নামায না পড়ার শাস্তিঃ

লিখেছেন লিখেছেন উম্মে হাবিব ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৫:৪৩ রাত



যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে এবং বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।

# দুনিয়াতে ছয়টি আযাবঃ

১. তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত পাইবেনা।

২. আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।

৩. যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।

৪. তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।

৫. আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।

৬. ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে।

# মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ

১. অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতু্যবরণকরিবে।

২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।

৩. মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে।

# কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ

১. তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।

২. তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।

৩. আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবংএশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।

আমাদের মধ্যে যারা মুসলিম আছে আসুন ভাই আমরা সকল ভাই ও বোনেরা নিয়মিত এবং সময়মত নামাজ পড়ি, অপর ভাইদের ও বলি নামাজ পরার জন্য। তাহলেই একমাত্র আমাদের সমাজ এ প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি আসবে। আরেকটা কথা আপনাদের মধ্যে যেসব ভাই/বোনেরা না পড়ে লাইক করেন তাদের বলছি,ভাই দয়া করে আগে পড়ুন আমরা চাই আমাদের আসব পোস্ট থেকে যেন আপনারা উপকৃত হন, আপনরা যেন কিছু শিখতে পারেন ,তাহলে আমরা সওয়াব পাব আর আপনা্রাতো পাবেনই । তাই ভাই দয়া করে আগে পড়ুন তার পর যদি ভাল লাগে তাহলে লাইক দিন। আর ভাই আপনারা এই পোস্ট শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের ও জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ !

—সংগৃহিত

বিষয়: বিবিধ

১৩২৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172710
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ
172711
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৫
বড়মামা লিখেছেন : ভালো পোস্ট আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত করুন ।আামিন সুন্দর ভালো লগলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
172721
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:০৩
তারাচাঁদ লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
172737
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৩৬
জবলুল হক লিখেছেন : ভালো লাগলো ।আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়মিত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন।আমিন।
172747
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১১
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষণীয় পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ Praying Praying Praying
172781
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩১
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : মা-বাবারা নিয়মিত নামায পড়লে তাদের সন্তানেরাও নামাযী হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অনেক মা-বাবা নামায পড়েন না।
172795
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৩
ইমরান ভাই লিখেছেন : খুব সুন্দর উৎসাহ মুলক পোস্ট তাতে সন্দেহ নাই।
তবে....
আপনি লিখেছেন,
"যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।"

এই যে আজাবের কথা,ছওয়াবের কথা এটা তো কোরআন বা সহিহ হাদিস থেকে আসতে হবে।

আপনি কি দয়া করে এই কথাগুলো কোরআন বা হাদিসের কোন কিতাবে, কত নাম্বার হাদিস তা বলতে পারবেন???

উৎস ছারা গ্রহন করা ঠিক হবে কি? তাই দয়াকরে উৎস দিন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
126431
ইমরান ভাই লিখেছেন : বোন কিছু মনে করবেন না। আপনার দেয়া কথাগুলো কোন হাদিস নয় এটা একটি ভিত্তিহীন জাল হাদিস।

ইমাম যাহাবী,ইবনু হাজার আসকালানী, ইমাম সূয়ুতী, ইমাম ইবনু ইরাকি প্রমুখ মুহাদ্দিসগন এ বিয়য়ে আলোচনা করেছেন। (যাহাবী, মিনাযুল ইতিদাল ৬/২৬৪, লাআলী পৃ:৯৯, ইবনু্ ইরাকি তানযীহ ২/১১৩-১১৪, গৃহিত-হাদিসের নামে জালীয়াতী কিতাব থকে)

এই ভিত্তিহীন জাল হাদিসটি "ফাজায়েলে আমাল" গ্রন্থে ফাজায়েলে নামাজ অধ্যায়ে আল্লামা জাকারিয়া (আল্লাহ তাকে জান্নাত দিন) উল্লেখ করেছেন।এবং তিনি হাদিসের শুরুতে বলেছেন "কেউ কেউ বলেছেন, এই কথাটা নাকি হাদিসে আছে" এবং শেষে তিনি বলেছেন, "ইমাম যাহাবী, ইমাম সূয়ুতী প্রমুখ মুহাদ্দিস এই কথাগুলোকে জাল ও বাতিল বলেছেন" এর সনদে জালিয়াতের পরিচয় তারা তুলে ধরেছেন"

আশ্চর্যের বিশয় হলো তিনি আরবিতে তাহকিক দিলেও তার অনুবাদ উর্দুতে করেন নি। এবং বাংলায় অনুবাদ করার সময় জনাব সাখাওয়াত সাহেব যে অনুবাদটি করেছেন তাতে তিনিও এই কথাটি অনুবাদ করেন নি। বরং তার ফায়দা উল্লেখ করেছেন।
ফলশ্রুতিতে আজ জাল ও ভিত্তিহিন কথা হাদিস হিসেবে চালিত হচ্ছে।

রসুল (সা) বলেছেন,
তোমরা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করোনা, কেননা যে ব্যাক্তি আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে
(সহিহ মুসলিম মুকাদ্দমা অনুচ্ছেদঃ২)

রসুল (সা) বলেছেন,
যে ব্যাক্তি জেনে শুনে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে যেনো আগুনে তার বাসস্থান করে নেয়
(সহিহ মুসলিম মুকাদ্দমা অনুচ্ছেদঃ২)

আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফিক দিন আমিন।
172806
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২২
আলোকিত ভোর লিখেছেন : সুন্দর পোস্ট Praying
172836
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫০
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রকৃত নামাযী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File