বিএনপি জামা’আতের সঙ্গ ছাড়লেই কি সংকটের সমাধান হবে

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:২৫:৪৮ দুপুর

শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ জামা’আতে ইসলামীর দোষ তারা উগ্রপন্থী জঙ্গী সংঘঠন । শুধু জঙ্গিসংঘঠন হলে কঠোর হস্তে দমন করে তাদেরকে শোধরাণো যেত । কিন্তু জামাআতের সবচেয়ে বড় অপরাধ তাদের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী । ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামা’আতের বর্তমান অনেক নেতাই পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীকে সাহায্য সহযোগিতা করেছে । শুধু তাই নয় তারা বাঙালীদের উপর অমানুষিক বর্বরতা, নির‌্যাতন, লুটতরাজ, ধর্ষণ এবং হত্যাযঙ্গ ঘটিয়েছে । আওয়ামীলীগের বর্তমান সময়ের কথাবার্তায় এরকমটাই প্রমাণ হয় । তাইতো দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সরকার দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যে রুপরেখা সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেছেন, তাতে শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া যদি জামাতের সঙ্গ ছেড়ে আলোচনায় আসেন তাহলে মূহুর্তেই চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব । প্রধানমন্ত্রীর এসকল কথা শুনে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে । তার মধ্যে অন্যতম কতগুলো প্রশ্ন হল : বিএনপি জামা’আতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়তে পারবে কিনা ? যদি বিএনপি জামাতের সঙ্গ ছাড়ে সেটা কতোটা যৌক্তিক হবে ? বিএনপি যদি জামাআতের সঙ্গ ছাড়ে তবে বিএনপির অস্তিত্ব কতটা মজবুত থাকবে ? জামআতের দোষ কি শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নাকি এর অন্তরালে অন্য কিছু লুক্কায়িত ?

শুরুতেই খোঁজ নিয়ে জানা দরকার, জামা’আতে ইসলামের উপর আওয়ামীলীগের যত ক্ষোভ তা কি শুধু মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য ? নাকি এর অন্তরালে সুক্ষ কোন কারন আছে ? বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতহাসের অন্তরালের ইতিহাস অনেকটা অজানা । অন্তত ইতিহাসের গোপন কথাগুলো সেরকমই ইঙ্গিত দেয় । স্বাধীনতা যুদ্ধ অনেকটা চেয়ার দখলের লড়াইয়ের মত ছিল । শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বাঙালী মুক্তিপাক সাথে সাথে একটা স্থায়ী চেয়ারও তার দখলে আসুক । অন্যদিকে পাকিস্তানের শাসকগণও চেয়েছিল তাদের দখলকৃত চেয়ার তাদের দখলেই থাকুক । সেজন্য পূর্ব পাকিস্তানের অনেক লোককে পশ্চিম পাকিস্তানীরা তাদের পক্ষে রাখতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । জামা’আত ইসলামীর নেতৃবৃন্দের একাংশের সাথে বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মুসলামরা ধারনা করেছিল, ১৬০০ কিলোমিটার দূরত্বের পাকিস্তান এতদূরে বসে এত নির‌্যাতন চালায় । পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হলে পড়শী ভারতের কাছ থেকে নির‌্যাতনের অন্ত থাকবেনা । কাজেই যেমন আছে তেমনিই ভালো । ধর্মপ্রাণ মুসলামানরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান আরও অনেক কারন আছে তার মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যম হিসেবে ভাষাগত ব্যবহারজনিত সমস্যা । পাকিস্তানের মাতৃভাষা ছিল উর্দু । পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের অনেক মানুষই ধর্মীয় শিক্ষার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করত । বিশেষ করে ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ছিল এই ভূ-খন্ডগুলোতে । যে সকল মুসলমানরা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করত তাদের উর্দু ভাষায় বিশেষভাবে পারদর্শী হতে হত । সেই দৃষ্টিকোনের প্রতি খেয়াল রেখে অনেকেই চাইত না পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাক ।

স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল একটা খেলার মত । অন্য খেলার মত এ খেলায়ও একপক্ষ জিতেছে অন্যপক্ষ হেরেছে । জয়ীদল জনমভরে কর্তৃত্ব করবে এটাই স্বাভাবিক । স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বা পক্ষে অবস্থান করেছিল এসকল মানুষের আওয়ামীলীগ বিএনপি অথবা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছিল না । তাদের সকলের একটাই পরিচয় ছিল মুক্তিযোদ্ধা অথবা হায়েনা । একপক্ষ ছিল স্বাধীনতার পক্ষে আরেক পক্ষ ছিল স্বাধীনতার ঘোরতর উল্টা । দু’দলই তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে নিজ নিজ দলের বিজয় অর্জনের জন্য । যুদ্ধে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জয় লাভ করেছে বিরোধীরা পরাজিত হয়েছে । ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর দেশ স্বাধীনতা অর্জনকরার পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নতুন করে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহন করতে শুরু করে । স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেমন আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামা’আত ইসলামসহ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যায় তেমনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিও এসকল রাজনৈতিক দলগুলোতে বিভক্ত হয়ে পড়ে । জয়ীদল তাদের উপর চালানো অত্যাচারের প্রতিশোধ নিবে এটাই স্বাভাবিক । সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার গঠন করার পর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা সবচেয়ে বেশি অপরাধ করেছিল এরকম ১৯২ জনের একটি তালিকা তৈরি করেন । বঙ্গবন্ধুসহ প্রায় সকলেই চেয়েছিল অন্তত এ ১৯২ জনের বিচার হোক । বঙ্গবন্ধু বিচারকাজ শুরুও করেছিলেন কিন্তু যখন দেখলেন এদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা হলে দেশে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টি হবে তখন তিনি সকল যুদ্ধাপরাধীকেই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন ।

স্বাধীনতার স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমান কর্তৃক দোষীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করার পরে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪০ বছর পর কেন যুদ্ধাপরাধী তথা মানবতাপরাধীদের বিচার ? স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ৪ বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট কালরাতে একদল বিপথগামী সেনার হাতে সপরিবারে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতে অবস্থান করার কারনে আল্লাহর রহমতে তারা বেঁচে যান । আওয়ামীলীগের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার পিছনে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত ছিল । ঘটনাটি রাতে ঘটায় প্রতক্ষদর্শী স্বাক্ষী না থাকায় যাদের বিচার হয়েছে তারা একজনও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলেন না বরং তাদের প্রত্যেকেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করেছে । জামা’আতে ইসলামী যদি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি হয়েই থাকে তাহলে আওয়ামীলীগ কেন রাজনৈতিক ভাবে ১৯৯৬ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সময় জামা’আতের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছিল ? এমনকি আওয়ামীলীগ যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারনে সরকার গঠন করতে পারছিলনা তখন জামা’আতের কাছে একটা সিটের জন্য হাত বাড়িয়েছিল । এসকল কথা বর্তমান সময়ের ইতিহাস । ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশদের আগনের পূর্বের যে সকল ইতিহাস আমরা পাঠ করি সেগুলো থেকে সুভাষ ছড়ালেও বৃটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশ ত্যাগ করার পরবর্তী ইতিহাসকে যতই নাড়াচাড়া করা হয় ততই দুর্গন্ধ ছড়ায় ।

পরবর্তী দু’টো প্রশ্নের উত্তর একই সাথে দিতে হবে । প্রশ্ন দু’টি আবারও একটু স্মরণ করিয়ে দিই ।এক : বিএনপি কি জামা’আতের সঙ্গ ছাড়তে পারবে ? দুই : বিএনপি যদি জামা’আতের সঙ্গ ছাড়ে তবে তাদের অস্তিত্ব কতটুকু মজবুত থাকবে ? প্রথম প্রশ্নের উওর একবাক্যে দিতে হলে অনেকেই বলবেন, কোন অবস্থাতেই এখন বিএনপি জামা’আতের সঙ্গ ছাড়তে পারবে না, ছাড়া উচিত নয় । বিএনপি ‍যদি জামা’আতের সঙ্গ ছাড়ে তাহলে বিএনপির অবস্থা অনেকটা দেউলিয়া হয়ে যাবে । আওয়ামীলীগ বিএনপিকে জামা’আতের সঙ্গছাড়ার আগে আদালত দ্বারা জামা’আতের নিবন্ধন বাতিল করিয়েছে । ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে বৈধভাবে জামা’আত ইসলাম নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারলেও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামা’আতকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয় (যদিও যোগ্য থাকলেও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করত না) । আওয়ামীলীগ যখন বিএনপির সকল দাবিকে অগ্রাহ্য করে একতরফা ভাবে নির্বাচনের পথে হাটতে শুরু করে তখন থেকেই বিএনপির এবং তাদের জোটের পক্ষ থেকে শুরু হয় হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচী । এসকল কর্মসূচী পালনের প্রথমদিকে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এবং স্থানীয় কিছু নেতা কর্মীদের মাঠে দেখা যেত । কিন্তু সরকারী শান্তি শৃঙ্খলাবাহীনি কর্তৃক বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিএনপির কোন নেতা কর্মীকে আর মাঠে দেখা যায় নি । এমনকি সাংবাদিকদের কাছে বা দলীয় কোন নোটিশ পাঠ করার ব্যক্তিও বিএনপিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি । অপরদিকে জামাআতের সকল শীর্ষস্থানীয় নেতা কারাগারে বন্দী থাকার পরেও জামাআতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছিল সরব । তাদের উপস্থিতি ছিল সর্বত্র । অনেকস্থানে সরকারী প্রশাসন তাদেরকে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে । আজ অথবা কাল এমন দিন আসবে যেদিন বিএনপি তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য জামা’আতকে ছেড়ে দিবে । এমনও হতে পারে জামা’আতও বিএনপিকে ছেড়ে চলে যেতে পারে । তবে বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে যে অবস্থা বিরাজমান, তাতে বিএনপির উচিত যে কোন মূ্ল্যে জামা’আতকে জোটবদ্ধ রাখা । ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর হওয়া দরকার” । এর বিপরীত যদি কিছু হয় তবে কুকুর মুগুরকেও ভক্ষন করে ফেলবে ।

বিএনপি জামা’আতের সঙ্গ ছেড়েও যদি দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনত পারত বা পারার নিশ্চয়তা থাকত তাহলে আমার চেযে বেশি খুশি আর কেউ হত কিনা সন্দেহ । আমি যতটুকু জানি দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব গঠনতন্ত্রে জনগণের কল্যান নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দেয়া আছে । সম্ভবত বাংলাদেশে জামা’আতে ইসলমামীও এর ব্যতিক্রম নয় । জনগনের কল্যানের জন্য বিএনপিকে ত্যাগ করতে তাদেরও কার্পণ্য করার কথা নয় । কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কতটুকু নিশ্চয়তা আছে ? নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইশতেহারে শুনেছিলাম, দেশের মানুষকে দশটাকায় চাল খাওয়ানো হবে, বিনামূল্যে সার দেয়া হবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া হবে, দেশকে ডিজিটাল করা হবে, দেশে লোডশেডিং বলতে কিছুই থাকবে না, পদ্মাসেতু নির্মান করা হবে, দেশকে দূর্ণীতি মুক্ত করা হবে আরও কত কি ! জনগণও বোধ হয় এর সবটাই পেয়েছে ! বরং এগুলো কিছু তো পায়নি বরং দেশে যে শান্তিটুকু অবশিষ্ট ছিল সেটুকুও হারিয়েছে । তাইতো প্রধানমন্ত্রীর কথানুযায়ী বিএনপি জামা’আতের সঙ্গ ছাড়লেই চলমান সমস্যার সমাধান হবে, তার নিশ্চয়তা কতটুকু ?

লেখক : রাজু আহমেদ । সমাজসেবী ও গবেষক ।



বিষয়: রাজনীতি

১৩১২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

163144
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
হতভাগা লিখেছেন : জামায়াত বাংলাদেশে তার শিকড় ছড়িয়ে দিচ্ছে এই বিএনপিকে আশ্রয় করেই ।

চিন্হিত দেশদ্রোহী জামায়াতের প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের দল বিএনপির এই লাই ৭১ পরবর্তী প্রজন্মের কাজে খুব গ্লানীকর মনে হয়েছে ।

আরও খারাপ লেগেছে এই রাজাকারদের মন্ত্রি বানানো এবং পতাকাবাহী গাড়ি সরবরাহ ।

জামায়াতকে সঙ্গে নেবার দায় বিএনপি হাজার বছরেও শোধ করতে পারবে কি না সন্দেহ ।

তরুন প্রজন্মকে চেতানোর ফল বিএনপি হাতে নাতে পাচ্ছে ।

তাই বিএনপির যতদ্রুত সম্ভব জামায়াতকে ছেড়ে মেইনস্ট্রীমে চলে আসতে হবে ।

জামায়াতের বংশ নির্বংশ করতে দেশবাসীকে বিএনপি এই ফেভার করতে বাধ্য ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
117449
রাজু আহমেদ লিখেছেন : চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন যেটা আমার মত মূর্খের দ্বার হয়নি । ভাই আপনার কাছে কয়েকটা প্রশ্ন

জামেআতের সাথে আওয়ামীলীগ প্রথম জোট বেধেছিল নাকি বিএনপি?

দেশে তরুন প্রজন্ম কয়জন ? এক গবেষণায় দেখা গেছে আগামী পাঁচ বছর পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যত ডাক্তার, প্রকৌশলী ও আইনজীবি বের হবে তার ৮০ শতাংশের বেশি শিবিরের কর্মী । যে শিবির জামাআতের অবিচ্ছেদ্দ অংশ ।

জামআতে থাকা রাজাকারেরাই কি মন্ত্রী হয়ে গাড়ীতে পতাকা উড়িয়েছে এরকম রাজকারের সংখ্যা আওয়ামীলীগে কি একজনও নাই ?

আরও অনেক প্রশ্ন আছে সেগুলো এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার পর করব আশাকরি উত্তর দিবেন ।

ও হ্যা আমি বাস্তববাদী এবং বাংলাদেশের একমাত্র দল জামাআত ইসলাম যাকে আমি অপছন্দ করি তবুও উত্তর গুলো চাই ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৩
117544
হতভাগা লিখেছেন : 'জামেআতের সাথে আওয়ামীলীগ প্রথম জোট বেধেছিল নাকি বিএনপি? ''

০ আওয়ামী লীগ , এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় । একমাত্র বিএনপিই তখন ১৯৮৬ এ নির্বাচনে না যাবার ঘোষণা দিয়ে তা ধরে রেখেছিল । ১৯৯১ এ বিএনপি জামায়াতের সাথে ,১৯৯৬ এ আবার আওয়ামী লীগ জামাতের সাথে এবং ২০০১ এ বিএনপি আবার জামায়াতের সাথে যোগ দেয় ।

যেই জামায়াতকে কাছে টানুক না কেন তারাই গেইন হয়েছে ।

জামায়াতও একেক সময় একেক জনের সাথে যাওয়া সে ঠেকায় পড়ে গেছে তা কিন্তু না । তারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই গেছে । ১৯৯১ এ বিএনপিকে সমর্থন দিয়েও ১৯৯৫-৯৬ এ আওয়ামী লীগের সাথে যোগ দিয়ে তত্ত্ববধায়কের ফর্মুলা এনে মাঠে নেমেছিল ।

আওয়ামী লীগকে দুই দুই বার লাভের গুড় পাইয়ে দিলেও এখন তারা আওয়ামী লীগের কাছেই ফাঁপড় খাচ্ছে ।

জামায়াতের এই বিপদকালে বিএনপিই তাদের সাথে আছে ১৯৮৬ ও ১৯৯৬ এ বিট্রে করা সত্ত্বেও ।

বিএনপি নিজের বদনাম করে হলেও জামায়াতকে আগলে রেখেছে , না হলে কচুকাটা হয়ে যেত কবে !

এটা জামায়াতের লোকেরা বোঝে , তাই বিএনপি যা কিছুরই ডাক দেয় শিবির তা পালন করে । বোঝে না শিবিরের আকাইম্যার ধাঁড়ি মাথামোটা কিছু গবেট ।

''দেশে তরুন প্রজন্ম কয়জন ? এক গবেষণায় দেখা গেছে আগামী পাঁচ বছর পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যত ডাক্তার, প্রকৌশলী ও আইনজীবি বের হবে তার ৮০ শতাংশের বেশি শিবিরের কর্মী । যে শিবির জামাআতের অবিচ্ছেদ্দ অংশ । ''

০ তার মানে মেডিকেল কলেজ , বুয়েট-কুয়েট-রুয়েট আর ঢাবি-জাবিতে ম্যাক্সিমামই শিবির ! তাই যদি হয় তাহলে কাদের মোল্লার ফাঁসিতে উনারা ঘাপটি মেরে ছিলো কেন ?

ইমরানরা যে গণজাগরন মন্চ করে ফাটিয়ে দিল তখন শিবিরের এই সব মেধাবীরা কোথায় ছিল ?

আপনার পরিসংখ্যান তো বাস্তবতায় প্রতিফলিত হয় নাই ।

''জামআতে থাকা রাজাকারেরাই কি মন্ত্রী হয়ে গাড়ীতে পতাকা উড়িয়েছে এরকম রাজকারের সংখ্যা আওয়ামীলীগে কি একজনও নাই ? ''

০ আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলেও যুদ্ধাপরাধী নেই - এটা হাসিনা নিজেই বলেছেন ।
163490
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
রাজু আহমেদ লিখেছেন : জনাব হতভাগা আপনার প্রশ্ন উত্তরের মধ্যেই আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে উত্তর রয়েছে ।

জামাআতকে নিষিদ্ধের যে দাবী এখন তোল হচ্ছে এ দাবী আরও ১৯৯৬ সালে তোলা হল না কেন ?

শেখ হাসিনার কথায় তার দলে রাজাকার আছে যুদ্ধাপরাধী নেই একথার তাৎপর্য বুঝতে হয়ত আমাকে আধ্যাত্মিক মাপের মানুষ হতে হবে ।

জামাআতকে সবাই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে টিকে আছে । এখন যদি জামাআত বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দেয় তাহলে বিএনপির পক্ষ থেকে জামআতকে নিষিদ্ধ করার দাবী তোলা হবে । এটাই রাজনীতি আর এটাই বাংলাদেশে চলে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File