চেষ্টার সাফল্যে যে মানুষ গুলি প্রিতিবী বদলিয়েছে এক নজরে তাদের কয়েক জন -------
লিখেছেন লিখেছেন শর্থহীন ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৩৩:৪৮ রাত
Bill Gates
আজকের বিশ্বের মহাপ্রতাপশালী,ইন্টারনেট দুনিয়ার দানব মাইক্রোসফট ,আর তার প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, নন্দিত একই সাথে নিন্দিত এই ব্যাক্তি তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর অসম বানিজ্য নীতির জন্য।আবার সম্পদের অর্ধেক অংশ দান করে তিনি আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতাও বটে।
Mark Zuckerberg
এই পৃথিবীর সবচেয়ে তরুণ একজন যে পাল্টিয়ে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর চেহারাটাই। এমন এক সামাজিক মেলবন্ধন ঘটালেন , যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আত্মার সাথে আত্মার সংযোগ ঘটতে লাগল ।গড়ে উঠল এমন এক সামাজিক নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে এত অধিক সংখ্যক মানুষ এত কাছাকাছি এল যা আগে কখনই ঘটেনি।
Steve Jobs
“নবধারা সৃষ্টি করার ক্ষমতাই একজন নেতা এবং সমর্থকের মাঝে তফাৎ তৈরি করে”।অ্যাপল আর পিক্সার এনিমেশন স্টুডিও এর স্রস্টা , বেঁচে থাকা জীবন্ত কিংবদন্তি স্টিভ জবস। অ্যাপল ই প্রথম যা কম্পিউটার জগতে নিয়ে আসে রঙ, রুপ আর স্মার্টনেস এর ব্যাপার-স্যাপার।শুধু অ্যাপলই যথেষ্ট ছিল তাকে এ জগতে অমর করে রাখার জন্য, কিন্তু অসীম সে প্রতিভা তা হতে দিল না। পিক্সার স্টুডিও থেকে বের হতে লাগল টয় স্টোরি, এ বাগস লাইফ, টয় স্টোরি-২, মনস্টার ইঙ্ক,ফাইন্ডিং নিমো, ইনক্রেডিবলস এর মত সব মাথা নষ্ট করা এনিমেশন।
রিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যান একজন বিশ্বখ্যাত মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, হ্যাকার ও সমাজকর্মী। তিনি মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের প্রবর্তক.
সেটা ছিল আশির দশকের শুরুর দিক-কার কথা । সফটওয়্যার বাজার যখন ক্রমেই রম-রমা হয়ে উঠছে,দেখা যাচ্ছে এক কম্পিউটারের সফটওয়্যার অন্য কম্পিউটার এ চলা শুরু করছে।আর তখনি সবাই মিলে ঠিক করল এখন সফটওয়্যার সবাইকে কিনেই ব্যবহার করতে হবে। একমাত্র স্টলম্যান ই বলল “সফটওয়্যার এর জন্য এত বিপুল পরিমাণ টাকা চাওয়া মানে হচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” ফলশ্রুতিতে তিনি ছেড়ে দিলেন MIT মত বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের পি.এইচ.ডির গবেষণা। তিনি ভাবতেন বন্ধুদের সাথে সফটওয়্যার আসলে উপভোগ করেই ব্যবহার করা উচিত। অতি অল্প সময়েই তার এ মতবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগল ।
তার নিজস্ব কোন বাড়ি –গাড়ি নেই, কাজ শেষে অফিসেই ঘুমিয়ে পড়া। মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। তিনি এতই কম খরচ করতেন যেন কোন কিছুর উপরই তার নির্ভর করতে না হয় ।বক্তৃতা আর প্রাইজ মানি-র অর্থ দিয়েই তার দিন কাটে।
গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪ _ ১৬৪২)ইতালীয়ান
তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যার হাত ধরে আধুনিক বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানীরা বেড়িয়ে আসতে লাগল এরিস্টটলীয় ভাবধারা থেকে। আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মের জন্য যে কোনো একক ব্যক্তির চেয়ে গ্যালিলিওর অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি চিরায়ত পদার্থবিদ্যার প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। গ্যালিলিও প্রথম বিপ্লব আনেন বল বিদ্যায়।প্রায় দুইহাজার বছর ধরে চলে আসা মতবাদ," পৃথিবী স্থির রয়েছে"। সূর্যসহ সব গ্রহসমূহ তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। অ্যারিস্টটলও তা-ই বলে গেছেন। কিন্তু তিনি বললেন তার বিপরীত কথা। তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
টমাস আলভা এডিসন ( ১৮৪৭ -১৯৩১) মার্কিন
সেটা ছিল গত শতকের কথা ,যে যান্ত্রিক সভ্যতার সূচনা হয়েছিলো সে সময় , এডিসনকে সেই সভ্যতার জনক বলা যায়। এডিসন ছিলেন খুবই পরিশ্রমী।তিনি টানা ৫/৬ রাত না ঘুমিয়ে গবেষনা করতেন এবং কাজের টেবিলে ঘুমিয়ে যেতেন।তিনি বলতেন প্রতিভায় আমি বিশ্বাস করি না,পরিশ্রমই হল প্রতিভার মুল কথা। এডিসনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিষ্কার হল বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার। “কিনেটোগ্রাফ’ গতিশীল ছবি তোলবার জন্য প্রথম ক্যামেরা আবিষ্কার । ১৯২২ সালে এডিসন আবিষ্কার করলেন কিনেটোফো , যা সংযুক্ত সিনেমার ক্যামেরার সাথে। এরই ফলে তৈরি হল সবাক চিত্র । তিনি সিমেন্ট, আধুনিক সহজে বহনযোগ্য ব্যাটারি, রাবার ইত্যাদি আবিষ্কার করেছেন আর তার মৃত্যুর পর নিউইর্য়ক পত্রিকায় লিখা হয়েছিল মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশী ।কারন এমন সৃজনী শক্তি অন্য কোন মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি
স্যার আইজ্যাক নিউটন (১৬৪২-১৭২৭),ইংল্যান্ড
সেই যে একটা আপেল পড়ল মাথায় , আর তিনি দিলেন তার law of gravity আর সূচনা করলেন ক্লাসিকাল বা নিউটোনিয়ান ফিজিক্স এর ... চলতেই থাকল......
এই পৃথিবীর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন।
আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫),জার্মান/ আমেরিকান
মাত্র তিন পাতার একটি পেপার লিখতে তার জীবনের ১০ টি বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন , সেই বিখ্যাত Theory of Relativity (E=mc2). আইনস্টাইন ছিলেন সেই ব্যক্তি , যিনি বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিজ্ঞানকে নবজীবন দান করেছেন তার প্রায় তিনশটি পেপার এর মাধ্যমে।
১৯১৯ সালে যখন তার রিলেটিভিটি থিওরি প্রমাণিত হল, তার পর থেকেই তিনি এই গ্রহের সবচেয়ে সেলিব্রেটি সায়েন্টিস্ট এ পরিনত হন এবং একই সাথে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান আর মূলত ফটো - ইলেকট্রিক কাজের স্বীকৃতি সরূপ তিনি ১৯২১ সালে নোবেল প্রাইজ ও পান। যদিও তিনি নিজে ছিলেন প্যাসিফিক কিন্তু তার থিওরি আমেরিকাকে প্রেরণা যোগাল পারমানবিক বোমা তৈরিতে।
তবে এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় , তিনি ছিলেন এই বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট একজন লোক যিনি বিশ্ব বিজ্ঞানে দিয়েছিলেন তার গণিতের রঙের ছোঁয়া।
তথ্য সুত্র - ইন্টারনেট এবং ভিডিও ইউটিউব =
আমার এক বন্ধু বলেছিল এভাবে আমাকে একদিন তার কথা গুলি স্মরণ করছি আর এই সম্বন্ধে যারা জানেন তাদের বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত--
আমরা বেশীরভাগ বাঙ্গালীরা কখনও উপরে উঠার চেষ্টা করি না,আর কেউ সেই চেষ্টা করলেও বাকি সবাই মিলে তাকে নিচ থেকে টেনে ধরি যেন উপরে উঠতে না পারে ।তাই এই পোষ্টা সেই সব বাঙালিদের জন্য উৎসর্গ-কৃত যারা প্রতিনিয়ত উপরে উঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আরও তাদের জন্য যারা তাকে পিছন টেনে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছে না।
বিষয়: বিবিধ
২২৩৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি কিন্তু বিষয় টি আরেক ভাবে দেখি সাদা কালোর বর্ণবাদের নিয়মে- দেখেন এই পৃথিবী তে বেশিরভাগ নতুন আবিস্কার সাদা দের কাছ থেকে এসেছে যদি বলেন কেন ?আমি বলব তারা এই সময় এবং সুযোগ টা বেশি পেয়েছে কালোদের তুলনায় ।যেমন ধরেন বৃটিশরা আমাদের দেশ যখন শাসন করেছে তারা আমাদের সবকিছু লুটেপুটে নিয়ে তাদের আখের গুছিয়ে তাদের মাতৃভুমি সমৃদ্ধ করেছে আর তাদের কারণে তাদের আগত বংশধররা এই আর্থিক বিলাশিতা ভোগ করতে গিয়ে তাদের মেধাকে অন্ন যোগানোর জন্য খরচ করতে হয় নাই -- তারা এই মেধাকে আবিস্কারের নেশায় নিমজ্জিত করেছে - এবং সাফল্য পয়েছে।
আপনি যদি নিজের মাঝে খুঁজে দেখেন এর উত্তর পেয়ে যাবেন এই পৃথিবিতে আবিস্কারের সাফল্যে কয়জন কালো মানুষের নাম আছে এই তালিকা থেকে।
তাই বলব ধর্ম কে না টেনে এভাবে বিষয় টি দেখলে কেমন হয় - বলুন তো আপা।
আরও একটি কথা বলতে হয়- ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর জার্মান, জাপান বলতে গেলে ধ্বংস হয়ে গিয়ে ছিল, কিন্তু আজকের জার্মান-জাপান? আজকের গনচীন ১৯৪৯ সালে ধ্বংসস্তুপ থেকে বেড় হয়ে এসেছে। তাই বাধ্যহয়েই বলছি- অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ধর্ম-ইসলাম আর কতকাল তার শ্রেষ্ঠত্বের জিকির করবে?????
[আসলে আমি এর আগে এই ব্লগে এই পোষ্ট টি এভাবে দেখেনি - তাই ভাবলাম বিডি টুমোরো ব্লগের চার্চ ইন্জ্ঞিনে যে কেউ যেন চার্চ করলে এই বিষয়ে দেখতে পারে -- আপনি খেয়াল করেছেন পোস্টে আমি সূত্রের কথা বলেছি -- আবারও দুঃখিত আপনাকে ডিস্টার্ভ করার জন্য পোষ্টের মাধ্যমে --]
আমি চরম লজ্জা পেয়েছি যেদিন এই জবাবটি পেয়েছিলাম।
তারপরও আপনাকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন ।
এরকম শেয়ার আমি বারবার পড়তে রাজি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন