ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:১১:৫২ দুপুর

আরবী সালের রবিউল আওয়াল মাসের আজ ১২ তারিখ । আমরা অনেকেই আরবী মাসের হিসাব রাখি না অথচ ইসলামের বিশাল পন্ডিত সেজে বসে আছি । অথচ ইংরেজী মাস, দিন ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট উৎসবাদি একেবারে ঠোঁটস্ত । অনেক হিসেবের পর আবিস্কার করলাম আজ আমাদের জন্য যেমন আনন্দের দিন তেমন দুঃখের দিন । এই দিনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দ্যুলোকে আগমন করেছিলেন এবং ভ্যূলোকে পাড়ি জমিয়েছিলেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের দিন হিসেবে আজ তার জীবনের একাংশ জানার চেষ্টা করব । আজকের দিনটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন । এ দিনে আল্লাহ্ তায়ালার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যাকে সৃষ্টি না করলে একটি ধুলিকনাও সৃষ্টি করতেন না, শ্রেষ্ঠ মানুষ, নবীকূল সর্দার, দু’জাহানের বাদশাহ, নুরে মোজাসসাম, আহমদ মুস্তফা, মুহাম্মদ মুজতবা, মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মদিন । আজ থেকে প্রায় ১৪শ ৪৪ বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মা আমিনার শেকেমে তিনি জন্ম গ্রহন করেন । জন্মের পূর্বে তার জন্মদাতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন । জন্মের মাত্র ৬ বছর পরে শিশু মুহাম্মদকে রেখে ধরাধাম থেকে বিদায় নেন জন্মদাত্রী মাতাও । এতিম মুহাম্মদ (সাঃ) শিশু ও বাল্যকালে চরম কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করে স্বীয় দাদা আব্দুল মুত্তালিবের গৃহে লালিত-পালিত হন । এ আশ্রয়ও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি । দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন । কুরাইশ বংশ তৎকালীন মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশ হিসেবে পরিচিত হলেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাদা কিংবা চাচারা আর্থিক সচ্ছলতা সম্পন্ন ছিলেন না । তারপরেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের সু-সংবাদ শুনে ইসলাম পরবর্তী যুগের ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চাচা আবুল হেকাম (আবু জেহেল) স্বীয় দাসী সুওয়াইবিয়্যাহকে আযাদ করে দেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বাল্যকালে চাচার তত্ত্ববধায়নে থাকাকালীন সময়ে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের বকরি-ভেড়া চড়াতেন । রাখাল থাকা অবস্থায় মক্কাবাসী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তা ও বিভিন্ন গুনের সমাবেশ দেখতে পান ।

হযরত ঈসা (আঃ) কে পৃথিবী থেকে তুলে নেয়ার পর আল্লাহর পক্ষ থেকে দীর্ঘকাল কোন নবী বা রাসূল প্রেরণ না করার কারনে দুনিয়াবাসী জাহিলিয়্যাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় । এমন কোন জঘন্য অপরাধ ছিল না যার সাথে মানুষেরা জড়িত ছিল না । স্রষ্টা বলতে আলাদা কোন স্বতন্ত্র সত্তা আছে সেটা বিশ্বাস না করে বিভিন্ন মানব সৃষ্ট দেবদেবীর পুজায় মত্ত হয়ে পড়েছিল মর্ত্যবাসী । এমনি এক প্রতিকূল পরিবেশে আল্লাহ সুবহানাহু তায়াল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন । চরম অনেতিক যুগে, অন্যায়ে গা ভাসিয়ে দেয়ার সুবর্ন সুযোগ থাকার পরেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উন্নত চরিত্র দ্বারা আল-আমিন তথা বিশ্বস্থ উপাধিতে ভূষিত হন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শৈশবকাল, বাল্যকাল এবং তারুন্যে অনেকগুলি অলৌকিক ক্ষমতা স্পষ্ট হয়ে মানুষের কাছে পরিলক্ষিত হয় । যুবক বয়সে আরবের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী হযরত খাদিজা (রাঃ) এর ব্যবসা দেখাশুনা করেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে এবং ব্যবসায়িক কৃতকর্মে খুশি হয়ে হযরত খাদিজা (রাঃ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন । এ বিবাহের সময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স ২৫ বছর এবং হযরত খাদিজা (রাঃ) এর বয়স ছিল ৪০ বছর ।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ৪০ বছরের কাছাকাছি তখন নবুওয়াতির লক্ষন তার মধ্যে পরিলক্ষিত হতে শুরু করে । বিশ্ব ভ্রম্মান্ডের অধিবাসীদের কর্মকান্ড দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং মুক্তির পথ খুঁজতে থাকেন । এসময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায়শই ভূমি থেকে প্রায় ২৬০০ ফুট উঁচু হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান করতে আরম্ভ করেন । অবশেষে আসে সে কাঙ্খিত দিন, যেদিন আল্লাহ তায়ালা বিশ্ববাসীর নাজাতের ওসীলা হিসেবে অবতীর্ণ করতে শুরু করেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ঠিক চল্লিশ বছর তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি রেসালাতের দায়িত্ব অর্জন করেন । ঐশী প্রত্যাদেশ বাহক হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে প্রথম ঐশ্বরিক বাণী-“ পড় তোমার প্রভূর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন”(সূরা আলাক্বঃ ০১)।

রেসালাত ও নবুওয়াতের দায়িত্ব পাওয়ার পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়র জন্য আহ্বান করতে শুরু করেন । প্রথমদিকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাওয়াতে তার একান্ত কিছু আত্মীয় এবং অনুরক্তরা সাড়া দিলেও বিগড়ে যান অনেকে । পৌত্তলিক আচার ছেড়ে তারা কোন অবস্থায় ইসলামে প্রবেশ করবে না বলে শপথ নেন । নবীজীর দাওয়াতে সাড়া না দিয়ে উল্টা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে তার পথ থেকে সরে আসার প্রস্তাব দেয় । তারা আরও বলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যদি তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয় তবে, মক্কার সবচেয়ে রুপসীকে তার জন্য এনে দেয়া হবে এবং মক্কার সবচেয়ে ধনবান ব্যক্তি হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হবে । ইসলামের শত্রুদের এ সকল প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার পরে কাফেররা বিভিন্নভাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নির‌্যাতন করতে আরম্ভ করেন । এমনকি কুরাইশদের মন্ত্রনাগৃহ দারুন নদওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যা করা হবে । আল্লাহ কাফেরদের ষড়যন্ত্রের কথা তার রাসূল (সাঃ) কে অবহিত করে তাকে মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন ।

নবুওয়াত প্রাপ্তির মাত্র ১২ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুলাই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার অনুচরবৃন্দসহ মক্কা ছেড়ে মদিনা অভিমূখে যাত্রা করেন । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ভূমি মক্কার লোকের তাকে সঠিক ভাবে মূল্যায়ণ করতে না পারলেও মদিনাবাসী রত্নের মূল্য বুঝতে বোকামী করেনি । তারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আশ্রয় দেয় এবং হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দেয় । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনার বিধর্মীদের সাথে লিখিত ৪৭ টি সনদ সম্বলিত একটি চুক্তিপত্র করেন । ইসলামের ইতিহাসে যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত । কথিত আছে বিশ্বের বুকে মদিনা সনদই প্রথম লিখিত সংবিধান । ইসলামী আইন-কানুন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মদিনা সনদের আলোকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র মদিনা শরীফকে একটি কল্যান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এরপর থেকে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে । দলে দলে মানুষেরা শান্তির স্পর্শ পেতে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করে । ধীরে ধীরে মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । মুসলামনদের শক্তিতে আল্লাহর রহমত যোগ হয়ে মুসলামরা পৃথিবীর বুকে ঈমানী শক্তির খনি হিসেবে পরিচিতি পায় । ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিরাও চুপ করে বসে থাকে না । তারা ইসলামের তথা মুসলামনদের ক্ষতির জন্য উঠে পড়ে লাগে । আর তখনই সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় । একপক্ষে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কিংবা হযরত আবু বকর (রাঃ) অথবা ইসলামের পক্ষ থেকে অন্য কেউ নেতৃত্ব দিচ্ছেন অপর পক্ষে ইসলামের চির-দুশমন আবু জেহেল, আব্দুল্লাহ বিন উবাই, আবু লাহাব , ওৎবা কিংবা শায়েবা বাতিল প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিচ্ছে । অনেক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হয় ।

ইসলামের প্রাথমিক যুগ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তার অনুচরদের একান্ত প্রচেষ্টায় ইসলাম ক্ষুদ্র থেকে প্রসারতম হতে থাকে । অবশেষে আসে সে শুভ দিন । ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৮ হিজরীতে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার দশ সহস্রাধিক সৈন্য নিয়ে মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং মক্কা বিজয় করেন । নবুওয়াত প্রাপ্তির পর যে সকল মানুষগুলো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর উপর অকথ্য নির‌্যাতন চালিয়েছিল তাদেরকেও তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেন । আবারও মানুষদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করার আহ্বান জানান । মক্কা বিজয়ের পরে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আবারও মদিনায় ফিরে যান । ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে পুনরায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় গমন করেন । মদিনায় হজ্জ কালীন সফরের মধ্যেই আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি নাযিল করেন-‘‘আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম, এবং আমার নেয়ামতকে তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে মনোনীত করে দিলাম” । এ আয়াত অবতীর্ন হওয়ার পর সাহাবীরা অঝোড় ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন । তখন রাসূল (সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কাঁদ কেন ? সাহাবীরা বললেন আমরা বুঝতে পারছি, অচিরেই আল্লাহ আপনাকে তার মেহমান করে নিবেন । কেননা কোন জিনিস পূর্ণতা পাওয়ার পর সেটা কমতে শুরু করে । যেহেতু ইসলাম পূর্ণতা পেয়েছে তাই আপনাকে আর আমাদের মধ্যে রাখা হবে না । হজ্জ্ পালন শেষে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মদিনায় চলে আসেন ।

অবশেষে আসে দুঃখের দিন, শোকের দিন । শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ তথা ১০ই হিজরী সনের ১২ই রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার পৃথিবীর মানুষকে দুঃখের সায়রে ভাসিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন । তার প্রস্থানে তার অনুসারীরা পাগল প্রায় হয়েছিল । শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের সাথে সাথে নুবওয়াতের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় । আজ এ বিশেষ দিনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানাই, যাতে কিয়ামতের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুপারিশ আমাদের নসীব হয় ।

এক নজরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন চরিত ( ৫৭০-৬৩২) :

জন্ম : ৫৭০ ‍খ্রিষ্টাব্দ ।

বংশ : মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশ ।

পিতা : আব্দুল্লাহ ।

মাতা : আমিনা । (মৃত্যু ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ)।

পিতামহ : আব্দুল মুত্তালিব । (মৃত্যু ৫৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)।

দুধমা : হালিমা ।(প্রথম দুধমা ছিলেন বিবি সুয়াইবা)।

প্রতিষ্ঠিত শান্তিসংঘ : হিলফ-উল-ফুযুল ।

ধ্যানমগ্ন থাকতেন : হেরা গুহা ।

সীনাসাক : চারবার ।

বন্দী : শিয়াবে আবি তালিবে তিন বছর ।

ওহীলাভ : ৪০ বছর বয়সে ( ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ।

প্রথম বিবাহ : ২৫ বছর বয়সে ।

মিরাজে গমন : ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে ।

হ্জ্ব পালন করেন : ১ বার । (হিজরী দশম সনে) ।

প্রথম স্ত্রী : হযরত খাদিজা (রাঃ)। (মৃত্যু ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দ) ।

স্ত্রীর সংখ্যা : ১১ জন ।

সর্বশেষ স্ত্রী : হযরত মাইমুনা (রাঃ)।

সন্তান-সন্ততি : তিন ছেলে(কাসিম,আব্দুল্লাহ,ইব্রাহীম) ও চার মেয়ে (জয়নাব,রুকাইয়া,উম্মে কূলসুম,ফাতিমা ) ।

ব্যবহৃত উটনীর নাম : কাসওয়া ।

ঘোড়ার নাম : নাহীফা ।

খচ্চরের নাম : দুল

মিরাজের বাহন : বোরাক ও রফরফ ।

হিজরত করেন : ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে ।

হিজরতের সময় যে গুহায় আশ্রয় নেন : সাওর ।

যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন : ২৭ টি ।

দান্দান (দন্ত) মোবারক শহীদ হয় : ওহুদ যুদ্ধে ।

ইন্তেকাল করেন : আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে ।

যার ইমামতিতে নামায পড়েন : হযরত আবু বকর (রাঃ) ।

নবীজির মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে : সুরা নাসরে ।

মৃত্যু : ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ।

কবর থননকারী : হযরত তালহা (রা) ।

রওযা শরীফ : মক্কায় ।

লেখক : রাজু আহমেদ । শিক্ষার্থী ,

সরকারী বি এম কলেজ বরিশাল ।



বিষয়: বিবিধ

১৩১৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162038
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার তত্ব্যবহুল লেখাটির জন্য ধন্যবাদ,তবে নবীজীর ভালবাসার অর্থই হল নবীজীর আর্দশ অনুস্বরণ করা। এটা ফরজ সকল উম্মাতের জন্য। নবীজীর আনিত জীবন বিধান আল্ ইসলামে জন্মদিবস মৃত্যুদিবস পালনের বিধান নেই। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে না এলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেননা এই কথাটির কোন ভিত্তি নেই। আল্লাহ কারো মোকাপেক্ষি নয়। নুবুয়াতের জন্য আল্লাহ নবীজীকেই মনোমিত করেছেন। আল কুরআনের জন্যই নবীজীর সমস্ত মর্যাদা। নবীজীও আমাদের জন্য রেখে গেছেন ২টি বস্তু কুরআন এবং হাদিস তথা সুন্নাহ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
117007
রাজু আহমেদ লিখেছেন : আল্লাহ অবশ্যই কারো মুখাপেখি নন এটা অবশ্যই সত্য কথা । তবে পৃথিবীর সকল মানুষের চেয়ে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে বেশি ভাল বাসতেন তাতে কি কোন সন্দেহ আছে ?
162039
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : রওযা শরীফ : মক্কায় নয় মদীনা শরীফে। (মক্কা শরীফ-মদীনা শরীফ বলতে হবে) ধন্যবাদ
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
117008
রাজু আহমেদ লিখেছেন : এটা আমার ভূল হয়েছে । আশা করি মার্জনা করবেন ।
162041
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট বলেদেয় আপনি নবী (সা) কে অনেক ভালো বাসেন তাই তার সমন্ধ্যে পোস্ট করেছেন।
এতে কোন সন্ধেহ নাই। কিন্তু আপনার পোস্টের অনেক কিছুই ইসলামের শরীয়ার বাহীরে। তাই আরো ভালো করে আপনার জানা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

আপানর পোস্টের অনেক কথাই আছে যার প্রমান দেয়া দুরহ যেমন,

দু’জাহানের বাদশাহ

দুই জাহানের বাদশা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা। তাই কথার ক্ষেত্রে সাবধনতা অবলম্বন করা জরুরী।

তাই বিস্তারিত জানতে এই লিংটি ভিজিট করুন

১৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২১
117009
রাজু আহমেদ লিখেছেন : স্যায়্যিদুল কা’ওয়ানাইন বলতে এখানে আসমান ও জমীনের মানুষের মধ্য থেকে হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে বুঝানে হয়েছে । আল্লাহ তায়ালা অবশ্য অবশ্যই দুজাহানের বাদশাহ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File