এমন মানুষের কথাও জেনেছি।
লিখেছেন লিখেছেন মুখবন্ধ ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৭:৪২ রাত
২ জন এমপির কথা শুনেছি। যিনি বলেছেন তিনি আমার শিক্ষক। তাই সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে তা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। আসলে এখন তো ‘এমপি’, ’মন্ত্রী’ শব্দগুলোই যা প্রকাশ হওয়ার তা প্রকাশ করে দেয়। কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর দুয়ার খুলে যাবে, আগের রাজা-মহারাজাদের মত জীবন পরিচালিত হবে। মানে সাদা মাটা জীবন হয়ে উঠবে লাল-নীল বাতিওয়ালা পুরা রঙ্গীন। যাক ঘটনায় আসি।
জেলা সাতক্ষীরা। ১/১১ এর পর যথারীতি টিন চুরি সহ বিবিধ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে একজন এমপির নামে। তখন তো সেনা সরকার। তো সেনাসদস্যরা গেলেন সেই এমপির গ্রামের বাড়িতে তাকে ‘পাকড়াও’ করতে। বাহির বাড়িতে যেয়ে কাউকে দেখতে পেলেন না তারা। তবে একজনকে দেখা যাচ্ছে খেজুর গাছে। খেজুরের রসের জন্য গাছে। পিঠে বিভিন্ন সরন্জাম সহ। তো তাকেই ডেকে জিজ্ঞেস করলেন বাহিনীর লোকজন সে এমপির কথা, তিনি কোথায়। ঐ লোক তখন নেমে এসে বললেন আপনারা দাঁড়ান। বলে তিনি সেই বাড়ির ভিতরে গেলেন। একটু পর দেখা গেল গায়ে কাপড় চাপিয়ে সেই খেজুর গাছে কাজ করা লোকটিই এসে বলছেন যে তিনিই সেই এমপি যাকে তারা খুঁজতে এসেছেন। সেনারা তো ততক্ষনে হা। এও সম্ভব! যাক তারা আর কথা না বাড়িয়ে চলে এলেন।
আরেকজন। তিনি সদরের এমপি। একটি বেসরকারী ব্যাংকের ম্যানেজারের চেম্বারে যান, গল্প করেন, যদি ওদিকে কোন কাজ পড়ে। একদিন কারো সাথে কথাপ্রসঙ্গে জানতে পারলেন যে ঐ ম্যানেজার সাহেব একটি ছাগল কুরবানী দেয়ার নিয়ত করেছেন কোন এক বিশেষ ব্যাপারে। উনি পরবর্তী দিনে তার চেম্বারে গিয়ে ধরলেন তাকে। তার কুরবানীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। দেয়া হয়ে গেছে কিনা জানতে চাইলেন। ম্যানেজার সাহেব সময়ের অভাবের কথা বললেন। এমপি সাহেব তখন বললেন, ঠিক আছে, টাকাটা আমাকে দিন, আমি ব্যবস্হা করছি। সুযোগমত উনি খাসী কিনে ম্যানেজারকে ফোন দিলেন যেন উনি অমুক এতীম খানায় নির্ধারিত দিনে চলে আসেন কুরবানীর জন্য। ম্যানেজার আবারও তার সময়ের অভাবের কথা জানালেন। কুরবানী করে, এতীম খানায় গোশত দিয়ে, সব ঝামেলা সেরে আরেকদিন তিনি ম্যানেজারের কাছে এসে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়ে গেলেন। ম্যানেজার ভেবে অবাক, একজন এমপি কী করে একজনের ছাগল কুরবানীর ব্যাপারে এত দৌড়ঝাঁপ করার সময় পেলেন। দেশে এখনও এমন মানুষ হয়!
বিষয়: রাজনীতি
৯৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন