আ’লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত এক পুলিশসহ আহত ১২
লিখেছেন লিখেছেন টুটুল বিশ্বাস ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৫২:০৪ সকাল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারী গ্রামে শনিবার রাতে আওয়ামীলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে আরিফ হোসেন (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় চারজন গুলিবিদ্ধ ও ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। নিহত আরিফ হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের টিকারী গ্রামের তৈয়ব হোসেনের ছেলে। তিনি যুবলীগের কর্মী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে টিকারী গ্রামের আলমগীর হোসেন, শামচুর রহমান, মহিদুল ইসলাম, ওয়াসিম হোসেন, সাহেব আলী ও দোহাকোলা গ্রামের শরিফুল ইসলামকে ও গুলিবিদ্ধ টিকারী গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে শাহাবুলকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশসহ বাকী আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায় নি। ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের এক প্র“পের নেতা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার ভাতিজা শরিফুল ইসলামকে প্রতিপক্ষ এড. আব্দুল মালেক গ্র“পের লোকজন কুপিয়ে জখম করে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিকারী বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ থামাতে স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালে আওয়ামী লীগের এড আব্দুল মালেক গ্র“পের লোকজন ঢাল সড়কী নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালালে আরিফ হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত ও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধূরী আরিফ নামে এক যুবক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে আরিফ কার গুলিতে মারা গেছেন তা তদন্ত করে ছাড়া বলা যাবে না বলেও তিনি জানান। এদিকে আওয়ামী লীগের অপর গ্র“পের নেতা এড আব্দুল মালেক অভিযোগ করেছেন, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার প্রতি শহিদুল ইসলাম শিকদারের লোকজনই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর টিকারী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। লাশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। উলে¬খ্য আওয়ামীলীগের শহিদ শিকদার ও এড আব্দুল মালেক গ্র“পের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হানাহানি চলে আসছে। এ ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর পুলিশ দুই নেতাকে নিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে দুজনার সমঝোতা করে দিলেও কেও কথা রাখেনি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর একই দলের দুইগ্রুপের মধ্যে এরকম হওয়া মানে দলটিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন লোক পাইপ লাইনে আছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন