নারীরা ঘরে বাইরে সমানে নির্যাতিত হচ্ছে

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ২০ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৩০:৪৪ রাত

দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক নারী । পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় দিনে দিনে নারী নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে চলছে । ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা নাই । একটা সময় ছিল যখন নারীরা মুখ বুঝে সকল নির্যাতন সয়ে যেত কিন্তু এখন নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে । তবুও এ সচেতনতা যথেষ্ট নয় । আজও নির্যাতিত নারীদের বুক ফাটা আর্তনাদে সভ্য সমাজ কেঁপে ওঠে । শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । কখনো পাশবিক নিযাতন আবার কখনো মানসিক । মোটকথা কোন না কোনভাবে নারীকে যেন নির্যাতিত হতেই হবে । সমাজের অনেক পুরুষ এ শতাব্দীতেও মনে করেন নারী নির্যাতন ভবিতব্য। তুচ্ছ কতগুলো কারন এবং সমাজ সৃষ্ট কিছু কুপ্রথার জন্য নারীকে নানা ধরনের নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয় । আমাদের সমাজ এমন কিছু মানুষরুপী পশুর জন্ম হয়েছে যারা নারীদেরকে নির্যাতন করে একধরনের সূখানুভূতি অনুভব করে । যদিও এদের সংখ্যা কম তবুও তাদের দাপটে পুরো সমাজ ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে । নারীদেরকে নির্যাতন করে মৃত্যু পথের যাত্রী বানিয়েও তাদেরকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হয় না । সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে এটা যে কত নির্মম অসভ্যতা এবং মানবাধিকারের লংঘন তা কেবল নিয়ম কানুনেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এ নির্যাতনের কারনে কখনো নারীকে জীবন পর্যন্ত দিতে হচ্ছে । কিন্তু নির্যাতিতের পরিবার তার স্বজন হারিয়ে ন্যায় বিচার পাচ্ছে খুবই কম । আইনের ফাঁক ফোকর কিংবা আর্থিক লেনদেনের কারনে অপরাধীরা প্রায়ই পার পেয়ে যায় । অপরদিকে অনেক নারীরা তাদের জীবন হারানোর ভয়ে অল্পবিস্তর নির্যাতনের শিকার হয়ে মুখ বুঝে থাকেন । লজ্জা এবং সামাজিক বাধার কারনে তারা তাদের কষ্টের কথা তাদের আপনজনদের কাছেও প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করেন । পুরুষদের একাংশের অন্যায় আচরণ এবং নারীর লজ্জা কিংবা ভালবাসার দুর্বলতার কারনে আজও সমাজে অহরহ ঘটছে নারী নির্যাতনের মত ঘৃণিত কাজ । পত্রিকার পাতা খুললেই কিংবা টেলিভিশনে চোখ রাখলেই নারী নির্যাতনের বিভৎস খবর এবং ছবিগুলো দেখলে অনেকেই লজ্জা পান এবং আঁৎকে ওঠেন । সভ্যতা, গ্রগতিশীলতা, সমঅধিকারের ও সমমর্যাদার যুগেও নারীদেরকে এভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে দেখলে মনে পড়ে জাহিলিয়্যাতের সময়কার নারীদের করুন অবস্থার কথা । পৃথিবীতে নারী নির্যাতনের ঘটনা উন্নত, অনুন্নত কিংবা বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে অহরহ ঘটছে । তবে উন্নত দেশগুলোতে নারী নির্যাতনের সংখ্যা এত অধিক নয় যতটা ভয়বাহভাবে অনুন্নত দেশগুলোতে কিংবা বাংলাদেশে ঘটছে । একথা বলতে দ্বিধা নেই যে, নারীরা নির্যাতিত হওয়ার পিছনে পুরুষদেরকে যেভাবে দায়ী করা হচ্ছে সেভাবে নারীদেরকে দায়ী করা না গেলেও নারীরাও বহুলাংশে দায়ী । ধর্মীয় অনুশাসন পালন এবং শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নারীরা যতদিন নিজেদের অবস্থানকে মজবুত না করতে পারবে ততদিন নারীরা কমবেশি নির্যাতিত হতে থাকবে বলেই কতিপয় বিশেষজ্ঞ ধারনা করছেন । এছাড়াও নারী পুরুষের লৈঙ্গিক বৈষম্যও নারী নির্যাতনের অন্যতম কারন । কাজেই কেবল উদার দৃষ্টিভঙ্গি আনয়ণ, সচেতনতা সৃষ্টি এবং আইনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই নারী নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব ।

পরিসংখ্যান বলছে, নির্যাতিত নারীদের মধ্যে অধিকাংশই তাদের কাছের মানুষ, আপনজন এবং স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন । নির্যাতিত নারীদের ৭০% তাদের ঘৃহে নির্যাতনের শিকার হন । সভ্যতার এই যুগেও যৌতুকের মত ঘৃণিত দাবী পূরণের জন্য একজন নারীকে স্বামী কিংবা শ্বশুড়বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা শারীরিক কিংবা মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় । নারীদের অসহায়ত্ব তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেছে । অসচেতনতার কারনে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ নারীরা স্বামীর গালাগাল কিংবা সামান্য শারীরিক লাঞ্ছনাকে নির্যাতন বলে মনে না করে তারা এটাকে স্বামীর আদর সোহাগের একটি অংশ মনে করেন । বিভিন্ন সংস্থা প্রদত্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশেল প্রেক্ষাপটে ৮৭% নারীই কোন না কোনভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন । এ নির্যাতিত নারীদের মধ্যে ৬৫% স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার । আবার তাদের ৩৬% যৌন নির্যাতন, ৮২% মানসিক নির্যাতন এবং ৫৩% স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার । এসকল নির্যাতিত নারীদের ৭৭% বিগত একবছরেও একই ধরনের নির্যাতন ভোগ করেছেন । পুরুষ নির্যাতিত নারীদের অর্ধেকেরও বেশি চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পান না । নির্যাতিত নারীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি স্বামীর ভয়ে কিংবা স্বামীর অনুমতি না থাকায় চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না । তবে নির্যাতনের পরিসংখ্যান বলছে, শহরের নারীদের তুলনায় গ্রামের নারীরা অনেক বেশি নির্যাতিত হয় । সাধারণত পারিবারিক নির্যাতন, ধর্ষন, যৌতুক, এসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, প্রেমের নামে প্রতারণা, দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর তার ধারনকৃত ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়া, নারীদেরকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে বাধ্য করা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাধ্যমে নারীদেরকে নির্যাতন করা হয় । পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, ২০০১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত যৌতুক সহিংসতার কারনে ২৭৫৩ জন নারীকে হত্যা এবং ১৭৮৭ জন নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে । এ সময় স্বামী কিংবা শ্বশুড়বাড়ীর সদস্যদের নির্যাতনের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে ১৯৯ জন নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে । ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০০৮৭ জন নারী ও মেয়ে শিশু, এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৭৯৬ জন, বখাটেদের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ১৭৮২ জন নারী ও শিশু । অতীতের সকল পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রদত্ত পরিসংখ্যান । তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র ৬ মাসে মোট ২২০৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে । এ অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি । যার মধ্যে গণধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৮২টি । ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫ জনকে । ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ৫১ জনকে । শ্লীলতাহানির শিকার ৭০ জন ও যৌন নির্যাতনের শিকার ২৫ জন । ২০১৩ সাল জুড়েই ছিল নারী নির্যাতনের মহোৎসবের সময় ! এসময় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৪ হাজার ৭৭৭টি । এর মধ্যে ধর্ষিত হয়েছে ৬৯৬ জন । যার মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮৫ জন । ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে ৯৪ জনকে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫৩ জনকে ।

উপরে যা উল্লেখ করা হলে সেটা কেবল পরিসংখ্যান কিন্তু পরিসংখ্যানের অন্তরালে অনেক পরিসংখ্যান লুকিয়ে থাকে । কথায় বলে ‘নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’ । গ্রামে-গলিতে খুজলে এমন আরও হাজারো নির্যাতনের খবর সহজেই পাওয়া যাবে যা উপরোযুক্ত পরিসংখ্যানে যোগ হয় নাই । নারী নির্যাতনের পকৃত সংখ্যা কত তা এদেশের প্রত্যেকটি পরিবারের দিকে তাকালেই সহজে অনুমেয় । কিন্তু এমনটা তো হবার কথা ছিল না । আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যানকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’ । কাজেই পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য নারীদেরকে পশ্চাৎদেশে রেখে আমাদের দেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না । সুতরাং অবিলম্বে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে । নারী নির্যাতন বন্ধের সবচেয়ে মহোত্তম উপায় বিবেককে জাগ্রতা করা এবং মানবতা বোধ জন্ম দেয়া । যে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তারা কারো না কারো মা, বোন কিংবা সমজাতীয় । প্রত্যেক পুরষের কাছেই তার মা কিংবা বোন খুবই প্রিয় । কাজেই অবিলম্বে নারী নির্যাতন বন্ধ করে সমাজে কিংবা পরিবারে একটি সূখের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী কিংবা বৃহত্তম দলের নেত্রী নারী হওয়ার পরেও এই দেশে নারী নির্যাতনের মত এমন সহিংসতা চলছে তা কোন অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না । কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে । ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন এবং ২০০০ সালে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ সময়ের দাবী । তবে কিছু ব্যাপার আছে যা আইনের মাধ্যমে সমাধান করা কষ্টকর । কাজেই নারী নির্যাতন বন্ধে নারী পুরুষ উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে । নিরপেক্ষভাবে বিচার করলে নারী নির্যাতন বন্ধ হওয়ার কিংবা করার জন্য নারী এবং পুরুষ উভয়কেই সহনশীল হতে হবে । এক অপরের উপর আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভক্তি পোষণ নারী নির্যাতন বন্ধ হওয়ার প্রধান মূলমন্ত্র । নারী পুরুষ উভয়কেই এই মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে সমাজে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে । অসভ্য কিংবা বর্বর যুগের মত এই শতাব্দীতেও নারীদেরকে ঘরে বাইরে নির্যাতিত হতে হবে তা কাম্য নয় । কাজেই নারী নির্যাতন বন্ধ করে আগামীর পৃথিবীকে সুন্দরভাবে সাজানোই হোক আমাদের অঙ্গীকার ।

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।



বিষয়: বিবিধ

৯৪১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

256145
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৩৯
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : ফালতু কথা বরং দেশে পুরুষরাই বেশী নির্যাতিত হচ্ছে।
256150
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৫৬
বুড়া মিয়া লিখেছেন :
বাংলাদেশেল প্রেক্ষাপটে ৮৭% নারীই কোন না কোনভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন


এটা অসম্ভব, এ তথ্য যারা দিয়েছে – তাদের অন্য যে কোন তথ্য প্রকাশের আগে ভালোভাবে চিন্তা করে দেখা উচিৎ! ৮৭% নির্যাতন এটা কারও মানসপটে ভাসা কল্পনাই বলা যায় নিশ্চিতভাবে – সে নিশ্চয়ই বউ/বোন দের সাথে অন্যান্য সাধারণ মানুষের মৌখিক ঝগড়ার মতো ঝগড়াকেও নির্যাতন হিসেবে ধরে নিয়েছে নিশ্চিত।

আমার মতে এ্যাটলিষ্ট ৬০%-৭০% নারী স্বাধীনমতো চলে, স্বামীর সাথে সাধারণ ঝগড়ার ফলেও অনেক বিচ্ছেদ হয়ে যায় এদের ক্ষেত্রে এবং এরকম গ্রামে-শহরে একই হারে (ঢাক-চিটাগাং এবং অন্যান্য শহরের বাড়ীর কাজের বুয়া, রাস্তা ঝাড়ু দেয়া মহিলা আর গার্মেন্টস এর মহিলাদের দিকে খেয়াল করেন, এছাড়াও তো আরও অনেক রয়েছেই)। সেসব নারীরা নিজের গর্ভে জন্ম দেয়া সন্তানকে কুকুর-বিড়ালের মতোই এক প্রাণী মনে করে নিজের ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক লাভের জন্য সন্তানকে পিতৃস্নেহ ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করে ছেড়ে দেয়া স্বামীর টাকায়-ই লালন-পালন করে এবং সে টাকায় নিজেও খায় এবং অনেক ক্ষেত্রে ফূর্তিও করে।

তবে প্রকৃত নির্যাতনের বিরোধী আমি, কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া নির্যাতনের বিরোধী আমি। তবে চোর, ছিনতাইকারী, বদমাশ ইত্যাদীদের সাধারণ মানুষরা ঘরে-বাইরে ধোলাই দিয়ে থাকে, সে ধরনের মেয়েরা ঘরে বাইরে একইভাবে ধোলাই খাওয়ারই উপযুক্ত – নারী বলে তারা এ ধোলাই থেকে মাফ পাবে? তাহলে এধরণের ছেলেদের ধোলাই করে অথবা ধোলাই দিতে দিয়ে হত্যা করেও খুশীতে সংবাদ লিখি কেন? ও ধরনের নারীরা অবশ্যই সে ধরনের পুরুষরা যেভাবে ধোলাই খায়, তারাও খাবে – আমি আপনি ধোলাই না করলেও, এ যেন একটা অটোমেটেড প্রোসেস – সারা বিশ্বেই একইভাবে দেখা যায়!

এসব বিচার বিবেচনার ক্ষেত্রে নারীদেরকে সুশীল-প্রগতিশীলদের মতোই ভিন্ন কোন প্রাণী প্রজাতী হিসেবে না দেখে সাধারণ মানুষ হিসেবে বিচার করে দেখুন – সবকিছুই র‍্যাশোনালী হচ্ছে!

ধন্যবাদ সচেতনতার বিষয়ে আপনার সুন্দর লেখনীর জন্য।
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:০৪
199717
রাজু আহমেদ লিখেছেন : বস অসংখ্য ধন্যবাদ । তবে নারী পক্ষের ঐ পরিসংখ্যান নিয়ে আমারও ডাউট আছে । তুই তুকারিও নাকি নির‌্যাতনের মধ্যে পড়ে ?
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:১৬
199719
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এসব তথ্য এবং পরিসংখ্যান যারা দেয় – তাদের মূল উদ্দেশ্য এসব ফালতু তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন আইন-প্রণয়ন করিয়ে নেয়া এবং নানাবিধ প্রচারণার (সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞাপন, ফালতু কিছু শিক্ষা ইত্যাদী) মাধ্যমের কোমলমতি মেয়েদেরকে প্ররোচিত করে উস্কে দেয় স্বামী-ভাই-পিতা-আত্মীয়-স্বজনের সামান্য কথারও বিরোধীতা করতে, এভাবে পারিবারিক তথা সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরী করে দেয়াই এসবের উদ্দেশ্য।
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:২২
199732
রাজু আহমেদ লিখেছেন : আমার ফেসবুক লিংকে যোগ হওয়ার জন্য আবেদন করছি বুড়া মিয়াকে ।
https://m.facebook.com/raju69mathbaria/
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৩১
199740
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভাইয়া আমি বিগত ৪/৫ বছর আগেই ফেসবুক এবং ঐ ধরনের অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার পুরোপুরি বাদ দিয়েছি। তবে বিভিন্ন সংবাদে এবং এ ব্লগে পাওয়া সেসবের লিঙ্কগুলো ভিজিট করি।

আমি আশা করছি আপনি উল্লেখযোগ্য কিছু ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে আমাকে আমন্ত্রণ জানাবেন লিঙ্ক দিয়ে, অবশ্যই ভিজিট করবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার আতিথেয়তার জন্য!
256187
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৩৫
সুশীল লিখেছেন : ফাউল কথা
256244
২০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
হতভাগা লিখেছেন : গত দুই যুগ ধরে বাংলাদেশের মসনদে নারীরা আসীন । তারপরেও নারীরা নির্যাতিত !

তার মানে নারীরাই নারীদের নির্যাতনের জন্য দায়ী ।

নারীদের প্রতি নির্যাতন গত দুই যুগে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং তা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় ।

আর নারীর প্রতি নির্যাতনের জন্য নারীরাও বেশ কিছু অংশে দায়ী । একই বিষয়ে পারসন বুঝে তাদের ভিন্ন ভিন্ন রিয়েকশনই তাদেরকে বেশী রিস্কে ফেলে দিয়েছে ।

তবে নারী নির্যাতনের চেয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরুষ নির্যাতন ।

নারী নির্যাতন রোধে আইন করা আছে যার মাধ্যমে নারীরা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুরুষদেরকে ফাঁসায় ।

আপনি যদি ''নারীকে নির্যাতন করা হয়''- এর ডাটা নেবার জন্য যদি শুধু নারীর কাছেই যান তাহলে ৮৭% না ১০০ %ই আসার কথা নির্যাতন করা হয় এর পক্ষে ।

উল্টোভাবে যদি পুরুষদের কাছে নেন এই ডাটা তখন এর সাথে আরও জানবেন যে যদি সত্যি সত্যি নির্যাতনই করা হয় তাহলে সেটার কারণ কি ? দেখবেন যে নারীরই দোষ আছে এর পেছনে ।

আমাদের ইসলাম ধর্মে বলাই আছে একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে স্ত্রীকে প্রহার করতে । এটাকে অনেক নারীরা মানতে পারে না বলেই এই প্রহারকে নির্যাতনের কালার দেয় ।

পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কখনও কখনও গৃহ কর্তাকে আঙ্গুল বাঁকা করতেই হয় ।

না হলে ঘরে ঘরে ঐশী আর রুমানারা তৈরি হবে ।
256289
২০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
কাঠ পেন্সিল লিখেছেন : নারী ক্ষমতায়ন থাকা সত্ত্বেও এতো বড় হারে নারী নির্যাতন (!) আমার ডাউট হচ্ছে তাদের উপর যারা এই পরিসংখ্যান দিয়েছে!
256299
২০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
কাজি সাকিব লিখেছেন : আসলে পুরুষ বা নারী বলে কথা নয়,যার ভিতরেই নৈতিকতার অভাব থাকে,পরকালে জবাবদিহিতার ভয় অনুপস্থিত থাকে সেই অপরকে নির্যাতন করে!
ফিজিক্যালি পুরুষেরা নারীদের থেকে কিছুটা এগ্রেসিভ এবং শক্তিশালী হওয়ার কারণে বাহ্যিকভাবে নারীরা কোমল হওয়ার কারণে নারীরা নির্যাতনের শিকার একটু বেশি হয়!অন্যাথায় বাকি সব একই,যার স্বভাব খারাপ সে তার অধীনস্থ সকলের উপরই অত্যাচার করে ,নারীদের কাছ থেকে বাধার সম্মুখীন কম হয় বলে নারী নির্যাতনের % বেশি শোনা যায়!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File