এরপরেও ওনাকে মন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা হবে ?

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:১১:২৪ রাত

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হজ্জ্বের মওসুম চলছে । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশ থেকেও লাখের কাছাকাছি ধর্মপ্রাণ মুসলমান নর-নারী আল্লাহর আদেশ পরিপূর্ণ করতে হজ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় অবস্থান করছে । প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর জীবনের অতি আকাঙ্খিত স্বপ্নের মধ্যে বৃহত্তম স্বপ্ন হল বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা এবং মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা মোবারকে সালাম পেশ করা । যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে তারা বিনা বাক্য ব্যয়ে মান্য করে হজ্জ্বের গুরুত্ব ও ফযিলত । অন্যদিকে বিশ্বের সকল স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের সর্ব বৃহৎ সংস্থা জাতিসংঘের ৬৯তম অধিবেশন চলছে । সে উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় দু’শতকের সফর সঙ্গী নিয়ে আমেরিকায় অবস্থান করছেন । প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম সারথী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীও রয়েছেন । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেলেও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এ ধরনের সম্মানীয় কোন সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি । সুতরাং বুদ্ধিমান এবং অভিজ্ঞ মন্ত্রী হিসেবে তিনি বোধ হয় আমেরিকায় এসে একটু আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন । তার সে উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাপকভাবে সফলতাও পেয়েছেন । জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী যতটুকু আলোচিত হয়েছেন তার চেয়ে হাজার গুন বেশি আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী । তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুধু দেশের পরিমন্ডলে সীমাবদ্ধ থাকে নি বরং দেশের গন্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মুসলামদের কাছে লতিফ সিদ্দিকী এক ঘৃণিত নামে পরিনত হয়েছে । অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে হয়ত মানুষের এ ঘৃণার মাত্রা আরও বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে । ২০১৩ সালের আলোচিত-সমালোচিত ছবি নির্মাতা স্যাম বাসিলির চেয়েও লতিফ সিদ্দিকী সম্ভবত বেশি প্রচার-প্রসার পেতে যাচ্ছেন । কেননা স্যাম বাসিলি কেবল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কর্মের সমালোচনা করেছিলেন কিন্তু লতিফ সিদ্দিকী হযরতম মুহাম্মদ (সাঃ) এর সৃষ্টা স্বয়ং আল্লাহ তা‘য়ালা প্রদত্ত হুকুম তথা পবিত্র হজ্জ্বের সমালোচনা করেছেন ।

একাত্তরের যুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বেসামরিক বাহিনী গঠন করে যারা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিলেন সেই কাদেরিয়া বাহিনীর অন্যতম সংগঠক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর জেষ্ঠ্য ভ্রাতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য পযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী । তার নামের তিনটি অংশের আলাদা আলাদা অর্থ হল যথাক্রমে আল্লাহর বান্দা, দয়া ও অনুগ্রহকারী, সত্যবাদী অর্থ্যাৎ দয়া ও অনুগ্রহকারী আল্লাহর সত্যবাদী বান্দা । নামের ভাব দেখে ওনাকে মুসলিম ছাড়া অন্যকোন ধর্মের অনুসারী মনে হওয়ার কোন যুক্তি নাই । তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমনে গিযে আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাকে বিধানগত মুসলমান বলার কোন অর্থ নাই । শুরুটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র পুত্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র্য সজিব ওয়াজেদ জয়কে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী প্রদত্ত ভাষণ থেকেই আরম্ভ করব । সজীব ওয়াজেদ জয়ের বর্তমানে সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা । মূলত তার পরামর্শেই সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন মানুষকে দেখিয়েছে । সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পুত্র হওয়ার কারনে অনেকেই তাকে বাংলাদেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কল্পনা করছেন । সেই জয় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, জয় আওয়ামীলীগের কেউ না । জয় আওয়ামীলীগের কেউ কি কেউ না তাতে বাইরের মানুষের অবশ্যই কিছু যায় আসে না কারন এটা একান্তভাবেই আওয়ামীলীগের নিজস্ব ব্যাপার । আয়োজিত অনুষ্ঠানে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেছেন, তিনি জামাআ’তে ইসলামীর চেয়েও তাবলীগ জামাতকে বেশি অপছন্দ কিংবা ঘৃণা করেন । এটা একান্ত তার মতাদর্শিক ব্যাপার হিসেবে মেনে নেয়া যায় । কেননা তিনি জামাআ’ত ভালোবাসবেন কিংবা তাবলীগ ভালোবাসবেন কিংবা আওয়ামীলীগ ভালোবাসবেন কিংবা অন্যকোন দল ভালোবাসবেন সেটা একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার । কিন্তু তাবলীগকে অপছন্দ করার যুক্তি হিসেবে তিনি যে কারনকে উপস্থাপন করেছেন তা আদৌ মেনে নেয়া যায় না । লতিফ সিদ্দিকী তাবলীগ জামা’তকে অপছন্দ করার কারন হিসেবে বলেন, এরা ২২ লাখ লোক তুরাগ তীরে একত্রিত হয় এবং গাড়ি ঘোড়া থামিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে স্থবির করে তোলে । লতিফ সিদ্দিকীর এ যুক্তি পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কী হতে পারে ? ২০০১-২০০৬ সালের সময়টায় যখন আওয়ামীলীগি বিরোধ দলে ছিল তখন আওয়ামীলীগ কর্তৃক আহুত হরতালসহ অন্যান্য আন্দোলন গুলোর দিকে একবার তাকানোর জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করছি । সে সব আন্দোলনের দিনগুলোতে তো আপনার দল সারা বাংলাদেশের সকল গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল । কেন সে সময় আপনার এবং আপনার দলের স্বার্থের কথা মনে হয়নি । আগামীতে যখন আপনারা বিরোধী দলে যাবেন তখন একদিনের জন্যও হরতাল ডাকবেন না সে কথার নিশ্চয়তা কি বুকে হাত দিয়ে দিতে পারেন ? ধর্মীয় আচারের ব্যাপারে আপনার চুলকানীর আসল উদেশ্যটা জানতে ইচ্ছা করে ? আমেরিকায় যে সকল বাংলাদেশীরা আছে তারা আপনার ভাষায় কামলা দিতে এসেছে । সুতরাং তাদের একমাত্র দায়িত্ব কামলা দেয়া । অন্যকোন দিকে নাক গলানো তাদের কাজ নয় । মাননীয় মন্ত্রী কামলা দেয়ার অর্থ পুরোপুরি জানেন কিনা তাও সন্দেহের ? একদল মানুষ তাদের স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী কামলা দেয় আর আপনি জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে পরাধীনভাবে কামলা দেন- এ দু’য়ের মধ্যে কোনটা উত্তম ?

সজীব ওয়াজেদ জয়, তাবলীগ কিংবা আমেরিকায় বাংলাদেশী কামলা- এসকল বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের বিষয়ে একজন মুসলিম হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে কারো কিছু যায় আসে না । কিন্তু একজন নামধারী মুসলিম হয়ে এবং ৯০% অধিক মুসলিম নাগরিকরের দেশের একজন মন্ত্রী হয়ে আল্লাহ ঘোষিত হজ্জ্বের ব্যাপারে নিজস্ব খোঁড়া যুক্তি দেয়ার অধিকার তাকে কে দিয়েছে ? এতবড় স্পর্ধা পেলেন কোথায় ? তিনি হজ্জ্ব আরম্ভ হওয়ার ইতিহাস উল্লেখ করে বলেছেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ ভেবে দেখলেন তারা গরীব সুতরাং তারা খাবেন কি ? তাদের ব্যাপারে ডাকাত নামক একটি শব্দও তিনি উল্লেখ করেছেন ? মুহাম্মদ সারা পৃথিবীতে তার অনুসারীদেরকে বছরে একবার করে মক্কা ও মদিনায় আসার জন্য আহ্বান করলেন যাতে স্থানীয় মানুষ আগন্তুকদের কাছ থেকে কিছু ব্যবসা করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারেন । মক্কায় গিয়েছেন কখনো ? হজ্জ্বের মওসূমে আরবরা হাজী থেকে ব্যবসা করে না বরং তাদের সর্বর্স উজাড় করে হাজীদের খেদমত করে । মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় এ লাখ লোক হজ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গিয়েছে । তাদের একেক জনের যদি গড়ে ৫ লাখ টাক করে খরচ হয় তবে সর্বমোট ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয় । হাজীরা কোন প্রডাকশন না করে কেবল রাষ্ট্রের টাকা রিডাকশন করেন । ৫০০ কোটি টাকার জন্য মন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেল অথচ শুধু পদ্মা সেতুর কাজ আরম্ভ হওয়ারর পূর্বে ৮০০ কোটি টাকা লাপাত্তা হয়ে গেল সে ব্যাপারে মন্ত্রী টু’শব্দটিও করলেন না কেন ? শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি, সোনালী ব্যাংক, বিসমিল্লাহগ্রুপসহ দেশে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে কিংবা এখনো চলছে সে ব্যাপারে মন্ত্রীর কোন ভূমিকা ছিল না কিংবা এখনো নেই কেন ? একজন নামধারী মুসলমানের মুখোশ পরে ইসলামের মৌলিক হুকুমের ব্যাপারে তার মত দেয়ার স্পর্ধা হলো কী করে ? তসলিমা নাসরিনকে যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে দেশান্তরীত করা হয় তবে লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তি কি হওয়া উচিত ? সর্বপ্রথম অন্তত মুসলমানের ন্যায় যে নামটি তার সাথে যুক্ত করা আছে সেটা পরিবর্তন করা হোক ।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার জন্য সরকারের কাছে বিভিন্ন সংগঠন ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে । বিশেষ করে ২০১৩ সালের আলোচিত ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করছে । আওয়ামীলীগের সাথে ইসলামের কোন শত্রুতা নাই বরং ইসলামের খেদমতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আওয়ামীলীগের ভূমিকা অনেক । সরকারের কাছে অনুরোধ, যাতে অবিলম্বে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রীসভা থেকে অব্যাহতি দিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হয় । ইসলামের উপর যখনি কোন আঘাত আসবে সেটা যত ক্ষমতাধারী রাজ শক্তির মাধ্যমেই আসুক না কেন তা কোন অবস্থাতেই বরদাশত করা হবে না । সুতরাং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া হোক এবং তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক । ক্ষমা চেয়ে সব অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না । সুতরাং কোন ক্রমেই লতিফ সিদ্দিকীর এ স্পর্ধা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই ।

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।

বিষয়: বিবিধ

৯৮৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

270316
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৩
ফেরারী মন লিখেছেন : আমার একটা বিষয় সন্দেহ হচ্ছ তা হলো উনাকে মন্ত্রীত্ব থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে এদেশের তৌহিদী জনতাকে আন্দোলন বিমুখ করছে। তিনি দেশে ফিরে আসলে আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে নইলে আবার আগের অবস্থানে রাখা হবে। এখন এটা পুরোটাই ডিপেন্ড করছে আন্দোলনের উপর।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৫
214265
রাজু আহমেদ লিখেছেন : আপনার সাথে আমিও একমত ।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৫৩
214280
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


ফেরারী মন যা বলে্বছেন তাতে একমত

মন্ত্রীসভা থেকে তাকে সরানোর খবরের সত্যতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ- অনিশ্চিত!
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৫৯
214287
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : ________একমত
270344
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:০২
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : ৫০০ কোটি টাকার জন্য মন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেল অথচ শুধু পদ্মা সেতুর কাজ আরম্ভ হওয়ারর পূর্বে ৮০০ কোটি টাকা লাপাত্তা হয়ে গেল সে ব্যাপারে মন্ত্রী টু’শব্দটিও করলেন না কেন ? শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি, সোনালী ব্যাংক, বিসমিল্লাহগ্রুপসহ দেশে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে কিংবা এখনো চলছে সে ব্যাপারে মন্ত্রীর কোন ভূমিকা ছিল না কিংবা এখনো নেই কেন ? একজন নামধারী মুসলমানের মুখোশ পরে ইসলামের মৌলিক হুকুমের ব্যাপারে তার মত দেয়ার স্পর্ধা হলো কী করে ? তসলিমা নাসরিনকে যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে দেশান্তরীত করা হয় তবে লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তি কি হওয়া উচিত ?___ওকে বিতারীত করা উচিৎ মুসলমানের এই বাংলাদেশ থেকে।
270387
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:১৭
শেখের পোলা লিখেছেন : এরাই সরকারের উপযুক্ত মন্ত্রী৷ যেন হাঁড়ি তেমন সরা৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File