ছেলে-মেয়ের সতীত্ব এবং কিছু কথা...
লিখেছেন লিখেছেন ডাক্তার রিফাত ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৫৩:৫৮ রাত
সেদিন একটা লেখা পড়ছিলাম।ইংল্যান্ডের তালাক বিভাগীয় আদালতের প্রাক্তন জজ স্যার হার্বার্ট ওয়েলিংটন সেখানে ১জন পূর্নাঙ্গ স্ত্রীর চৌদ্দটি বৈশিষ্ট্য বর্ননা করেছেন।
গুনগুলো হচ্ছে-১.আকর্ষনীয় চেহারা।
২.বুদ্ধিমত্তা।৩.ভালবাসা।৪.বিনয়ী,নম্র।৫.স্নেহপরায়নতা।৬.সুন্দর ব্যাবহার।৭.সহযোগিতা করার মানসিকতা।৮.সবর ও সহিষ্ণুতা।৯.চিন্তা-ভাবনা।১০.নিঃস্বার্থপরতা।১১.হাসিমুখে থাকা।১২.ত্যাগ-তিতিক্ষা।১৩.কর্মপ্রেরনা। ১৪.বিশ্বস্ততা।
লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হচ্ছে স্যার হার্বার্টের লেখাটিতে যে বিষয়টি থাকা উচিত ছিল সেটি হচ্ছে,নারীর সতীত্ব।কিন্তু,উনি ১৪টি গুনের মধ্যে নারীর সতীত্বকে অন্তর্ভুক্ত করাও জরুরি মনে করেননি।ঠিক একইভাবে আমরা ১জন পুরুষের বিষয়েও চিন্তা করতে পারি।
প্রশ্ন হচ্ছে,১জন মহিলা/পুরুষ সতীত্ব ব্যাতীত কেমন করে স্বামীর/স্ত্রীর নিকট বিশ্বস্ত হতে পারে ?
ব্যাক্তিগত ভাবে এই ব্যাপারটি নিয়ে আমার অভিমত হচ্ছে,আজকাল নারীপুরুষের খোলাখুলি আর অবাধ মেলামেশার অনিবার্য পরিনতিই এই ব্যাভিচার।এবং সমাজও এখন প্রচলিত এই রীতির সাথে আপোষ করতে বাধ্য হয়েছে।
এখন এখানে কোন ব্যাক্তি এটা আশাই করে না যে,বিয়ের দিন সে ১জন কুমারী স্ত্রী পাবে অথবা স্বামী পাবে।এবং বিয়ের পর সে সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে।
এখনতো পাশ্চ্যাত্যের ঢঙে পুরুষলোক নিজ ভাবী স্ত্রীর(?) সাথে প্রেম করা অবস্থাতেই ব্যাভিচারে লিপ্ত হচ্ছে।এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়েরা অন্তঃসত্তা হবার(যদিও contraceptive এর কল্যানে সেই হার কিছুটা কম !!) পরেও বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এখন এধরনের পরিবেশে কি করে আশা করা যায় সতীত্ব মেয়ে বা পুরুষের জন্য একটি সৎ গুন/অনিবার্য বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হবে?
যা না বললেই নয়, বাংলাদেশ হয়তো এখনও পুরাপুরি পাশ্চাত্যকে অনুসরন করতে পারেনি।তবে যেভাবে নারীস্বাধীনতার নামে অবাধ মেলামেশা/যৌনাচারকে পথ করে দেয়া হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও পশ্চিমা বিশ্বের আদর্শ অনুসারীতে রুপান্তরিত হবে।এবং সেদিন যে বেশী দূরে নেই তার স্পষ্ট প্রমাণ বর্তমান প্রজন্ম।
বিষয়: বিয়ের গল্প
৪৭৩২ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এটাকে মনে হয় ৮ নং ও ১৪ নং এর সাথে মিলানো যায় ।
''তবে যেভাবে নারীস্বাধীনতার নামে অবাধ মেলামেশা/যৌনাচারকে পথ করে দেয়া হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও পশ্চিমা বিশ্বের আদর্শ অনুসারীতে রুপান্তরিত হবে।এবং সেদিন যে বেশী দূরে নেই তার স্পষ্ট প্রমাণ বর্তমান প্রজন্ম।''
০ একজন নারী নারী স্বাধীনতার বিপক্ষে যখন বলে তখন খুব হাস্যকর লাগে -
আপনার স্বামী যখন আপনি থাকা অবস্থায় আরেকটা বিয়ে করে আনে তখন কি করবেন ? মেনে নেবেন , না কি মামলা করবেন ?
আপনার স্বামী যদি আপনার বাড়াবাড়িতে অতিষ্ট হয়ে আপনার গায়ে হাত তোলে , তখন কি করবেন ? মেনে নিবেন , না কি মামলা করবেন ?
মুসলিম নর-নারীর বিয়ে হয় ইসলামিক আইনে – আর এ বিবাহ-সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমার জন্য প্রচলিত আইন ব্যবহারেরতো আইনগত কোন ভিত্তিই আইনের দৃষ্টিতে নাই!
এর সমস্ত সুরাহা ইসলামিক আইনেই করতে হবে, আর তা যদি না করে – তবে ইসলামিক বিয়ে বাদ দিয়ে, নিজেদের বিয়ের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নতুন আইন করা হোক।
দূরে যখন সরতেই চায়! তবে আরও দূরে ঠেলে দাও ...
মন্তব্য করতে লগইন করুন