আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হতে চাই
লিখেছেন লিখেছেন রবিউল করিম বাবু ২১ মার্চ, ২০১৪, ০২:০৮:৫৪ রাত
আমার দৃষ্টিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেন এ বাংলাদেশ দলের মুল একাদশে যাদেরকে নেওয়া উচিত-
১, তামিম
২, এনামুল
৩,শামুসুর/ইমরুল
৪,সাকিব
৫,মমিনুল
৬,মুশফিক
৭,জিয়া
৮,নাসির
৯,সোহাগ গাজী/মাহমুদুল্লাহ
১০,আরাফাত সানি
১১,মাশরাফি/রুবেল/তাসকিন
....................................... ..... ...
আলামিন, সাব্বির, রাজ্জাক, ফরহাদ রেজা তোমরাদেরকে আপাতত বাদ দেওয়া হলো। অপেক্ষায় থাকো এবং আরো যোগ্যতা অর্জন করো।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ জানবেন- সুন্দর টিম ভাবনার জন্য।।
জন্মদিনের দিন সে গোল্লা মারছে । সেটা ব্যাপার না । গোল্লা যে কেউই মারতে পারে ।
তাকে নিয়ে আমার সমস্যা হলো : সে যেভাবে নেপালের সাথে আউট হয়েছে সেটা কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না । এরকম আউট সে সম্ভবত শ্রী লংকার বিপক্ষেও সদ্য সমাপ্ত হওয়া টেস্ট সিরিজের কোন এক ইনিংসে হয়েছে ।
নির্বাচকদের অনেকেই বলেন যে, তামিমকে তামিমের মত খেলতে দেওয়া হোক । তাকে তার মত খেলতে দেওয়া মানেই কি এধরনের আউট তামিম আমাদের উপহার দিয়ে যাবে অবিরত ?
চাচা নির্বাচক , ফ্যামিলি বনেদী , গোটা কয়েক ইনিংস খেলে ভালই দাম পেয়েছে , ভাল এড টেডও পায় ( ভিরাটের বাংলাদেশী ভার্সন) - এসব তার মধ্যে একটা অহংকারী ভাব এনে দিয়েছে ।
ওকে মূলপর্বে খুব বেশী হলে পানি টানাটানির কাজে লাগানো যেতে পারে । তাকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে গেটের বাইরে অনেকে অপেক্ষা করছে ঢোকার জন্য । চাচা জ্যাক দিয়ে দলে টিকা হয়ত যাবে , কিন্তু তাতে দলটাকে সে সবার সামনে হেয় করেই যাবে ।
তামিমকে বাধ্যতা মূলক অবসরে পাঠানো উচিত কমপক্ষে বছর দুয়েকের জন্য ।
তাকে বুঝতে হবে ,তামিমকে তামিমের মত না , বাংলাদেশের চাহিদা মত খেলতে হবে ।
ইমরুলকেই আনা উচিত তামিমের জায়গায়
৭ নং এ জিয়ার কথা ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জনই বলবে ।
তবে জিয়ার সমস্যা হল তার নাম , অন্য কিছু না । তার নাম যদি পরিবর্তন করে আরেক রহমানের নাম করা হয় তাহলে সে দলে তো চান্স পাবেই , এমনকি মুশফিকের স্থলাভিষিক্তও হয়ে যেতে পারে ।
জিয়াকে টি২০ স্কোয়াডে না দেখতে পেয়ে খুবই দুঃখ পেয়েছি , আবার হেসেছিও সবার সাথে এজন্য যে বেচারার নামই তার জন্য কাল হল ।
আর বাংলাদেশ যে জিয়াকে না পেয়ে বিরাট লস করেছে তা তো ১৩ তারিখের কনসার্টেই ভারতীয় গায়কেরাই তাদের ''যব তক হ্যায় জান '' ছবির গানের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে ।
এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও জিয়ার অভাব অনুভব করে মনে মনে গাইছে
'' জিয়া জিয়ারে জিয়ারে
জিয়া জিয়ারে জিয়ারে
জিয়া জিয়ারে জিয়ারে
জিয়া হো ও ও ও ও ও ও ও ''
অন্য সবাই ঠিক আছে মোটামুটি ।
তবে পেসারদের জন্য বাংলাদেশকে আরও ভাবতে হবে । গ্রামীণ ফোন পেসার হান্ট কার্যক্রম কি বন্ধুদের স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ?
নাজমূল যে ম্যাচ খেলতো দেখা যেত বাংলাদেশ সে ম্যাচে ভাল কিছু একটা করে ফেলত । বেচারা ঐ ম্যাচেই ইনজুরড্ হয়ে আবারও বাইরে চলে যায় ১.৫-২ বছরের জন্য ।
মাশরাফিকে নিয়ে খুব বড় বড় কথা বললেও বাস্তব সত্য হচ্ছে , সে যে ম্যাচ খেলতে নামে ঐ ম্যাচেই ইনজুরড্ হয়ে যায় । ফলে তাকেও নাজমুলের মত মাসের পর মাস বসে থাকতে হয় । বেচারা অসংখ্যবার ইনজুরড্ হয়েছে ।
তার বোলিংয়ের সময় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে সে যখন ডেলিভারি করার সময় বাম পা ফেলে তখন এমন ভাবে ফলে যে দেখা যায় যে বাম এংকেল জয়েন্ট একেবারে টুইস্ট হয়ে যায় যায় অবস্থা। এতে তো প্রতিটা বল করার সময়ই তার ইনজুরিতে পড়ার কথা । আল্লাহর অশেষ রহমত তার উপর আছে বলেই সে এখনও চালিয়ে যেতে পারছে ।
তবে মাশরাফিকে এখন আর না খেলানোই ভাল , কারণ তার বয়স হয়ে গেছে । বোলিং পরিবর্তন করে ফিরতে তার সময় আর থাকবে না ।
আরেকজন পেসারের অভাব খুব অনুভূত হয় - সৈয়দ রাসেল । ছেলেটা যে কোথায় হারিয়ে গেল ! বাঁহাতি মিডিয়াম পেস করতো , বেশ কার্যকরী ছিল তার বোলিং । ২০০৭ এ সাউথ আফ্রিকাকে সে ভালই পেইন দিয়েছিল । ওপেনিং এ বল করতে এসে টানা দশ ওভার বল করে যেত , রানও ২৫-৪০ এর মধ্যে দিত ।
জিম্বাবুয়ে সফরে ভাল করা রবিউলকে কি গুম করা হয়েছে নাকি ?
আর এক্সিসটিং যারা আছে রুবেল ,শফিউল , আল-আমিন - দলের মধ্যে তারা সবচেয়ে স্লিম । পেসারদের গাট্টাগোট্টা না দেখালে প্রতিপক্ষের ব্যাটস্ম্যানরা ডাউন দ্যা উইকেট চলে আসবে ।
ব্যাটস্ম্যান , স্পিনার সবই আছে বাংলাদেশ দলে । নেই শুধু ভাল মানের ২-৩ টা পেসার ।
৩ টা ঘাঘু পেসার যদি দলে থাকতো তাহলে বাংলাদেশকে রেগুলার বেসিসে সবার সাথে জিততে দেখা যেত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন