দার্শনিক প্লেটো এবং পরিবার নিয়ে তার র্দাশনকি ভাবনা

লিখেছেন লিখেছেন তমাল কুচিঁ ১১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৪:৪৫ দুপুর



প্লেটো ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক। খ্রস্টির্পূবাব্দরে ৪২৮ থেকে ৪২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কোন এক সময়ে গ্রিসের এথেন্স বা এজিনায় জন্মগ্রহণ করেন | তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪৭ অব্দের কোন এক দিনে মৃত্যু বরন করেন। তিনি দার্শনিক সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন এবং দার্শনিক এরিস্টটল তার ছাত্র ছিলেন। এ হিসেবে প্রাচীন গ্রিসের সবচেয়ে প্রভাবশালী তিনজন দার্শনিকের মধ্যে প্লেটো দ্বিতীয়। প্রথম সক্রেটিস এবং শেষ এরিস্টটল। এরাই পশ্চিমা দর্শনের ভিত রচনা করেছেন বলা যায়। প্লেটো একাধারে গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক ভাষ্যের রচয়িতা হিসেবে খ্যাত।তার আগ্রহ ছিল শিল্পকলা, সাহিত্য, বিচার, রাজনীতি, শিক্ষা, পরিবার এবং সমরবাদ ইত্যাদি। আসুন আজকে আমরা জানি পরিবার সম্পর্কে প্লেটোর কি চিন্তাভাবনা ছিল? যে দার্শনিকের চিন্তাধারা পাশ্চাত্য ব্যপকভাবে প্রভাবিত তার পরিবার সম্পর্কে চিন্তাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। সেই সাথে এ বিষয়ে আপনাদের মন্তব্য আসা করছি।

দার্শনিক প্লেটো পরিবারকে একটি স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান বলে স্বীকার করে নিতে পারেননি। তার মতে পরিবারই হচ্ছে সমাজ জীবনের সব অনৈক্যও () মূলীভূত কারন। কেননা এই পরিবারই মানুষকে শিক্ষা দেয়ঃ আমি ও তুমি, আমার ও তোমার। অতএব তার মতে পরিবার প্রথার উচ্ছেদই বাঞ্ছনীয়। তখন সব নারী-পুরুষ রাষ্ট্রের ব্যবস্থাধীন ব্যারাকে বসবাস করবে এবং রাষ্ট্রকর্তাদের পর্যবেক্ষনাধীন শ্রেষ্ঠ নর শ্রেষ্ঠ নারীকে গ্রহন করবে তাদের যৌন-লালসা নিবৃত্তির উদ্দেশ্যে। তাদের এই যৌন মিলনের ফলে যখর কোন নারীর সন্তান জন্মগ্রহন করবে, তখনই সরকারি নার্স সে সন্তানকে অন্যত্র তুলে নিয়ে যাবে, যেন সে সন্তান তার পিতামাতাকে জানতে না পারে এবং পিতামাতও যেন চিনতে না পারে তাদের ঔরসজাত -গর্ভজাত সন্তানকে। এরূপ কার্যক্রমের সর্বশেষ ফল দাড়াবে এই- এক দিনে প্রসুত সকল সন্তানকে সব বাবা-মায়ের নিজের সম্মিলিত সন্তান বলে মনে করতে থাকবে। আর কোন পিতামাতা কোন সন্তানকেই নিজের সন্তান বলে দাবি করার এবং অন্যদের থেকে পৃথক করে দেখবার সুযোগ পাবে না। এর ফলে রাষ্ট্র সর্বদিক থেকেই সুরক্ষিত থাকতে পারবে। অন্যথায়, প্রত্যেকটি পরিবার প্রয়োজন নির্বাহের জন্যে আলাদা আলাদা সম্পত্তি সংরক্ষনের প্রয়োজন দেখা দেবে এবং রাস্ট্রের সমগ্র এলাকা আমার ও তোমার মধ্যে বন্টিত ও খন্ডিত হয়ে পড়বে। কিন্তু প্রস্তাবিত পন্থায় পরিবারও যেমন নির্ভুল হবে, তেমনি ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলীন হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত এর দরুন সমাজের সব বিভেদ ও অনৈক্য বিদুরিত হবে এবং সব অসাম্য বিলীন হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত এর দরুন গোট রাষ্ট্রই পরিনত হবে একটি মাত্র পরিবার, আর সে পরিবারের সদস্যরূপে গণ্য হবে দেশের সমস্ত মানুষ।

তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট ও পরিবার ও পারিবারিক জীবন-মাও. মুহা. আব্দুর রহিম

বিষয়: বিবিধ

২০০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File