হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দাও।
লিখেছেন লিখেছেন লুকোচুরি ২৪ মার্চ, ২০১৪, ০২:০৮:৩০ দুপুর
যখন সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। যখন কোথাও একটুও আশার আলো দেখতে পাওয়া যায় না। যখন চারদিক থেকে হতাশা আর মন খারাপের মেঘগুলো ঘিরে ধরে আর প্রবল বেগে তুফান হয়ে সব তছনছ করে দিতে চায়। যখন দুশ্চিন্তাগুলো জাল বুনে ঘিরে ধরে। যখন এক ফোটা সামর্থ্য থাকে না কিছু করার। যখন পরিচিত খুব প্রিয় মানুষগুলো মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে। যখন অসহায়ত্ব ছাড়া আর কেউ সঙ্গী হয় না। যখন কষ্টে বুক ফেটে যেতে চায়। যখন বুক ফাটা চিৎকার আর আর্তনাদ করে আকাশ-বাতাস ভারি করে তুলতে ইচ্ছা করে...
তখন... হ্যাঁ... ঠিক তখন!! আমাদের প্রভু সবসময়ের মতই আমাদের সাথে থাকেন। তিনি আমাদের জন্য এক নতুন পথ খুলে দেন। আমাদের মনকে আশার আলোয় উদ্ভাসিত করেন। মন খারাপের মেঘগুলোকে রহমতের বৃষ্টি করে আমাদের উপর বর্ষণ করিয়ে দেন। ফলে সব ময়লা, অপবিত্রতা ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যায় আর তখন শুধুই পবিত্রতা বিকিরণ ছড়ায়। যিনি দুশ্চিন্তার জাল ছিঁড়ে আমাদের বের করে আনেন আর নিয়ে যান কাঙ্ক্ষিত শান্তির পানে। যিনি আমাদের মনে সাহসের সঞ্চার করেন, আমাদের শক্তি জোগান আর আমাদের সব কাজকে আমাদের জন্য সহজ করে দেন। যিনি কখনো কোন অবস্থাতেই আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন না। বুক ফাটা কষ্টগুলোকে যিনি বহু ক্রোশ দূরে পাঠিয়ে দেন যেন তা আর কখনো আমাদের স্পর্শ না করে। যিনি আমাদের মনকে করে দেন স্থির আর আমাদের চোখ দুটোকে প্রশান্তির চাদরে ঢেকে দেন। আর কে আছে এত মহান? আর কে আছে আমাদের স্রষ্টা ছাড়া এত দয়ালু। আর কে আছে এত ভালবাসার। তিনি একমাত্র আমাদের রব, আমাদের প্রভু, মহান আল্লাহ্ তা'আলা।
যত বিপদ আসুক না কেন, হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দিও। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৮৭৬৫ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
“বিপদে মোরে রক্ষা কর' এ নহে মোর প্রার্থনা”
কথাটা কিন্তু মুসলিমদের জন্য ঠিক নয়।
মুসলিমরা সদা সর্বদাই আল্লাহর নিকট বিপদ থেকে রক্ষা/পনাহ চাইবে এটাই সঠিক।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন পূর্ববর্তী জাতির কথা তারা আল্লাহর সাহায্যর জন্য প্রকম্পিত হয়েছিল। তারা শেষে বলেছিল কবে আল্লাহর সাহায্য আসবে।
তাই বিপদে যেন না করি ভয় কথা না বলে মুসলিম হিসেবে বিপদ থেকে আল্লাহর কাছে রক্ষা চাওয়া ইমানি দায়িত্ব।
শেখের পোলা ভাইয়া, দেখুন আল্লাহ্ কি বলেছেন কুর'আনেঃ
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوفْ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الأَمَوَالِ وَالأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। [সুরা বাকারা: ১৫৫]
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [সুরা বাকারা: ১৫৬]
তারমানে বিপদ হচ্ছে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে পরীক্ষা, আর একমাত্র আল্লাহ্ই পারেন আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। তাই আমাদের যেমন বিপদে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাইতে হবে তেমনি আল্লাহ্র উপর ভরসা করে বিপদে ধৈর্য ধারন করতে হবে, ভয় পেলে চলবে না।
বান্দা আর কোথায় যাবে?
আছে তো শুধুই তার রব।
তিনিই তোমাদের জলে-স্থলে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। কাজেই যখন তোমরা নৌকায় চড়ে অনুকূল বাতাসে আনন্দে সফর করতে থাকো, তারপর অকস্মাত বিরুদ্ধ বাতাস প্রবল হয়ে ওঠে, চারদিক থেকে ঢেউয়ের আঘাত লাগতে থাকে এবং আরোহীরা মনে করতে থাকে তারা তরঙ্গ বেষ্টিতে হয়ে গেছে তখন সবাই নিজের আনুগত্যকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে তার কাছে দোয়া করতে থাকে এবং বলতে থাকে, “যদি তুমি আমাদের এ বিপদ থেকে উদ্ধার করো তাহলে আমরা শোকরগুজার বান্দা হয়ে যাবো।”
কিন্তু যখন তিনি তাদেরকে বিপদমুক্ত করেন তখন তারাই সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পৃথিবীতে বিদ্রোহ করতে থাকে। হে মানুষ! তোমাদের এ বিদ্রোহ উল্টা তোমাদের বিরুদ্ধেই চলে যাচ্ছে। দুনিয়ার কয়েকদিনের আরাম আয়েশ (ভোগ করে নাও) , তারপর আমার দিকেই তোমাদের ফিরে আসতে হবে। তোমরা কি কাজে লিপ্ত ছিলে তা তখন তোমাদের আমি জানিয়ে দেবো। [সূরা ইউনুস: ২২-২৩]
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
নিশি অবসান প্রায়,ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত. . আমি আজি ধূলিতলে জীর্ণ জীবন করিলাম নত।
বন্ধু হও শত্রু হও, যেখানে যে রও
ক্ষমা করো আজিকার মত
পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত. . .
মন্তব্য করতে লগইন করুন