বিটিআরসি উদাসীন মুঠোফোন অপরেটর ডিস্টিবিউশন হাউজের কর্মচারীরা অধিকার বঞ্চিত
লিখেছেন লিখেছেন টুটুল বিশ্বাস ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:২৬:১১ দুপুর
সেলফোন অপরেটরদের অবহেলায় মানবেতর জীবন যাপন করছে ডিস্টিবিউশন হাউজের কর্মরত সকল কর্মচারীরা। জানা গেছে বাংলালিংক,গ্রামীণফোনসহ আমাদের দেশে যত গুলো সেলফোন অপরেটর আছে তারা সরা সরি মার্কেটে তাদের লোক না দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে তৃতীয় ব্যক্তি (ডিস্টিবিউশন) হাউজ এর মাধ্যমে । ফলে তাদের কাধে এত ঝামেলাও থাকে না। ঝামেলা পোহাতে হয় ডিস্টিবিউশন হাউজে কর্মরত শ্রমিকদের। সেলফোন কোম্পানী গুলো ডিস্টিবিউশন হাউজকে মূলত কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে তুলনা করে থাকে। যত প্রকার টার্গেট এসব হাউজে কর্মরতদের। কিন্তু সেই তুলনাই কোম্পনীতে কর্মরতদের পারিশ্রমিক একেবারেই নেই। অথচ কোম্পানীর একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী পারিশ্রমীকপান হাউজে কর্মরতদের চেয়ে হাজার হাজার গুনের চেয়ে বেশি। তারা শুধু ছড়ি ঝাকিয়ে হাউজে কর্মরতদের খাটিয়ে সর্বনিম্ন মাসিক ৫০,০০০ টাকা পারিশ্রমীক তুলে নেন। আর হাউজে যারা কাজ করে তারা পায় নামে মাত্র ৪৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা যা বর্তমান বাজার মূল্যে একেবারেই নগন্য। পরিশ্রমের মাত্রাটা হলো সক্লা ৮ থেকে রাত ১০ টা অবধি, যা আমাদের দেশ ও আন্তজার্তিক শ্রমের পরিপন্থি। শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়ম হলো ৮ ঘন্টা কাজ করা আর হাউজের শ্রমীকরা কাজ করে টানা ১৫ ঘন্টা । বাকি ৭ ঘন্টার অতিরিক্ত খাটনী মুজুরী দেবার কথা শ্রম আইন অনুযায়ী কিন্তু এদের কপালে জোটে না। হাউজের শ্রমিকরা কলুর বলদের মতো শুধু খেটেই যায়। কোম্পানীর লোকেরা সকল সুবিধা ভোগ করে থাকলেও হাউজে কর্মরতদের তার কিছুই দেওয়া হয় না। একজন সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী যেমন সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে তেমনী কোম্পনীর কর্মকর্তা/কর্মচারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে। টাকা ডিস্টিবিউশন মালিকের হলেও তার কোন কর্তিত্ব থাকে না। সকল কর্তিত্ব থাকে কোম্পানীর লোকদের হাতে । সাপ্তাহিক ছুটি থেকে শুরু করে সকল ক্ষমতা কোস্পানীর । ডিস্টিবিউশন মালিক ইচ্ছা করলেও হাউজ ছুটি রাখতে পারেন না। আমাদের দেশে সকল কোস্পানীয় বিদেশী। তাই ইংরেজদের কাছ থেকে ব্যবসা শিখে দেশের লোকের উপর অমানবিক পরিশ্রম করিয়ে সব অর্থ নিয়ে যাচ্ছে তাদের দেশে। অথচ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে হাউজের হতভাগাদের দেখার কেউ নেই। সকল সেলফোন অপরেটরদের টেরিটরী অফিসারের দায়িত্ব সীম কার্ড বিক্রয় পরিচালনা করা। অথচ সে জানে না কোন দোকানে কয়টা সীমকার্ড বিক্রয় করবে। কি ভাবে ? কেমন করে ঐ দোকনীকে সীমকার্ড নিতে উৎসাহিত করবে। সকল কিছুর জন্য ঠেকা পড়েছে কেবল ডিস্টিবিউশন হাউজের একজন বিক্রয় নির্বাহীর।
একজন বিক্রয় নির্বাহী জীবনের ঝুকি নিয়ে তার কাজ করে থাকে লক্ষ লক্ষ টাকা বহন করে নিয়ে বেড়ায় সারাদিন। এসব ঝুকি কখনো বহন করতে হয় না কোম্পানীর। মিটিং নামক যন্ত্রনা তাড়া করে যা সারাদিন পরিশ্রম করে এসেও এর থেকে নিস্তার নাই। চলে ঘন্টার পর ঘন্টা। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিস্টিবিউশন হাউজের একজন জানান যখন কোম্পানীর লোক আমাদের নিয়ে মিটিং করে এবং বলে আমরা নাকি কোম্পানীর পিলার বা স্তম্ভ । যা একটি ঘরকে খাড়াকরে দাড়িয়ে রাখতে সাহায্য করে।
যদি ডিস্টিবিউশন হাউজের শ্রমীকরা কোম্পনীর পিলার বা স্তম্ভ হয় তাহলে কেন তাদের উপর কোম্পনীর এত বৈশম্য? তবে এ কথাও ঠিক যে কোম্পনীর আয় ব্যায় সকল কিছুই নির্ভর করে ডিস্টিবিউশন হাউজের উপর। আর সেই হাউজের শ্রমিকরাই কোম্পানীর কাছে এত অবহেলিত। প্রতিটি কোম্পনীয় তার নিজিস্ব অডিটর দিয়ে মাস অন্তর হাউজ অডিট করিয়ে থাকে। সেই অডিটরগনরা কি হাউজের পরিশ্রমের খাতাটা হাতে করেন না? নাকি তারা দেখেও না দেখার ভান করেন। অডিটররা যদি নিজেদের পারিশ্রমীকের সাথে হাউজের পারিশ্রমীক তুলনা করতো তাহলে হয়ত ডিস্টিবিউশন হাউজের শ্রমিকগনের এতটা অমানবিক জীবনযাপন করতে হতো না। সারাদেশের ডিস্টিবিউশন হাউজের শ্রমীকদের প্রত্যাশা যদি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিষটি যদি অতিসত্বর খতিয়ে দেখে এবং সকল সেলফোন কোম্পানীকে যদি শ্রমিকের বেতন কাঠামো সম্পর্কে নির্দেশ দেন তবে সকল শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মুজুরী পেতে পারে বলে ভূক্তভোগীদের বিশ্বাস।
বিষয়: বিবিধ
১২০২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন