নারীবাদী-নারীস্বাধীনতার শানে নূ্যুল....
লিখেছেন লিখেছেন ডাক্তার রিফাত ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:১৫:০২ দুপুর
আবার সবাই ভেবে বসবেন না আমি নারীস্বাধীনতা বিরোধী...আমিও ঘোর নারীবাদী একজন...
১জন সাধারন নারী হিসেবে সেইসমস্ত নারীবাদীদেরকে বলতে চাই... পর্দা-যাকে আপনারা বলে থাকেন রক্ষনশীল পদ্ধতি আমি তাকেই মনেপ্রানে গ্রহন করেছি । আমার এই পর্দা আমাকে যতটা স্বাধীনতা দিয়েছে তার সিকিভাগ স্বাধীনতাও আপনারা আমাকে এনে দিতে পারবেন না ।
কি অবাক হচ্ছেন?
তাহলে শুনুন...আজ আমার মা-বাবা আমাকে নিয়ে যতটা নিশ্চিন্তে থাকে তার ১ভাগ নিশ্চিন্তে থাকতে পারতো না আজ এই আমিই যদি কোন বেপর্দা-অর্ধঊলঙ্গ হয়ে চলাফেরা করতাম...যদি আজ আমিই ছেলেমেয়েদের অবাধ বিচরনকে প্রশ্রয় দিতাম...
হ্যা আজ নারীবাদীরা নারীকে নয়ন ভরে দেখতে চায় -চায় তাদেরকে দেখে চক্ষু শিতল করতে । খেয়াল করবেন আজ ১জন নারী যখন খুব সেজেগুজে রাস্তায় বের হয় তখন সমাজের ১টা রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সুশিল(?)নারীবাদিরা পর্যন্ত তাকে গিলে খায়...
এর নামই কি বলতে চান নারীস্বাধীনতা??
"নারীবাদী লেখক হুমায়ুন আজাদ তার এক প্রবন্ধে লিখেছেন-কয়েক বছর আগে জাতীয় উদ্যানে বিভাগীয় বনভোজনে ১টা ঝোপের মধ্যে ২টি অত্যান্ত রুপসী আকর্ষনীয় প্রানবন্তু তরুনী আমাকে ঘিরে ধরে । তারা জিজ্ঞেস করে,আমাদের চিনলেন স্যার?যে ২জন কে আপনি ক্লাসে বোরকা পরা দেখেছেন... আমরা সে ২জন । আমি অত্যন্ত আহত বোধ করি এ জন্য যে,এমন সুন্দর প্রানবন্ত ২টি তরুণী বোরকা চাপা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে নিষ্প্রান । .....বনভোজনে এ তরূণী ২টি ছিল সবচেয়ে প্রানবন্ত । তারা উদ্যানের নিসর্গের স্তরে স্তরে সেদিন প্রানসঞ্চার করেছিল ।"
এরকম প্রান সঞ্চারইতো করাতো চান নারীবাদী পুরুষেরা...পর্দা তাদের সহ্য হবে কেন ? বোরকা পরা মেয়ে দুটির অনন্য রুপ তিনি বোরকার কারনে উপভোগ করতে পারছেন না এটা কি কম যন্ত্রনা.
আসলে শাহবাগে তিন পুরুষের মাঝখানে রাত কাটালে হয় আধুনিক প্রগতিশীল নারী।আর কলেজ ভার্সিটিতে বোরকা,হিজাব পড়ে গেলে হয় জঙ্গী নারী।জাফর ইকবালের মেয়ে বীচে মদের বোতল হাতে ঘুরে বেড়ানোর ছবি সভ্যতা,আধুনিকতার নিদর্শন আর হিজাব পড়া কোন হুজুরের মেয়েকে রাস্তা থেকে পুলিশ তুলে নিলে সেটা হয় মধ্যযুগীয় জঙ্গীবাদের প্রদর্শন! এই দেশে এই সময়ে মদ খাওয়ার স্বাধীনতা আছে কিন্তু পর্দা করার স্বাধীনতা নেই...
অথচ এই পর্দাই এনে দিতে পারে নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা...আজ পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা দেখতে পাই নারীদের নির্যাতনের ঘটনা...ধর্ষনের হার মহামারী আকার ধারণ করেছে !!! এছারা তালাকের সংখ্যাও উত্তরউত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর এসবেরই মূলে রয়েছে পর্দাহীনতা।।আজ যদি সঠিক পর্দাপ্রথা চালু থাকতো-যদি থাকতো নৈতিক শিক্ষার ব্যাবস্থা তাহলে এ ধরনের অপরাধ অনেক কমে যেত...আমাদের সুশিল (?)সমাজের কি এসবই বোধগম্য নয়...
বিষয়: বিবিধ
১৮৩১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ একি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে !?
'' নারীবাদী লেখক হুমায়ুন আজাদ তার এক প্রবন্ধে লিখেছেন-কয়েক বছর আগে জাতীয় উদ্যানে বিভাগীয় বনভোজনে ১টা ঝোপের মধ্যে ২টি অত্যান্ত রুপসী আকর্ষনীয় প্রানবন্তু তরুনী আমাকে ঘিরে ধরে । তারা জিজ্ঞেস করে,আমাদের চিনলেন স্যার?যে ২জন কে আপনি ক্লাসে বোরকা পরা দেখেছেন... আমরা সে ২জন । আমি অত্যন্ত আহত বোধ করি এ জন্য যে,এমন সুন্দর প্রানবন্ত ২টি তরুণী বোরকা চাপা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে নিষ্প্রান । .....বনভোজনে এ তরূণী ২টি ছিল সবচেয়ে প্রানবন্ত । তারা উদ্যানের নিসর্গের স্তরে স্তরে সেদিন প্রানসঞ্চার করেছিল ।"
০ ক্লাসে বোরকা পড়া , মুখ ঢেকে রাখা জায়েজ আর বনভোজনে সেটা অপশনাল ?
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এইসব বোরকা পড়া মেয়েরা যতটুকু না এটা শরিয়তের বিধান অনুসারে করে তার চেয়ে বেশী করে লোক দেখানোর জন্য এবং তার অপকর্ম/কূকীর্তি ঢাকার জন্য ।
সবার মনে একটা কমন ধারণা থাকে যে , যে মেয়ে বোরকা পরিধান করে সে অমুক নোংরা কাজ করতেই পারে না !
এই সেন্সটাই কাজে লাগায় এইসব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা ।
আর অবশ্যই এইসব মেয়েদেরও দোষ আছ।এই সব বোকারা হুমায়ুন নাস্তিকদের খপ্পরে পরে আরো ভুল পথে পরিচালিত হয়।কষ্ট হয় এদের জন্য।
এন্ড মাইন্ড ইট সব মেয়ে কিন্তু ওই সেন্সটাকে ভুল কাজে লাগায় ন। সবাইকে এক নিক্তিতে মাপা আপনাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছ।
০ যে মেয়েরা সুন্দরী প্রতিযোগিতা , নাচ , গান , আইডল , নাটক , মডেলিং ..... এ সফল হতে হেন কাজ নেই যে করে না ; শাহরুখ/অক্ষয় এলে তাদের কাছে স্টেজে জড়িয়ে ধরে দর্শকদের সামনে চুমু খায় ; যে মেয়েরা হেফাজতের ১৩ দফা আন্দোলনের বিপরীতে গিয়ে সমাবেশ করে ; যে মেয়েরা আল্লাহর বলে দেওয়া ''সামর্থ্য থাকলে পুরুষদের ৪ টা বিয়ে করার'' বিপরীতে তার অনুমতি নেওয়ার মনুষ্য সৃষ্ট আইনকে এনজয় করে ; যে মেয়েরা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে তার উপর প্রহারের কারণে যেখানে ক্বুরআনে আল্লাহ বলেই দিয়েছেন স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের প্রহার করতে এটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে ; যে মেয়েরা আল্লাহর বলে দেওয়া '' ছেলে পাবে ২ জন মেয়ে সমান'' এই আইনের বিপরীতে সমধিকারের কথা বলে -- সে মেয়েদের ধর্ম নিয়ে ছবক মারলে বলতে ইচ্ছে করে --
থামলে ভাল লাগে ।
''সবাইকে এক নিক্তিতে মাপা আপনাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছ। ''
০ এই অভ্যাস আপনাদের আচরনের ফলেই সৃষ্টি ।
সব কিছুতেই নিজেরা অগ্রাধিকার চেয়ে বসেন । লেখা পড়ায় নিজেরা অনেক এগিয়ে গেছেন , চাকরীতেও এগিয়ে গেছেন তারপরেও বাসে আলাদা সিট রাখাটা ছাড়েন না , চাকরীতেও কোটা সুবিধাও ছাড়েন না । এই সুযোগ সব মেয়েরাই কাজে লাগায় ।
আপনাদের তো আলাদা নিক্তিতেই মাপা হয় !
হিজাব নারীকে কারে তুলে অপরুপা সমাজকে করে তুলে সুশোভিত আর স্বামীকে দেয় অনাবিল এক আনন্দ।
সুন্দর করে হিজাবকে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন