সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ কিসের ইঙ্গিত বহন করে ?
লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:১৭:২৩ রাত
বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবুল ফজল বলেছিলেন ‘জাতীয় সংবাদপত্র জাতির কন্ঠস্বর, সে কন্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেওয়া মানে জাতিকে বোকা বানিয়ে দেওয়া’ । বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সরকার কর্তৃক কয়েকটি সংবাদপত্রকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং পত্রিকার ছাপাখানাগুলোকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে । আবুল ফজলের ভাষ্যমতে জাতি বোকা হয়েছে কিনা সে খবর নিশ্চিত করে দিতে পারব না । বাংলাদেশে বর্তমানে ডজন দু’য়েক জাতীয় পত্রিকা আছে তার মধ্য থেকে মাত্র দু’টো পত্রিকাকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । সুতরাং সংবাদপত্রের সমষ্টিগতহারে বন্ধকৃত সংবাদপত্রের সংখ্যা খুবই কম । সে কারনে জাতি বোকা হয়েছে সেটা ততোটা জোড় দিয়ে বলা যায়না । বরং জাতির বু্দ্ধি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে সেটা বলা যায় ।
আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সেটা নবম এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের উপর দৃষ্টিপাত করলেই বুঝা যায় । নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের সংসদীয় ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৩০টি এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৬টি আসন প্রাপ্তিই আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয় । এত জনপ্রিয় সরকারেরও ভুল-ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয় । সরকারের এ ভুল তাদের অজান্তেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । আওয়ামীলীগ দলটি যেহেতু মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয় সেহেতু তাদের ভূল হবে এবং তারা ভূল শোধরাণোর চেষ্টা করবে এটাই হওয়া উচিত । বাল্য বেলায় পাঠশালার এক স্যারের মূখে শুনেছিলাম ‘মানুষের ভুল হয় কিন্তু শয়তানের ভুল হয় না’ । আওয়ামীলীগ তাদের শাসনকালে এত পরিমান উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে যা স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে । কথায় বলে ‘যে যত কাজ করে তার ভূলও ততো বেশি হয় আর যে কাজ করে না তার ভূল হয় না’ । আওয়ামীলীগ তাদের শাসনামলে অসামান্য উন্নয়নের অন্তরালে ভূলও কম করেনি । কোন ব্যক্তি বা দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তার দৃষ্টিতে তার ভূল গুলো ধরা পরে না । একেবারে যে ধরা পরে না সেকথা বললে বাড়িয়ে বলা হবে বরং বিবেকবানদের দৃষ্টিতে ভূলগুলো অবশ্যই ধরা পরে । সকলের স্রষ্টাই জন্মের সময় সকলকে সমান মাত্রার বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করেন নি সুতরাং মানুষকে এ দোষে দোষী করে লাভ কি ? তবে স্রষ্টা এত উচ্চস্তরের মহান, যিনি তার সৃষ্টিতে সকল কিছু অন্য সকল কিছুর পরিপূরক করে সৃষ্টি করেছেন । স্রষ্টার সৃষ্টি কৌশলেই বোকাদের পাশে কিছু বুদ্ধিমান, অশিক্ষিতের কাছে কিছু শিক্ষিত, পাপীদের কাছে কিছু পূণ্যবানকে এবং ভুলকর্ম সাধনকারীদের কাছে কিছু পরামর্শক সৃষ্টি করেছেন ।
পৃথিবীতে যত মানুষ আছে সকল মানুষকে মোটামুটি তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । প্রথমত : স্তাবক দ্বিতীয়ত : নিন্দুক এবং তৃতীয়ত : সমালোচক । স্তাবক শ্রেণীর সংখ্যাটাই পৃথিবীতে বেশি । এরা সরকারের বা ক্ষমতাশীনদের তল্পিতল্পা বহন করে । নিজেদের সে অর্থে কোন জ্ঞান নাই । এদের গোটা জীবনটাই ব্যয় করে সরকারের বা ক্ষমতাশীনদের অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে । বোধহীন সরকার বা শাসকগোষ্ঠী এদেরকে তাদের একনিষ্ঠ কর্মী বা সমর্থক মনে করলেও এদের উদ্দেশ্য মোটেই ভাল না । এরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য চাটুকারিতা করে । অত্যন্ত দূর্ভাগ্যের হলেও সত্য যে, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের শাসকদের ঘিরে এমন অনেক স্তাবক শ্রেনীর মানুষ বিচরণ করে । নিন্দুক শ্রেণীর মানুষগুলো সবচেয়ে জঘন্য । এদের দৃষ্টিতে অপরের দোষগুলোই কেবল ধরা দেয় । এরা কেবল অপরের নিন্দা করতেই জানে । অথচ যাদের নিন্দা করা হয় তাদের অসংখ্য ভাল কাজ থাকলেও সেগুলো নিন্দুকদের চোখে পরে না । তাদের চোখে কেবল খারাপ দিকটা পরে এবং সে অনুযায়ী তারা নিন্দা করে যেতে থাকে । নিন্দুকের নিন্দা থেকে সমাজের কোন স্তরের লোকই রেহাই পায় না । তবে নিন্দুকেরা জীবনেও নিজেদের ভূল দেখে না । তারা মনে করে তারা সঠিক পথে আছে । সর্বশেষ প্রকার হল সমালোচক । পৃথিবীতে এদের সংখ্যা নিতান্তই কম । তবে যে ক’জন দক্ষ সমালোচক আছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই শাসক শ্রেণীর অগ্নিদৃষ্টির সামনে থাকেন । পান থেকে চুন খসলেই এদের স্থান হয়ে শ্রীঘরে । বিশ্বের অন্যান্য দেশের শাসক বা সরকারেরা তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে ইতিবাচক ভাবে দেখলেও শুধু বাংলাদেশে সমালোচকদের দেখা হয় নেতি-বাচক দৃষ্টিতে । এর পেছনে অসংখ্য কারন আছে । ভৌগলিক কারনে বাঙালিদের মেজাজ একটু রূঢ় । সেজন্যই বোধ হয় বাঙালিরা তাদের বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা সহ্য করতে পারে না । বাংলাদেশে যতগুলো সরকার তাদের শাসনকার্য চালিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বেলায় একই অবস্থা চরিতার্থ হয়েছে । অথচ সমালোচকরা আমাদের বন্ধু হওয়া উচিত ছিল । পন্ডিত উইলিয়াম জেফারসন বলেছিলেন ‘ সমালোচককে কখনো শত্রু ভেবো না, সে-ই তোমার প্রকৃত বন্ধু’। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেফারসনের কথা সত্য হয় নি । বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর কাছে সমালোচকেরা বন্ধু না হয়ে শত্রু হিসেবেই পরিগণিত হয়েছে । সময়ের পরিবর্তনের সাথে সব কিছুর মাত্রা বৃদ্ধি পায় । গত সরকারগুলোর সময়ে সমালোচকদের যত বিড়ম্বনার সম্মূখীন হতে হয়েছে তবে সেসকল সময়ের চেয়ে নবম এবং দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সরকারের শাসনামলে সমালোচকদের বেশি নির্যাতেনের মুখোমুখি হতে হয়েছে ।
বাংলাদেশে যতগুলো পেশা এবং বৃত্তি আছে তার মধ্যে অন্যতম মহান পেশা সাংবাদিকতা । এ পেশায় একদিকে যেমন হুমকি এবং চ্যালেঞ্জ আছে তেমনি অন্যদিকে আছে জনপ্রিয়তা এবং পরিতৃপ্তির সূখ । অতীতে সাংবাদিকরা নিরপেক্ষ থেকে জনতার কথা বললেও আজ আর তেমনটা দেখা যায় না । সাংবাদিকদের লেখা অথবা সংবাদ উপস্থাপনের ভঙ্গিমা শুনলে মনে হয় তিনি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন । বাংলাদেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল থাকার কারনে সাংবাদিকদের বড় অংশটি এ দু্’ই দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে । তারপরেও তাদের মধ্যে ঐক্য আছে । একজনের বিপদে সবাই একসাথে এগিয়ে আসে । সাহায্যের হাত বাড়ায় । এসময় তাদের কোন দলীয় ব্যানার থাকে না । সাগর-রুনি হত্যার পর আমরা এ দৃশ্য বারবার দেখেছি । তাইতো আজও পেশার জগতে সাংবাদিকতা মহান হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত আছে । এখনো কারো বিপদে কেউ হাততালি দেয় না বরং সবাই একতাবদ্ধ হয়ে বিপদের মোকাবিলা করে । বর্তমান সরকারের মূখপাত্র হিসেবে কয়েকটি সংবাদপত্র এবং মিডিয়া কাজ করে তেমনি বিরোধীদলের মূখপাত্র হিসেবেও কয়েকটি সংবাদ পত্র কাজ করে । তথ্য ও প্রযুক্তি আইন থাকার কারনে সরকার পক্ষদল এবং বিপক্ষ দলকে একটি নিয়মের মধ্যে থাকতে হয় । তাদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় । ইচ্ছা করলেই সংবাদপত্র বা মিডিয়া তাদের খেয়াল খুশিমত সংবাদ উপস্থাপন করতে পারে না । সেক্ষেত্রে বলা যায় যে সকল সংবাদপত্র বা মিডিয়া কিছুটা সরকারের বিরুদ্ধভাবাপন্ন তারা সরকারের সমালোচক । তারা সরকারের উন্নয়নের বাহবা দেয়ার সাথে সরকারের দোষ-ত্রুটিগুলোও তুলে ধরে ।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের তরফ থেকে বন্ধ করে দেয়া হল এম এম বাহাউদ্দিন খান সম্পাদিত দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা । গত ১০ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার তারা তাদের প্রধান শিরোনাম করেছিল ‘সাতক্ষীরায় যৌথবাহীনির সাথে ভারতীয় বিএসএফ’ । খবরের ভিত্তি হিসেবে তারা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময়ী অনলাইন পোট্রাল বিডি টুমোরোকে । বিডি টুমোরো ৮ই জানুয়ারী রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কতগুলো ফ্যাক্স এর ডকুমেন্ট প্রকাশ করে । সেখানে বলা হয় সাতক্ষীরায় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা বাহিনী জামাত শিবিরের উৎপাত দমন করতে ব্যর্থ হয় । যেটা আওয়ামী সরকারের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে জামআত এবং শিবিরকে দমন করার জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজনকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বলা হয় । ভারত এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রক্ষা করে । অনলাইনের এ খবর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় অবহিত হয়ে বিবৃতি দেয় । সেখানে বলা হয় সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর সাথে ভারতীয় বাহিনীর সম্পৃক্ততা নেই সেজন্য কেউ যেন বিভ্রান্তির শিকার না হন । ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সরকারের অন্ধ দালালি করা পত্রিকাটি হঠাৎ করেই বিগড়ে যায় এবং সরকারের দোষত্রুটি যথাযথভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালায় । একসময় ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও দৈবক্রমে গ্রেফতার থেকে বেঁচে যান । ১০ই জানুয়ারী যৌথবাহিনী কর্তৃক ইনকিলাব কার্যালায় তল্লাসি করার সময় ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক সহ চারজন গ্রেফতার হলেও একজনকে ছেড়ে দেয়া হয় । এম এম বাহাউদ্দিন খান দেশে থাকলে তিনিও গ্রেফতার হতেন সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় । কেননা যে মামলায় ইনকিলাব কার্যালয়কে সিলগালা এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় সে মামলায় বাহাউদ্দিন সাহেব ছিলেন প্রধান আসামী ।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার দেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার অলিউল্লাহ নোমান কর্তৃক স্কাইপি কেলেংকারি প্রকাশ করার কারনে আমারদেশ পত্রিকাকে বন্ধ করা দেয়া হয় এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক জনপ্রিয় মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় । ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে হেফাজতের কর্মী সমর্থকদের উপর সরকারী বাহিনী কর্তৃক চালানো নির্যাতনের দৃশ্য ধারন করার কারনে বন্ধ করে দেয়া হয় দিগন্ত এবং ইসলামিক টেলিভিশনকে । এবার বন্ধ করে দেয়া হল ইনকিলাব পত্রিকাকে । এছাড়াও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চ্যানেল ওয়ানকে ।
বন্ধ হওয়া এসকল সংবাদ পত্র এবং মিডিয়া যাদের সমর্থক হোক না কেন এরা সরকারের সমালোচক ছিল এটা বিনা বাক্য ব্যয়ে বলা যায় । সরকারের পক্ষ থেকে এসকল সমালোচনাকে গ্রহন করে সরকারের ভুল-ত্রুটি কিভাবে শোধরাণো যায় সে পথ অন্বেষণ করা উচিত ছিল । এবং এসকল সমালোচকদের সাধুবাদ জানানো উচিত ছিল । কিন্তু সরকার সেটা না করে বরং কিভাবে সমালোচকদের কন্ঠ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হয় সেটার চেষ্টা করেছে । ক্ষমতার মোহ মানুষকে অন্ধ বানায় । আওয়ামীলীগ এবং তাদের সমর্থকেরাও কি সেই পথে হাটছে ? গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ কি এরকম কোন ঘটনার ইঙ্গিত দেয় ? গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে আবারও কি বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিকে হাটছে দেশ ? ১৮ই জানুয়ারী বিবিসি বাংলা কর্তৃক আয়োজিত সংলাপে অংশ নেওয়া দর্শকদের মধ্য থেকে একজন প্রশ্ন করেন ‘সরকারী পদক্ষেপের কারনে একটি গণমাধ্যম বন্ধ হলে তাকে কি অন্য গণমাধ্যমের জন্য একটি হুশিয়ারী সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা যায় ? এ প্রশ্নের উত্তরে ‘বাংলাদেশের স্থপতি’ সংস্থার সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন,‘...........মিডিয়াকে সংযতভাবে কাজ করতে হবে এবং কথায় কথায় যেন কোন মিডিয়া বন্ধ করা না হয়, সে ব্যাপারে সরকারের সচেষ্ট থাকা উচিত’। এ প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব মাহবুবুর রহামান বলেন, গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা থাকতে হবে । সরকার বিরোধী কথা বললেই প্রেস সিলগালা করা হয় । এটা আমি সমর্থন করি না’ ।
শুরুতে আবুল ফজলের একটি উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম, আবারও সেটাই স্মরণ হল । প্রতিটা গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার পর বাংলাদেশের দু’বারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এসকল মিডিয়া বন্ধ করা হয় নি । যদি বন্ধ হয়েও থাকে তবে অচিরেই এগুলো খুলে দেয়া হবে । এত প্রভাবশালী একজন মন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন আজও দেখতে পায়নি এদেশের জনগণ । সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ করে জনগনকে বোকা বানানো না গেলেও তথ্য মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে জনগণ ঠিকই বোকা হল ।
লেখক : রাজু আহমেদ । সমাজসেবী ও গবেষক ।
বিষয়: বিবিধ
১০২২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তারা স্বাধীনতা চায় এবং স্বাধীন বাকশাল নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারই প্রথম ধাপ আর কি?
সহমত
মন্তব্য করতে লগইন করুন