এমন একটি কাজ যা করলে কোন মুসলিম আর মুসলিম থাকে না। সে কাফের হয়ে যায়।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের প্রতিফলন ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩২:৪৭ সকাল

আমরা তো আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এনেছি। ঈমান আনার পর কি আবার কাফের হতে কেউ চাইবে? নিশ্চয়ই না। কিন্তু কিছু কাজ আছে যে গুলো আমরা হাসির ছলে করে থাকি আর ঐ সমস্ত কাজ করলে কেউ আর ঈমানদার থাকে না সে কাফের হয়ে যায়। কিন্তু আফসোসের বিষয় এত বড় একটা বিষয়কে আমরা নিতান্ত তুচ্ছ করে দেখি এবং প্রতিনিয়ত এই কাজ করেই যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিৎ কাফের ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। সে কখনোই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে না। আজীবন তাকে আগুনে জ্বলতে হবে। তাই বিষয়টি বুঝে নিই। এবং সতর্ক হই। অনেকে আছে যারা কিনা ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে ঠাট্টা - বিদ্রূপ করে । যেমন কারও নতুন দাঁড়ি উঠলে বলে যে "ছাগল দাঁড়ি" । আবার অনেকে নতুন নতুন সালাত আদায়কারীদের ঠাট্টা করে বলে , "কিরে ! নতুন হুজুর হয়েছিস নাকি? "

আবার কোন মুসলিম বোন যদি হিজাব পালন করা শুরু করে, তখন তার বন্ধু-বান্ধবীরা, চাচাত, মামাত, খালাত, ফুফাত, ইত্যাদি অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে থাকে, বলে- অল্প বয়সে বুড়ি হয়ে গেলি নাকি? তুই তো জঙ্গি ইত্যাদি,ইত্যাদি।

কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারে না যে আসলে তারা কাকে ঠাট্টা করছে? আল্লাহ্‌র আয়াতকে নিয়ে। আল্লাহ্‌র বিধি-বিধানকে নিয়ে।

এরকম আরও কথা । এই সকল কথার ফলে সে যেই হোক না কেন সে সাথে সাথে কাফের হয়ে যাবে । সামান্য টাখনুর উপর প্যান্ট পড়া নিয়েও কেউ বাজে মন্তব্য করলে কাফের হয়ে যাবে ---

কেউ কেউ দাড়ি-টুপি বিশিষ্ট মুসলিম ঠাট্টা করে বলে- মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। তারা একটু চিন্তা করে এখানে সে মোল্লা বলে আসলে কাকে বোঝাল? এই দাড়ি-টুপির বিধান আসল কোথা থেকে? কার জন্য ঐ যুবক মুখে দাড়ি রেখেছে? কার জন্য ঐ যুবক মাথায় টুপি পরিধান করেছে? এখন সে দাড়ি-টুপির কারনে মোল্লা হয়ে গেল? বর্তমানে তো এর অবস্থা আরো ভয়াবহ। বর্তমানে দাড়ি-টুপি বিশিষ্ট কোন আল্লাহ্‌ভীরু যুবককে বলে উঠে- জঙ্গি, বলে- তালেবান, বলে- সন্ত্রাসী। (আস্তাগফিরুল্লাহ)

এরকম আল্লাহ্‌র যে কোন বিধি-বিধান নিয়ে কেউ ঠাট্টা করলে সে আর মুসলিম থাকবে না।

এই ধরণের লোক হচ্ছে কাফের। এটা আমার নিজস্ব কোন ফতোয়া নয়।এটা আল্লাহ্‌র ফয়সালা। "আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক-ঠাট্টা করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? তোমাদের কোন ওজর চলবে না, তোমরা ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছ। (সুরা আত তওবাঃ ৬৫-৬৬)

=> এটি আল্লাহ্‌র নিকট খুবই ঘৃণিত অপরাধ!

এই ধরণের কাজ যারা করেছেন তারা নিজেরা একটু ভেবে দেখুন তো- কেউ একজন আল্লাহ্‌র বিধি-বিধান মেনে চলার চেষ্টা করছে আর আপনি তাকে উপহাস করছেন এটা কি উচিৎ? আপনার তো বরং উচিৎ ছিল তাকে উৎসাহ দেয়া। আপনার তো বরং উচিৎ ছিল এই কথা বলে যে- "তুমি আল্লাহ্‌র বিধি-বিধান মেনে চলার চেষ্টা করছ, আলহামদুলিল্লাহ্‌! আমাদের জন্য দুয়া কর যাতে আমরাও আল্লাহ্‌র বিধি-বিধান মেনে চলতে পারি।

এই ধরণের ঘৃণিত কাজ যারা করেছেন তা অতি সত্বর এই কাজ পরিত্যাগ করুন। এবং আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করুন যে জীবনেও আর কাউকে আল্লাহ্‌র বিধি-বিধান নিয়ে এই ধরণের ঠাট্টা- করব না।

এবং পুনরায় কালেমার সাক্ষ্য দিয়ে মুসলিম হোন। মনে রাখবেন- যদি আল্লাহ্‌ তওবা কবুল না করেন তবে আপনি চরম ক্ষতিগ্রস্ত একজন।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

164226
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৪৩
নেহায়েৎ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইর। আল্লাহ আমাদের মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।
164230
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:১০
হতভাগা লিখেছেন : আমাদের সবার উপর দুনিয়ার আস্তরণ এত পুরু হয়ে গেছে যে আমরা এসব গর্হিত বিষয় নিয়েও মজা করি । মৃত্যুর পর পরই আমরা আমাদের এই সামান্য তাচ্ছিল্য করা নিয়ে অনুতপ্ত হব ।

আফসোস ! তখন আসলে কিছুই করার থাকবে না ।

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন এইসব কাজ হতে - আমিন ।

অন্যের সমালোচনা না করে নিজে আসলে কতটুকু ঠিক পথে চলছি তাই আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত ।

164235
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:১৮
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
164242
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : নেহায়েৎ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইর। আল্লাহ আমাদের মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।
164244
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১২
লুকোচুরি লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান।
164260
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
েনেসাঁ লিখেছেন : আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? তোমাদের কোন ওজর চলবে না, তোমরা ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছ। (সুরা আত তওবাঃ ৬৫-৬৬)
164310
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০০
বড়মামা লিখেছেন : ভালো লাগলো জাযাকাল্লাহু খায়ের । অনেক ধন্যবাদ
164395
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
আলোর আভা লিখেছেন : এই ধরণের ঘৃণিত কাজ হতে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ।আমীন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File