সরকারের কাছে আম-জনতার প্রত্যাশা
লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪০:১৫ রাত
‘বিএনপি আন্দোলন করতে জানে না, আন্দোলন করার শক্তিও তাদের নাই’ । যারা বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতির টুকি-টাকি খবর রাখেন তাদের অনেকেই একথা বলেন । বিএনপির বর্তমান বেহাল অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় । আওয়ামীলীগ এবং তাদের জোট সমন্বয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করার পর বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠন থেকে কত প্রকার হুমকি দেয়া হয়েছে, তার কোন ইয়াত্তা নাই । বিক্ষোভ, হরতাল, অবরোধ, মার্চ ফর ডেমোক্রাসিসহ আরও কত প্রকার আন্দোলন । লক্ষ্য ছিল একটাই ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন হতে দেয়া হবে না । সকল পরিকল্পনা যখন একের পর এক ভেস্তে যাচ্ছিল তখন পরবাসী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশবাসীকে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছিল । তার ডাক দেশবাসীর মধ্যে কিছুটা রেখাপাত করলেও তাতে আওয়ামীলীগের মধ্যে তেমন কোন ভীতির সঞ্চার করতে পারে নি । বরং দেশবাসী যে রকম নির্বাচনী আমেজের কথা ভেবেছিল তার চেয়ে যেন কিছুটা বেশি পেয়েছে । সারা দিন ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা না গেলেও ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের মোড়কে আওয়ামীগ মিরাক্কেল দেখাতে সমর্থ হয়েছে । বিশ্বমিডিয়াসহ স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ভেবেছিলেন ৮-১০ শতাংশ ভোট পড়েছে । দিনশেষে তাদের চিন্তাচেতনাকে অপিরপক্ক প্রমান করে ভোট বিপ্লবের কথা ঘোষিত হল । ৭ই জানুয়ারি জানা গেল দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০.৫৬ শতাংশ । অনেকেই ভেবেছিল নির্বাচনের ফলাফল আশ্চার্যজনক হবে কিন্তু সেটা যে এত উচ্চমানের ম্যাজিক সেটা আমার মত বোকারা কল্পনা পারে নি ! এতকিছুর পর আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, বিদেশী বাঘা বাঘা ব্যক্তি, রাষ্ট্র এবং সংস্থার চাপেও সরকারকে বিশেষ করে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে একচুলও নাড়াতে পারে নি । এরকম দৃঢ় মানসিকতা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অবশ্যই ইতিবাচক দিক । সকল বাধাকে উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগ পূর্নাঙ্গ একটি সরকার গঠন করে প্রথম সংসদ অধিবেশনের আহ্বান করে ফেলেছে । আগামী ২৯শে জানুয়ারি বিকালে দশম সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিবস হবে । অনেকেই এ দিনটিকে ইতিহাসের জঘণ্য দিন হিসেবে ব্যাখ্যা করতে চাইলেও আমি তেমন কিছু ভাবি না । সন্তানের জন্ম বৈধ হোক আর অবৈধ হোক মায়ের কাছে সেটা অমূল্য । সমাজের সকল তিরষ্কারকে উপেক্ষা করে সে সন্তানকে আগলে রেখে মা বেঁচে থাকার চিন্তায় সবসময় ব্যস্ত থাকে । আমরা যারা সমাজের নিম্নস্তরের মানুষ তারা গভীর মমতায় এদেশকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই । সকল প্রকার ধ্বংসের কবল থেকে এদেশকে মুক্ত রাখতে এবং দেখতে চাই । হৃদয়ের গভীর থেকে সকল প্রকার হরতাল, অবরোধ, অসহযোগকে ঘৃণা করি । তিন বেলা না হলেও অন্তত দুই বেলা খেয়ে পরম শান্তিতে বাস করতে চাই । সমাজের তৃতীয় স্তরের মানুষগুলো থেকে হাজার ক্রোশ দূরত্বে থাকা রাজনৈতিক তারকারা আমাদের সেভাবে থাকতে দিতে চায়না । তাদের স্বার্থবাদী সিদ্ধান্ত মানুষ এবং মানবতাকে কাঁদাতেই জানে । গত কয়েকদিন আগে আওয়ামীলীগের পাঁচবছরের শাসনামলের একটি খতিয়াণ দেখলাম । অনেক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মধ্যে চোখ আটকে গেল কয়েকটা লাইনে । গত পাঁচবছরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাড়ে একুশ হাজারের কিছু বেশি মানুষ নিহত হয়েছে । প্রতিদিন প্রায় ১১ জন ! বিস্মিত না হওয়ার কোন উপায় আছে ?
আমরা একটা স্থির বিশ্বাসে আটকে আছি । বদ্ধমূল ধারনা করে আছি, একজন সাধারণ মানুষের জীবনের চেয়ে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির জীবনের মূল্য অনেক বেশি । অবশ্য এর পেছনে শক্ত যুক্তিও আছে । সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করে না । এরা শুধু রাজনৈতিক নেতাদের প্রচার করে । নিজেরা চেয়ার দখল করতে চায় না তবে নেতাদের চেয়ারে কিভাবে বসানো যায় সে চিন্তায় দিবাযামী অস্থির থাকে । যদি সেটাই না হত তবে একুশ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলেও কেন ২১ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির মৃত্যু হল না ? আমাদের দেশের মানুষ যদি কাউকে একবার হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দিয়ে ফেলে, তবে তার জন্য সব কিছু করতে পারে । জীবন মরনের প্রশ্ন এখানে গৌণ হয়ে পরিস্ফুটিত হয় । বিগত সকল আন্দোলনেই আমরা এরকম হাজার দৃষ্টান্ত দেখেছি । নিজের জীবন দিয়ে আরেক জনের জীবন বাঁচানোর মত মহৎ আর কিছু থাকার কথা নয় । তবে যাকে বাঁচানো হল সে যদি মানবতার বন্ধু হয় তবে এর মত তৃপ্তির আর কিছু হবার নয় । জীবন বাঁচানোর পরক্ষনেই যদি দেখা যায় নিজের জীবনের মূল্যকে তুচ্ছ করে যাকে বাচানো হল সেই ব্যক্তিটি নতুনভাবে জীবনদান করা ব্যক্তির প্রিয় কোন বস্তুকে গ্রাস করার জন্য ব্যস্ত হয়, তবে এর মত দুঃখের আর কিছুই থাকে না । চরম লজ্জার হলেও এরকম অমানবীয় কর্মকান্ডগুলোই এদেশের অভাগাদের মোকাবেলা করতে হয় ।
সুভাষ বসু বলেছিল “আমাকে রক্তদাও, আমি স্বাধীনতা দেব”। রক্তছাড়া স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না সেটা ১৯৭১ সালেই বুঝেছিলাম । রক্তযমুনা দিয়েছিলাম স্বাধীনতার জন্য । মনে প্রাণে যে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম, সে স্বাধীনতা পেয়েছি কি ? কথাবলার স্বাধীনতা আগেই হারিয়েছি এখন চিন্তা করার স্বাধীনতাও হারাতে বসেছি । নিজেকে কবে হারাব তার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছি । ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধান জনগকল্যাণে ততোটা ভূমিকা রাখতে না পারায় অল্পসময়ের ব্যবধানে প্রথম সংশোধণী আনা হয়েছিল । পরে যা লক্ষ্য করেছি, তা আসলেই দূর্ভাগ্যের । যে দল যখন ক্ষমতায় আসে, সে দল তাদের সুবিধামত সংবিধানের উপর লাঙল চালায় । সর্বশেষ ১৫তম সংশোধনী আমাদের এ বিশ্বাসকে স্থায়ী করেছে । অনেকে প্রস্তাব রেখেছে “বাংলাদেশে স্থায়ী কোন সংবিধানের প্রয়োজন নাই” । এ শ্রেণীর মতে, যেদল যখন ক্ষমতায় আসবে তাদের সুবিধামত কিছু নীতিমালা তৈরি করে নেবে”। সুতরাং ৪৩ বছরে মধ্যে ১৫ বার সংবিধান সংশোধনের চেয়ে এ নবীন প্রস্তাবই উত্তম ! যে সংবিধান সাধারণ মানুষের কল্যান প্রতিফলনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা উচিত ছিল সেটা ব্যবহার হচ্ছে সরকারের ফ্যাসিষ্টমনোভাব বাস্তবায়নের জন্য । এটা সত্যিই দূর্ভাগ্যের ।
একমাত্র ভারত ছাড়া বিশ্বের অন্যকোন দেশ ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনকে গ্রহযোগ্যতা দেয়নি । তারা বার বার দাবি করেছে, বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মনোনীত এবং ১৪৭ টি আসনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির কারনে এ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে । সে কারনে এ নির্বাচন বিশ্বদরবারে গ্রহনীয় নয় । বাংলাদেশে অন্যতম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং নিবন্ধিত অধিকাংশ দল নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় এ নির্বাচন গ্রহনযোগ্য নয় বিদায় আওয়ামীলীগের অনেক অন্ধ সমর্থকও ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে যায় নি । আওয়ামীলীগের সরকারগঠনকল্পে শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত হলেও তাদের মধ্যে একধরনের অমনোযগীতা কাজ করেছে । শত নাটকের সাথে যোগ হয়েছে জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ নেতা এইচ এম এরশাদ ইস্যু । নির্বাচনের আগে নানা নাটকীয়তার পর দীর্ঘ দিন সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচএ চিকিৎসার নামে গলফ খেলা নিয়ে জাতির মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল । নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও এমপি নির্বাচিত হয়ে শপথগ্রহন ইতিহাসের বিরল ঘটনা হিসেবে লিখিত হয়েছে । তিনি হয়েছেন ইতিহাসের অংশ । নির্বাচনকালীন সময়ে এরশাদ সাহেবের অসুস্থতার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “আমি তো অসুস্থ ছিলাম না আমাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল কেন” ? এ ‘কেন’র উত্তর আওয়ামীলীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাক । আমাদের মত ছা-পোষা সাধারণ ব্যক্তিদের এত কঠিন প্রশ্নের উত্তর তালাশ করে লাভ কি ?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে । বিশ্বের উদারপন্থী রাষ্ট্রসমূহ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে সে মহৎ দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করে ফেলেছি । স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৩ বছরে যে কাজ কোন সরকার করতে এমনকি করার চিন্তাও করে নি সে অবিশ্বাস্য কর্ম করে ফেলেছে দেশের একমাত্র দক্ষ রাজনৈতিক শীর্ষদল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ । অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় সরকার যখন চিন্তিত হয়ে পড়েছিল তখন বিভিন্ন চাপের কারনে একপ্রকার “স্বেচ্ছায় বাধ্যতামূলক” ভাবেই সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধীদলে প্রধান হতে বাধ্য হন । তার এ সুমতি বেশিদিন স্থায়ী হয় নি । দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা কাজী জাফরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ভাগ হয়ে যাওয়ার সংকট দেখা দিলে এরশাদ আবারও বেঁকে বসেন । তিনি নির্বাচনে যাবেন না বলে ঘোষণা দেন । চাইলেই তো আর সবকিছু পরিকল্পনা মত হয় না । এরশাদের দল নির্বাচন থেকে বের হতে চাইলেও আর বের হওয়া হয় না । এরশাদের নেতৃত্বে ডজনদুয়েক আসনও তারা অর্জন করে । অতীতে সংসদের বিরোধীদল সরকারের রোষাণালে থাকলেও এবারের প্রেক্ষিত একেবারে ব্যতিক্রম । জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্যকে বানানো হয়েছে মন্ত্রী । প্রদান করা হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু মন্ত্রনালয় । শতনাটকের গুরু ২০১৩ সালের অন্যতম রাজনৈতিক আলোচিত ব্যাক্তিত্ব এইচ এম এরশাদ সাহেবকে করা হয়েছে মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দুত । সরকার কর্তৃক বিরোধীদলের প্রতি এমন সহনীয় আচরণ রাজনীতির জন্য ইতিবাচক দিক । এছাড়াও নবম জাতীয় সংসদে যে সকল মন্ত্রীরা সমালোচিত হয়েছেন তাদেরকে অনেককেই বর্তমান মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হয়নি । সরকারের প্রতি প্রত্যাশা, এরকম মহৎ ধারা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে ।
সরকারের এক-একজন নেতা ভিন্ন-ভিন্ন কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে । তাদের মধ্যে কেউ বলছে, তাদের ক্ষমতাকে যে কোন মূল্যে পাঁচ বছর স্থায়ী করা হবে । আবার কেউ বলছে, বিএনপি চাইলে সংলাপ-সমঝোতার মাধ্যমে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া হবে । সরকারের প্রতি আরজ, এতদিন আম-জনতা বিএনপির আন্দোলন দেখেছে । আপনাদের ভিত নাড়ানোর মত ক্ষমতা তাদের নাই । যত হুমকি দেয় ততই তারা বিপদে পড়ে । আন্দোলনের দিনগুলোতে দেখেছি হত্যাযঙ্গ । হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি । দেখেছি স্বজন হারানোর আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হওয়ার দৃশ্য । সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কেউ বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে । আমাদের ভেবে দেখা দরকার, এধরনের কথা কি আদৌ গণতন্ত্রের ভাষা ? বিএনপি চলমান সংকটের কোন সুরাহা করতে পারবে না । তাদের কাছে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসের মত কোন সময়ও উপস্থিত হবে না । এখন সরকারী দলই একমাত্র ভরসা । আপনারাই পারেন সমস্যার সমাধান করতে । সংসারের বড়দের যেমন অনেক দায়িত্ব আছে তেমনি রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদেরও দায়িত্ব আছে । অনেকসময় সরকারের অধীনস্থদের অনুরোধ করলে তাতে সরকারের মান কমে না বরং বাড়ে । বিএনপিকে এমন কিছু বলুন যাতে বিএনপি তাদের আন্দোলন থেকে সরে এসে আপনাদের কর্মে সাহায্যে করে । অন্তত জাতির জন্য এমন কিছু করুন যাতে দেশের মানবতা, সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায় । আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মত কেউ নাই, তাই বলে বিবেকের জবাবদিহীতাকে অস্বীকার করবেন না । সরকারী দলের মধ্যে হয়ত এমন কাইকে পাওয়া যাবে না, যিনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বা তারা সন্তুষ্ট । সুতরাং মধ্যবর্তী নির্বাচন বা এমন কিছু করুন যার জন্য দেশ এবং দেশের মানুষ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায় । এ দেশ আমাদের সকলের । দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব । শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে বিএনপি, আওয়ামীলীগ বা অন্য কোন দল থাকার কথা নয় । সবাইকে মিলে মিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ কাজ করতে হবে । যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের দায়িত্ব কিভাবে তারা দেশের শান্তি নিশ্চিত করবে । সেটা ইতিবাচক অথবা নৈতিবাচক উভয় রাস্তায় হতে পারে । তবে ইতিবাচকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা দেশ ও জাতির জন্য কল্যানকর । দেশের ১৬ কোটি মানুষের আকুতি, এ প্রার্থনাটুকু সরকার অবশ্যই বুঝবে ।
লেখক : রাজু আহমেদ । সমাজসেবী ও গবেষক ।
বিষয়: রাজনীতি
১৩২৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন