আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১৪ মার্চ, ২০১৪, ০৮:১১:৩৪ সকাল

বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতির মাত্রাটা বেশি । আবার ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটমোদীরা ক্রিকেট নিয়ে একটু বেশিই মেতে থাকে । আর সেটা যদি হয় ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণ টি-টুয়েন্টির ধামাক্কা ধুম-ধাম তবে তো কথাই নাই । বাংলাদেশীদের পরিচিতি বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছানোর পিছনে ক্রিকেটের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি । ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তি হিসেবে বাঙালী টাইগাররা বার বার বিশ্বকে জানান দিয়েছে, দাড়াও ! আমরাও আসছি । ক্রিকেটের সাবেক পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান পরাশক্তি ভারতসহ বিশ্বের সকল দলকেই দু’একবার নাকানি চুবানী দিয়েছে বাংলার তরুন তুর্কীরা । তাইতো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে মাঠে নামার আগে বিশ্বের ক্রিকেট পরাশক্তিগুলো যেন একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে, বাংলাদেশকে দারুনভাবে সমীহ করে । আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেষ্টের মধ্য দিয়ে টেষ্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয় । টেষ্ট ধৈর্য্যরে পরীক্ষা । আর সে ধৈর্য্যে বাংলাদেশ একটু পিছিয়ে । টেষ্টে বাংলাদেশ তেমন উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য অর্জন করতে না পারলেও প্রতিটি টেষ্টেই প্রতিপক্ষকে রীতিমত ঘাম জড়িয়ে ছেড়েছে । ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ততোটা উর্বর না হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২০০২ সালে পাকিস্তানকে তুলোধুনো করাতে বাংলার টাইগারদের দাপট বিশ্ববাসী টের পেয়েছিল । টেষ্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থা কিছুটা নড়বড়ে হলেও ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। কোন দলই বাংলাদেশকে ছাপিয়ে বড় মাপের পার্থক্যের কিছু করতে পারে না । বাংলাদেশের জয়-পরাজয় যাই আসুক না কেন তার ব্যবধান থাকে একেবারে সামান্য । বিশ্বের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেট পরাশক্তির সবগুলোইকেই দু-চারবার করে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে আমাদের সোনার ছেলে টাইগাররা ।

ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণ, সংক্ষিপ্ত ভার্সণ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট । এখানে বলের গুনাগুন বিচারের চেয়ে সীমানার উপাড়ে বলকে আছরে ফেলার প্রবনতাই বেশি । সেটা মাটি ছুঁয়ে হোক কিংবা হাওয়ায় ভেসে ভেসে । টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে যেমন সময়ের অপচয় কম হয় তেমনি প্রতিটি বলই বহন করে টানটান উত্তেজনা ও ভরপুর বিনোদন । যারা টেষ্ট কিংবা ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিপুল সময় অপচয়ের কারনে অপছন্দ করেন সেই তারাই টি-টুয়েন্টি উপভোগের জন্য শত ব্যস্ততার মধ্যেও অবসর বের করেন এবং চরম রাশভারী স্বভাবের ব্যক্তিটিও খেলা উপভোগ করার মূহুর্তে দাঁত কেলিয়ে হাসেন কিংবা সর্বদা হাস্যোজ্জ¦ল ব্যক্তিটিও গম্ভীর হয়ে থাকেন। ভারতীয় উপমাদেশ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্র ধনী এবং খুবই সময় সচেতন । ওয়ানডে কিংবা টেষ্ট ক্রিকেট উপভোগের জন্য তাদেরকে ততোটা মাঠে টানতে পারে না অথবা অলসভাবে টিভির সামনে বসাতে পারে না কিন্তু টি-টুয়েন্টির কথা শুনলেই তাদের রক্তে শিহরণ জাগে, পুলকিত হয় । তারাও মাঠপানে ছোটে অথবা উষ্ণ কফির মগ হাতে পরিবারে সবাইকে নিয়ে টিভির সামনে বসে ।

বাংলাদেশের বিপিএল, ভারতের আইপিএল, শ্রীলঙ্কার সিপিএল, পাকিস্তানের পিপিএল কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট ক্রিকেটপ্রেমীদের দিয়েছে নতুন আনন্দ উৎসবের উপলক্ষ । এসকল ক্রিকেটের আসরে বিশ্বের প্রতিটি দেশের নামী-দামী তারকার একত্রিত হয়ে খেলায় অংশগ্রহন করে । এ যেন ক্রিকেট তারকাদের এক মিলন মেলা । এছাড়াও দ্বি-পাক্ষীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ বিশ্বের সকল ক্রিকেট মোদীদের আনন্দে উদ্ধেলিত করে । টেষ্ট কিংবা ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে খেলতে ক্রিকেটাররা এবং এ দীর্ঘ পরিসরের খেলা দেখতে দেখতে দর্শকরা যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে টি-টুয়েন্টিতে তেমনটা না হয়ে, হয় ঠিক এর উল্টোটা । টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে খেলোয়ারের থাকে নব উদ্যমে, শক্তিতে বলীয়াণ এবং দর্শকদের মধ্যে থাকে নতুন আশা, আনন্দ বিরাজমান। টেষ্ট অথবা ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে সামর্থ বা শক্তি আছে তার চেয়ে কয়েগুন বেশি সামর্থ বা শক্তি রাখে টি-টুয়েন্টিতে। এখানে বাংলাদেশ হারার আগে হারে না । প্রতিপক্ষের দুই শতাধিক রানও বাংলাদেশের জন্য টপকানো অসাধ্য না আবার বাংলাদেশের করা ১২০ রানও প্রতিপক্ষের কাছে পাহাড়সম । টেষ্ট বা ওয়ানডে ক্রিকেটের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানের চেয়ে বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি পরিসংখ্যান অনেক মানানসই ।

আমাদেরকে ভূলে গেলে চলবে না, যেখানে শতভাগ সফলতার সম্ভাবনা থাকে সেখানে ব্যর্থতার সম্ভাবনাও থাকে শতভাগ । খেলাধুলায় মধ্যম পন্থা বলে কিছু নাই । হয় জয় নয়তো হার । আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রচন্ড ভালবাসার কারনে বাংলাদেশকে নিয়ে আকাশচুম্বী আশা পোষণ করি । সব সময় মনে রাখতে হবে, সামর্থের সীমাবদ্ধতা থাকে । ক্রিকেটাঙ্গনে আমরা পা রেখেছি কেবল যুগ পেরিয়েছে । এত অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যাদের সাথে টক্কর দিচ্ছি তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে শতবর্ষ বা তার থেকেও বেশি সময় অতিক্রান্ত করে ফেলেছে । তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের চেয়ে শতগুন বেশি । অনেক কাট-খড় পেড়িয়ে তারা বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে । আমাদের ক্রিকেটে বিপুল সম্ভাবনা আছে । আমরা যে হারে উন্নতি করছি, উন্নতির এ ধারা যদি অব্যাহাত থাকে তবে কিছুদিনের ব্যবধানে আমরা তাদেরকে পিছনে ফেলতে পারব । আমাদের ছেলেরা মাঠে খুবই ভালো করছে । তাদেরকে আরো সময় দিতে হবে । ভৌগলিক কারনেই আমাদের মেজাজ একটু কড়া । বাংলাদেশ যখন ভালো করে তখন আমরা তাদেরকে মাথায় নিয়ে নাচি, তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকি। বাংলাদেশের প্রতিটা জয়ে আমাদের আনন্দ করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশ যখনই আমাদের আশার প্রতিফলন ঘটাতে না পারে তখন আমরা তাদের গোষ্ঠীসহ উদ্ধার করি । এটা খুবই খারাপ । এটা যেমন করে খেলার আনন্দকে মাটি করে তেমনি পারস্পরীক সৌহার্দ-সম্প্রীতিকে খাঁটো করে । আমাদের টাইগাররা জয়ের জন্যই মাঠে নামে । তাদের সর্বস্ব উজাড় করে চেষ্টা করে । তারপরেও নিয়তি বলে তো কিছু একটা আছে । আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, ভারত পাকিস্তানের মত আমাদের সোনার ছেলেরা খেলতে নামার আগেই ম্যাচের ফলাফল বিক্রি করে দেয় না । সামান্য কিছু টাকার চেয়ে দেশের মর্যাদা রক্ষার লড়াই তাদের কাছে যেমন অনেক বেশি মূল্যের তার চেয়েও বেশি সম্মানের।

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ আসর একেবারেই সন্নিকটে । ১৪ই মার্চ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল । আগামী ১৬ই মার্চ মাঠে বল গড়ানোর মধ্য দিয়ে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে । গত পাঁচটি বিশ্বকাপে ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজ প্রত্যেকেই একবার করে শিরোপা অর্জন করেছে । এ বারের বিশ্বকাপে এমনি কোন এক দেশ শিরোপা পাবে । পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে জনপ্রিয় ধারা ভাষ্যকার ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তান ভারত ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে সম্ভাব্য শিরোপার দাবীদার হিসেবে উল্লেখ করেছে । বাংলাদেশী ক্রিকেটের একজন সচেতন অনুরাগী হিসেবে আমি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছি । ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের পারফমেন্স বরাবরই ঈর্ষণীয় । হোম এডভ্যান্টেজকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশও যদি ৬ষ্ঠ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফির মালিক হয়ে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না । কোন প্রতিবন্ধকতা আমাকে এমন আশা থেকে রুখবে ? আমাদের আছে বিশ্ব সেরা অলারাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল, কুল ক্যাপ্টেন অথচ স্ট্রোক মেকার মুশফিকুর রাহীম, সুপার ফিনিশার নাসির হোসেন, এশিয়ার অন্যতম সেরা স্পিনার সোহাগ গাজী, গতি মানব মাশরাফি এবং রুবেল হোসেনরা । এত তারকা সম্মৃদ্ধ একটি দল শুধু টি-টুয়েন্টি কেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফিও আমাদের হাতে তুলে দিতে পারে । সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে আছে এদেশের ষোল কোটি মানুষ । যারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সূখ-দুঃখের সাথী হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে । বাংলাদেশের সকল মানুষের পক্ষ থেকে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ আসরে যাতে বাংলাদেশ আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করে, বাংলাদেশের মানুষকে আনন্দে কাঁদাতে পারে সে রকম কিছু কামনা করি ।

স্বাধীনতার মাস মার্চ । ১৯৭১ সালের মার্চ মাসেই আমরা অর্জন করেছিলাম আমাদের স্বাধীনতা । ২০১৪ সালের মার্চ মাসেও যেন আমাদের গর্বিত ক্রিকেটররা সে রকম আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করতে পারে সে আশায় তাদের পানে চেয়ে রইলাম । খেলা শুধু খেলার জন্য নয়, খেলা আনন্দের জন্য, চিত্তবিনোদনের জন্য । খেলা যেমন করে শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনিভাবে মনকে প্রফুল্ল রাখে । বাংলাদেশ যখন বিশ্বের অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলে তখন একান্তভাবে বাংলাদেশের সাপোর্ট করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব । যারা এর বিপরীত কিছু করে তাদেরকে বুঝতে হবে হয় তাদের মানসিক সমস্যা আছে নয় রক্তের সমস্যা আছে । তবে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দুই দল যখন পরস্পরের মূখোমূখি হয় তখন ব্যক্তির পছন্দানুযায়ী যে কোন একদলের সাপোর্ট করা যাবে । এখানে খেলা বর্হিভূত অন্য কোন ইস্যু টেনে এনে খেলার আনন্দ মাটি করে এমন আচরণ করা মূর্খতা বহি অন্য কিছু নয় । বিশেষ করে ভারত পাকিস্তান খেলার সময় আমাদের দেশে ভারত এবং পাকিস্তানের পতাকায় মোড়ানো হয় । দেশের রাজধানীসহ বিভাগীয় অনেক শহরকে চিনতে কষ্ট হয় । স্বাভাবিক অবস্থায় বোঝাই যায় না এটা কি বাংলাদেশ নাকি ভারত অথবা পাকিস্তানের কোন অংশ । কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারত এবং পাকিস্তানের পতাকার নিচে বাংলাদেশের পতাকা টানিয়ে রাখা হয় । ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার খেলার পক্ষপাতিত্ব নিয়ে আপনজনদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি এমনকি হাতাহাতিও হয় । এমনটা হওয়া অবশ্যই কাম্য নয় । খেলা দেখা কিংবা শোনা কিংবা কোন দলকে সাপোর্ট দেয়ার ব্যাপারে প্রত্যেকেরই স্বাধীনাতা আছে । সে স্বাধীনতার উপর রাষ্ট্র বা অন্যকোন কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সেটা আদৌ গ্রহনযোগ্য হবে না । সবশেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মঙ্গল কামনায় এবং আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যের আশায় প্রহর গুনছি । গর্জে ওঠো বাংলাদেশ ! বিশ্বকে জানিয়ে দাও তোমরা বাঘ । বাঘ শিকার শুধু শিকার করে, কারো শিকার হয় নয় । বাংলার বাঘেরা ! তোমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাও । এদেশের ষোল কোটি মানুষের প্রার্থনা তোমাদের নিত্যকার সাথী ।

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।



বিষয়: বিবিধ

১১৬০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

192052
১৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
তানভীর রানা জুয়েল লিখেছেন : ভালো লাগলো |
192092
১৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
হতভাগা লিখেছেন :

১. ''বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২০০২ সালে পাকিস্তানকে তুলোধুনো করাতে বাংলার টাইগারদের দাপট বিশ্ববাসী টের পেয়েছিল ।''

০ ২০০২ না হয়ে হবে ১৯৯৯।

২. ''টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ আসর একেবারেই সন্নিকটে । ''

০ ১ম টি পায় ভারত (২০০৭-সাউথ আফ্রিকা))

২য় টি পায় পাকিস্তান (২০০৯- ইংল্যান্ড)),

৩য় টি ইংল্যান্ড (২০১০- ওয়েস্ট ইন্ডিজ)),

৪র্থ টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০১২- শ্রী লংকা)।

৫ম টি কবে , কোথায় অনুষ্ঠিত হয় এবং কারা শিরোপা জেতে ?

৩. ১৪ই মার্চ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল ।

০ আজকেই তো ১৪ই মার্চ । গতকাল মানে ১৩ তারিখেই তো উদ্বোধন হলো !

৪. গত পাঁচটি বিশ্বকাপে ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজ প্রত্যেকেই একবার করে শিরোপা অর্জন করেছে ।

০ শ্রী লংকা কবে , কোথায় , কাকে হারিয়ে টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছিল ?


******************************************************************


''প্রতিপক্ষের দুই শতাধিক রানও বাংলাদেশের জন্য টপকানো অসাধ্য না আবার বাংলাদেশের করা ১২০ রানও প্রতিপক্ষের কাছে পাহাড়সম । টেষ্ট বা ওয়ানডে ক্রিকেটের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানের চেয়ে বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি পরিসংখ্যান অনেক মানানসই । ''

০ বাংলাদেশ টি২০ তে কার সাথে ২০০ রান চেজ করে জিতেছে ? ১২০ রান করেও ডিফেন্ড করেছে ?

http://stats.espncricinfo.com/bangladesh/engine/records/team/match_results_year.html?class=3;id=25;type=team

দয়া করে লিংকে গিয়ে দেখে আসুন । এটাতে নেই । আপনার জানা থাকলে লিংক দিয়ে দিয়েন ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ক্রিকেটের ৩ টা ভার্সনের মধ্যে টি২০ তেই বেশী দুর্বল । টেস্টেও দূর্বল , তবে ইদানীং কিছু ড্র করা শিখেছে ।

বাংলাদেশ ভাল খেলে ওয়ানডেতে । পরিসংখ্যান তাই বলে ।

টি২০তে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স খুবই পুওর । একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোন বড় দলকে তারা হারাতে পারে নি ।

এবার তারা কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলবে । গ্রুপের প্রধান ও সম্ভবত একমাত্র বাঁধা আফগানিস্তান । টি২০ র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ তাদেরও নিচে । এশিয়া কাপে হারার স্মৃতি এখনও তরতাজা । প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তান যেরকম খেলছে ( আজকের ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের সাথে ১৬৮ রান করেছে ) ভয় হয় বাংলাদেশকে না আবার নিজেদের মাটিতেই দর্শক হয়েই থাকতে হয় মূল পর্বে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File