গণতন্ত্রের অভাবেই শিক্ষাঙ্গনে এমন অচল অবস্থা
লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:০১:৩৮ রাত
প্র্রতিটি জাতির সমৃদ্ধির প্রধান এবং প্রথম হাতিয়ার শিক্ষা । তাই প্রচলিত একটি কথা আছে, ‘যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত’ । বাঙালী জাতি তার নিজস্ব সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি না অবনতি করছে তার সিদ্ধান্ত দিতে বহু বিষয় মাথায় রাখতে হবে । একদিকে পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ফাঁস হওয়া সে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রায় শতভাগ পাসের নিশ্চয়তা এবং রেকর্ড সংখ্যক জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অন্যদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগীতা মূলক ভর্তি পরীক্ষায় মেধাবীদের মূখ থুবড়ে পড়া । এছাড়া স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, দলবাজী কিংবা প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কথা বললে হাত ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি তো থাকছেই । শিক্ষা ক্ষেত্রের সকল ত্রুটি যোগ হয়ে যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে তখন খুব বেশি চিন্তা ছাড়াই বলা যায় দেশের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেন ‘রাহুর দশায়’ পেয়েছে । কোন প্রকার ঝাড় ফুঁক দিয়েও শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিতর্ক মুক্ত করা যাচ্ছে না । নতুন শিক্ষা কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে শুরু করে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিসহ প্রায় প্রতিটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে । অতীতে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করলেও এখন কিছুটা নমনীয়তা প্রদর্শন করছেন । তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া এবং যারা প্রশ্নপত্রফাঁসের খবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে তাদের হাত ভেঙ্গে দেয়ার হুমকিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে । শিক্ষাবিদারা মনে করছেন, যেভাবে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গণহারে জিপিএ-৫ প্রদান এবং শতভাগ পাশের স্বপ্নে শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণ করা হচ্ছে তাতে নিকট ভবিষ্যতে প্রজন্ম মেধাহীনতায় রুপ নেবে । সে প্রজন্মের বোঝা হয়ত বর্তমান কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে না বলেই কর্তৃপক্ষ ক্ষানিকটা উদারতার আশ্রয় নিয়েছেন ! কর্তৃপক্ষের এ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পরবর্তী প্রজন্মকে বিশ্বের অন্যান্য জাতির সাথে প্রতিযোগীতায় পিছনে ঠেলে দেবে তাতে যেমন কোন সন্দেহ নাই তেমনি এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিল তা কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে । পাশের হার বৃদ্ধি করতে গিয়ে যেভাবে মানহীন শিক্ষা অর্জনের দিকে প্রজন্মকে ধাবিত করানো হচ্ছে তা জাতির জন্য কোন সুখকর সংবাদ বয়ে আনবে না । অন্যদিকে ৯-১০ বছরের একটি কোমলমনা শিশু যখন পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের পূর্বেই প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে যায় তখন তার মধ্যে নৈতিকতা জন্মাবে এটা ভাবা অনৈতিক । বিশ্বের কাছে আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র্রের উন্নতি তুলে ধরতে গিয়ে এমন পরিহাস তৈরি করা হচ্ছে যার খেসারত দিতে হবে পুরো জাতিকে । শুধু কি বর্হিবিশ্বে ? প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেও যখন একজন শিক্ষার্থী ভর্তিপরীক্ষায় ন্যূণতম পাশের নম্বর কিংবা চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারে তখন সে লজ্জা কার কাঁধে চাপবে ? আপাত দৃষ্টিতে শিক্ষার্থীকে দায়ী করা হলেও দায় কি শুধু শিক্ষার্থীর একার ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজী বিভাগে মাত্র দু’জন ভর্তি হওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন কিংবা ‘ঘ’ ইউনিটে পাসের হার মাত্র ১৬ শতাংশ ! যে বছর শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ-৫ ও গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করল সে বছর শিক্ষার্থীদের ভর্তিপরীক্ষায় এমন অবনতি কিসের ইঙ্গিত দেয় ? অতীতের বছরগুলোতে জিপিএ-৫ কিংবা পাসের হারে এমন বিল্পব না থাকলেও অন্তত প্রশ্নপত্রফাঁসের মাত্রা কিছুটা কম থাকায় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণের সংখ্যা ছিল আশাব্যঞ্জক । শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের প্রতি অবহেলা কিংবা অজ্ঞতার কারণে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার ভবিষ্যত পুরোটাই হুমকির সম্মূখীন ।
আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে । ছাত্ররাজনীতি নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও জাতির আগামীর জন্য শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত হতে হবে । কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির নামে এসব কি করছ কিংবা শিখছে ? দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে । বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বারবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিংবা ছাত্ররাজনীতির বলি হয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে অকালে জীবন দিতে হয়েছে । যে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সংক্রিয় অংশগ্রহন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আদর্শের চর্চা করবে সেই তাদের হাতে শোভা পাচ্ছে মরণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র । মুহুর্তেই একে অপরের প্রাণ সংহার করতেও দ্বিধা করছে না । যে ছাত্ররাজনীতির হাত ধরে জাতি মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানের মত আদর্শ নেতা পেয়েছিল সেই তাদের উত্তরসূরী এই সকল ছাত্ররাজনীতিকরা তা ভাবতেই অবাক লাগে । ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ’৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান এবং এগারো দফা আন্দোলন, ’৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মুজিব বাহীনি গঠন কিংবা ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে যে ছাত্ররাজনীতিকরা অংশগ্রহন করেছিল এবং বাঙালীর পক্ষে সফলতা বয়ে এনেছিল সেই শিক্ষার্থীদের সাথে আজকের ছাত্ররাজনীতিকদের তুলনা করার কি কোন উপায় আছে ? ১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী সময়ে ছাত্রলীগ নেতারা আদর্শের চর্চা করতেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তেন, বহু নেতা দেশ ও জাতির স্বার্থে জীবন দিতে দ্বিধা বোধ করেননি । তবে বর্তমানে যারা সরকারী দলের ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত তারা যে একেবারেই কিছু করছে না তাও নয় । কালের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ তাদের ঐহিত্যবাহী গৌরব হারিয়ে সন্ত্রাস, ছিনতাই, অপহরণ, ভর্তি-বাণিজ্য, টেন্ডার-বাণিজ্য কিংবা প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অপকর্মের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে । এতসব উপমায় ভূষিত হওয়া ছাত্রলীগের জন্য কি কম অর্জন ! ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর ছাত্রলীগ এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়ে যে, তাদের কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সভাপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন । এমনকি এদের অপকর্মের কারণে ছাত্রলীগকে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন থেকে সহযোগী সংগঠনে অবনমন করা হয় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের লাগাম টানতে না পেরে ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজেকে কলুষমুক্ত রেখেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি কি নিজেকে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত রাখতে পারবেন ? যে দলের প্রধাননেত্রী দেশের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি তার দলের অংঙ্গ সংগঠন কিংবা সহযোগী সংগঠনের অপকর্ম রোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করায় কি প্রমাণ হয়না সরকারের চেয়ে আপাতত তার সহযোগী সংগঠনের ক্ষমতা বেশি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার মাধ্যমে যদি ছাত্রলীগ তাদের ঐতিহ্যের ধারায় ফিরে আসত তবে সেটা সমগ্র জাতির জন্য কল্যানের হত কিন্তু তা হয়নি ।
দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত হিসাবে, ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর থেকে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গত ছয় বছরে ৩৯ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছে । এ সময়ে ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে বা অন্য সংগঠনের সঙ্গে অন্তত ৪৩২টি সংঘর্ষে জড়িয়েছে । এতে নিহত হয়েছে অন্তত ৫৪ জন । নিজ সংগঠনের ৩৯ জনের বাইরে বাকি ১৫ জনের মধ্যে দু’টি শিশু এবং অন্যরা প্রতিপক্ষ সংগঠনের কর্মী বা সাধারণ মানুষ । এসব সংঘর্ষে আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ । ছাত্রলীগের সর্বশেষ ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গেল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) । গত ২০ নভেম্বর শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সংগঠনের কর্মী ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসনের (বিবিএ) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন চন্দ্র দাস নিহত হয় । এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অন্তত ২৫জন আহত হন । ওই দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গত এক বছরে এ নিয়ে চারবার এ ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল । পরিসংখ্যান বলছে, গত ছয় বছরে ছাত্রলীগের সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে । ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে । একাধিকবার বন্ধের ঘটনা ঘটেছে অন্তত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে । এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চারবার এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তিনবারের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে । বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে । ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম ।
প্রশ্ন জেগেছে, ছাত্রলীগ কি আওয়ামী লীগ বা সরকারের জন্য আপদ, বোঝা না বিষফোঁড়া ? যদি বিষফোঁড়াই হয় তবে কেন আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না ? ছাত্রলীগকে কেন দেশের প্রচলিত আইনের নাগালের বাইরে রাখা হচ্ছে ? কেন পুলিশের চোখের সামনে অস্ত্র বের করে গোলাগুলির সময়ও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সাহস পায় না ? কেন হাজারও অন্যায়ের সংবাদ পত্রিকায় প্রামাণ্যভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরেও কারো যথোপযুক্ত শাস্তি হয় না ? এর সহজ এবং সরল উত্তর হচ্ছে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ বা সরকারের জন্য বোঝা বা বিষফোঁড়া নয় বরং সম্পদ । সরকার তার স্বার্থ হাসিলের জন্যই ছাত্রলীগের লাগাম ছেড়ে দিয়েছে । সরকারের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে তারা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করুক তাতে কোন আপত্তি নাই । অতীতের সকল অর্জন ম্লান করে দেওয়া যদি সরকারের কাছে যৌক্তিক মনে হয় তবে তাই করুক । কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা কিংবা রাজনীতি বিমুখ শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন থেকে বিরত রাখার কোন অধিকার ছাত্রলীগ কিংবা খোদ সরকারেরও নাই । মূলত সঠিক গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ার কারণেই আজ ছাত্রলীগ যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ পাচ্ছে এবং সরকার দর্শকের ভূমিকায় কেবল হাততালি দিচ্ছে । জরিপ বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীদের মাত্র ৫ শতাংশ ছাত্ররাজনীতির বর্তমান রূপ সমর্থন করলেও বাকী ৯৫ শতাংশ শিক্ষামনস্ক শিক্ষার্থীরা আজ গুটি কয়েক শিক্ষার্থীর অপতৎপরতায় জিম্মি এবং গোটা শিক্ষার্থী সমাজের শিক্ষার ভবিষ্যত হুমকির মূখে । রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা ছাত্ররাজনীতির সকল সুযোগকে অপব্যবহার করে ভালোভাবেই তাদের স্বার্থ উদ্ধার করছে । অন্যদিকে যারা জাতির আশার বাতি জ্বালবে সেই শিক্ষার্থীরাই দিনে দিনে অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে । বহুদিন পর ছাত্রলীগ একটি ব্যতিক্রমী পদপেক্ষ গ্রহন করেছে যা তাদের ঐতিহ্যের সাথে মানানসই । দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ১ডিসেম্বর থেকে আগামী ৭ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ক্লিন ক্যাম্পাস, সেফ ক্যাম্পাস’ কর্মসূচীর ঘোষাণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । ছাত্রলীগকে তাদের ঐতিহ্যে ফিরে আসার জন্য তখনই দেশবাসী সাধুবাদ জানাবে যখন তাদের কারণে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থির অবস্থা সৃষ্টি হবে না এবং আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করতে হবে না । আশা নয় বিশ্বাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হারানো শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্রলীগ নৈতিক ভূমিকা পালনসহ সর্বাত্মক সহায়তা করবে ।
রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।
বিষয়: রাজনীতি
৯৯৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন