ওরা কেমন আশেকে রাসূল সা. ?!

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫১:২৪ দুপুর

রাসুল সা. এর জীবদ্দশায় নবুওয়াতপ্রাপ্তির আগে বা পরে অনেক বার এই ১২ই রবিউল আউয়াল এসেছে । কিন্তু রাসুল সাঃ এর জীবনে একবারও এই দিনে কোন আনন্দ উত্সব করেননি । করেছেন বলে তার কোন প্রমানও নেই । সাহাবাগনের যুগেও প্রতিবত্সর ১২ই রবিউল আউয়াল এসেছিল,কিন্তু কোনো বত্সরই কোন সাহাবী রাসুলের জন্মোত্সব পালন করেননি ।কারো থেকে এর কোন প্রমানও পাওয়া যায় না । অথচ সাহাবাগন রাসূলের প্রতি এতোই আশেক ছিলেন যে, তার ইশারায় নিজেদের প্রান উত্সর্গ করতে সামান্য পরিমান দ্বিধা করতেন না । রাসূলের জন্মোত্সব পালনে যদি এতই নবীপ্রেম নিহিত থাকে তাহলে সাহাবাগন কেন পালন করেননি ? এরপর সাহাবায়ে কেরামের সুযোগ্য উত্তরসূরী হলেন তাবেয়ীগন । তাদের যুগেও রাসূল সা. এর জন্মোত্সব পালন হয় নি ।এরপর আসছে তাবে-তাবেয়ীদের যুগ । সে যুগেও এই প্রচলিত ঈদে মীলাদুন্নবী পালিত হয় নি । আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের যুগেও এই ঈদে মীলাদুন্নবী পালিত হয়নি । ছয় শত বত্সর পর্যন্ত এর কোন অস্তিত্ব ছিলো না ।_______সর্বপ্রথম এই প্রচলিত ঈদে মীলাদুন্নবী ৬০৪ হিজরীতে ইরাকের মুসেল নামক শহরে ওমর বিন মুহাম্মদ আবিস্কার করে । আর সর্বপ্রথম এর প্রচলন ঘটায় বাদশা আবু সাঈদ মুযাফফর । ____ আর রাসূল সা. ইরশাদ করেন "যে কোন বিষয় আবিষ্কার করে,যা দ্বীনের মধ্যে প্রমানিত নেই . তা গ্রহন যোগ্য হবে না। " (তিরমিযী)_____ সুতরাং যে কাজের প্রচলন ইসলামের সোনালী যুগে ছিল না , তা বিদআত হওয়াতে কোন সন্দেহ নেই । তা ছাড়া দিন দিন এই উত্সবের সঙ্গে গর্হিত কর্মকাণ্ড আরো বর্ধিত হচ্ছে । বর্তমানে মিছিল মিটিং , আনন্দ রালি ইত্যাদি হচ্চে । এসব ইতোপূর্বে ছিল না । বছরের পর বছর যতই দিন বাড়ছে , ততোই ঐ মিষ্টি প্রেমি উত্সবকারীদের ভন্ডামী বাড়ছে ।বলতে চাই,

""যে কেলেণ্ডার নবীজীর ৫৩ বছর পর শুরু হয়েছে সেই কেলেণ্ডারে তাঁর জন্মদিন খুঁজলে কি পাবেন???? বিশ্বের ইতিহাসে বাংলার ইতিহাসে নবীজীর জন্মদিন আছে । ৫৭০ সালের ২০ এপ্রিল ৭বৈশাখ । হিসাব করে আরবী পাওয়া যায় ২৭শে সফর সোমবার । মৃত্যু ১২ রবিউল আউয়াল । যারা লাফালাফি আনন্দ করে তারা সেই কাফেরদের উত্তরসুরি যারা নবীজীর মৃত্যুতে আনন্দ করেছিল । তারাই ১২ রবিউল আউয়াল জন্মদিন প্রচার করে আনন্দ করাচ্ছে।

সুতরাং যারা রাসূল সা. এর মৃত্যুদিবসে জন্মদিন পালন করে আনন্দ উৎসব করে তারা কেমন আশেকে রাসূল ??

বিষয়: বিবিধ

২১৬৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162419
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : আমরা সবার হেদায়েতের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে পারি। মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে বেদাত থেকে রক্ষা করেন।
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
116773
সত্যের বিজয় লিখেছেন : আ মী ন
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
116774
সত্যের বিজয় লিখেছেন : আ মী ন
162457
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২২
হতভাগা লিখেছেন : ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই কন্ট্রোভার্সিয়াল মনে হয় ।

এটা কি খ্রীস্টানদের বড়দিন তথা যীশু খৃস্ট তথা হযরত ঈসা(আঃ)এর জন্মদিনকে অনুকরণ করে পালন করা ?
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬
116772
সত্যের বিজয় লিখেছেন : হতভাগা @জী...এটা খ্রীস্টানদের বড়দিন তথা যীশু খৃস্ট তথা হযরত ঈসা(আঃ)এর জন্মদিনকে অনুকরণ করে পালন করার মতই।আল্লাহ পাক আমাদের সর্বপ্রকার বিদয়াত থেকে ও বিজাতীয় রীতি-নীতি অনুসরণ অনুকরণ করা থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন আমীন।
162501
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওরা হচ্ছেন মেজবান খাওয়ার আশেকে রাসুল(সাঃ)। তার আদর্শ অনুসরনের নয়।
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
117095
সত্যের বিজয় লিখেছেন : ঠিক বলছেন@রিদওয়ান কবির সবুভ ভাই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File