পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)
লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:০৯:১৯ রাত
আরবী বছরের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপরর্য্যমন্ডিত একটি দিন । আমরা অনেকেই আরবী মাসের হিসাব রাখি না অথচ ইসলামের বিশাল পন্ডিত সেজে বসে আছি । ইংরেজী মাস, দিন ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট উৎসবাদি একেবারে ঠোঁটস্থ থাকলেও আরবি মাস ও তারিখের সাথে সম্পর্কিত অনুষ্ঠানাদির ব্যাপারে প্রায় অজ্ঞ । ধরাবাসীর জন্য ১২ রবিউল আউয়াল তারিখটি একদিকে যেমন আনন্দের তেমনি দুঃখেরও । কেননা ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দ্যুলোকে আগমন করেছিলেন এবং ৬৩ বছরের জীন্দেগী পালন শেষে প্রভূর ডাকে সাড়া দিয়ে একই তারিখে ভ্যূলোকে পাড়ি জমিয়েছিলেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের দিন হিসেবে তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা এবং সে আলোকে জীবন গঠন করার প্রচেষ্টা করা প্রত্যেকটি মুসলিম নর-নারীর জন্য অবশ্য কর্তব্য । ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও যদি আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেতে চায় তবে আদর্শ কুঁড়াতে হয়রত মুস্তফা (সাঃ) এর দ্বারস্থ অবশ্যই হতে হবে । পূর্বেই উল্লেখ করেছি ১২ রবিউল আউয়াল তারিখটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন । এ দিনে আল্লাহ্ তায়ালার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যাকে সৃষ্টি না করলে একটি ধূলিকনাও সৃষ্টি করতেন না সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ, নবীকূল সর্দার, দু’জাহানের বাদশাহ, নূরে মোজাসসাম, আহমদ মুস্তফা, মুহাম্মদ মুজতবা, মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ধরায় আগমনের দিন । আজ থেকে ১৪’শ ৪৫ বছর আগে অর্থ্যাৎ ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের মূহুর্তে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মা আমিনার শেকেমে তিনি জন্ম গ্রহন করেন । হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের পূর্বে তার জন্মদাতা আব্দুল্লাহ মারা যান । জন্মের মাত্র ৬ বছর পরে শিশু মুহাম্মদকে রেখে ধরাধাম থেকে বিদায় নেন জন্মদাত্রী মাতাও । মাতা-পিতাহীন এতিম মুহাম্মদ (সাঃ) শিশু ও বাল্যকালে চরম কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করে স্বীয় দাদা আব্দুল মুত্তালিবের গৃহে লালিত-পালিত হন । তার এ আশ্রয়ও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি । দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন । কুরাইশ বংশ তৎকালীন মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশ হিসেবে পরিচিত হলেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাদা কিংবা চাচারা আর্থিকভাবে সচ্ছলতা সম্পন্ন ছিলেন না । তারপরেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের সু-সংবাদ শুনে ইসলাম পরবর্তী যুগের ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চাচা আবুল হেকাম (আবু জেহেল) স্বীয় দাসী সুওয়াইবিয়্যাহকে আযাদ করে দেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বাল্যকালে চাচার তত্ত্ববধায়নে থাকাকালীন সময়ে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের বকরি-ভেড়া চড়াতেন । রাখাল থাকা অবস্থায় মক্কাবাসী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তা, বিশ্বস্থতা ও বিভিন্ন গুনের সমাবেশ দেখতে পান ।
হযরত ঈসা (আঃ) কে পৃথিবী থেকে তুলে নেয়ার পর আল্লাহর পক্ষ থেকে দীর্ঘকাল কোন নবী বা রাসূল প্রেরণ না করার কারনে দুনিয়াবাসী জাহিলিয়্যাতের অন্ধকারে চরমভঅবে নিমজ্জিত হয় । এমন কোন জঘন্য অপরাধ ছিল না যার সাথে মানুষেরা জড়িত ছিল না । স্রষ্টা বলতে আলাদা কোন স্বতন্ত্র সত্তা আছে সেটা বিশ্বাস না করে বিভিন্ন মানব সৃষ্ট দেবদেবীর পুজায় মত্ত হয়ে পড়েছিল মর্ত্যবাসী । এমনি এক প্রতিকূল পরিবেশে আল্লাহ সুবহানাহু তায়াল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন । চরম অনৈতিকতার যুগে, অন্যায়ে গা ভাসিয়ে দেয়ার সুবর্ন সুযোগ থাকার পরেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উন্নত চরিত্র দ্বারা আল-আমিন তথা বিশ্বস্থ উপাধিতে ভূষিত হন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শৈশবকাল, বাল্যকাল এবং তারুণ্যে অনেকগুলি অলৌকিক ক্ষমতা স্পষ্ট হয়ে মানুষের কাছে পরিলক্ষিত হয় । যুবক বয়সে আরবের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী হযরত খাদিজা (রাঃ) এর ব্যবসা দেখাশুনা করেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে এবং ব্যবসায়িক কৃতকর্মে খুশি হয়ে হযরত খাদিজা (রাঃ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন । এ বিবাহের সময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স ২৫ বছর এবং হযরত খাদিজা (রাঃ) এর বয়স ছিল ৪০ বছর ।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ৪০ বছরের কাছাকাছি তখন নবুওয়াত প্রাপ্তির লক্ষন তার মধ্যে পরিলক্ষিত হতে শুরু করে । বিশ্ব ভ্রম্মান্ডের অধিবাসীদের কর্মকান্ড দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং মুক্তির পথ খুঁজতে থাকেন । এসময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায়শঃই ভূমি থেকে প্রায় ২৬০০ ফুট উঁচু হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান করতে আরম্ভ করেন । অবশেষে আসে সে কাঙ্খিত দিন, যেদিন আল্লাহ তায়ালা বিশ্ববাসীর নাজাতের ওসীলা হিসেবে অবতীর্ণ করতে শুরু করেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ঠিক চল্লিশ বছর তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি রেসালাতের দায়িত্ব অর্জন করেন । ঐশী প্রত্যাদেশ বাহক হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে প্রথম ঐশ্বরিক বাণী-“পড় তোমার প্রভূর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন”(সূরা আলাক্বঃ ০১)।
রেসালাত ও নবুওয়াতের দায়িত্ব প্রাপ্তির পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান করতে শুরু করেন । প্রথমদিকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাওয়াতে তার একান্ত কিছু আত্মীয় এবং অনুরক্তরা সাড়া দিলেও বিগড়ে যান অনেকে । পৌত্তলিক আচার ছেড়ে তারা কোন অবস্থায় ইসলামে প্রবেশ করবে না বলে শপথ নেন । নবীজীর দাওয়াতে সাড়া না দিয়ে উল্টা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে তার পথ থেকে সরে আসার প্রস্তাব দেয় । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শের বিরুদ্ধবাদীরা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যদি তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয় তবে মক্কার সবচেয়ে রুপসীকে তার জন্য এনে দেয়া হবে এবং মক্কার সবচেয়ে ধনবান ব্যক্তি হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হবে । নবীজি কর্তৃক ইসলামের শত্রুদের ঐ সকল প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করায় কাফেররা বিভিন্নভাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নির্যাতন করতে আরম্ভ করেন । এমনকি কুরাইশদের মন্ত্রনাগৃহ দারুন নদওয়ায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় । আল্লাহ কাফেরদের ষড়যন্ত্রের কথা তার প্রিয় বন্ধুকে অবহিত করে তাকে মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন ।
নবুওয়াত প্রাপ্তির মাত্র ১২ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুলাই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার একান্ত অনুচর বন্ধুবর আবুবকরকে (রাঃ)কে নিয়ে মক্কা ছেড়ে মদিনা অভিমূখে যাত্রা করেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ভূমি মক্কার লোকেরা তাকে সঠিক ভাবে মূল্যায়ণ করতে না পারলেও মদিনাবাসী রত্নের মূল্য বুঝতে বোকামী করেনি । তারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আশ্রয় দেয় এবং হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনার বিধর্মীদের সাথে লিখিত ৪৭ টি ধারা সম্বলিত একটি চুক্তিপত্র করেন । ইসলামের ইতিহাসে যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত । কথিত আছে, বিশ্বের বুকে মদিনা সনদই প্রথম লিখিত সংবিধান । ইসলামী আইন-কানুন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মদিনা সনদের আলোকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র মদিনা শরীফকে একটি কল্যান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এরপর থেকে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে । দলে দলে মানুষেরা শান্তির স্পর্শ পেতে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করে । ধীরে ধীরে মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে । মুসলামনদের শক্তিতে আল্লাহর রহমত যোগ হয়ে মুসলামরা পৃথিবীর বুকে ঈমানী শক্তির খনি হিসেবে পরিচিতি পায় । ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিরাও চুপ করে বসে থাকে নি । তারা ইসলামের তথা মুসলামনদের ক্ষতির জন্য সর্বাত্মক কর্মকান্ড চালাতে শুরু করে । আর তখনই সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় । একপক্ষে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কিংবা হযরত আবু বকর (রাঃ) অথবা ইসলামের পক্ষ থেকে অন্য কেউ নেতৃত্ব দিচ্ছেন অপর পক্ষে ইসলামের চির-দুশমন আবু জেহেল, আব্দুল্লাহ বিন উবাই, আবু লাহাব, ওৎবা কিংবা শায়েবা বাতিল প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিচ্ছে । অনেক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত হয় ।
ইসলামের প্রাথমিক যুগ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তার অনুচরদের একান্ত প্রচেষ্টায় ইসলাম ক্ষুদ্র থেকে প্রসারিত হতে থাকে । অবশেষে আসে সে শুভ দিন । ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৮ হিজরীতে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার দশ সহস্রাধিক সৈন্য নিয়ে মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং মক্কা বিজয় করেন । নবুওয়াত প্রাপ্তির পর যে সকল মানুষগুলো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল তাদেরকেও তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেন । আবারও মানুষদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করার আহ্বান জানান । মক্কা বিজয়ের পরে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আবারও মদিনায় ফিরে যান । ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে পুনরায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় গমন করেন । মদিনায় হজ্জ কালীন সফরের মধ্যেই আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি নাযিল করেন-‘‘আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণ করে দিলাম, এবং আমার নেয়ামতকে তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে মনোনীত করে দিলাম” । এ আয়াত অবতীর্ন হওয়ার পর সাহাবীরা অঝোড় ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন । তখন রাসূল (সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কাঁদ কেন ? সাহাবীরা বললেন আমরা বুঝতে পারছি, অচিরেই আল্লাহ আপনাকে তার মেহমান করে নিবেন । কেননা কোন জিনিস পূর্ণতা পাওয়ার পর সেটা কমতে শুরু করে । যেহেতু ইসলাম পূর্ণতা পেয়েছে তাই আপনাকে আর আমাদের মধ্যে রাখা হবে না । হজ্জ্ পালন শেষে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মদিনায় চলে আসেন ।
অবশেষে আসে দুঃখের দিন, শোকের দিন । শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ তথা ১০ হিজরী সনের ১২ রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার পৃথিবীর মানুষকে দুঃখের সায়রে ভাসিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন মুসলমানদের অন্তরের আশ্রয় নেয়া প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) । তার প্রস্থানে তার অনুসারীরা পাগল প্রায় হয়েছিল । শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের সাথে সাথে নুবওয়াতের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম কিংবা মৃত্যুদিন পালনের উদ্দেশ্যেই কেবল ১২ রবিউল আউয়াল পালন করা বরং হযরত (সাঃ) এর জীবন ও কর্ম চর্চার করার শপথের জন্যই এ দিনটি স্মরণ করা উচিত । তার প্রচারিত আদর্শের মধ্যে নিজেকে বিলীন করেই দেয়াই এ দিবসের সর্বোত্তম শিক্ষা ।
এক নজরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন চরিত (৫৭০-৬৩২) :
জন্ম : ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ ।
বংশ : মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশ ।
পিতা : আব্দুল্লাহ ।
মাতা : আমিনা । (মৃত্যু ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ)।
পিতামহ : আব্দুল মুত্তালিব । (মৃত্যু ৫৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)।
দুধমা : হালিমা ।(প্রথম দুধমা ছিলেন বিবি সুয়াইবা)।
প্রতিষ্ঠিত শান্তিসংঘ : হিলফ-উল-ফুযুল ।
ধ্যানমগ্ন থাকতেন : হেরা গুহা ।
সীনাসাক : চারবার ।
বন্দী : শিয়াবে আবি তালিবে তিন বছর ।
ওহীলাভ : ৪০ বছর বয়সে ( ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ।
প্রথম বিবাহ : ২৫ বছর বয়সে ।
মিরাজে গমন : ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে ।
হ্জ্ব পালন করেন : ১ বার । (হিজরী দশম সনে) ।
প্রথম স্ত্রী : হযরত খাদিজা (রাঃ)। (মৃত্যু ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দ) ।
স্ত্রীর সংখ্যা : ১১ জন ।
সর্বশেষ স্ত্রী : হযরত মাইমুনা (রাঃ)।
সন্তান-সন্ততি : তিন ছেলে(কাসিম,আব্দুল্লাহ,ইব্রাহীম) ও চার মেয়ে (জয়নাব,রুকাইয়া,উম্মেকূলসুম ও ফাতিমা ) ।
ব্যবহৃত উটনীর নাম : কাসওয়া ।
ব্যবহৃত ঘোড়ার নাম : নাহীফা ।
ব্যবহৃত খচ্চরের নাম : দুল
মিরাজের বাহন : বোরাক ও রফরফ ।
হিজরত করেন : ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে ।
হিজরতের সময় যে গুহায় আশ্রয় নেন : সাওর ।
যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন : ২৭ টি ।
দান্দান (দন্ত) মোবারক শহীদ হয় : ওহুদ যুদ্ধে ।
ইন্তেকাল করেন : আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে ।
যার ইমামতিতে নামায পড়েন : হযরত আবু বকর (রাঃ) ।
নবীজির মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে : সুরা নাসরে ।
মৃত্যু : ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ।
কবর থননকারী : হযরত তালহা (রা) ।
রওযা শরীফ : মদীনায় ।
রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।
বিষয়: বিবিধ
১১১৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নবীজীই বলে গেছেন তার মৃত্যুর পর আমরা যেন তার কবরকে মূর্তি না বানাই ।
ইসলামে জন্মবার্ষিকী , মৃত্যু বার্ষিকী পালনের হুকুম নেই ।
ইসলামে ঈদ দুটি , ১. ঈদ উল ফিতর ২. ঈদ উল আযহা । এর বাইরে আর কোন ঈদের কথা নেই.
নবীজীর জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যু বার্ষিকী তা সবচেয়ে কাছের যারা সাহাবীরা নবীজীর জীবদ্দশায় বা মারা যাবার পর কোন সময়ে পালন করেছে কি না প্রমান নেই ।
এটা খৃষ্টানদের অনুকরনে করা হয়েছে ।
আমাদের ঈমান দূর্বল বলে বিধর্মীরা আমাদের খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারে তাদের মতবাদে।
সুন্দর বলেছেন
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন