ভারতের মত একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন সময়ের দাবী
লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১৭ মে, ২০১৪, ০৪:০২:৫৯ বিকাল
শেষ হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের ১৬তম লোকসভা নির্বাচন । এপ্রিল মাসের ৭তারিখ থেকে শুরু হয়ে মে মাসের ১২তারিখ পর্যন্ত মোট ৯টি ধাপে ৫৪৩টি আসনের নির্বাচন শেষ হল । বিছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন যথেষ্ট সুষ্ঠু হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছে স্থানীয়-বহিরাগত নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা । এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভারত আবারও প্রমান করল তাদের পররাষ্ট্রনীতি দ্বিমূখী হলেও আভ্যন্তরীন নৈতিকতায় তারা যথেষ্ট স্বচ্ছ । ইতিমধ্যে নির্বাচনের বেসরকারী ফলাফলও ঘোষিত হয়েছে । প্রকাশিত ফলাফলে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপী কেবল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই অর্জন করে নি বরং রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়েছে । ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপী নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ৩৪১টি আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পেয়েছে ৫৮টি আসন এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীরা পেয়েছে ১৫৮টি আসন । গতবার ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যর্থতায় ধারনা করা হয়েছিল ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপী সরকার গঠন করবে এবং তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে কট্টোর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলটির বিভিন্ন নেতার কিছু উস্কানীমূলক বক্তব্যে কংগ্রেস কিছুটা উজ্জীবিত হলেও কাজের কাজটি বিজেপী ঠিকই হাসিল করে ফেলেছে । তারা শুধু নামকা ওয়াস্তে জয় পায়নি বরং ভারতের গত ৩০বছরের নির্বাচনী ইতিহাস ভঙ্গ করে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে । ভারতের ৮০কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৫কোটি হিন্দু ভোটার আবারও প্রমান করল হিন্দুত্ববাদই ভারতের বড় শক্তি । মুসলমানদের কাছে নরেন্দ্র মোদীসহ বিজেপীর শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য সাম্প্রদায়িক মনে হলেও ভারতের জনগন প্রমান করল তারা সত্যিকারার্থেই সাম্প্রদায়িক । সোনিয়া গান্ধি ও তার তনয় রাহুল গান্ধীর জাতীয় কংগ্রেস, মমতা ব্যানার্জীর তৃনমূল কংগ্রেস কিংবা অরবিনদ্র কেজিরওয়ালের আম আদমি পার্টি নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে কিছু ফায়দা লুটতে চাইলেও ভারতের ঐক্যবাদী হিন্দুরা তার সুযোগ দেয় নি । এমনকি সারা জাগানো আম আদমি পার্টির আলোচিত কেজিরওয়ালও তার নির্বাচনী দু’টো আসনেও হেরে গেছেন । ভারতসহ বিশ্বের অনেকেই এটাকে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা হিসেবে দেখলেও অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে কেজিরওয়ালের বিস্তর পার্থক্যই তার হারের পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছে । কেজিরওয়াল মেয়র থাকাকালীন যে ধারার কার্যক্রম শুরু করেছিল সে কার্য বর্তমানে চলে না এটাই প্রমান করল কেজিরওয়ালের নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা । রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন শিথীলতা চলে না তেমনি অস্বাভাবিক উগ্রতাও চলে না । একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিধ্বনি হয় । কাজেই নির্বাচিত সরকার যদি জনগণের আশা-প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে তাদের ইচ্ছা মত স্বেচ্ছাচার করতে থাকে তাহলে তার পরিণতি কখনোই মঙ্গলজনক হয় না । এ নির্বাচনে যেমনি হয়েছে জাতীয় কংগ্রেসের ভাগ্যে । তবুও নির্বাচনের পর বিশ্ববাসীর কাছ থেকে জাতীয় কংগ্রেস ধন্যবাদ পেতেই পারে । কেননা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ কিংবা অন্যান্য দেশের বিরোধী দলের মত হাউকাউ না করে, নির্বাচন কমিশনের উপর অভিযোগ না তুলে, কংগ্রেস সহজবাক্যে তাদের পরাজয় মেনে নিয়েছে । কংগ্রেসের অন্যতম নেতা রাজীব শুক্লা তাদের পরাজয় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘আমরা পরাজয় মেনে নিয়েছি । লোকসভায় বিরোধী আসনে বসার জন্য আমরা প্রস্তুত’ । অন্যদিকে মোদী তার এবং তার দলের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর সাদামাটা মতামত জানিয়েছেন । তিনি এক সংক্ষিপ্ত টুইটে জানান, ‘ভারত জিতেছে, সামনে সুদিন আসছে’ । সর্বোপরি কথা হলো, ভারতের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও একবার গণতন্ত্রের জয় হলো । একজন চা বিক্রেতা হিসেবে জীবন শুরু করা নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরশক্তি ভরতবর্ষের আগামী পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রী হলেন । ১৬তম লোকসভা নির্বাচন থেকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিল তৃনমূল কংগ্রেসের উত্থানের । মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন তৃনমূল কংগ্রেস তাদের শক্তির আবারও একবার জানান দিল ।
ভারতের নির্বাচনের কয়েকমাস আগে অর্থ্যাৎ গত জানুয়ারি মাসের ৫তারিখ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন । রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশেষ করে নবম সংসদের প্রধান বিরোধীদলের মতামতকে উপেক্ষা করে তত্ত্ববধায়ক প্রথা বাতিল করার কারনে বিএনপিসহ দেশের বৃহৎ কয়েকটি দল দশম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নি । এ নিয়ে আওয়ামীলীগ যখন দিশেহারা তখন নব্বই দশকের স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পাট্টি নির্বাচনে অংশ নিতে রাজী হয় । তবুও দেশের ৩০০টি সংসদীয় নির্বাচনী আসনের ১৫৩টি আসনে একজন করে প্রতিযোগী থাকায় সে সকল আসনে নির্বাচন দেয়ার দরকার হয় নি অর্থ্যাৎ সেখানের প্রার্থীরা বিনা প্রতিযোগীতায় সাংসদ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে । বাকী ১৪৭টি আসনে যে নির্বাচন হয়েছে তাও কৌশলগতভাবে নিজেরা নিজেরা । এজন্য বিদেশী কোন নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিশেষ করে ইউরোপীয়া ইউনিয়ন থেকে কোন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের দশম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে আসে নি । বর্হিবিশ্বের কাছে নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্য করে তোলার ব্যাপারে উপায়ন্তরা না দেখে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সার্কভূক্ত দেশসমূহের কয়েকটি থেকে মাত্র অর্ধডজন পর্যবেক্ষন আনতে সমর্থ হয় । অথচ অতীতের নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে দু’শতাধিকের বেশি নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক আসত । উল্লেখ্য যে, ১৪৭টি আসনের নির্বাচনেও উল্লেখযোগ্য দূর্নীতি হয়েছে । ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই, এজেন্টদের মারধর এবং জাল ভোটের সয়লাবসহ অনেকগুলো অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দশম সংসদ নির্বাচনের একাংশকে পুরোপুরি কলঙ্কিত করে ফেলা হয় । তদুপরি ভোটারদের অনুপস্থিতিও এ নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল । মিডিয়ায় উল্লেখিত ভোটারদের উপস্থিতির সাথে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ভোটার উপস্থিতির ছিল আকাশ পাতাল ব্যবধান । যে কারনে শুধু অন্যান্য দল নয় বরং খোদ আওয়ামীলীগের মধ্য থেকেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক হাস্যরস প্রকাশিত হয়েছে । তবুও ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ সরকার তাদের অধীনের নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও বৈধ দাবি করে বহাল তবিয়তে দেশ পরিচালনা করছে । দেশের সাংবিধানিক প্রধান বিরোধীদল সরকারী দল সমালোচনার মাধ্যমে সরকারীদলের ভূল শুধরে দেয়ার নীতি থাকলেও রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সংসদের বিরোধীদল সরকারী দলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পেরেছে । এদের কর্মকান্ডে বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই কার সরকারী দল আর কারা বিরোধীদল । এমনকি দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও বিরোধীদল পালন করছে । বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশের মধ্য থেকে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে নজির স্থাপন করতে পারলেও দেশের সিংহভাগ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্যদেশ থেকে বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদের বৈধতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে । সদ্য বিদায় হওয়া ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এককভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সাহস দিলেও দেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে আওয়ামীলীগের আরও যতœবান হওয়া উচিত ছিল । দেশের চল্লিশটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে থাকলেও মাত্র ১২টি দলের সমর্থনে বিশেষ করে আওয়ামীলীগে ইচ্ছায় তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা উচিত হয়েছে কিনা সেটা তাদের আবারও ভেবে দেখা উচিত । আমরা যদিও নিজেদেরকে গণতন্ত্রের পুজারী বলে নিজেদেরকে দাবী করি অথচ তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থা বহাল কিংবা বাতিলের ব্যাপারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কবর দেয়া হলো কেন ?
