দৃষ্টি হোক প্রসারিত
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের বিজয় ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৩৪:২৮ দুপুর
মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ! কোণঠাসা খালেদাকে নিয়ে শেখ হাসিনার এ এক নিদারুণ রসিকতা। এই ঠাট্টার লক্ষ্যবস্তু খালেদা একা নন, বরং সতেরো কোটি জনতাই আজ এই ঠাট্টার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত। আমরা নির্বাচন বর্জন করেও বাকশালের পথে সরকারের অবৈধ যাত্রা রুখতে পারিনি। স্বৈরাচারীদের জয়রথ থামানোর কোনো পন্থাই আমরা খুঁজে বের করতে পারি নি। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের; জনগণের। এই ব্যর্থতার দায় এমন প্রত্যেকের, যারা নিজেদেরকে জনদরদী, দেশদরদী এবং দ্বীনদরদী দাবি করে। প্রত্যেককেই এর চরম মাশুল দিতে হবে।
আমরা অত্যাচারিত হওয়াকেই আমাদের ভাগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছি। জালেমদের জুলুম-উত্পীড়নের ভার আমরাই আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছি। যারা পাখির মতো মানুষকে গুলি করে মারে, যারা লাশের প্রাচীর ডিঙিয়ে ক্ষমতার মসনদে আরোহরণ করে, তাদেরকে রোখার জন্য আমরা এমন একটা ভীরু দলের উপর নির্ভর করে বসে আছি, যারা গুহার অভ্যন্তর থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করে। আমরা অত্যাচারী শাসকের পতন চাই, কিন্তু নিজেরা মাঠে নামতে নারাজ। আমাদের মধ্যে তো কেউ কেউ এই অভিমত পেশ করেন যে- আওয়ামিলীগকে গদি থেকে নামিয়ে আমাদের কোনো লাভ নেই, সেই লাভের ষোলআনাই যাবে বিএনপির পকেটে। আমরা নো আওয়ামিলীগ, নো বিএনপি। কারণ উভয়টাই কুফুরি পথ অনুসরণ করছে। আমরা একক শক্তিতে পরিণত হয়ে তাদের সবাইকে প্রতিহত করবো।
ভালো কথা। আশার কথা। তবে আমার প্রশ্ন- আপনারা একক শক্তিতে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত কি জনসাধারণ আওয়ামিলীগের নির্যাতনের চাকায় পিষ্ট হতে থাকবে?
আওয়ামিলীগ ক্ষমতাবঞ্চিত হলে কারা ক্ষমতায় যাবে- এটা দেখা এখন বড় প্রয়োজন নয়, যতো বড়ো প্রয়োজন এ মুহূর্তে বাকশালীদের গদি থেকে টেনে নামানো। সুতরাং বাকশালীদের হঠানোর আন্দোলনকে একা বিএনপির আন্দোলনের অংশ মনে করে এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানো যুক্তিসঙ্গত হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন