পাপের ফল
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ২৩ জুলাই, ২০১৪, ০৪:২১:৩৪ বিকাল
মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দরী ।
ফুর্তি করে অনেক মজা পাবি ।
বেড়াতে এসে সবাই ফুর্তি করে ।
তাছাড়া এখন যৌবন কাল । এসময়
একটু আধটু ফুর্তি করবি নাতো কখন
করবি ? চুল
দাড়ি পেকে গিয়ে বুড়ো হলে ?
কথা গুলো রাতুলকে বলছিল
ফাহিম । তারা চার বন্ধু মিলে দশ
দিনের জন্য কক্সবাজার
বেড়াতে এসেছে । একই
রুমে থাকছে তারা। এক সাথেই
চার বন্ধু মিলে হৈ হুল্লোর
করে দিন কাটাচ্ছে । এসময়
ফাহিমের সাথে হঠাৎ পরিচয়
হয়ে যায় তিথি নামের
একটা মেয়ের সাথে ।
মেয়েটা পেশায় পতিতা ।
টাকার বিনিময়ে অন্যের
সাথে রাত কাটানোই তার পেশা ।
মেয়েটা দেখতে অসাধারন
সুন্দরী । যে কোন ছেলেই
তাকে কাছে পেতে চাইবে ।
ফাহিম আর তার অন্য দুই বন্ধু শাওন ও
সোহেল মিলে ঠিক
করলো যে কটা দিন কক্সবাজার
আছে, প্রতিদিন রাতে মেয়েটার
রুমে গিয়ে ফুর্তি করে আসবে ।
কিন্তু রাতুল এই
প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না ।
সে আবার একটু ইসলামী মাইন্ডের ।
মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস
করেছিল । অনার্সে পড়ছে এখন ,তবুও
মাদ্রাসার (?) ভুত টা এখনও যায়নি!
তিন বন্ধু মজা করবে আর একজন
বোকার মতো বসে থাকবে ! কেমন দেখায়?
তাকে রাজি করানোর
জন্য তিন বন্ধুই অনেক রকম করে বোঝানোর
চেস্টা করলো ,কিন্তু
রাতুলকে রাজি করাতে পারলো না!
উল্টো রাতুলই ওদেরকে বারবার
নিষেধ করলো ওখানে যেতে ।
শেষে তারা রাতুলকে রেখেই
প্রতিরাতে মেয়েটার
রুমে গিয়ে মনের
সুখে ফুর্তি করে আসতো আর রাতুলের কাছে গল্প করতো !
রাতুল শুনতে চাইতো না, তবুও তারা রাতুলকে ওসব জোর
করে শোনাতো । দশ দিন পর তারা হৈ হুল্লোর
করতে করতে ফিরে এলো ।চার বন্ধুই ভার্সিটিতে নিয়মিত ক্লাশ
করতে লাগলো ।
৬ মাস পর .....
ক্লাশ হচ্ছে । এসময় প্রিন্সিপাল
নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিলেন
আজকে থেকে ভার্সিটিতে এক
সপ্তাহের জন্য শুরু হচ্ছে
" মানবতার সেবায় স্বেচ্ছায়
রক্তদান কর্মসূচি" ।
একটি বেসরকারী এনজিও এটার
আয়োজন করেছে । আজকে পদার্থ
বিজ্ঞান ও
প্রানীবিদ্যা বিভাগের ছাত্র
ছাত্রীদের পালা ।
যারা যারা রক্তের গ্রুপ
পরীক্ষা করতে চায় ও রক্ত
দিতে ইচ্ছুক ,তারা এখনই যেন,
ভার্সিটির
মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্পে যোগাযোগ
করে । পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র
হওয়াতে চার বন্ধুই গেল রক্ত
দিতে ।
ক্যাম্পে গিয়ে জানতে পারলো আজকে রক্ত
নেয়া হবে না ।আজকে শুধু রক্তের
গ্রুপ পরীক্ষা করা হবে । নাম,
ঠিকানা,বয়স, মোবাইল
নাম্বার,সাবজেক্ট
ইত্যাদি খাতায়
উঠিয়ে একেকজনের রক্তের
নমুনা নিয়ে রক্তের গ্রুপ
পরীক্ষা করছে তারা ।
তারা রক্তের
নমুনা দিয়ে চলে এলো ।
পরদিন কলেজে গিয়ে ভয়াবহ
দুঃসংবাদটা শুনুলো তারা!
পুরো ভার্সিটি জুড়ে সবার
মুখে একই আলোচনা ।পদার্থ
বিজ্ঞান বিভাগের তিন
ছাত্রের রক্তে এইডসের জীবানু
পাওয়া গেছে!! কিন্তু কার কার
রক্তে ,তা কেউ
বলতে পারছে না । পদার্থ
বিজ্ঞান বিভাগের
প্রতিটি ছাত্রের মুখে থমথমে ভাব
। কেউ কোন কথা বলছে না । সবাই
পাথরের মতো বসে আছে ক্লাশে।
এমন সময় দপ্তরী সুরুজ
মিয়া এসে জানালো পদার্থ
বিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষ রোল নম্বর ১৭,
১১, ৩৭ কে প্রিন্সিপাল স্যার তার
রুমে ডেকে পাঠিয়েছেন । এই
কথাতে কারো বুঝতে বাকী রইলো না যে,
কাদের রক্তে এইডসের জীবানু
পাওয়া গেছে ! দপ্তরীর মুখ
থেকে রোল নম্বর গুলো শোনার
সাথে সাথেই রাতুলের তিন বন্ধু
ফাহিম, শাওন, সোহেল অজ্ঞান
হয়ে বেঞ্চের উপর ঢলে পড়লো ।
ইসলামী বিধানের ওপর অটল ও
অবিচল থাকার কারনে রক্ষা পেল
রাতুল । সে তার কৃত কর্মের পুরস্কার
পেল ।
আমাদের মনে রাখা জরুরি,
আল্লাহ তায়ালা ইসলামী জীবন
বিধান তৈরি করেছেন তার
বান্দাহদের উপকারের জন্য । তার
নিজের লাভের জন্য না । আর
এটাই মানুষ বারবার বুঝতে ব্যার্থ
হয় । ইসলামী জীবন বিধান এমন
ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে,
এটা মেনে চললে মানুষ নিজেই
দুনিয়া ও আখিরাতে উপকৃত হবে ।
যেমন মদ হারাম করা হয়েছে ।
এটা মানুষ না খেলে আল্লাহর
কোন উপকার নেই বরং মানুষই ফুসফুস
পচে যাবার হাত
থেকে রক্ষা পায় এতে ।
মানুষ যখনই শয়তানের ধোঁকায়
পড়ে ইসলামী বিধান
থেকে দূরে সরে যায় তখনই
রাতুলের বন্ধুদের মতো পাপের ফল
ভোগ করে । আর পরকালের চরম
আযাব তো রয়েছেই ...
বিষয়: বিবিধ
৯৫৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
থেকে দূরে সরে যায় তখনই রাতুলের বন্ধুদের মতো পাপের ফল ভোগ করে । আর পরকালের চরম আযাব তো রয়েছেই ...
এইডস্ বেশী ছড়ায় হোমোসেক্সুয়ালিটির মাধ্যমে । কনডম ব্যবহার করতে বলা হয় সেজন্য ।
আর এলকোহল সেবনের ফলে ফুসফুস নয় , লিভার নষ্ট হয়ে যায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন