শিশুরা দেখে দেখেই শিখে এবং অনুকরণ করে
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ১০ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৩০:১১ দুপুর
গতকাল যোহর নামায পড়তেছি। এমন সময় কোথেকে এক পিচ্চি এসে হাজির।
বয়স চার কি পাঁচ হবে।আমার সামনে
সিজদার জায়গা থেকে একটু পাশে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ আমার নামায পড়া পর্যবেক্ষণ করলো যেনো!
এরপর আমার পাশে দাড়িয়ে আমার নামাযের অনুকরণ করা শুরু করলো।
আঁড়চোখে আমার দিকে লক্ষ্য করছে আর আমার অনুকরণে রুকু সিজদা করছে।
পিচ্চির এই কান্ড দেখে আমার যেমন ভাল লাগল তেমনি হাসিও পেলো খুব। এ থেকে
একটা বিষয় আজ নতুন করে বাস্তবে শিক্ষা হলো যে,
আসলেই তো! শিশুরা হলো কাঁদা মাটির ন্যায়। শিশুকাল ও শৈশব কালে এদের যা শেখানো হয়, যা দেখে
বড় হয়ে এরা তাই করতে শিখে।
দ্বীনী পরিবেশে সন্তান দ্বীনী মেজাজে গড়ে ওঠে।
বদদ্বীনী পরিবেশে হয় এর বিপরীত।
আরেকদিন এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে দেখি তাদের তিন বছরের শিশুর কান্না করছে, এমন সময় শিশুর মা মোবাইলে হিন্দি ভিডিও গান চালু করে শিশুর হাতে দিয়ে রান্নাঘরে কাজ করতে চলে গেলো।শিশুটি কান্না ভুলে মনযোগ সহকারে ভিডিও গান দেখছে।
জিগ্যাসা করে জানতে পারলাম, এভাবে নাকি সহজেই শিশুর কান্না বন্ধ করে নির্বিঘ্নে কাজ কর্ম সারা যায়!
দেখছেন কি অবস্থা!!
এখন এমন বদ অভ্যাস হয়েছে যে, ভিডিও নাচ গান দেখা ছাড়া ওই শিশুর কান্না থামে না!
শুধু তাই নয়!
এরপর যখন তাদের বাসায় ঢিভি + ডিশ আনা হলো, তখন সেই শিশু নিয়মিত তার মায়ের সাথে স্টার জলসা + জি বাংলা দেখে নিয়মিত।
খাওয়া, ঘুম মিস হতে পারে মাগার স্টার জলসা দেখা মিস নেই!
এরকম বদদ্বীনী পরিবেশে, পরিবারে যখন একটি শিশু বেড়ে ওঠে তখন সে বাবা মার কথা শোনে না।
বিয়ের পরে বাবা মায়ের খবর লয়না।
খেদমত করতে চায়না।
বাবা মাকে ভাবে সংসারের বোঝা!
এ জন্য সন্তানের আগে দায়ী কে?
অবশ্যই বাবা - মা।অভিভাবক।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই সব সময় সচেতন থাকা উচিত অভিভাবকগণের। শুকরিয়া সুন্দর লিখাটির জন্য!
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
জাযাকাল্লাহ্
মন্তব্য করতে লগইন করুন