মানুষ কি চাইলেই পারে প্রকৃতির নিয়ন্ত্রন করতে?

লিখেছেন লিখেছেন লুকোচুরি ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:১৪:৫৪ বিকাল

"প্রকৃতির নিয়ম" এই কথাটি আমরা প্রায় বলি। আসলে প্রকৃতির নিয়ম বলতে কি বোঝায়? আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তা'আলা তার সৃষ্টি সমুহকে পরিচালনা করতে যেই নিয়ম নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন কিংবা আল্লাহ্‌র দেয়া যেই নিয়মের ফলে তার সৃষ্টি সমুহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হয় মূলত সেটাই প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতি আল্লাহ্‌রই সৃষ্টি। প্রকৃতির নিজস্ব কোন শক্তি নেই বা কোন ক্ষমতা নেই যে সে তার নিজের ইচ্ছায় কিছু করবে।

আমরা মানুষরাও সেই প্রকৃতিরই অংশ। আমাদেরও আমাদের তাকদিরের উপর কোন ক্ষমতা নেই যে নিজের ইচ্ছায় কিছু করব। যেমন আমাদের কখন কোথায় জন্ম হবে এটা আল্লাহ্‌ই নির্ধারণ করে দেন। আবার আমি এখন খুব চাইছি কোথাও ঘুরতে যেতে অথচ আমরা আল্লাহ্‌র সাহায্য ছাড়া তা পারব না। এই মুহূর্তে আল্লাহ্‌ আমাকে অনেক অসুস্থ করে দিতে পারেন, আমার হাত পা নাড়ানোর শক্তিটা পর্যন্ত নাও থাকতে পারে। ঘুরতে যাওয়াতো আরও দূরের ব্যাপার।

আল্লাহ্‌ তা'আলা কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। অর্থাৎ আমরা কোন পথে চলব আর কোন পথে চলব না এটা সম্পূর্ণ আমাদের ইচ্ছা। আমরা চাইলেই ভাল পথ বেছে নিতে পারি আবার চাইলেই নিজেকে খারাপ পথে পরিচালিত করতে পারি। শুধু মাত্র এটুকুই আমাদের ইচ্ছা মত করতে পারি। আর তা ছাড়া বাকি সব আল্লাহ্‌র নিয়ন্ত্রণাধীন।

আল্লাহ্‌ আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। আল্লাহ্‌ আমাদের চলার পথ বেছে নেয়ার নিজেদের ইচ্ছার যে স্বাধীনতা দিয়েছেন তা এইজন্য যে, আমাদের মধ্য থেকে কে এই ইচ্ছা শক্তিকে প্রয়োগ করে আল্লাহ্‌র দেখানো পথে চলছি আর কে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে খারাপ পথে হাঁটছি তা যাচাই করতে। আমাদের মধ্যে থেকে কে আমাদের সৃষ্টির কারণকে তোয়াক্কা না করে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছি আল্লাহ্‌ সব দেখছেন, আর এর হিসেবও তিনি নিবেন।

যা বলছিলাম 'প্রকৃতির নিয়ম'। অর্থাৎ আল্লাহ্‌র দেয়া বিধান যার ফলে প্রকৃতি পরিচালিত হচ্ছে, বিকশিত হচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে কিংবা বিবর্তিত হচ্ছে। আল্লাহ্‌ তা'আলা আকাশকে সৃষ্টি করেছেন সাতটি স্তরে এবং সুশোভিত করেছেন অসংখ্য গ্রহ, নক্ষত্র, সৌর জগত, ছায়া পথ, উল্কাপিণ্ড ও আরও অনেক কিছু দিয়ে। মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্রগুলো ক্রমান্বয়ে বিকশিত হচ্ছে, এবং বিস্তৃতি লাভ করছে এই জগতের পরিসীমা। অথচ আল্লাহ্‌ এসব কিছু সৃষ্টি করেছেন মহা শুন্য থেকে। এসব কিছু একা একা হয়ে যায়নি কিংবা এসব যে একটা নিয়ম মেনে যার যার কক্ষপথে অবস্থান করছে এবং হাজার হাজার কোটি বছর ধরে একই নিয়মে চলে আসছে তাও তাদের নিজেদের করা নিয়ম না। সবকিছু সুক্ষাতিসুক্ষ ভাবে আল্লাহ্‌ পরিচালনা করছেন। যদি এসব গ্রহ, নক্ষত্রের নিজের অধীনেই থাকত তাদের নিয়ন্ত্রনের বিষয় তবে এরা একা একা কখনোই সৃষ্টি হত না আর সুন্দর ভাবে নিয়ম করে চলার তো প্রশ্নই আসত না। আবার এমন অনেক নক্ষত্র আছে যাদের আভ্যন্তরীণ রাসায়নিক বিক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে, স্তমিত হয়ে পড়েছে অনেক নক্ষত্র। আর নিভে গিয়েছে সেই নক্ষত্রের আলো বিকিরণ। সেগুলো আজ নিষ্প্রভ অবস্থায় রয়েছে। আর এসব কিছুই আল্লাহ্‌র নির্দেশেই হয়েছে। এটা প্রকৃতির নিজের করা নিয়ম নয়। যেমন টা আল্লাহ্‌ কুর'আনে বলেছেন,

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। [সুরা মুলক: ১]

الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ

যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়। [সুরা মুলক: ২]

الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِن تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِن فُطُورٍ

তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি? [সুরা মুলক: ৩]

ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِأً وَهُوَ حَسِيرٌ

অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। [সুরা মুলক: ৪]

وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ

আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি। [সুরা মুলক: ৫]

সৃষ্টির সূচনালগ্নে পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত। হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তনের ফলে পৃথিবী বাসযোগ্য হয়েছে। হয়েছে সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা। এতে হয়েছে নানা রকম প্রানের সঞ্চার। এসবকিছু আল্লাহ্‌র সুক্ষ পরিকল্পনার অংশ। আল্লাহ্‌ তা'আলা সৃষ্টির শুরু থেকে ধারাবাহিক ভাবে নানান রকম প্রাণী এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আবার তার সব এখন আর নেই। অনেক প্রাণীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করেছেন। যেমন, ডাইনোসরের কথাই ধরা যাক। ডাইনোসর যখন ছিল তখন আল্লাহ্‌ তা'আলা পৃথিবীতে মানুষ পাঠান নাই। কারণ তখনকার পরিবেশ, তাপমাত্রা, কিংবা অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা মানুষের বাসযোগ্য ছিল না। হয়ত মানুষকে ডাইনোসরের খাদ্যে পরিণত হতে হত। আল্লাহ্‌ তা'আলার হাতেই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন হচ্ছে বলে তিনি পৃথিবীকে মানুষের বাস যোগ্য ভুমি বানিয়ে তারপর মানুষ পাঠিয়েছেন। আর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য আগেও একবার বলেছি, আর তা হচ্ছে, আল্লাহ্‌র আনুগত্য করা।

আর এই আমরা, মানুষরা জেনে বা না জেনে প্রকৃতির নিয়মের অর্থাৎ আল্লাহ্‌র নির্ধারিত বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করি। আল্লাহ্‌র নিয়মকে মানতে অস্বীকার করি। মাঝে মাঝে তো আমাদের ঔদ্ধত্য সীমা অতিক্রম করে যায়। তখন আমরা প্রকৃতির নিয়ম না মেনে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি বা নিজের হাতে প্রকৃতির নিয়ন্ত্রন নিতে চাই। এমনও বলে থাকি প্রকৃতি যা খুশি করুক আমি তা কিছুতেই হতে দিব না। এই ধরনের কথা বলে আল্লাহ্‌র করা নিয়মকে অস্বীকৃতি জানানো হচ্ছে, সেই সাথে নিজের ক্ষমতাকে তুলনা করা হচ্ছে আল্লাহ্‌র ক্ষমতার সাথে। না'উজুবিল্লাহ। এটা স্পষ্টতই শির্‌ক।

যেখানে আমরা মানুষরা জানি না পরবর্তী মুহূর্তে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। আবার আমরা এটাও জানি না যে আমাদের মুখের সামনে ধরা খাবারটুকু আমাদের পেট পর্যন্ত পৌঁছাবে কিনা। আর আমরা কিনা চাই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন করতে!!!

আল্লাহ্‌ মানুষকে কখনো জান, মাল কিংবা ফসলের ক্ষতি করে পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষার মাধ্যমেই আমাদের ইমানের স্তর নির্ধারণ করা যায়। কখনো হয়তবা আমাদের খুব কাছের মানুষকে মৃত্যু দিয়ে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে পারেন আল্লাহ্‌ তা'আলা। এই অবস্থায় আমরা কতটুকু আল্লাহ্‌র ইচ্ছাকে আমাদের জীবনে প্রাধান্য দিলাম, কতটুকু ভরসা রাখলাম আর কতটুকু ধৈর্যশীল হলাম এটাই হবে আমাদের পরীক্ষা। আমরা ইমানের দাবি করব আর আল্লাহ্‌ পরীক্ষা নিবেন না তাতো হবে না। দুঃখ তো আসবেই। আর তা আল্লাহ্‌র পরীক্ষার একটা অংশ। যেকোনো বিপদ হতে আমরা কেবল আল্লাহ্‌র কাছেই আশ্রয় চাইব। যেকোনো বিপদেই আমরা আমাদের হিতাহিত জ্ঞান না হারিয়ে আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করব। দুঃখ, কষ্ট, শোক, অসুখ, বিশুখ, ক্লান্তি এসব কিছুই আল্লাহ্‌ তা'আলা এই পৃথিবীর জন্যই দিয়েছেন। এরপর তো অপরিসীম সুখ। আমরা যদি আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রেখে এসবকে জয় করতে পারি তবেই আমরা চিরস্থায়ী সুখ পাব। আর তা পেতে শুধু মৃত্যু বাঁধা হয়ে থাকে। পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন সবসময় আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করতে হবে। এই কষ্টগুলোকে আমরা যদি না মেনে নিতে চাই কিংবা এটা বলি যে এই কষ্টকে আমাদের জীবনে আর আসতে দিব না অর্থাৎ আমরাই আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্তা হতে চাই তবে এটা কেবল স্রস্টার বিরদ্ধাচরন বৈকি আর কিছু না।

ভোর না হতেই যেই পাখিটা নীড় ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে খাদ্যের সন্ধানে সে জানে না সূর্যাস্তের সময় সে ভরা পেটে নীড়ে ফিরে আসতে পারবে কিনা। আবার একজন ফেরিওালা যে কিনা রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে ভিজে ফেরি করে বেড়ায় সে জানে না তার পণ্যগুলো বিক্রি হবে কিনা। সব মানুষের বেলাতেই তা প্রযোজ্য। একজন চাকুরীজীবী জানে না মাস শেষে বেতন হাতে পাওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকবে কিনা বা চাকরী টীকে থাকবে কিনা। আবার একজন ব্যবসায়ী জানে না তার ব্যবসায় মুনাফা হবে কিনা। এসবের নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র আল্লাহ্‌ তা'আলা। কোন কিছুই আল্লাহ্‌র সাহায্য ছাড়া সম্ভব না। এমনকি আমাদের হাত পা নাড়ানোটা পর্যন্ত আল্লাহ্‌র সাহায্যে হয়। আমাদের নিজেদের কোন ক্ষমতা নেই ইচ্ছা মত এদের নিয়ন্ত্রন করতে। যখন শরীরের কোন একটি অংশ অকেজো হয়ে যায় আর আমরা তা আমাদের ইচ্ছা মত পরিচালিত করতে পারি না তখনও কি একটি বারের জন্য সব কিছুর নিয়ন্তা আল্লাহ্‌র কথা মনে হয় না?

এভাবে প্রতিটি জায়গায় যখন আল্লাহ্‌র নিয়ন্ত্রন চলে সেখানে আমরা কিভাবে তাঁর বিরোধিতা করি? হ্যাঁ... এই পৃথিবীতে আমাদের আল্লাহ্‌ পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আল্লাহ্‌ তা'আলা চাইলেই আমাদের ইচ্ছা শক্তি নিয়ন্ত্রন করে তিনি পারতেন আমাদের রোবটের মত পরিচালনা করে তাঁর ইবাদত করাতে। কিন্তু তিনি তা করেন নাই। তিনি চাইলেই আমাদের তাঁর নির্ধারিত পথে চালাতে পারতেন তাহলে আমরা আর কোন ভুল করতাম না। কিন্তু এমনটা আল্লাহ্‌ চান নাই। আল্লাহ্‌ আমাদের এই ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছেন নিজেদের পছন্দ মত পথ বেছে নিয়ে সেই পথে চলতে। আমরা ভুল করি, ভুল থেকে ফিরে আসি, তওবা করি, মাফ চাই, সবক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র সাহায্য চাই এমনটাই চেয়েছেন আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন। তাই তিনি আমাদের বার বার সুযোগ দিচ্ছেন। আমরা যদি ভুল না করতাম তাহলে তিনি আমাদের উঠিয়ে নিয়ে নতুন কোন প্রতিনিধি প্রেরন করতেন। আমরা ভুল করতেই পারি। সেই তো সেরা যে ভুল করে। আবার ফিরে আসে তাঁর প্রভুর রহমতের ছায়ায়। আমাদের করা গুনাহ বা অপরাধ আমাদের প্রভুর ক্ষমার কাছে অনেক ছোট। তাই এখনও সময় আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার। প্রভুর কাছে ফিরে আসার। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন। আমাদের ভুলগুলো মাফ করে দিন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

২১৭৭ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

211239
২১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
ভিশু লিখেছেন : আমীন! গুফরানাকা রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর... Praying Praying Praying
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪২
160024
লুকোচুরি লিখেছেন : আমীন।
211250
২১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
ইমরান ভাই লিখেছেন : আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন। আমাদের ভুলগুলো মাফ করে দিন। আমীন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নাই।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪২
160025
লুকোচুরি লিখেছেন : আমীন
211310
২১ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন নয় বরং প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলাই বিজ্ঞানের কাজ। কিন্তু কিছু লোক এটি দাবি করতে চায় যে বিজ্ঞান প্রকৃতিকে পরাজিত করেছে।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
160034
লুকোচুরি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
211357
২১ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ৤ এখন আপাতত একটা জ্যুস পান করুন৤
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
160035
লুকোচুরি লিখেছেন : ধন্যবাদ।
211361
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! উপলব্ধিতে চিন্তার জাগরন এবং তথ্যবহুল মূল্যবান লিখনীর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া - জাঝাকিল্লাহু খাইর! Praying

আল্লাহ আমাদের যে সীমিত কিছু ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন তার সঠিক ব্যবহার না করে আমরা বড় অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছি! তারপরেও আমাদের প্রভু কত মহীয়ান! মেহেরবান! আমাদের জন্য তাওবার রাস্তা খুলে রেখেছেন!

আমরা যেন আর ভুল পথে পা না বাড়াই! আমরা সঠিক পথের অনুসারী হই! আমাদের চিন্তা যেন উপলব্ধি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ না থাকে বরং তা যেন আমাল কে বৃদ্ধি করে দেয় বহু গুন!

শুকরিয়া আপুনি ! সুন্দর রিমাইন্ডার এর জন্য! Rose Love Struck Good Luck
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
160028
লুকোচুরি লিখেছেন : বারাকিল্লাহু ফিকুম আপু।
211362
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৪
মাটিরলাঠি লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose
যাজাকাল্লাহু খাইরান।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
160029
লুকোচুরি লিখেছেন : ওয়া ইয়াকুম
211363
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : বিশ্ব প্রকৃতি সবই আল্লাহর৷ তার মাঝেও তিনি এমন কিছু রেখেছেন যাদিয়ে আমাদের পরীক্ষা করেন৷ বেহেশ্তের নিষিদ্ধ গাছও তার প্রকৃতি, তিনিকি পারতেননা তাকে আদম আঃ এর ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখতে? অবশ্যই পারতেন৷ কিন্তু তাছিল তাকে পরীক্ষা৷ তিনি প্রাকৃতীক ভারসাম্য রক্ষা কল্পে পাহাড় সৃষ্টি করে ছেন, বলেছেন তোমর সেই ভারসামে ব্যাঘাত করোনা৷ আমরা পাহাড় কেটে রাস্তা, বাড়ী চাষের জমী বানাচ্ছি, সাগর ভরিয়ে এয়ার পোর্ট প্রাসাদ বানাচ্ছি৷ জঙ্গল কেটে নগর বানাচ্ছি, বদল করে দিচ্ছি তার প্রকৃতির রূপ৷ এ গুলোও পরীক্ষা৷ অধিকাংই আছে যা অটল অনড়৷ আসল ভারসাম্য সেখানেই৷ তা বদল হবার নয়, তার ইচ্ছা ছাড়া
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
160030
লুকোচুরি লিখেছেন : জি। ঠিক বলেছেন।
211413
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪২
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়ে তপ্ত মরুভূমির মধ্যেও তৃষ্ণা মিটানো গেল। সেইসাথে স্মরণ পড়ল লেখক আবু জাফর সাহেবকে। কেননা তার লেখা "অসহিষ্ণনু মৌলবাদীর অপ্রিয় কথা" বইটির উপাদ্য যেন সামনে চলে এল।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
160031
লুকোচুরি লিখেছেন : জাকাল্লাহু খাইরান
211545
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:৩২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
160032
লুকোচুরি লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান
১১
212462
২৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আচ্ছা এত সুন্দর উপলব্ধি,এত সুন্দর সুন্দর কথামালা দিয়ে সাজানো কিন্তু গালটা সবসময় ফোলা থাকে কেন তাই তো বুঝিনা Thinking Day Dreaming

সুন্দর রিমাইন্ডার এর জন্য শুকরিয়া। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন। আমাদের ভুলগুলো মাফ করে দিন। আমীন Praying Happy Rose Good Luck
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০০
161866
লুকোচুরি লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খাইরান Happy
১২
212983
২৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩০
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : 'প্রকৃতি' শব্দটা অনেকসময় এর সৃষ্টিকর্তার বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করা হয়, কিন্তু স্রষ্টা আর সৃষ্ট কি কোনদিন এক হতে পারে? সুন্দর লিখেছ আপু। পড়েছি আগেই, কিন্তু বাসা বদলের মধ্যে সময়মত মন্তব্য করে উঠতে পারছিনা। Rose Rose
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০০
161867
লুকোচুরি লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খাইরান আপু মনি। Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File