মুসলিম শরীফে বলা হয়েছে ,
দুনিয়াতে সব কিছুই সম্পদ ,তবে দুনিয়াতে সত্ দায়িত্ববান রমনী সব থেকে শ্রেষ্ট সম্পদ॥
বায়হাকি শরীফে বলা হয়েছে -
ধৈয` শীল দেহ ,কৃতজ্ঞ অন্তর ,প্রভুর স্মরণেতর জিহ্বা এবং সত্ স্ত্রী যাকে দেয়া হয়েছে তার চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই ॥
বায়হাকি শরীফে এও বলা হয়েছে- স্বখরচে বিয়ে করা সবচেয়ে বরকতময় ॥
নবীজি (স) বলেছেন তিনটি কাজে দেরী নয়, আযান দিলে নামাজ আদায়ে , মৃত্যু হলে জানাযা এবং দাফন দ্রুত করা , এবং সমমানের পাত্র পাত্রী পেলে বিয়ে করা তে দেরী না করা ॥
আরো বলেছেন: তোমরা যা খাবে তোমাদের স্ত্রীদেরও তা খাওয়াবে এবং প্রয়োজনমত বস্ত্র দিবে॥
আবার বলেছেন: বৈধ নিকৃষ্ট খারাপ কাজ দুটি ভিক্ষাবৃত্তি আর বউ তালাক দেওয়া ।
আরো বলেছেন: তোমরা স্ত্রীদের অতীত দোষ খুঁজো না ॥
আরো বলেছেন :তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছ্ে উত্তম,
স্ত্রীদের উদ্দেশে বলেছেন: আল্লাহ্ ব্যতীত কাউকে যদি সেজদা করতে বলতাম তাহলে আমি বলতাম তোমরা তোমাদের স্বামীদের সেজদা কর॥
হযরত আলী (রা) স্ত্রীদের প্রতি রাগ উঠলে ওযু করতেন ‘ মাটিতে গড়াগড়ী করে রাগ দমন করতেন॥
হযরত খলিফা ওমর ফারুক (রা) বলেছেন, স্ত্রীদের প্রতি শিশুদের মতো মায়া করে কথা বলো ॥
নবীজি (স) বৈবাহীক জীবনে যেন স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের দিকে আন্তরিক দৃষ্টিতে তাকায় ॥
ইসলামে বৈরাগ্যবাদ নেই ॥
বিয়ে না করে দরবেশ হওয়ার জন্যে ইসলামে নিষেদ আছে।
হাদীস শরীফে ইবনে মাযাউন (রা) একটা ঘটনা উল্লেখ আছে
একদিন ইবনে মাযাউন (রা) একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হবার জন্যে ঠিক করলেন তিনি নারী সংরব ত্যাগ করবেন এবং তিনি তার অন্ডকোশ কেটে ফেলে নরপংশুক হবার মনস্হীর করলেন॥
রাসূল (স) তাঁর এই মনোভাব জানতে পারলেন এবং তাঁকে বুঝিয়ে তাঁর মত পরিবরতন করেন।( আহমদ)
হযরত আবু যর (রা) বলেন : একদা উকাফ ইবিন বিশর তামীমি (রা) কে রাসূল (স) বলেন : উকাফ তোমার কি স্ত্রী আছে?
তিনি বললেন না ।
রাসূল (স) আবার বললেন তোমার কি ক্রৃতদাসী আছে?
তিনি বললেন তাও নেই॥
তখন রাসূল বললেন (তোমার যদি সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তুমি বিয়ে না করো ,তাহলে তুমি শয়তানের ভাই ॥ মিশকাত শরীফ,বিবাহ অধ্যায়
জামউল ফাওয়ায়িদ বিবাহ অধ্যায়ের ১ম খন্ডের ১২১ নং পৃষ্টায় বলা হয়েছে _
যে লোকের স্ত্রী নেই সে লোক মিসকীন ,
তখন সাহাবীগণ বলেন সে যদি মালদার হয়? নবীজি (স) তখনও সে মিসকীন ।
এবং এও বলেছেন যেই মহিলার স্ত্রী নেই সেও মিসকীন যদিও সে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয় ।
এখন দেখা যাচ্ছে ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমন সচ্ছলতা এবং সামর্থ্য না থাকলে বিয়ে করা থেকে নিষেধও করা হয়েছে।
আল্লাহ সুবানুতাআলার সমতা প্রকৃতপক্ষেই অদ্বিতীয় ॥
বিষয়: বিবিধ
২৩০৫ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেমনঃ বিএনপি- জামাত ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরে এখন নিজেদেরি ফাঁসির আসামী হতে হচ্ছে।
আপনার এই ব্লগটিও মুহতারাম কবি ফাতিমা মারিয়ামের ব্লগগুলোর সম্পূরক হিসেবে খুবই চমৎকার।
তবে জীবিকার সন্ধানে প্রবাসী জীবন বেছে নেয়া আমাদের দেশীয় সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে মুসলিম ভাই/বোনদের সামাজিক ও পারিবারিক বিষয়ে বিভিন্ন সংগতি/অসংগতিগুলোর তুলনামুলক বিশ্লেষণ ও এর অন্তরনিহিত কারণ ও তার সমাধান নিয়ে কিছু আলোচনা করলে আমরা আরো কিছু জানতে পারতাম আপনার কাছ থেকে।
আপাততঃ তুলে রাখছি,সময়সংকট
হেডিংটা হওয়া দরকার ছিলো-ফাতিমা মারিয়াম আপুর লিখা বৈবাহিক জঠিলতার পোষ্ট গুলি পড়তে গিয়ে এর সম্বন্ধ্যে আরো যা জানলাম--
**জঠিলতা- জটিলতা**
আপনার নিম্নোক্ত কথাটির-
"একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন -সে দিন রাতে দরজার ওপাশে কি হয় সেটা সবারই জানা , যেই স্বামী বা স্ত্রী তাদের এই মধুর সম্পকের কথা সবাইকে জানিয়ে দেয় তখন তার জন্য তার স্বামী বা স্ত্রী হারাম হয়ে যায়॥ "
-ব্যাপারে আমার জ্ঞান হল ,এ কাজ সাংঘাতিক গুনাহ - কিন্তু স্ত্রী বা স্বামী এর দ্বারা হারাম হয়না । আপনার পক্ষে দলিল থাকলে পেশ করুন ,অন্যথায় ভূল সংশোধন হওয়া দরকার ।
ভালো লেগেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন