‘‘বাংলাদেশে কি বিদ্যুত যায় নাকি মাঝে মাঝে আয়’’

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৩৬:২৭ দুপুর

চলছে বৈশাখের প্রখর তাপদাহ । সূর্যের তাপের তীব্রতায় বাহিরে বের হওয়ার উপায় নাই । ছাতা মাথায় বের হলে মনে হয় যেন খালি মাথার চেয়ে তাপ আরও বেশি লাগে । তবুও জীবিকার তাগিদে, জীবনের প্রয়োজনে মানুষকে ঘর থেকে বের হতে হয় । মাটিপোড়া রৌদ্রে যারা আর্থিকভাবে কিছুটা স্বচ্ছল তারা খুব ঠেকায় না পরলে বাসা-বাড়ি থেকে বের হন না । পরিবারের মুরুব্বীরা বাচ্চাদেরকে তো বের হতেই দেন না । বছর পরিবর্তনের সাথে আবহাওয়ায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারনে অতীতের জলবায়ু আর বর্তমান জলবায়ুতে বিস্তর পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে । যার কারনে শীতের মওসুমে তীব্র শীত এবং গরমের মওসুমে অধিক তাপদাহে মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে । কয়েক বছর পূর্বেও চৈত্রের রোদকে কাঠ-ফাটা রোদ বলা হত কেননা বছরের সকল মাসের চেয়ে চৈত্র মাসের রোদ্রের প্রখরতা সবচেয়ে তীব্র ছিল । কিন্তু ১৪২০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের গরমের তীব্রতা থেকে ১৪২১ বঙ্গাব্দের রোদ্রের তাপ এবং গরমের তীব্রতা অনেক বেশি । আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, চলমান তীব্র তাপদাহ আরও সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী থাকবে এবং এ সময়টাতে বৃষ্টি বা কাল-বৈশাখির কোন সম্ভাবনা নেই । রোদ্র এবং গরমের তীব্রতায় শুধু মনুষ্যকূল নয় প্রাণী কূলের অন্যান্য জানোয়ারেরাও হাঁপিয়ে উঠেছে । তবে অন্যান্য জানোয়ারের মত মানুষকে রোদ্রের তীব্রতা কিংবা গরমের তাপদাহ খুব ভোগাতে পারে না । বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে সভ্যতা উপহার পেয়েছে বিদ্যুত এবং হাত পাতার পরিবর্তে বৈদ্যুতিক পাখা । অভিজাতশ্রেণী বা পয়সাওয়ালার এয়ার কুলারের নাতি-শীতোষ্ণ অবস্থা উপভোগ করতে পারছে। যা মানুষকে গরমের তীব্র যন্ত্রনা থেকে বহুলাংশে মুক্তি দেয় । বিজ্ঞানের এ উপহার থেকে গরীব বাংলাদেশও বঞ্চিত হয় নি । তারাও বিজ্ঞানের কল্যানে বর্হিবিশ্বের অভিজাত শ্রেণীর মত বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে গরম থেকে অব্যহতি পেয়ে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে ।

ছোট বেলায় টিভি দেখার খুব শখ ছিল । বলা যায় তীব্র জোঁক ছিল। তখনও গ্রামাঞ্চলে ডিশ-এন্টেনা পৌঁছেনি । বিটিভিই একমাত্র ভরসা ছিল । বিটিভিতে প্রতি শুক্রবার বিকালে পূর্ণ-দৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবি প্রচার করত । আমরা সমবয়সীরা মিলে দুই টাকার টিকেট কেটে বিকালভর সিনেমা দেখতাম । তখন বিটিভির সবকিছুই ভাল লাগত । নাচ-গান থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত । তখনকার দিনে টিভি জিনিসটাই একটা আশ্চার্য ছিল । তারপর আবার তার মধ্য দিয়ে ছবি এবং কথা একসাথে ভেসে আসত । কম আশ্চার্যের কথা ! ছবি শুরু হওয়ার পর দশ মিনিট ছবি দেখিয়ে পনেরো মিনিট বিজ্ঞাপন দিত । সিনেমার মূল গল্পকে কেটে-ছেঁটে তিন সাড়ে তিন ঘন্টায় ছবি শেষ করে দিত ঠিক কিন্তু বিজ্ঞাপনের আধিক্যতার কারনে ছবির আগা মাথা কিছুই বুঝতাম না । যে বাড়িতে টিকেট কেটে ছবি দেখতাম সে বাড়ীতে একজন মুরুব্বী কিসিমের লোক ছিল । সে টিভিটাকে দোযখ বলত এবং আমাদেরকে সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকার জন্য বলত । এতসব উপদেশের পর মাঝে মাঝে তিনিও আমাদের সারিতে বসতেন এবং ছবি দেখতেন । যেই বিজ্ঞাপণ শুরু হত তখনই তার মাথা গরম হয়ে যেত । তিনি রাগত স্বরে বলতেন বিটিভিতে তো আজকাল আর ছবির মধ্যে বিজ্ঞাপন দেয় না বরং বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে সময় পেলে ছবি দেখায় । তখন তার কথায় মূল্য বুঝতে না পারলেও বর্তমান বাংলাদেশের বিদ্যুত পরিস্থিতি এবং লোডশেডিংয়ের অসহনীয় মাত্রা দেখে সেই মুরুব্বীর কথা মনে পড়ে গেল । তার ছন্দে বলতে ইচ্ছা করছে, বাংলাদেশে কি মাঝে মাঝে বিদ্যুত যায় নাকি মাঝে মাঝে বিদ্যুত আয় ?

বাংলাদেশের জেলা শহরগুলোর মধ্যে ঝালকাঠী একটি অন্যতম বিখ্যাত শহর । ঝালকাঠী শহর যেমন ব্যবসায়ীকভাবে গুরুত্বপূর্ন তেমনি দেশের কিছু স্বণামধণ্য ব্যক্তির জন্ম এবং দেশের বিখ্যাত শীতল পাটি ও গামছা বোনার কারনে দেশবাসীর কাছে এ শহরের সুনাম সমধিক পরিচিত । জেলা শহর হলেও বেশ কিছু শিল্প কারখানা এবং দেশের কিছু বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঝালকাঠীতে । গত ২১শে এপ্রিল দিবাগত রাত বারটা থেকে ২২শে এপ্রিল দিবাগত রাত ১২ পর্যন্ত মাত্র ২৪ ঘন্টায় থেমে থেমে ৬ বার বিদ্যুত বিভ্রাট হয়েছে । প্রতিবার বিদ্যুত গিয়ে কমপক্ষে একঘন্টা থেকে শুরু করে ২ ঘন্টার বিরতিও দিয়েছে । এমনিতেই তীব্র উষ্ণতা তার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘন্টা বিদ্যুতের অনুপস্থিতি স্বাভাবিক জীবন-যাত্রাকে চরমভাবে অসহনীয় করে তুলেছে । এটা ঝালকাঠীর একদিনের খতিয়ান নয় বরং প্রতিনিয়তের একটি ধরাবাঁধা ছক । শুধু ঝালকাঠীই নয় সারা বাংলাদেশ একই চিত্রে চলছে । বিশেষ করে রাজধানী শহরসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরের অবস্থা আরও খারাপ। দেশে যে পরিমান গরম পড়ছে তাতে এখন পর্যন্ত কোন মানুষ মারা না গেলেও মৃত্যুর দুয়ার থেকে অনেকেই ফিরে আসবেননা একথা অতীত অভিজ্ঞতা বলে । এহেন তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহ যদি স্বাভাবিক না থাকে তবে মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকবে না । অতীতে সপ্তাহের সকল দিন কিছু লোডশেডিং থাকলেও শুক্রবার বিদ্যুত সরাবরাহ স্বাভাবিক রাখা হত কিন্তু বর্তমানে তাও হচ্ছে না । বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুত গ্রিডে প্রয়োজনের তুলনায় কয়েক’শ মেগাওয়াট বিদ্যুত বেশি উৎপন্ন হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ হলেও বাস্তবিকতার সাথে সে খবরের কোন মিল নেই ।

বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের মণি দেশনেত্রী এবং দু’ই বারের সাবেক এবং বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী বাঙালী জাতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকেবহাল । তিনি জানেন বাঙালী জাতি সব কিছু তাড়াতাড়ি ভূলে যায় । বাংলাদেশে অতীতে যে লোডশেডিং ব্যবস্থা ছিল তা যেন জনতা ভূলে না যায় তাইতো তিনি প্রতিদিন একঘন্টা করে বিদ্যুত নেয়ার জন্য বিদ্যুত বিভাগকে নির্দেষ দিয়েছেন । ইচ্ছা করলে এ একঘন্টাও বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় কিন্তু জনগণের মস্তিষ্ক থেকে যাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে না যায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত সমেেয়াপযোগী ! জনগণও তার সিদ্ধান্তকে তাদের জন্য কল্যানমনে করে কায়মনো বাক্যে মেনে নিয়েছিল । অথচ প্রধানমন্ত্রীর সে কথা বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা পালন করছে না । তারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬-৮ ঘন্টা বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে রাখছে । নবম জাতীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছিল সপ্তম জাতীয় সংসদে তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিদ্যুতকে যে অবস্থায় রেখে গেছে অষ্টম জাতীয় সংসদে যার ক্ষমতায় বসেছিল তারা তা থেকে এক মেগাওয়াটা বিদ্যুতও উৎপাদন বাড়াতে পারে নি বরং বিদ্যুত বিভাগে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে উপুর্যপোরী বিদ্যুত বিভাগের আরও সর্বনাশ করেছে । তাইতো নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী সরকার রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুত বিভাগে বিদ্যুত উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন সাধন করেছে । অতি অল্প সমযের মধ্যে সরকার জাতীয় গ্রীডে ৩৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত যোগ করতে সমর্থ হয়েছে । দেশের মানুষ এ খবর শুনে আশায় বুক বাঁধল । জমিতে সেচের সমস্যা হবে না, কারখানার উৎপাদন বাড়বে যার কারনে আগের তুলনায় বৈদেশিক মূদ্রার প্রাপ্তিও বাড়বে সর্বোপরি গরম কিংবা তীব্র তাপদাহে বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে মানুষ শীতল হতে পারবে এবং আরামে ঘুমোতে পারবে ।

সরকারের ভাষ্যমতে মানুষের সূখের দিন ফিরে আশার কথা ছিল কিন্তু হল তার উল্টো । প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রতিফল আজও মানুষ দেখতে পায় নি এমনকি প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত বিভাগের যে বিপ্লবের কথা বলেছেন তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করেছে । প্রধানমন্ত্রী তার প্রজা সাধারণের সাথে প্রতারণা করবেন এটা কেউ বিশ্বাস করে না কিন্তু যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিদ্যুত বিভাগের জরিপ তুলে দিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী নয়ত প্রকৃত সত্য গোপনকারী । তা না হলে উৎপাদিত হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত যায় কই ? সরকারী দল কর্তৃক যে বিএনপির দোষ প্রচার করে দেশে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা করা হল সেই তাদের শাসনামলের চেয়ে বিদ্যুত বিভাগে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন সূচিত হয়েছে কি ? নাকি অবস্থা আরও শোচনীয়তার দিকে ? দৈনিক সমাকালের সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের বিদ্যুত খাত নিয়ে একটি গবেষণামূলক নিবন্ধে সাংবাদিক মীর আব্দুল আলীম লিখেছিলেন, ‘সরকার বিদ্যুত উৎপাদনের নামে তরল জ্বালানীভিত্তিক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্লান্টগুলোর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈীতির ওপর বার্ষিক ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির দায় চাপিয়ে দিয়েছে । নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বিদ্যুত বিভাগ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, এতো কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নয় বরং কিভাবে কুইক টাকা আত্মসাৎ করা যায় তার ফন্দি ।

সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল, বিদ্যুত বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজধানী শহর থেকে দৈনিক এক ঘন্টা বিদ্যুত সাশ্রয় করে কৃষককে নিরবিচ্ছিন্ন সেচের ব্যবস্থা করা দেয়া হবে । যাতে কৃষক সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত নির্বিগ্নে সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদনের পরিমান বৃদ্ধি করতে পারে । অথচ পত্রিকার পাত খুললেই ভিন্ন খবর ‘বিদ্যুতের অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছেনা কৃষক’‘কৃষকের মাথায় হাত’ । এমন মারাত্মক বিদ্যুত বিভ্রাটের মধ্যে ২০১৪ সালের পহেলা মার্চ থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটিরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম শতকরা প্রায় ৭ শতাংশ (৬.৯৬%) বৃদ্ধি কার্যকর করেছে । পূর্বে ছয়বার ধাপে ধাপে দাম বাড়ানো হলেও পরবর্তীতে আর দাম বাড়ানো হবে না বলে বিদ্যুত বিভাগ যে প্রতিজ্ঞা করেছিল তাও তারা ভঙ্গ করল । মানুষ টাকা দিয়ে হলেও একটু আরামে থাকতে চায় । যদি বাড়তি টাকা দিতে হয় এবং বিপদ আরো বাড়ে তবে কার সেটা ভালো লাগে ? দেশের জনগণ সরকারের শত্রুদের কথা কিংবা সরকারের বাইরের কারো কথা বিশ্বাস করে না শুধু সরকারের কথাই বিশ্বাস করে । সুতরাং সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিদিন যেন একঘন্টার বেশি লোডশেডিং দেয়া না হয় । যদি একঘন্টার অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হয় তবে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থায় যেমন ধস নামবে তেমনি অসহ্য যন্ত্রনায় মানুষ কাতর হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বে । কেউ কেউ মারা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না । কাজেই সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চলমান সমস্যা সমাধানে যতদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবে সেটা তাদের জন্য যেমনি মঙ্গলের হবে তেমনি দেশবাসীর জন্যও কল্যানের হবে । সরকারের উচিত যে বা যাহারা বিদ্যুত খাতকে ধ্বংসের জন্য কলকাঠী নাড়ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আশু পদক্ষেপ নেয়া । বাড়তি দাম দিয়েও মানুষ বিদ্যুত পাবে না তাতো হয়না । সরকারের ভাষ্যমতে বিদ্যুত উদ্ধৃত্ত্ব থাকার কথা তারপরেও দৈনিক গড়ে দশঘন্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকতে হয় কেন তার জবাব সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে ।

(এ লেখাটি লিখতে শুরু করেছি রাত্র ১১-২২ মিনিট থেকে এবং শেষ করিছি ১২-৪৬ মিনিটে । দীর্ঘ এই সময়টাতে এক মিনিটের জন্যও বিদ্যুত ছিল না)

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।



বিষয়: বিবিধ

১০৫৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

212262
২৩ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
ফেরারী মন লিখেছেন : যে লাউ সেই কদু। কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে কোনো লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না। আগেও কারেন্ট গেলে আর আসতে চাইতো না এখনো তাই।
212423
২৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বিদ্যুত নাকি এক সেকেন্ড ও লোড শেডিং নাই!!!
আবার দশহাজার মেগা ওয়াট এর উৎসব ও হলো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি হলো।
এসি এবং বিভিন্ন ইলেকট্রিক এপ্লায়েন্স এর ব্যবহার এখন বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের অতি দুরদর্শি সরকারি কর্মকর্তারা তাদের বৃটিশ আমলের ফর্মুলা দিয়েই বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা নির্নয় করেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File