ছুডবেলার ঈদ যেমন কাটতো
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ০৬ জুলাই, ২০১৬, ০৬:২৮:৫৮ সন্ধ্যা
ছুড বেলা ঈদের দিন আসলে আনন্দটা হইত অন্যরকম।
ঈদের আগে নতুন পাজামা পান্জাবী, চামের জুতো ইত্যাদি কিন্না দিতেন আব্বু ।
বাড়িতে আইনা সেগুলা লুকায়া রাখতাম।
কেউ দেখে ফেললে ঈদের মজা শেষ হয়ে যাবে ভাবতাম।
ঈদের দিন সকালে স্যাম্পু দিয়া গোসল করতাম আব্বুর লগে।
বাইত আইসা দেখতাম আম্মু সেমাই রান্না করছে।
সেমাইয়ের ঘ্রাণে পুরা বাড়ি ঘর যেন সেমায়িত! :p
যাউগ্গা! সেমাই খিলায়া নতুন জামা কাপড় পড়তাম।
আহ্! নতুন জামা কাপড়ের কি সুঘ্রাণ!
আব্বু আম্মু, বড় ভাই বোন, সবাইকে সালাম করতাম।
যেহেতু সালাম দিলেই টাকা পাইতাম, তাই এইটাকে ঈদ সেলামী কইতাম! :p
নোট খুচরা মিলায়া চার পাচশ টাকা হইত পকেটে।
তখন নিজেরে বিল গেটসের খালাত ভাই মনে করতাম।
মায় কইতো, টাকাগুলা আমার কাছে জমা থুইয়া দে, নাইলে হারায়া যাইব। :o
ধুর! জমা দিলেই ঝামেলা!
মনমতন খরচ করন যাইতো না।
খালি কৈফিয়ত দেওন লাগত। তাই দিতাম না। :p
ঈদগাহে গিয়া নামাজ পইড়া এক পোটলা বাদাম, আংগুলী,মিষ্টি আর কতগুলা খেলনা গাড়ি কিন্না বাইত আইতাম।
বাইত আইসা প্লাস্টিকের গাড়ির সামনে চিকন রশি বাইন্ধা মালগাড়ি বানায়া খেলতাম।
বাশিতে ফূ দিয়া পাবলিকের
কান ঝালাপালা করতাম। লাটুম ঘুড়াইতাম।
বাইত অনেক মেহমান আইসা ঘর ভইরা যাইতো।বেশি
দুষ্টামি করলেও মেহমানের খাতিরে মায় কিছু কইতো না।
বিকাল হইলেই পাড়ার পোলাপাইন সবগুলা মিল্লা ক্রিকেট খেলতাম।
নামায পড়তে না গেলে আব্বায় আইসা দৌড়ানি দিতো।
বল ব্যাট ফালায়া থুইয়া দে দৌড়!
:D
রাইত হইলে গল্পের আসর জমতো বাড়ির উঠানে।
জোনাকি পোকা ধইরা খেলা করতাম।
শিতকাল আছিল। তাই
উঠানে খড়কুটা জ্বালায়া আগুন পোহাইতাম।.........
ছুডবেলার ঈদ অনেক মজার ছিলোরে ভাউ। :p
বিষয়: বিবিধ
১০৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন