এ কেমন ধৃষ্টতা!!
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৪৯:৩০ রাত
ওই ঘটনার পর আমাদের মুসলিম পরিচয়
দেয়ার সার্থকতা আর রইল কই? দিনদিন
আমরা শুধু অপদার্থই হচ্ছি৷ এই পবিত্র
ভূখণ্ডে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষিকা নামের নারী জাতির কলঙ্ক
একটা চরম অসভ্য মহিলা একজন পর্দানশীন
ছাত্রীকে চেক করার নামে সবার সামনে
নিজ হাতে একটানে নেকাব খুলে ফেলার
পর সেই ছাত্রী অন্যদিকে ফিরে
নিজেকে আড়াল করতে চাইলে ওই
শিক্ষিকা সবার দিকে তাকে ফিরিয়ে
বোরখার বোতাম খুলে তাকে নাজেহাল
করার যে ধৃষ্টতাপূর্ণ ঘটনা ঘটিয়েছে; ওই
মহিলা শুধু একজন পর্দানশীন মেয়ের
ইজ্জত হরণ করে নি, বরং পুরো নারী
জাতির ইজ্জতহানি করেছে৷ এরকম
মানুষরূপী একটা জানোয়ার
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চান্স পায়
কোন্ যুক্তিতে? সেটাই তো বড় বিস্ময়!
একটি ধর্মভীরু মুসলিম অধ্যুষিত দেশে
এরকম ঘটনা তো কল্পনা করাই কষ্টকর৷
এরা কী পড়ে শিক্ষিত হয়? ওদের শিক্ষায়
কী সভ্যতা জিনিসটা নেই? ওদের
শিক্ষায় কী একজন নারীর ইজ্জতের মূল্য
নেই? যে শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের জন্যে
আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ নিয়ে আসে,
তাহলে এই শিক্ষাব্যবস্থার কী প্রয়োজন?
সেদিন একটা অভিশপ্ত ইসরাঈলী সৈন্য
কর্তৃক একজন ফিলিস্তিনি বোরকাবৃত
পর্দানশীন মহিলাকে বোরকা পরিহিত
অবস্থায় গুলি করে শহীদ করে দেয়ার
ঘটনায় বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল৷
খেয়াল করে দেখবেন, ওই জানোয়ারটা
কিন্তু খুব কাছে থেকে বোরকার উপর
দিয়ে গুলি করে ওই বোনটিকে
নির্মমভাবে শহীদ করে দিয়েছে৷ বোরকা
এবং নেকাব খুলে তাঁর ইজ্জতহানি করে
নি৷
মনে রাখতে হবে একজন পর্দানশীন নারীর
কাছে প্রাণের চেয়ে তাঁর ইজ্জতের মূল্য
বেশি৷ ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে
হার রোখার লক্ষে ফিলিস্তিনি
মায়েদেরকে বেছে বেছে হত্যা করবার
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওই বোনকে
তারা শহীদ করে দিয়েছে, কিন্তু অনাবৃত
করে নাজেহাল করে নি৷ কিন্তু এই ঘটনায়
যে তারা সভ্য হয়ে গেছে, তা তো অবশ্যই
নয়৷ তবে আমার কথা হচ্ছে, ইহুদী হয়েও সে
একজন নারীর ইজ্জতের মূল্য দিয়েছে৷
কিন্তু নিজে নারী হয়েও, (নামধারী)
মুসলিম (সম্ভবত) হয়েও অভিশপ্ত ইহুদীর
চেয়েও নিম্নরুচির কাজ করে বুঝিয়ে
দিয়েছে, শিক্ষিত হলেও মহিলাটা মানুষ
হতে পারে নি৷
কিছুদিন পরপরই আমাদের কোনো না
কোনো বোন শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ ফরয
বিধান পর্দা করার কারণে নাজেহালের
শিকার হতে হচ্ছে৷ তারা নিজেদের
ইজ্জত নিয়ে অসহায়ের মতো আমাদের
দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকাবে আর
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং আমরা হাতে চুড়ি
পরে বসে আঙুল চুষবো; মুসলিম কেন? পুরুষ
হিসেবে পরিচয় দেয়াটাই তো আমাদের
জন্যে লজ্জার!
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে জাহাঙ্গীরন গরের বেলায় ব্যাপারটা আলাদা ।
এখানে মনে হয় দর্শন শাস্ত্রের পাশাপাশি ধর্ষনশাস্ত্র নামে আরেকটা সাবজেক্ট আছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন