একজন নারীকে তার প্রাপ্য সন্মান দিয়ে সমাজে পাশাপাশি চলার সুযোগ করে দেই --
লিখেছেন লিখেছেন শর্থহীন ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:২০:৩৪ সকাল
এটি শুধুই একজন স্কুল ফেরতা ছাত্রীর ছবি নয়, এটি শুধুই একটি ধান ক্ষেতের ছবি নয়। এটি অপার সম্ভাবনাময় আর ক্ষিপ্র গতিতে এগোতে থাকা আমাদের প্রাণপ্রিয় #বাংলাদেশ এর একটি প্রতিচ্ছবি। উন্নত, স্বয়ম্ভর ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি আদর্শ #বাংলাদেশি সমাজ গড়তে শিক্ষিত নারীর, শিক্ষিত মায়ের কোন বিকল্প নেই।
এখনও নারীকে মানুষ হিসেবে মানতে নারাজ আমাদের সমাজ । সমাজের প্রতিটি পেশায় নারীদের উপস্থিতি রয়েছে। সামাজিক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এখন আর নারীদের থামাতে পারে না । মহাকাশ থেকে শুরু করে মাছ ধরা পর্যন্ত নারীদের বিচরণ আছে।
নারী, কন্যা, জায়া, জননী। এ সম্পর্কগুলোতে জড়িয়ে আছে শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর অপার মমতা । প্রতিটা সম্পর্কে পুরুষরা আজন্ম ঋণী, মোটকথা জীবন যাপনে এই সব সম্পর্কের কোন বিকল্প নেই। তারপরও এই নারীরাই ইভটিজিং, এসিড সন্ত্রাস, ধর্ষণসহ নানা ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়। এটা পুরুষের জন্য ভীষণ লজ্জাজনক। একজন কন্যার বাবাকে সব সময় মাথা নিচু করে চলতে হবে, কন্যাকে নিরাপদে রাখার জন্য পাহারায় রাখতে হবে, বিয়ে পরবর্তী জীবনে কন্যার পিতৃ পরিবারকে গলা নিচু করে কথা বলতে হবে, শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে উপঢৌকনে সন্তুষ্ট রাখতে হবে, এ কেমন কথা? নারীর পেটেই পুরুষের জন্ম, তারপরও এই পুরুষরা কৃতজ্ঞতার বদলে কেন এত পাশবিকত্ত দেখায়?
তৃণমূল পর্যায়ের নারীরা সবছেয়ে বেশী অসহায় থাকে এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। অশিক্ষা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারনে এই সব নারীরা মুক্তির পথ দেখে না। নির্যাতন আর দারিদ্রতাকে নিয়তি বলে মেনে নেয়। কিন্তু সময় এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া নারী মুক্তি অসম্ভব, এই মূলমন্ত্রে নারীরা বিশ্বাসী হয়ে নিজেদের সামর্থ্য, মেধা, যোগ্যতা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। পেশা নির্বাচনে নারীদের সম্পূর্ণ হক থাকলেও স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে অনধিকার চর্চা করে থাকে। যা সত্যিই দুঃখজনক। এই ঘটনা নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকল সমাজে দেখা যায়। নারী মুক্তির ক্ষেত্রে এই সংকীর্ণতা পরিহার করা জরুরী ।
বিষয়: বিবিধ
২৩৬২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ নারীরা নিজেদের কখনও মানুষ মনে করে না , মানুষের উপরে মনে করে । মানুষ হয়েও একজন পুরুষ যা পায় সমাজের কাছে তার চেয়েও বেশী পায় একজন নারী ।
প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষ ক্যান্ডিডেটদের লাগে নুন্যতম ডিগ্রী পাশ , আর মেয়েরা এস.এস.সি. পাশ হলেই চলে ।
'' সামাজিক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এখন আর নারীদের থামাতে পারে না ।''
০ এত কিছুর পরেও নারীর জন্য কোটা আছে , এমন কি সংসদেও । নিজেদের মেধা , শিক্ষাও তাদেরকে কোটার নামে এই এক্সট্রা ফেভারের লোভ দমিয়ে রাখতে পারে না ।
দূর্গম ও বিপদ সংকুল এলাকায় একই রেংকের ক্ষেত্রে ছেলেদেরকে পাঠানো হয় । নিরাপত্তার দোহাই যদি দেওয়া হয় তাহলে দেখা যায় এসব জায়গায় ছেলেরাই ভিকটিম হয় । মেয়েদের সংকগ্যা একেবারেই নেই কারণ তারা তো এক্সপোজড্ না । জীবনের মায়া সবারই তো আছে । একজন মেয়ের কোন ক্ষতি হলে যে রকম প্রভাব পড়ে , একজন পুরুষ কোন ক্ষতির সম্মুখীন হলে তার পরিবারের বিপদ আরও বেশী ।
কথা উঠবে , যেখানে ছেলেরাই নিরাপদ না সেখানে মেয়েদের যাওয়া তো আরও রিস্কি । কিন্তু চাকরি করতে তো একজন ছেলে কলিগের চেয়ে সে কম বেতন নিচ্ছে না । মেয়েরা কি এভারেস্ট জয় করছে না ? মেয়েরা কি মহাকাশ থেকে শুরু করে মাছ ধরা পর্যন্ত বিচরণ করছে না ?
''প্রতিটা সম্পর্কে পুরুষরা আজন্ম ঋণী,''
০ এমন নারীর নাম বলুন যে কোন পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে ?
পবিত্র ক্বুরআনে নারী পুরুষকে একে অন্যের লিবাস বলা হয়েছে । একজনকে আরেকজনের কাছে ঋণী বললে এটা Vice versa হয়ে যায় .
প্রতিটা সম্পর্কে পুরুষরা আজন্ম ঋণী -
এটা সাহিত্যের কথা । সাহিত্যে এও আছে যে '' নারীর মন দেবতাও বুঝতে পারে না ''
। আসলেই কি ঠিক ? আল্লাহ তো মানুষের মনের খবর ভাল জানেন, প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য । আর দুনিয়ার সব মহিলাই তো আমার মা/বোন/স্ত্রী/ মেয়ে না ।
তারা অন্য কারোও মা/বোন/স্ত্রী/ মেয়ে । তাদের দাবী তাদের রেসপেকটিভ ছেলে/ভাই/স্বামী/বাবার কাছে ।
নিজেদের বাইরে আমরা যে তাদের মা/বোন/স্ত্রী/মেয়ের মত মনে করি তারা কি আমাদের বাবা/ভাই/স্বামী/ছেলের মত মনে করেন ?
বাসে যখন একজন মহিলাকে বোন ভেবে নিজের আসন ছেড়ে দেন , আপনার সেই বোনটি কি আপনাকে ভাই ভেবে ইনস্ট্যান্ট তার প্রতিদান দেয় ? ভাই হিসেবে আপনি আপনার আপন বোনকে যে ফেভার করতেন সেই রকম ফেভারই করলেন বাসে এই বোনটির প্রতি । এই বোনটি কি তার আপন ভাইকে যে যে ফেভার করতো আপনার এই উপকারের জন্য আপনাকে তার একটাও করবে ইনস্ট্যান্ট?
''তারপরও এই নারীরাই ইভটিজিং, এসিড সন্ত্রাস, ধর্ষণসহ নানা ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়। এটা পুরুষের জন্য ভীষণ লজ্জাজনক। ''
০ অবশ্যই এটা পুরুষদের জন্য লজ্জাজনক । তবে তালি বাজাতে এক হাত হলে হয় না ।
পাড়ার কোন রোমিও টিজ করলে মহা হুলস্থুল হয়ে যায় , শ্লীলতাহানী হয় , ছেলেদের বিবেক নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় ।আর যখন শাহরুখ এসে স্টেজে দাঁড়িয়ে সবার সামনে চুমু খায় তখন কি লজ্জা আসে না? শ্লীলতাহানী হয় না ?
ঘটনা একই । তবে পারসন বুঝে রিয়েকশন ভিন্ন । কেন এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি ?
লজ্জা কি শুধু পুরুষেরাই পাবে এসব কাজের জন্য যেখানে সংসারের ভেতরে নারীরাই পুরুষদেরকে প্রচন্ড ঝামেলায় রাখে । বিভিন্ন ডিমান্ড করে বসে সে তার স্বামীকে আর্থিকভাবে শূন্য করে দেয় । স্বামীর আপনজনদের সাথে সবসময়ই একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব সৃষ্টি করে বেচারা স্বামীকে তার বাবা মায়ের সাথে অনিচ্ছা সত্ত্বেও দূর্ব্যব হার করতে বাধ্য করে । ফলে স্বামী বাধ্য হয় বাবা মাকে এল্ড হোমে পাঠিয়ে দিতে । অধিকাংশ ওলঢোমিয়ানদের কাছে গেলে শুনতে পাবেন তাদের এখানে আসার কারণ তাদের ছেলের বউয়ের কূটনামী ।
েইসব বাবা মায়ের মেয়েরা কি দেখে না তাদের ভাবী তাদের আদরের ভাইকে কি রকম ক্যাপচার করে তাদের বাবা মাকে ঘর থেকে বের করে দিল ? তারা কি একজন মেয়ে হিসেবে আরেকজন মেয়ের এই ঘৃণ্য আচরণ দেখে লজ্জিত হয় না ?
হবে কেন ? সেও তো একই কাজ করে যাচ্ছে আরেক সংসারে !
ছেলেরা মেয়েদের প্রতি তারই স্বজাতির এইসব নোংরা কাজে লজ্জিত হয় , প্রতিবাদ করে , মারামারি করে এমন কি মারাও যায় ।
কোন বোনকেও কি দেখেছেন ভাইয়ের প্রতি মায়ের প্রতি তারই সস্বজাতি ভাবীর এই আচরনে এরকম জানবাজি ভূমিকা রাখে ?
যে পুরুষের ঔরসে তাদের জন্ম , যেখানে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া আজ পর্যন্ত কোন নারীই পৃথিবীতে আসে নি - সেই পুরুষদের কেন এত অশান্তি দেয় নারীরা ? তার তো নারীর কাছে গিয়ে শান্তি পাবার কথা ! সে তো তার নারীর সুখের জন্য ''চাঁদও এনে দিতে পারে'' , '' সাগরের ঢেউ থামাতে পারে '' ।
'' পেশা নির্বাচনে নারীদের সম্পূর্ণ হক থাকলেও স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে অনধিকার চর্চা করে থাকে। যা সত্যিই দুঃখজনক। ''
০ দুঃখজনক হবে কেন ? সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াত পড়ে নিন । একজন স্ত্রীর কাছে তার স্বামীর সংসার আগে ক্যারিয়ারের তুলনায় - কারণ স্বামী তার জন্য ব্যয় করছে । স্বামীর টাকায় চলে সে স্বামীর অবর্তমানে স্বামীর সংসারের হেফাজত না করে (আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে) সে অন্য আরেকজনের(চাকুরিদাতা প্রতিস্ঠানের ) সেবা করবে - সেটা কি ইসলাম সমর্থন করবে ?
আপনার অফিসের কোন কর্মচারী যদি অফিস টাইমে আরেক প্রতিস্ঠানে পিক আওয়ারের(১০-৪টা) সময় কাজ করে , তাহলে বস হিসেবে আপনি কি তা মেনে নেবেন ?
নারীরা কোন কোন ক্ষেত্রে বেশী বেশী চায় , আবার কোন কোন ক্ষেত্রে সুবিধাজনকভাবে নিজেদের বন্চিত করে রাখে । তাদের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতিই তাদেরকে হেনস্তায় ফেলে বেশী ।
নারীদের প্রতি যেমন খুব নিঁচু ভাবে তাকালে হবে না , আবার তেমনি খুব উঁচু ভাবেও দেখলে হবে না । তাকে তার প্রাপ্য শরিয়ত অনুযায়ীই দিতে হবে ।
ধন্যবাদ -- আপনার যুক্তির জন্য--
সকাল বেলা স্বামীর নাস্তা রেডী করে টেবিলে দেয়া ,তাকে রেডী হতে সাহায্য করা ,তাকে গেট পর্যন্ত গিয়ে হাসিমুখে বিদায় দেয়া.আর স্বামী যখন বিকাল বেলা ক্লান্ত দেহ মনে ঘরে ফিরে হাসি মুখে দরজা খুলে দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত এগিয়ে দেয়া এটা কি পাশা পাশি চলা নয়।
ভাল মা হওয়ার জন্য শিক্ষিত মায়ের যেমন দরকার তেমনি তেমনি ভাল স্ত্রী হওয়ার জন্য ও শিক্ষার দরকার ।তার মানে এটা নয় মাঠে ময়দানে ,অফিস-আদালতে তাকে পুরুষের পাশা -পাশি কাজ করতে হবে ।
আপনাদের মত যারা মেয়েদের ঘর থেকে টেনে বের করে আনতে যাচ্ছেন আর মেয়েরাও কিছু না বুঝে শুধু মাত্র তারা একটু খানি হয়ত অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে কিন্ত একারনেই দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে
ইভটিজিং, এসিড সন্ত্রাস, ধর্ষণসহ নানা ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
একজন কন্যার বাবাকে সব সময় মাথা নিচু করে চলতে হবে, কন্যাকে নিরাপদে রাখার জন্য পাহারায় রাখতে হবে, বিয়ে পরবর্তী জীবনে কন্যার পিতৃ পরিবারকে গলা নিচু করে কথা বলতে হবে, শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে উপঢৌকনে সন্তুষ্ট রাখতে হবে, এ কেমন কথা? নারীর পেটেই পুরুষের জন্ম, তারপরও এই পুরুষরা কৃতজ্ঞতার বদলে কেন এত পাশবিকত্ত দেখায়?
এর কারন ইসলামী জ্ঞানের অভাব ।ইসলামই দিয়েছে একজন নারীকে তার প্রকৃত মর্যাদা প্রকৃত সন্মান ।
কাজেই আসুন আমরা ইসলামকে জানি ,মানি ও তার বাস্তবয়ন করি প্রতেকের জীবনে তাহলেই আমাদের সমাজ হয়ে উঠবে নারী-পুরুষের সহ অবস্থানে সুখী সুন্দর সমাজ ।
ধন্যবাদ আপনাকে শর্থহীন ভাইয়া ।
আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ থাকল--
মন্তব্য করতে লগইন করুন