যারা ব্লগে টুক টাকি লিখে এদের অনুপ্রানিত করার জন্য একটু চেষ্টা করি আমরা সবাই --
লিখেছেন লিখেছেন শর্থহীন ১৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৩৬:০৯ রাত
জাপানী লেখক রিউনুসুকে আকুতাগাওয়াকে বলা হয় জাপানী ছোটগল্পের জনক। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে একটা হিনমন্যতা বা মানসিক যাতনায় ভুগতেন তিনি। তার ধারণা ছিল পৃথীবিকে দেওয়ার মত আর কোন গল্প তার কাছে নাই, সে কারণেই তিনি বেঁচে থাকাটাকে শ্রেয় মনে করেননা আর! আকুতাগাওয়া কিন্তু যে সে লেখক ছিলেন না। তার রাশোমন গল্পগ্রন্থটি বিশ্বের জীবিত প্রায় অধিকাংশ ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তার “ইন আ গ্রেভ” পড়ার পর বিস্ময়ে অনেকে হতবাক হ্যেছে- এমন অদ্ভুত গল্পও লিখতে পারেন কেউ! একটা খুনের বর্ণনা চারজন ব্যক্তি করছেন চারভাবে। শেষতক যে খুন হয়েছে- তারও জবানী আছে একদম গল্পের শেষে! আকিরো কুরোসাওয়া এই গল্পটা নিয়েই তার ভুবন বিখ্যাত রাশোমন সিনেমাটা বানিয়েছিলেন ১৯৫০ সালে ।
লেখকদের মাঝে সবচেয়ে কমন ব্যপারটা হল প্লট। মানে যারা ফিকশন লেখেন, তাদের বেশির ভাগই লেখা শুরু করেন মাথার ভিতর গল্পটা গুছিয়ে নিয়ে। মানে, একটা প্লট বের করে সেটা সাজিয়ে গুছিয়ে তারপর বসেন খাতা-কলম নিয়ে (আজকাল পিসির কি-বোর্ড নিয়ে বসেন অনেকে)। আর একদল আছেন, যাদের মাথায় নির্দিষ্ট কোন প্লট থাকেনা, তবে তাদের মাথায় ধোঁয়া ধোঁয়া ভাবে গল্পের একটা আবছায়া শুধু থাকে। এরা লেখা শুরু করার পর আসলে বুঝতে পারেন, কি নিয়ে লিখছেন। কিন্তু লেখা শেষ করার আগে নিজেও অনেক সময় জানেননা শেষে আসলে কি হবে।
দুই দলের হাত ধরেই এই বসুন্ধরা অসংখ্য সব মানবিক আখ্যানের সাহিত্যরুপ পেয়ে ধন্য হয়েছে। হচ্ছে। তবে বলা হয়, লেখকেরা (সে তিনি উপরোক্ত দুই দলের যেকোন দলেরই হোন না কেন) তাদের লেখাগুলোর যোগান পান অতীন্দ্রিয় কোন জগৎ থেকে। ব্যপারটা এরকম-- গল্পগুলো তো আসলে নিত্য আমাদের চারপাশেই ঘুরছে। তাহলে অতীন্দ্রিয় জগত থেকে কেন লেখকদের লেখার যোগান আসবে? উত্তরটা হল, আমাদের সবার জীবনেই অজস্র গল্প আছে। কিন্তু সেগুলো আমরা সবাই ধরে রাখতে পারছি কই? লেখকেরা এই কাজটা করেন। গল্প শিকার করার যে ক্ষমতাটা তারা পান, সেটি অতীন্দ্রিয়। কোন গল্পটা কখন তারা ধরবেন, সেটার অলৌকিক নির্দেশও আসলে আসে জগতের অজানা কোন উৎস হতে!
তাই সবার কাছে অনুরোধ টুমরো ব্লগের লেখাগুলিতে আপনার ভাল লাগার কিছু বলে কমেন্ট করে যারা লিখতে চায় এদের উৎসাহ দেন সবাই--
বিষয়: বিবিধ
২০৮০ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেশ সুন্দর লিখেছেন বেশ ভালো লাগলো পোষ্টটি অনেক ধন্যবাদ
পোস্টে এসে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ--
মন্তব্য করতে লগইন করুন