শবেবরাতঃ করনীয় -বর্জনীয়
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ০২ জুন, ২০১৫, ১২:৫৫:৫৮ দুপুর
বিসমিহি তা'য়ালাঃ
বান্দার প্রতি আল্লাহ তায়ালার
মাগফেরাত ও রহমতের ধারা
চিরবহমান।তিনি বান্দাকে ক্ষমা
করতে থাকেন সব সময়।তারপর ও মাঝে
মাঝে ক্ষমার বিশেষ অফার দিয়ে
থাকেন।যেন বান্দা ফিরে আসে তাঁর
কাছে।তার একটি হলো শবেবরাত।
শব অর্থ রাত, বরাত অর্থ- মুক্তি। শবে
বরাত
অর্থ মুক্তির রাত।
সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন"আল্লাহ
তায়ালা ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে
সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং
শিরিককারী ব্যক্তি ও বিদ্বেষ
পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা
করে দেন।[সহীহ ইবনে হিব্বান
১৩/৪৮১হা.৫৬৬৫ শুয়াবুল ঈমান
৩/৩৮১হা.৩৮৩৩]
এই হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়
যে,এরাতে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ
থেকে রহমত,বরকত, মাগফিরাত ও মুক্তির
দ্বার উন্মক্ত হয়। কিন্ত আল্লাহর সাথে
শিরকি কাজ-কর্মে লিপ্ত ব্যক্তি এবং
অন্যের ব্যাপারে হিংসা বিদ্বেষ
পোষণকারী এই ব্যাপক রহমত ও সাধারন
ক্ষমা থেকে বঞ্চিত।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
এ রাতের করণীয়
১,নফল নামাজ পড়া।এরাত জাগরণ করে
বড় বড় কেরাত দিয়ে লম্বা লম্বা রুকু ও
সিজদা করে দু,দু রাকাত করে অধিক
পরিমানে ঘরে একাকি নামাজ পড়া।
২,তাওবা এস্তেগফার, যিকির তাসবীহ
ও দোআ'য় মগ্ন থাকা। অর্থাৎ একাকি
নিম্ন আওয়াজে আল্লাহর যিকির
করা,তাওবা করা, আস্তাগফিরুল্লাহ
পড়া,লাইলাহা ইল্লালল্লাহ পড়া
ইত্যাদি।
৩, কবর যিয়ারাত করা, পুরুষগন একাকি
নিজ এলাকার কবরস্থান যিয়ারাত করা
মুস্তাহাব।
৪, পরের দিন রোজা রাখা।
৫, পুরুষের জন্য সব সময়ই ফরজ নামাজ
মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে
আদায় করা।
বিশেষ করে এ রাতে এশা ও ফজরের
নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।
এমন যেন না হয় সারা রাত নফল নামাজ
পড়া হল কিন্ত ফজরের ফরজ নামাজ না
পড়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
এ রাতের বর্জনীয়
১, হালুয়া রুটি,খিচুড়ী পাকানো মাছ,
কুমিরের ফসরা তৈরী করা ও বিতরণ
করা।
২, মাজারে মাজারে গিয়ে
ভিড়াভিড়ী করা, এবং মসজিদে
মসজিদে ঘুরা এবং তাতে আলোক
সজ্জা করা, মোমবাতি জালানো
ইত্যাদি।
৩, ভ্যানগাড়ি পিকাপভ্যানে করে
ঘুরে আনন্দ উল্লাস করা।
৪, তারাবাজি, আতশবাজী, পটকা
ফুটানো।
বিষয়: বিবিধ
১০০২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন