হে রাসুল তোমাকে আজ পরছে মনে।

লিখেছেন লিখেছেন ডাক্তার রিফাত ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৩৩:২৪ রাত

“i believe if a man like mohammad were to assume the dictatorship of modern world,he would succed in solving its problem in a way that would bring its much needed peace & happiness.”

“আমি বিশ্বাস করি যদি মুহাম্মদ (সঃ)এর মত ১জন লোক এই আধুনিক বিশ্বের একনায়কত্ব গ্রহন করতেন তবে এই জটিল সমস্যার এমন সুন্দর সমাধান করতেন,যা এনে দিত আমাদের প্রয়োজনীয় সুখ ও শান্তি।“

বর্তমান কালের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক জর্জ বার্নাড’শ যে মহামানব সম্পর্কে এ উক্তি করেছেন সেই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ছিলেন সম্পূর্ন নিরক্ষর!!যে সব বৈজ্ঞানিক সূত্রে আজ এই একবিংশ শতাব্দী সমৃদ্ধ তার সবটুকুই এমনকি সে সব থেকেও বেশি তাঁর চিন্তাশক্তির মধ্যে নিহিত ছিল।তিনি একাধারে ছিলেন একজন ধর্মপ্রচারক,রাজনীতিবিদ,সমাজ-সংস্কারক,রাষ্ট্রপতি,সেনাপতি,বিচারক,নারী মুক্তির অগ্রপথিক,শান্তির বাহক এবং বৈজ্ঞানিক।

তাঁর রাষ্ট্রনীতি ছিল অত্যাধুনিক।শাসক হিসেবে এ ধরায় এখনও অদ্বিতীয়।প্রাচীন যুগে রাজতন্ত্রের কবর দিয়ে তিনিই সর্বপ্রথম গনতন্ত্রের জন্ম দিলেন।ফরাসী বিপ্লবকে গনতন্ত্রের মাইলস্টোন বলা হয়ে থাকে।বিখ্যাত ঐতিহাসিক 'Chiseign obos'এ বিপ্লবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন-

১।ব্যাক্তির প্রাধান্য বিলোপ করে শাসনভার জনগনের হাতে তুলে দেওয়া।

২।সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা

৩।রাষ্ট্রের অর্থের মালিক হবে জনসাধারন,রাষ্ট্রপতি নয়।

৪।মৌলিক অধিকার যেমন-মত,চিন্তাধারাআ ও প্রেসের স্বাধীনতা।

১৮৭৯সনকে বর্তমান গনতন্ত্রের ১ম বছর বলা হয়,কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে এ গনতন্ত্রের জন্মদাতা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হযরত মুহাম্মদ(সঃ)কে।

১মত-হে লোকসকল, তোমরা শোন- কোন আরবের উপর অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, আবার কোন অনারবের উপরও আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন কৃষ্ণাঙ্গের উপর শ্বেতাঙ্গের এবং শ্বেতাঙ্গের উপর কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। (বিদায় হজ্জ্ব)

এভাবে মানুষে-মানুষে যে পর্বত প্রমান পার্থক্য,রাজায়-প্রজায় যে বিভেদ তা দূর করলেন একজন বিচক্ষন রাষ্ট্রপতির মতই।প্রতিষ্ঠা করলেন সাম্যের সমাজ।যা আমেরিকার মত অত্যাধুনিক রাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।ক্রীতদাস প্রথা বাতিল করে তিনি মানবতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিলেন।একজন সাধারন গ্রাম্য লোকও তাঁকে ইয়া মুহাম্মদ বলে ডাকতো!!এর থেকে উৎকৃষ্ট সাম্য কি হতে পারে?

২য়ত-তিনি শাসনভার গ্রহন করে “বায়তুল মাল”প্রতিষ্ঠা করেন।যা সম্পূর্নই ছিলো জনসাধারনের।

৩য়ত-“তোমাদের পরস্পরের রক্ত ও ধনসম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম ।“একথা ঘোষনার মাধ্যামে তিনি মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার -ব্যাক্তি স্বাধীনতা,নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষা প্রতিষ্ঠা করেন।

৪র্থত-মদিনা সনদের “সকলেই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে,কেও কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।“যা আজকের অত্যাধুনিকতাকেও লজ্জা দেয়।অথচ আজ সবখানেই মুসলমান তাঁর ধর্ম পালন করতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কুরআন পাঠ করতে,হিজাব পরিধান করতে,মসজিদে আজান দিতে।

আজ আমাদের খুব মনে পরছে আপনাকে হে রাসূল।আপনি চেয়ে দেখুন আজ মানবতা কিভাবে ভুলুন্ঠিত হচ্ছে!!কিভাবে আজ কায়েম হচ্ছে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র।

হে মানবসমাজ!আজ আপনারা রাসুলের সেই সিরাতকে আঁকরে ধরুন।যা শুধু এই একদিনের মাতমের জন্যই নয়।যা প্রতিটা দিনের জন্য।আসুন আজ সকল বিদাআতকে ছুড়ে মারি ।গ্রহন করি সত্য সুন্দরের পথকে।

এ সময় প্রয়োজন বিস্মৃত সেই পথরেখার অনুসন্ধান।যে আলোকদীপ্ত পথ উদ্ভাসিত করেছিল সহস্র বছর আগের পঙ্কিল সমাজের প্রতিটা কলুষিত হৃদয়।আর রাসুল(সঃ)এর সেই পথনির্দেশনায় মিলবে একটি শুদ্ধ সমৃদ্ধ আলোকিত সমাজ।

যে সমাজ আমাদের সকলের হৃদয়ের দাবী আজ।

‘‘প্রকৃতপক্ষে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে এক সর্বোত্তম আদর্শ বর্তমান ছিল, এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি আশাবাদী এবং খুব বেশী করে আল্লাহকে স্মরণ করে’’।(সূরা আহযাব-২১)

আজ তাই কষ্ট হলেও বলতে হচ্ছে...

"সেই ১৪০০ বছর আগে ...

কাংখিত সাধনার পর বিজয় এনেছিল যারা,

বাতিলের রোষানলে আজ মিশে জাচ্ছে তারা।

দেশে দেশে জুলুমের মহা উৎসব

চারদিকে চলছে হাহাকার রব।

মানবতাকে দুমরে মচরে ফেলতে কুন্ঠিত হয় না ওরা,

তাইতো পৃথিবীতে বয়ে যাচ্ছে খুনের শোণিত ধারা।"

বিষয়: বিবিধ

১৭৬৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162282
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৩৭
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
117842
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
162339
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ইসলাম আসলে ইসলামই একে অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা মানে ইসলামকে হেয় করা।

আপনি কুর’আন বিশ্লেষনে রাজতন্ত্র পাবেন (যেমন তালুত-জালুত/দাউদ-সুলায়মান বৃত্তান্ত); সমাজতন্ত্র পাবেন (যেমন ইউসূফ বৃত্তান্ত); ভোটাভুটির (লটারী) মাধ্যমে সিদ্ধান্ত পাবেন (ইউনুস বৃত্তান্ত); কথা না শুনলে (তাওহীদ এর জন্য) মাইর পাবেন (যুলকার-নাঈন বৃত্তান্ত)- আধুনিকরা স্বৈরাচারও বলতে পারে।

এরকমভাবে দেখতে থাকলে দেখবেন সবই আছে এখানে এবং এমনও আছে – যা আমরা এখনও পরখ করি নাই; যে ক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন সেটাই ব্যবহার করতে হবে, সর্বোচ্চ বিবেচনায় – এটাই শিক্ষা।

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
117843
ডাক্তার রিফাত লিখেছেন : ধন্যবাদ Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File