গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ২২ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৫৫:০৩ রাত

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সমালোচক আবুল ফজলের উক্তি দিয়ে শুরু করছি । তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় সংবাদপত্র জাতির কণ্ঠস্বর, সে কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়া মানে জাতিকে বোকা বানিয়ে দেওয়া’ । একটি দেশের মানুষ কতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করছে তা যদি কেউ পরিমাপ করতে চায় তবে সেই দেশের গণমাধ্যম কতটুকু স্বাধীনতা কাজ করতে পারছে তা পর্যবেক্ষন করতে হবে । কেননা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মধ্যেই নাগরিকের অধিকার লুকায়িত । দেশের মানুষের স্বাধীনতা ভোগের প্রতিচ্ছবি গণমাধ্যমের মাধ্যমেই প্রকাশ পায় । পৃথিবীর সকল মানুষ পারিপার্শ্বিক জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জানার স্বাধীনতা নিয়েই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহন করে । মানুষের সে স্বাধীনতার পূর্ণ প্রকাশ পায় গণমাধ্যমের মাধ্যমে । এজন্য রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমকে বিবেচনা করা হয় । গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগের নিশ্চয়তা প্রদান করা অপরিহার্য । গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতির জন্য প্রয়োজন তেমনি রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্যও প্রয়োজন । উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তাদের অগ্রযাত্রার পিছনে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে অপরিসীম গুরুত্ব দিয়েছে । একটি দেশের স্বাধীন গণমাধ্যম সরকারের আলোচনা এবং সমালোচনার মাধ্যমে যেমন জনগণের কাছে জবাবদিহীমূলক মানসিকতা তৈরি করে তেমনি প্রত্যেক নাগরিককে রাষ্ট্রের প্রতি করণীয় বর্জনীয় সম্পর্কেও সচেতন করে তুলে । একারনে অপরাধীরা যেমন অপরাধ করতে সাহস পায়না তেমনি যারা সমাজে ভালো কাজ করে তারা স্বীকৃতি প্রাপ্তির মাধ্যমে আরও বড় ধরনের ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হয় । গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নাগরিকদের জানা ও জানানোর স্বাধীনতা থাকা অপরিহার্য । আধুনিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ব্যতিরেকে বর্তমান যুগে অন্য তিনটি স্তম্ভকে সক্রিয় কিংবা কার্যকর করার প্রয়াস সম্পূর্ণ অকল্পনীয় এবং অসম্ভব ব্যাপার । রাষ্ট্রীয় জীবনে সংবাদমাধ্যমের এই অসীম গুরুত্ব ও অপরিসীম ভূমিকার কারনেই প্রেসিডেন্ট জেফারসন বলেছিলেন, ‘যদি আমাকে বলা হয় কোনটা বেছে নেব, সংবাদক্ষেত্র ছাড়া সরকার, না সরকার ছাড়া সংবাদক্ষেত্র ? তবে আমি বেছে নেব শেষেরটিকে’ । গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিবছর ৩রা মে দিনটিকে ‘বিশ্ব স্বাধীন গণমাধ্যম দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে । ২০১৪ সালে এ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘একটি অধিকতর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ । সে ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও সাংবিধানিকভাবে ১৯৭৬ সালের আদেশ নং ৩ মোতাবেক ৩৮ ধারার উপধারা (১)(২) এ/বি-তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, বিবেকের স্বাধীনতা এবং কথা বলার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে’ । কিন্তু ২১ শতকের এই অবাধ তথ্য প্রবাহের সময়ে এসে আধুনিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভটি প্রশ্নের সম্মুখীণ হয়েছে । একটি রাষ্ট্রে যখনই নির্বাহী বিভাগ, শাসন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রের মূল তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব পরিলক্ষিত হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ অর্থ্যাৎ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে নড়বড়ে করে তোলে । যা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য কখনোই মঙ্গলের হয় না বরং যা শাসক শ্রেণীর মধ্যে একধরণের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের সৃষ্টি করতে পারে ।

সদ্যপ্রয়াত নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গার্সিয়া মার্কেস বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা পৃথিবীর সেরা একটি পেশা’ । অথচ সত্যিকারার্থে বলতে গেলে উল্লেখিত সেরা পেশাটি বর্তমানে পৃথিবীর বুকে সেরা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় পরিনত হয়েছে । এ পরিনতির পিছনে শাসকগোষ্ঠী যেমন দায়ী তেমনি রাষ্ট্রেসমূহের দুর্বৃত্তরাও দায়ী । জরিপে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে পৃথিবীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ৬৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে । গত এক দশকে ৬০০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে । বাংলাদেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ । স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে গত চার দশকের কিছু বেশি সময়ে ৫৫০ জন সাংবাদিক হত্যার কিংবা বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন । আমাদের দেশে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কিংবা গৃহে স্বস্ত্রীক খুন হওয়ার পরেও অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদেরকে খুঁজে পায়না রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োজিত গোয়েন্দা পুলিশ কিংবা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের তদন্তকারী দল । সাগর ও রুনির হত্যাকারীরা দীর্ঘ দু’বছর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার পরেও কি প্রমান হয়না দেশের সাংবাদিকরা তাদের কর্মক্ষেত্রে কতটুকু নিরাপদ কিংবা তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক কোন পর্যায় ? অথচ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিধান না করতে পারলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হতে থাকবে । যদিও বিশ্ব গণমাধ্যমের নির্ভার সৈনিক এডওয়ার্ড স্লোডেন বলেছিলেন, ‘কতদিন বেঁচে থাকব, সেটা ব্যাপার নয় । কিন্তু বৈষম্যের পৃথিবীতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাব’ । অন্যদিকে বিখ্যাত ইংরেজ কবি মিল্টন বৃষ্টিশ রাজের বিরুদ্ধে বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন । কবির ভাষায়, ‘দাও আমায়, জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা বলার স্বাধীনতা দাও, সবার উপরে আমাকে মুক্তি দাও’ । গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের তথা বর্তমান বাংলাদেশের ও বাঙালীর হয়ে লড়াই করেছিলেন এদেশের লাখো মানুষের হৃদয়ের মণি মাজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী । পশ্চিম পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী যখন তার সম্পাদিত ‘হক কথা’র প্রকাশ বন্ধ করে দেয় তখন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান দরাজ কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘দেশের মঙ্গলের জন্য আমার চিন্তা-চেতনায়, বুদ্ধি-বিবেকে, যা আসে, তা এখন আমি ঘরে-ঘরে, জনে-জনে গিয়ে বলব, হক কথার কথাগুলোই বলে আসব’ ।

এডওয়ার্ড স্লোডেন, মিল্টন কিংবা মাওলানা ভাসানীর মত নির্ভীক সাহকিতা সম্পন্ন সাংবাদিকের খুব অভাব । প্রত্যেকের সাথে এখন তাদের পরিবার যুক্ত । কাজেই কোন সংবাদ তৈরি কিংবা প্রকাশ করার পূর্বে সকল সাংবাদিককে বারবার ভাবতে হয় এ সংবাদ প্রকাশ কিংবা প্রচার হলে তাদের অস্তিত্ব কিংবা তাদের পরিবারের নির্ভরতার নিশ্চয়তা থাকবে কতটুকু ? প্রসাশনের চোখ রাঙানি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতটুকু ব্যাহত করে তার চেয়ে দুর্নীতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বেশি ব্যাহত করে । দুর্নীতবাজরা সব সময় ওঁৎ পেতে থাকে কখন সাংবাদিকদে বাগে আনা যায় । কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলতাও পেয়ে যায় । বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারনে জন্ম হয় হলুদ সাংবাদিকতার মত জঘন্য প্রথা । সেরার তকমা লাগানো পেশার সাথে যুক্ত হয় কিছু ঘৃণ্য আচরণ । পত্রিকা অফিস থেকে সাংবাদিকদের বেতন পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও অনেক সময় সাংবাদিক কর্তৃক পত্রিকায় টাকা দিতেও শোন যায় । কিছু অঞ্চলের গডফাদাররা তাদের বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে সাংবাদিকদের বশে রাখে বলেও গুঞ্জন ওঠে । সুতরাং গণমাধ্যমকে স্বাধীন রেখে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ মসৃণ রাখার জন্য সাংবাদিকদেরকেও যেমন সৎ, নিষ্ঠা এবং নির্ভীকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে তেমনি প্রশাসনকেও সমালোচনা গ্রহন করার কিংবা প্রশংসা কুড়ানোর দক্ষতা দেখাতে হবে । কেবল গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের পথ উম্মুক্ত হতে পারে ।

গত ৪ঠা আগষ্ট ২০১৪ সালে সংসদে অনুমোদিত হয়েছে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা । এ নীতিমালা নিয়ে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই হয়েছে বেশি । সাংবাদিক নেতাসহ বিভিন্ন মহল থেকে এ নীতিমালা প্রণয়ণকে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়নি । যদিও সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নতুন সম্প্রচার নীতিমালা দ্বারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হবে না তবুও অনেকেই তার দেয়া প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা রাখতে পারছেন না । মূলত বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের জন্য নতুন সম্প্রচার নীতিমালা অনুমোদন করা হলেও আরও কিছু ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেই বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন । বাংলাদেশ প্রেস কমিশনের রিপোর্টে (১৯৮৪) উল্লেখ করা আছে, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের অবিচ্ছেদ্য অধিকার’ । তবে নতুন জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রেস কমিশনের এ রিপোর্টের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারনে স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাহত হবে । মন্ত্রীসভা অনুমোদিত সম্প্রচার নীতিমালা সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) । তাদের মতে, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা তথ্য অধিকার আইন, সংবিধান, মানবাধিকার, ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক । টিআইবির মতে, নিবর্তনমূলক এ নীতি গ্রহনযোগ্য নয় । টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার শর্তগুলোর মাধ্যমে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনমুলক অবস্থা তৈরি করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন, সম্প্রচার নীতিমালার মধ্যে ‘অস্পষ্টতার’ কারনে সবাইকে বিপজ্জনকভাবে ঝুঁকির মধ্যে রাখা হয়েছে । সরকার প্রণীত সম্প্রচার নীতিমালার কয়েকটি দিক জনকল্যানমূলক হলেও অনেক অস্পষ্টতা এবং সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপ করবে বলেই মনে হয় । এ নীতির বাস্তবায়নের উপরেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নির্ভর করছে । তবে অনেকে মনে করছেন, সম্প্রচার নীতিমালার বাস্তবায়নে ইতিবাচক দিকের চেয়ে নৈতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়বে । যা কোন অবস্থাতেই গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না ।

যে সকল দেশের গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধনীতা ভোগ করে তেমনটি বাংলাদেশে নয় । বাংলাদেশের গণমাধ্যম আংিশক স্বাধীন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফ্রিডম হাউজ । সংস্থাটির, ‘ফ্রিডম অফ দ্য প্রেস’ শীর্ষক বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০১৩ সালে বিশ্বের ১৯৭ টি দেশের মধ্যে মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম । জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ টি দেশের গণমাধ্যম মুক্ত ও স্বাধীন নয়, ৬৮ টি দেশের গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীন এবং ৬৩ টি দেশেল গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে । জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগের দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে । রিপোর্টে ভারতের অবস্থান ৭৮তম । বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভোগের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে খারাপ নয় । তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভোগের সূচকে ভবিষ্যতে আরও উন্নতির চিন্তা করতে হবে । নতুন যে সম্প্রচার নীতি করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় যেন উন্নতির বিপরীতে অবনতি না হয় সেজন্য ক্ষমতাশীনদেরকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ করছি । ইতিপূর্বে বিভিন্ন কারনে যে সকল মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেগুলোকে খুলে দেওয়ার অনুরোধ থাকবে এবং যে সকল সংবাদকর্মী এবং এতদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আটক রাখা হয়েছে তাদেরকে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে শাস্তি কিংবা মুক্তি দিন । অন্ধ অনুকরণ কিংবা শুধু প্রশংসা নয় বরং প্রশংসার সাথে সমালোচনার মিশ্রনেই কেবল একটি সরকারকে সফল করে তুলতে পারে এবং সরকারও দেশকে কাঙ্খিত গন্তব্যে নোঙর করাতে পারে । কাজেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক বিকাশের ধারায় সামলোচনা এবং প্রশংসাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবী ।

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।

+

বিষয়: বিবিধ

৯৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File