আমি লজ্জিত !
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:১৮:৪১ দুপুর
গ্রাম বাংলায় আজও একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে"পুরুষের বুদ্ধি পায়ের নলায়-মহিলাদের বুদ্ধি থাকে গলায়"।অর্থাৎ একটা পুরুষের চাইতে একটা মহিলার বুঝ-জ্ঞান,বিবেক বিবেচনা সাধারণত একটু কম থাকে।আর এই প্রবাদ টা বারবার সত্যে পরিনত করে চলেছেন আমাদের বিধবা প্রধানমন্ত্রীরা । একটা প্রধান মন্ত্রী হয়ে কিভাবে ব্যঙ্গ করে বলতে পারে-'গোলাপীরে গোলাপী ! নির্বাচনী ট্রেন মিস করিলি।"
আচ্ছা আপনারাই বলেন,একজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষা কি এমন হতে পারে ? বিরোধীদলীয়নেত্রী খালেদাজিয়া যদিও হাসিনার চেয়ে একটু ভদ্র কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন বা এমন কিছু বলেন যা তারও জ্ঞানের অদূরদর্শীতাকেই প্রমান করে।জাষ্ট একটা এক্সাম্পল দেই।গত ৫ই মে যখন হেফাজতে ইসলাম তাদের ঘোষিত ন্যায্য ১৩ দফা দাবী আদায়ের জন্য শাপলা চত্ত্বরে অবস্হান করেছিল তখন ঐ রাতে খালেদা জিয়া সরকার কে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য 24 ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন কেন ? হেফাজতে ইসলাম কি সরকার পতনের জন্য আন্দোলন করেছিল ? হেফাজতে ইসলাম কি খালেদা কে গদিতে বসানোর জন্য আন্দোলন করেছিল ? আজ কোথায় গেল তার সেই আল্টিমেটাম ? হেফাজতের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় যাবার দিবাসপ্ন দেখেছেন উনি ! আজ সময় এসেছে এদেশের পুরুষ রাজনীতিবিদদের হাতে চুড়ি পরে, নাকে নাক ফুল পড়ে, নিজেদেরকে আবেদনময়ী করে, রাজপথে উপস্থাপন করার। ছিঃ লজ্জা !
আমরা মুসলিম হয়েও যে ইতিহাস রচনা করলাম, তা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও নেই। কোন ইয়াহুদি খৃস্টান রাস্ট্রে ও নেই। এতটা কলঙ্কময় রাস্ট্র আর লেডিস পাগল রাজনীতি, ইতিহাসে আর একটাও নেই।
পৃথিবীর ইতিহাসে মোট ২২৮ টি রাস্ট্র আছে। তার ভিতর মুসলিম রাষ্ট্র আছে ৬৫ টি। আর এই ২২৮ টি রাস্ট্রের ভিতর বর্তমানে বিশ্বের ২৫ টি দেশের শীর্ষ পদে নারীরা রয়েছে।
কিন্তু এই কৃতিত্ব অন্য কোন রাস্ট্রে নেই, যা আমাদের আছে।ইস ! কেমন ফাটা কপাল আমাদের ! আমাদের প্রধান মন্ত্রী একজন নারী, বর্তমান বিরোধী নেত্রী একজন নারী, রাজপথে ১৮ জোটের যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি একজন নারী। সংসদের স্পিকার তিনি ও একজন নারী।জাতীয় পার্টির পল্টিবন্ধু এরশাদ কে ডবল পল্টি দিয়ে রওশন এরশাদ এখন সরকারের গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা।তিনিও একজন নারী।
একটা দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাস্ট্রের গুরুত্ব পূর্ন চারটি পদে যদি চার জন নারীই থাকে। তাহলে চুড়ি আর নাক ফুল পরা ছাড়া আমাদের কী বা উপায় আছে ???
যদি অভিশপ্ত নারী নেতৃত্ব, আমাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত না করা যায় ? তাহলে এই রাজনীতি করারই বা কী দরকার আছে ???
বিষয়: বিবিধ
১২১১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এমন কি রমনি নাম নিয়েও একজন পুরুষকে গতবার হারতে হয়েছে ।
থ্যাচারের পর বৃটেন আর কোন রমনীকে পায় নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ।
নারী যদি কোন কিছুর ক্ষমতা পেয়ে যায় তাহলে সে সেই পদের সর্বোচ্চ অপব্যবহার করে যার দৃষ্টান্ত দুনিয়াতে নজিরবিহীন হয়ে যায় - সেটা ঘরে হোক কিংবা বাইরে ।
বাংলাদেশের মানুষ যে এত নারী স্বাধীনতা , নারীর ক্ষমতায়ন বলে চিতকার চেঁচামেচি করে - তাদের জন্য একটা চরম শিক্ষা হয়ে আছে এই গত দুই যুগ ।
দূর্নীতি ও দুঃশাসন কাহাকে বলে এবং তা কত প্রকার ও কি কি তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি । টের পেলেও কোন লাভ হচ্ছে না । কারণ এর থেকে যে আমরা বেরই হতে পারছি না ।
তবে আমাদের সাফারিংস থেকে বিশ্বের অন্য দেশগুলো বিশেষ করে নামী দেশগুলো একটা ভাল লিসেন নিয়েছে ।
এই সিসটেম পাল্টাবে কে???????????????
হুমমম..জাতির মাথায় এটা ভাবার মতো মগজ উৎপন্ন হউক এই দুআ করি।
বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
পুরুষেরা বাইরের কাজে , মেয়েরা ঘরের কোণে
যতই এর ব্যাতায় আমরা ঘটাতে চাইব , শান্তি আমাদের থেকে ততই দূরে সরে যাবে ।
সত্যি বলেছেন ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন