বিদ্যার দেবী,পরীক্ষায় পাশের গ্যারান্টি এবং নারী আজ নিরাপত্তাহীন!!

লিখেছেন লিখেছেন ডাক্তার রিফাত ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:২৮:১৬ রাত

বিদ্যার দেবী আজ ভালোই বিদ্যার প্রসাদ দিয়ে যাচ্ছে!!

চারপাশে মেয়েদের রুম।মাঝখানের মাঠটিতেই প্যান্ডেল।সাউন্ডবক্সের ধুমাধুম শব্দ।সাথে নাচ তো আছেই।

এদিকে আর ২দিন পরই মেয়েগুলার এক্সাম।(ফাইনাল) ।

একজনের চোখের পানির সাথে বলা কথাগলো এখনও কানে বাজছে "আপু কিছু তো পরতে পারছি না। ঘুমানোও সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল থেকেই যে এ অবস্থা।২/৩ঘন্টা না পরে পারা যায়।২/৩দিন কি না পরে পাশ করা যাবে? কি করবো আপু? আপু বলেন না কি করবো? পরিক্ষায় যে আর পাশ করা লাগবে না আপু।"

কি বলবো আমি ওকে?

প্রসাদের বরাতে পরীক্ষায় পাশ হয়তো হয়েও যেতে পারে কিন্তু নিরাপত্তা??

কোন দুনিয়ায় দেখেছেন মেয়েদের হোস্টেলে এরকম পূজামন্ডপ বসাতে? গেটতো চোর-বাটপার, পুজারী-অপুজারী, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই চিচিংফাঁক। হোয়াট এ প্রাইভেসি! হোয়াট এ সিকিউরিটি! !সহজ সরল কিছু মেয়ে পেয়ে আজ যা ইচ্ছে তাই করছে বিদ্যার দেবীর উন্মাদ কিছু পূজারী।

নিচের তিনটা পিকচার ভালো করে লক্ষ্য করুন।প্রথমটাতে নার্সিং মহিলা হোস্টেলের প্রবেশদ্বার দেখানো হয়েছে।যেখানে দেখা যাচ্ছে সাধারন মানুষের অবাধ বিচরন।যা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত।



২য় ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে 'U' Shaped ফিমেল হোস্টেলের ঠিক মাঝখানের মাঠটিতে পুজামন্ডপ ও স্টেজ সাজানো হয়েছে।



আর ৩য় ছবিটিতে স্টেজটা আরো স্পষ্ট।যেখানে অসংখ্য মানুষের ঢল ।



যে হোস্টেলে একজন বাবা বা ভাইকে ঢুকতে গেলে অপমান করা হয়।সেখানেই আজ চলছে অজানা-অচেনা হাজারো পুরুষের আনাগোনা।

ছাত্রী হোস্টেলের ছাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা কি আপনাকে এতটুকু ভাবিত করে না??আজ যদি ওদের কোন ক্ষতি হয়ে যায় কে নিবে এর দায়ভার??

আপনি?আমি? কর্তৃপক্ষ?না আর কেও?

আর এ হচ্ছে সেই হোস্টেল যেখানে একদিন নামাজ রুমে তালা দেয়া হয়েছিলো।হোস্টেল নিবাসী ছাত্রীদের পর্দা-নিকাব নিয়ে করা হয়েছিলো হেনস্তা!ভাবতেও অবাক লাগে মুসলিম প্রধান দেশে অন্যধর্মালম্বিরা যতটা স্বাধীনতা পায়।মুসলিমদেরকে আজ ঠিক ততটা বা অনেক ক্ষেত্রে তাঁর চেয়েও বেশি হেনস্তা হতে হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৮৭৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

173078
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এটাকে বিদ্যার দেবী বলা হয় কেন তা আমার বোধগম্য না এবং সরস্বতী কেন বলে তাও না।

তাদের গ্রন্থে যা পাওয়া যায় – সেটা সরসবতী যার পুঙ্গলিং সরসবান।

মনে কিছু নিবেন না, ব্যাপারটা আমার কাছে যা মনে হয়েছে তা বোঝানোর জন্য এবং এর নামকরণ কেন তা বোঝানোর জন্য - সরসবতী এমন শ্রেণীর মেয়ে যাদের রস হয়েছে এবং সরসবান এমন শ্রেণীর পুরুষ যাদের রস হয়েছে। এ রস মানে প্রজননের মাধ্যমে সন্তান উৎপাদন করার রস।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৫
126685
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : ওদের ধর্ম নিয়ে কোন কমেন্ট না করি।বাট কি করছে ওরা।কতটা অবিবেচক ভাবা যায়??
173079
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪২
দুষ্টু পোলা লিখেছেন :
ছাত্রী হোস্টেলের ছাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা কি আপনাকে এতটুকু ভাবিত করে না??আজ যদি ওদের কোন ক্ষতি হয়ে যায় কে নিবে এর দায়ভার??
Waiting Waiting Thinking Thinking
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৬
126686
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : Surprised
173080
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ধর্মীয় অনুষ্টান করতে গিয়ে কারো ডিস্টাব করা উচিত নয়। প্রশাসনের উচিত বিষয়টা লক্ষ্য করা কিন্তু আজকের প্রশাসন আলু বর্তা। আপনার পোস্ট অনেক গুরুত্ব বহন করে ,অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৬
126687
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : প্রশাসনই তো এরেঞ্জ করেছে Happy
173084
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৭
নীল জোছনা লিখেছেন : আজকে বিশেষ দিন তাই সবার জন্য সবকিছু জায়েজ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৮
126688
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : বিশেষ দিনে সবকিছু মাফ মানে??একজন মেয়ের যদি কিছু হয় সেটা আপনার কাছে হয়তো কিছু না বাট সেই মেয়েটার জন্য তাঁর পরিবারের জন্য সারাজীবনের বোঝা হয়ে থাকবে।একটু তলিয়ে ভাববেন আশা করি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File