ঝিনাইদহের কালীকাপুর গ্রামে ভিটেছাড়া ১০টি পরিবার
লিখেছেন লিখেছেন টুটুল বিশ্বাস ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:১৭:৪৪ বিকাল
ঝিনাইদহঃ
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামের দশটি পরিবার এখন ভিটেছাড়া। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভক্ত দুই দলের সংঘর্ষের পর কালিকাপুর গ্রামে নৌকার সমর্থকদের ঘর, আসবাবপত্র, টেলিভিশন, ফ্রিজ, মটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ মুল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। এখন মাঠের জমিও দখল করা হচ্ছে। অসহায় এ পরিবার গুলোর পাশে প্রশাসন বা আওয়ামী লীগের কেও দাড়ায়নি। আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের বিবাদ হওয়ায় পুলিশের ভুমিকাও রহস্যজনক। তবে পুলিশ বলছে মামলার আসামী হওয়া তারা বাড়ি থাকে না। বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামটি সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে কালিকাপুর গ্রামে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে কাজ করেন ওর্য়াড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: গোলাম হায়দার, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম টিটন, পৌর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান ও জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জব্বার সহ অনেকেই। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হন নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের প্রার্থী সফিকুল ইসলাম অপু । নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুর-ই আলম সিদ্দিকের ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি আনারস মার্কা নিয়ে বিজয়ী হন। ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই কালিকাপুর গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে মারাত্মক ভাবে আহত হন আ’লীগ নেতা গোলাম হায়দার ও বক্কারসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন। অভিযোগ করা হয়েছে টানা দুইদিন ধরে সংঘর্ষসহ বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর চলে। এনিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে দুইটি। এই মামলায় নৌকা প্রতিকের লোকজন ঘরছাড়া হয়েছেন। কালিকাপুর গ্রামের ফেরদৌসি ও নাছিমা খাতুন জানান নৌকা মার্কার সর্মথকদের পরিবারে মহিলা ছাড়া পুরুষ মানুষ ভিটেছাড়া। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আজ এই অবস্থা। অথচ ক্ষমতায় রয়েছে সেই নৌকা মার্কার সরকার। এদিকে আনারস মার্কার সর্মথক ও বিভক্ত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন নৌকার পরাজিত সমর্থকরা গ্রামে অত্যাচার নিপিড়ন করছে। জানা গেছে সংসদ নির্বাচনের ভোটে পরাজিত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে এলাকার নৌকার সর্মথকরা। প্রতিপক্ষের দাপটের কাছে টিকে থাকতে পারছেনা তারা। বিধায় পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপুর্ণ অনেক নেতা বিশ্বাস ঘাতকতা করে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাদের কারণে ঝিনাইদহের তিনটি আসনে নৌকা বিজয়ী হলেও জেলা হেডকোয়াটার ঝিনাইদহ-২ আসনে ভরাডুবি ঘটে নৌকার। দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার জন্য দলের প্রভাবশালী ৬ নেতাকে বহিস্কারও করা হয়। কালীকাপুর গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধূরী জানান, নৌকার সমর্থকরাই প্রতিপক্ষেদের পিটিয়ে জখম করেছে। তিনি আরো জানান, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে বাড়িছাড়া তারা হননি। তারা বিভিন্ন মামলার আসামী হিসেবে পালিয়ে আছেন।
বিষয়: বিবিধ
১২৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন