নাস্তিকদের দালাল,ইসলাম বিদ্বেষী পত্রিকা 'প্রথম আলো'নিষিদ্ধ করা হোক
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৪৯:২৯ দুপুর
স্কুলের মূল পাঠ্য বইগুলোকে মাদরাসা শিক্ষার উপযোগী করতে গিয়ে, কিছু পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই মহৎকর্মটির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছে প্রথম আলো!! তারা আজ লিড শিরোনাম করেছে 'মাদরাসার উপযোগী করতে পাঠ্য বইয়ে অদ্ভুত পরিবর্তন!'। এটাকে লিড শিরোনাম করে তারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা নিরব থাকলে আমাদের শেষ অবলম্বন মাদরাসাগুলোও নাস্তিকদের প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে নাস্তিক্যবাদ ও বেলেল্লাপনা।
নিচে পরিবর্তনগুলোর কয়েকটি উল্লেখ করছি:
১} তৃতীয় শ্রেণীর 'আমার বাংলা বই'-এর প্রচ্ছদ চিত্রে এক কিশোর হাফপ্যান্ট পরে নৌকা বাইছে, নৌকায় বসে এক কিশোরী শাপলা ফুল তুলছে। মাদ্রাসার বইয়ে এই প্রচ্ছদ পরিবর্তন করে কিশোরকে পাজামা পরানো হবে। কিশোরীর মাথায় হিজাব দেওয়া হবে, তার হাফ হাতা জামাটি ফুল হাতা করা হবে।
২} পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ের প্রচ্ছদে ফুল, পাখি, প্রজাপতি ও কাশবন রয়েছে। এর ভেতর নৌকা বাইছে এক কিশোর, নৌকার অপর প্রান্তে ফ্রক পরা এক কিশোরী বসা। এই চিত্রটিও মাদ্রাসা শিক্ষার উপযোগী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৩} পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদচিত্রে এক গ্রামীণ নারী পানির কলসি নিয়ে ফিরছেন। তাঁর মাথায় ঘোমটা দেওয়া। পাশে আরেক নারী নদীর দিকে মুখ করে দাঁড়ানো। কিন্তু তাঁর ঘাড়ের পাশ দিয়ে বেশ খানিকটা পিঠ দেখা যায়। শিল্পীর আঁকা পিঠের এই অংশটিও ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৪} অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে একটি পদ্য হলো লালনের লেখা ‘মানবধর্ম’। এই কবিতায় মূলত: মানুষের ধর্মীয় পরিচয়কে তুচ্ছ আখ্যা দিয়ে সুকৌশলে নাস্তিক্যের পথে আহবান করা হয়েছে। কবিতা পাঠের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এই পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বুঝতে সক্ষম হবে যে, ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড় ! শিক্ষার্থীরা জাত-পাত বা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা মিথ্যে গর্ব করা থেকে বিরত থাকবে। এই কবিতার স্থলে ইসলামী ভাবধারার কবি ফররুখ আহমদের পদ্য ‘মেঘ বৃষ্টি আলোর দেশে’ প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৫} মংডুর পথে বাদ দিয়ে মদিনার পথে প্রতিস্থাপন: অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়বে বিপ্রদাশ বড়ুয়ার গদ্য ‘মংডুর পথে’। এটি মুসলিম ভাবধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বিশেষজ্ঞ কমিটি এর স্থলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বইতে মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর ‘মদিনার পথে’ লেখাটি প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করেছে।...
প্রিয় পাঠক, এই পরিবর্তনগুলো কি অযৌক্তিক? এগুলোর বিরুদ্ধে প্রথম আলো গংরা নেমেছে আদাজল খেয়ে। আমাদের উচিত প্রথম আলোর এই লেখার নিচে যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট করা এবং যার যার অবস্থান থেকে স্টিয়ারিং কমিটির উপরিউক্ত সুপারিশের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করতে থাকা। টিভি, পত্রিকা না হয় আমাদের কাছে নেই, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় তো আমরা ঝড় তুলতে পারি!!
নাস্তিকদের পা চাটা গোলাম প্রথম আলোর ইসলামের বিরোধিতা নতুন নয়।তাই বাংলার সকল মুসলমানকে দলমত নির্বিশেষে আওয়াজ তুলতে হবে,ইসলাম বিরোধী 'প্রথম আলো' পত্রিকা নিষিদ্ধ করা হোক।
...প্রথম আলোর প্রতিবেদনটির লিংক কমেন্টের ঘরে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
yes
প্রথম হল, সরকারী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানো, এতে সরকারী মহল একটি ভাল কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন পাবে।
দ্বিতীয় হল, প্রথম আলো ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যে গাত্রদাহ আছে তার বিপক্ষে সাধ্যমত সবাইকে সচেতন করা। সরকারের ভাল কাজের প্রশংসা করলে এসব পত্রিকা খামোশ হবে নতুবা নিজেদের শ্রত্রু বাড়াবে।
কোনটাই করা না হলে, এদের আনন্দ বাড়তে থাকবে আরো বলতে থাকবে, লিখতে থাকবে। অনেক ধন্যবাদ।
yes
নাস্তিকদের পা চাটা গোলাম প্রথম আলোর ইসলামের বিরোধিতা নতুন নয়।তাই বাংলার সকল মুসলমানকে দলমত নির্বিশেষে আওয়াজ তুলতে হবে,ইসলাম বিরোধী 'প্রথম আলো' পত্রিকা নিষিদ্ধ করা হোক।
এই সবকিছুর মূল কারন = জঙ্গিবাদী--আওয়ামীলীগ,
মন্তব্য করতে লগইন করুন