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গঠিত সরকার যেমনিভাবে দেশকে শাসন করেছে তেমনি অ-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অর্থ্যাৎ স্বৈরতন্ত্র থেকে উঠে আসা অশুভ শক্তিও কম সময় দেশকে দখল করে রাখে নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতির চেয়ে অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় দেশের মঙ্গলও বেশি হয়েছে । তবুও দেশের জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যখনি জয়ী করা সুযোগ পেয়েছে সে সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে । দেশ এবং দেশের মানুষ যত কথাই বলুক না কেন, যত আশায় বুক বাঁধুক না কেন, তাদের অবশ্যই আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই । কেননা বর্তমান বাংলাদেশে যে সকল দল বা ব্যক্তিরা রাজনীতির সাথে ওৎপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে কেবল এই দু’ই দলই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রাজনীতি করে । বাকী যারা আছে তাদের মধ্যেও গণতন্ত্র যে নেই সে কথা বলা যাবে না তবে সঠিক গণতন্ত্র বলতে যা বুঝি তা আওয়ামীলীগ এবং বিএপির মধ্যেই খুঁজতে হবে । অন্য কম শক্তি কিংবা তুলনামুলক বেশি শক্তিসম্পন্ন যে দলগুলো আছে তাদেরকে এই দু’ই প্রধান দলের ক্ষমতায় আরোহনের বাহন হয়েই থাকতে হবে । কাজেই কখনো আওয়ামীলীগ কিংবা কখনো বিএনপি গঠিত সরকারই দেশকে শাসন করবে এটাই দেশের মানুষের কাম্য । কখনো তৃতীয় কোন অগণতান্ত্রিক সরকার দেশকে শাসন করবে এটা দেশবাসী স্বপ্নে দেখতেও নারাজ । কিন্তু নির্ভরযোগ্য আশার দ্বীপতুল্য সে দল দু’টি যখন অগণতান্ত্রিক পথে হাটে তখন দেশবাসীর মৌন কিংবা সরব প্রতিবাদ করতেই হয় । যা দেশে এখনও চলছে । যদি এ অবস্থা থেকে দেশ বের হয়ে না আসতে পারে তবে ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ কিংবা ধ্বংসাত্মক প্রতিবাদ চলার লক্ষন দেখা যাচ্ছে । আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি যে মাত্রার পরস্পর অসহনশীল দল তাতে আশু যদি কোন সমাধান রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা করতে না পারে তবে রাজনৈতিক দাঙ্গা অনিবার্য । রাজনৈতিক সংঘাত কখনো দেশের জন্য কল্যান বয়ে আনে না ।
ভূল-ত্রুটি মানুষেরই হয় আবার ক্ষমাও মানুষেই করে । বিশ্বের অনেকগুলো দেশ, সংস্থা, দেশের আভ্যন্তরীন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের অনেকে, সরকারের প্রতি নাখোশ রাজনৈতিক দলগুলো, এমনকি খোদ আওয়ামীলীগের কিছু দুরদর্শী নেতাও মনে করেন দেশে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন আবশ্যক । যে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা বহুলাংশে লাঘব হবে । সে নির্বাচনটা আলোচনার মাধ্যমে এখনো হতে পারে আবার কয়েক মাস পরেও হতে পারে । তবে নির্বাচনটি একান্ত জরুরী । যদি মধ্যবর্তী একটি নির্বাচন হয় তবে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাবে এবং গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা পাবে । আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল একটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় নির্বাচন উঠানোর জন্য প্রায় ৬০০কোটি টাকা আবশ্যক যে টাকা প্রতি বছর অন্তর ব্যয় করার সামর্থ দেশের নেই । দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হওয়ার পরেও আলোচনার মাধ্যমে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন আয়োজন সময়ের চাহিদা । তবে সে নির্বাচনটি আয়োজনের পূর্বে আলোচনার মাধ্যমে সকল দ্বন্ধের সমাধান করে নেয়া আবশ্যক । নির্বাচন কি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে না দলীয় সরকারের অধীনে হবে সেটাই সবচেয়ে বড় ইস্যু । এ সমস্যা সমাধানের জন্য দেশের সকল মানুষের মতামত নেয়া যেতে পারে । এক্ষেত্রে দেশের মানুষের পরমার্শ যৌক্তিক মনে না হলে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে । বিশেষ করে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে পদ্ধতি হিসেবে গ্রহন করা যেতে পারে । কেননা ভারতের মত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি নির্বাচন হতে পারে এবং তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয় । ক্ষমতা কারো স্থায়ী হয় না । অতীত ইতিহাস বলে, আজকের রাজা কালকে প্রজা । সুতরাং ক্ষমতার মোহ যেন আমাদেরকে নৈতিকতা থেকে অন্ধকারে ফিরিয়ে না রাখতে পারে সেদিকে সরকারী, বিরোধী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতদলসহ সকল প্রজাকে সজাগ থাকতে হবে । সর্বোপরি দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনীতি যেন দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানে হয় তা গণতান্ত্রিক পন্থায় নিশ্চিত করতে হবে । অন্যসকল দেশে যেমন গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে তেমন সুবাতাস যেন আমাদের দেশেও বয় তার নিশ্চয়তা রাষ্ট্র এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট পরিচালকদেরকেই দিতে হবে । দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে যে সন্দেহ এবং শ্রদ্ধাহীনতা কাজ করছে সে অবস্থা অচিরেই দূর করে যেন দেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিকতার নতুন সূর্যোদয় হয় শুধু সেই প্রত্যাশায় ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন