শৈলকুপায় সেই নেতার মদদে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম
লিখেছেন লিখেছেন টুটুল বিশ্বাস ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১৪:৩০ রাত
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারে বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও শ্রমিক নেতা আমজাদ হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এর মধ্যে শ্রমিকদল নেতা আমজাদ হোসেনের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারে বিএনপির উপজেলা প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী সভা হওয়ার কথা ছিল। সভায় যোগ দিতে বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও শ্রমিকদল নেতা আমজাদ হোসেন গাড়াগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে পৌছানো মাত্রই প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা সাবদার মোল্লার লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করার পর বুধবার দুপুর দুইটার দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি বলে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব জানান। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাকিবুল হাসান খান দিপু বলেন, নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই আওয়ামীলীগ এই হামলা করেছে। তিনি বলেন, সারা শৈলকুপা উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী সোনা শিকদারের লোকজন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটারদেরকে ভীতি প্রদর্শন কছে। আওয়ামীলীগের এই সন্ত্রাসী তান্ডব অব্যাহত থাকলে নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও আমজাদ হোসেনসহ বিএনপির শাতাধীক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও শ্রমিকদল নেতা আমজাদ হোসেন আহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান। তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পুর্বক নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানান। উল্লেখ্য শৈলকুপা থানা আওয়ামী লীগের নেতা ও উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবদার মোল্লা ও তার ছেলে শামিম মোল্লার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে শৈলকুপা বাসি অতিষ্ঠ। মঙ্গলবার দুপুরে এই সাবদার মোল্লা ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালে ঢুকে চক্ষুু সার্জন ডা: শেখ আব্দুল হালিমকে নাজেল করে এবং তাকে মারধর করতে উদ্যোত হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন