কো-এডুকেশন : ইসলাম কি বলে.........

লিখেছেন লিখেছেন সিরাজুম মুনিরা রুমি ২২ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৫০:১৬ রাত

কো-এডুকেশন হচ্ছে সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে নারী পুরুষ একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। আঠারো শতকের আগের দিকে স্কুল গুলো সিঙ্গেল সেক্স ছিল। আমেরিকাতে ১৮৯০ এর দিকে স্কুল গুলোকে কো-এডুকেশন সিস্টেম চালু করা হয় এবং ১৯০০ সালের দিকে ৭০% হায়ার এডুকেশনে ছেলে মেয়ে এক সাথেই ভর্তি নেয়া শুরু হয়। সর্বপ্রথম ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে একটি পাবলিক বোর্ডিং স্কুলগুলো কে কো-এডুকেশন এর আওতায় আনা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও একই সময়ে কো-এডুকেশন চালু করে। এদিক থেকে কিছুটা দেরীতে শুরু হয়েছিল পাক- ভারত উপমহাদেশে। বৃটিশ শাসনামলে কো-এডুকেশন চালু হলেও এর প্রসার হয়েছে মুলত বিংশ শতকে এসে।

এবার আসল কথায় আসা যাক। ইসলাম নারী পুরুষ উভয়কেই জ্ঞান আহরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের শুরু থেকেই জ্ঞানার্জনের উপর বিশেষকরে সমাজে মহিলাদের শিক্ষার উপরে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল।

আমি জোর দিয়ে বলতে চাই ইসলাম আমাদের নৈতিকতা, মোরালিটি, মডেস্টি এবং চারিত্রিক দৃঢ়তার বিষয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে আমাদেরকে খুব বেশী সতর্ক হতে বলা হয়েছে অপজিট সেক্সের কারো সাথে কথা বার্তা ও মেলামেশার ক্ষেত্রে।

কো-এডুকেশন এমন একটা বিষয় যেটা নিয়ে ইসলামিক শরীয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয় নি। এমন কথা কোথাও বলা হয়নি কো-এডুকেশন হারাম। তবে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে কো-এডুকেশন কে ইসলামের দৃষ্টিতে এভয়েড করা হয়েছে।

যারা কো-এডুকেশন এর পক্ষে কথা বলেন তারা অনেকেই বলে থাকেন ইসলামের শুরুতে মসজিদ ছিল শিক্ষার কেন্দ্র। সেখানে ছেলে মেয়ে উভয়েই যাওয়ার অনুমতি ছিল। রাসুল (সাঃ) মসজিদের বিষয়ে মেয়েদেরকে নিরুৎসাহিত করেন নি। কিন্তু আমরা একটা বিষয় খেয়াল করি, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহ্‌র ঘর। সেখানে নারী- পুরুষ ইসলামের বিধান মেনে চলেন। সেখানে মেয়েরা পুরোপুরি পর্দা মেনে চলেন। আর ফ্রি মিক্সিং এর কোন সুযোগ সেখানে থাকে না। সুতরাং মসজিদের বিষয়টা ভিন্ন।

তবে আমরা যদি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা ক্লাসরুম বা আলাদা ক্যাম্পাস ব্যাবস্থা, মেয়েদের পর্দা এবং ফ্রি মিক্সিং যাতে না হয় এটা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কোন সমস্যা নেই। এছাড়া বাচ্চাদের কিন্ডারগার্ডেন মিক্সড হলেও সমস্যা নেই। আবার একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে যেমন পিএইচডি বা গবেষণার ক্ষেত্রে কো-এডুকেশন এ সমস্যা নেই যদি মেয়েরা পুরোপুরি পর্দা মেনে চলে এবং ছেলেরাও তাদের দৃষ্টিকে অবনমিত করে রাখে।

আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে যদি দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছেলে মেয়ে অবাধ মেলামেশার কারণে নৈতিকতার কি করুন অধঃপতন। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হবার পরও আমরা খেয়াল করি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের লিভ টুগেদার যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। আর উন্নত বিশ্বের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। ছেলে মেয়েদের এই বয়সটাতে তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খায়।

২০০৫ সালের ইউএস এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের এক গবেষণায় বলা হয়েছে সিঙ্গেল সেক্স স্কুল গুলোতে শিক্ষার মান ভাল মিক্সড স্কুলের তুলনায় । কারণ ছেলে মেয়েরা সিঙ্গেল সেক্স স্কুল গুলোতে পড়ালেখার দিকে বেশী মনোনিবেশ করে অন্যদিকে মিক্সড স্কুলে অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা একে অপরকে কিভাবে আকর্ষণ করানো যায় এই দিকে বেশী মনোযোগী হয়। যার প্রমাণ আমরা বাংলাদেশেও দেখতে পাই। দেশের নাম করা স্কুল কলেজ গুলো অধিকাংশই সিংগেল সেক্স স্কুল কলেজ।

এমতাবস্থায় যেখানে কো এডুকেশন ছাড়া কোন পথ খোলা নেই সেক্ষেত্রে করনীয় কি? আমরা কি তাহলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকব? যেখানে সমগ্র বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা মুসলিমরা শুধু পিছাতেই থাকব!! সারা বিশ্বে আজ মুসলিমরা নির্যাতিত এর অন্যতম প্রধান কারণ আমরা জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি কোনটার কদর বুঝি না। এগিয়ে যাওয়া দূরে থাক পিছিয়ে যাচ্ছি বারবার।

১। মুসলিম প্রধান দেশ হলে সে দেশের সরকারের একটা বিরাট দায়িত্ব সিঙ্গেল সেক্স এডুকেশন সিস্টেম চালু করা। সেক্ষেত্রে তারা আলাদা ক্যাম্পাস, আলাদা ক্লাস রুম বা দুই শিফটে ল্যাব চালু করতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে দেশে ইসলাম কায়েম না হলে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর না হলে সিঙ্গেল সিস্টেম চালু করা হয়ত স্বপ্নই থেকে যাবে।

২। বাবা মায়েরা সর্ব প্রথম চেষ্টা করবেন কিভাবে তাদের ছেলে মেয়েদের কে সিঙ্গেল সেক্স স্কুল, কলেজ এ পড়ানো যায়। বিশ্ববিদ্যালয় হয়ত সিঙ্গেল সেক্স পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। বাংলাদেশে মনে হয় হাত গোনা দুইটি তিনটি জায়গা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ছেলে মেয়েদেরকে পরিবার থেকেই নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

৩। কো-এডুকেশন ছাড়া যেখানে আর কোনই উপায় নেই সেখানে মেয়েদের পুরোপুরি পর্দা মেনে চলতে হবে। ফ্রি মিক্সিং একেবারেই এভয়েড করতে হবে। হয়ত অনেকে বলে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় এটা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু আমি এটার সাথে একমত নই। কারণ নিজের ভিতরের ইচ্ছা শক্তি থাকলে আল্লাহ্‌ এই বিষয়টা সহজ করে দিবেন। আমি যখন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি তখন দেখেছি ফ্রি মিক্সিং এড়ানো সম্ভব। হয়ত পর্দা করা মেয়েদেরকে একটু বেশী কষ্ট করতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন মানসিক দৃড়তা। অন্যদিকে ছেলেদের জন্য বিষয়টা মেয়েদের মত এতটা কঠিন হয়ত না। তারা চাইলেই ফ্রি মিক্সিং এড়াতে পারে।

আমি নিজে বিশ্বাস করি মেয়েদের উচ্চশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে, আদর্শ পরিবার গঠনে তথা সুন্দর সমাজ তৈরিতে মায়ের ভুমিকা অপরিসীম। সেই সাথে আমরা যদি সিঙ্গেল সেক্স এডুকেশনের স্বপ্ন দেখি, নারী বান্ধব কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। তাহলে আমাদের অবশ্যই নারী শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং সমাজকর্মী দরকার। সুতরাং আপনার আমার যতটুকু সুযোগ আছে আমাদেরকে সেটা কাজে লাগাতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। মনের খবর আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন ভালো করেই জানেন।

https://www.youtube.com/watch?v=Cq24YkFqrxY

http://www.renaissance.com.pk/Julq42y3.html

www2.ed.gov/rschstat/eval/other/single-sex/single-sex.pdf

বিষয়: বিবিধ

২৭৫২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

247364
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১২
সুশীল লিখেছেন : আপু ওনেক দিন পর যে?
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫১
192042
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : জী অনেক দিন পর। স্টাডি এবং রিসারস এর কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় করে উঠতে পারি না।
247373
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৩০
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : পৃথিবী শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়- হার্বাড, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রীজ, সাংহাই, ম্যাকগিল, মাদ্রাজ........ সবই তো কো-এডুকেশন। কোথায় পরে আছে শফী হুজুরের মাদ্রাসা, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়?
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫২
192043
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : আপনি আমার লেখার মর্মার্থ বুঝলে এই অনর্থক প্রশ্ন করতেন না। ধন্যবাদ।
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৫৭
192084
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : আপনার লেখার মর্মার্থ বুঝই ঝাকি দিয়েছি। কিন্তু উত্তর দেয়ার মেধা আপনার নেই। ধন্যবাদ।
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩০
192102
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : আমার মেধার সার্টিফিকেট আপনার কাছ থেকে না নিলেও চলবে। পরিবেশ নষ্ট করবেন না আমার পোষ্ট এ এসে।
247383
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম রুমি আপু। আপনার বহু মূল্যবান লিখাটি পড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবগত হলাম। মুসলিম শাসক ও পলিসি মেকারদের শিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েদের উপযুক্ত পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধানে সজাগ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আশাকরি নিয়মিত লিখে সমাজকে উপকৃত করবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর। রমজানুল মোবারক। Rose Good Luck Rose
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩৬
192064
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : অলাকুম সালাম আপু। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য। আমি ভাল লিখতে পারি না এখনো। চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ্‌ Happy
দোয়া করবেন। অগ্রীম ঈদ মোবারাক Happy
247393
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২১
ভিশু লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আপনার পরিবেশনাটি বেশ ব্যালান্সড এবং র‍্যাশনাল হয়েছে! অনেক কষ্টসাধ্য পোস্ট! তথ্যবহুল! ইতিহাসটিও জানতে পারলাম অতি সংক্ষেপে! ঠিকই বলেছেন - মিক্সড হাইয়ার এডুকেশনে অগত্যা অবশ্যই যেতে হবে আমাদের সবাইকে - তবে চলতে হবে সেভাবেই! ওখানে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের চ্যালেঞ্জ নিতে হয় অনেক বেশি - মেডিকেলে নিজেই দেখেছি ওসব! আর পরিবার থেকেই ডাইরেক্ট+ইন্ডাইরেক্ট মনিটরিং এবং প্লিজেন্ট মটিভেশন দরকার! আপনাকে বিশেষ অভিনন্দন - কঠিন একটি বিষয়কে আমাদের কাছে সহজ করে তুলে ধরার জন্যে! কৃতজ্ঞতা জানবেন অনেক ওন্নেক! জাযাকাল্লাহ খাইর! আরো লিখবেন কিন্তু, প্লিজ...Praying Good Luck Happy Rose
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩৯
192067
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান আপনার উৎসাহ মূলক কমেন্টের জন্য। জী মেডিকেল সায়েন্সের জন্য আরো বেশী কঠিন। এই বিষয়ে জাকির নায়েকের একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব আছে ইউটিউবে । https://www.youtube.com/watch?v=2fJmVgiNAjg
247398
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩০
ভিশু লিখেছেন : একটি জীবনঘনিষ্ট পপুলার ইস্যুর ওপর চমৎকার এই লেখাটি স্টিকি করার জন্য অনুরোধ করছি!
247404
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৪১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : কো এডুকেশন প্রাইমারী এবং হাই স্কুলে এড়ানো গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে আর সম্ভব নয়। আর অফিস-আদালতে, বাসে সবখানেই ঠেলাঠেলি সহ্য করেও যখন ছেলেমেয়ে একসাথে বিচরণ করতে পারছে এবং করতে হচ্ছে তখন কেবলমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা একটা গণ্ডি বেঁধে দিয়ে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয়না। এমন হলে ঢাকার ইডেন কলেজ উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারত। আমি যতদূর দেখেছি গার্লস স্কুলের মেয়েরা, বয়েজ স্কুলের ছেলেরা ক্ষেত্রবিশেষে বেশি আবেগপ্রবন হয়ে থাকে। একসাথে পড়লে বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় কে কার থেকে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারে তার প্রতিযোগিতা থাকে। কো-এডুকেশনে ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব খুবই সাবলীল একটা ব্যাপার যা অনেক সময় উচ্ছৃঙ্খলতায় রূপ নেয়। এর কারণ হিসেবে অবশ্যই কো-এডুকেশন দায়ী নয়, আমাদের দেশের "হুজুগে সংস্কৃতি" এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। এর জন্য বাবা-মায়ের সচেতনতা, ধর্মীয় পরিমন্ডলে বড় হওয়া এবং নিজেদের সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২২
192098
ভিশু লিখেছেন : আমি বিনীতভাবে ১টু দ্বিমত পোষণ করছি! সম্ভব হলে গ্রেড ৬-১২ পর্যন্ত মিক্সড এডুকেশন এড়াতে পারলে ভালো! মতটি নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত! তবে কার্যকর সমাধানটি কিন্তু আপনার শেষকথায় এসেছে!
২৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:১৫
192103
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমি আসলে আমার দেখা অভিজ্ঞতা থেকে মন্তব্যটা করেছিলাম। সবার অভিজ্ঞতা এক নয় তাই দ্বিমত থাকতেই পারে। আমার মনে হয় এখন দেশে এবং দেশের বাইরে খুব একটা পার্থক্য নেই। ৬-১২ এই সময় আবেগে বিপথে যাবার ঝুঁকিটা বেশি থাকে তাই এ সময় কো-এডুকেশন এ না যাওয়াটাই বেটার-এ ব্যাপারে আমার কোন দ্বিমত নেই। আমি নিজেও এই সময়টা গার্লস স্কুলে পড়েছি। তবে গার্লস-বয়েজ আলাদা হলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে তা কিন্তু নয়-আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। আমি অনেক সিনিয়ার বোনদের দেখেছি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরে আবার ছুটির সময় ক্লাসে আসে। দেশে মহিলা স্কুল-কলেজ, মহিলা হোস্টেল এর গেটের বাইরে দাঁড়ানো ছেলের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। এসব ব্যাপার অধিকাংশ অভিভাবকরা জানেনা। ঘরের বাইরে ছেলেমেয়েরা কি করছে সব খবর তাদের জানাও সম্ভব নয়। তাই যে স্কুলেই যাক পারিবারিক এবং ধর্মীয় শিক্ষাটা বেশি জরুরি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। দ্বিমত পোষণ করায় আমি আমার মন্তব্যটা এখন আশা করি বুঝাতে পারলামHappy Good Luck
247407
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৫৯
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : আমি আপনার সাথে আংশিক ভাবে একমত পোষণ করছি। বিদেশী অসুস্থ সংস্কৃতি বিরাট বড় একটা কারণ। এজন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ পরিবার থেকেই শুরু হওয়া উচিত। একসাথে পড়তে তো দোষ নেই যদি আপনি উপযুক্ত পরিবেশ দিতে পারেন। অফিস আদালতের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইভাবে প্রযোজ্য। তবে প্রতিযোগিতার বিষয়টির সাথে একমত নই। কো-এডুকেশন অবশ্যই বিরাট বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। শুরুটা হয় এখান থেকেই। আসলে আমি আপনি কি বললাম না বললাম এটা দিয়ে ইসলাম কি চলবে!!
২৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:২৭
192104
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপা আপনাকেHappyআমাদের বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই চিন্তা করতে হবে এবং তা অবশ্যই ইসলাম অনুযায়ী। আমার মন্তব্যটাও ইসলামের বাইরে নয়। যাদের টার্গেট শুধু পড়াশুনা করা তারা সব পরিবেশেই সিরিয়াস থাকে, নিজেকে কন্ট্রোলে রাখে। সেক্ষেত্রে পড়াশুনা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা ছাড়া ক্লাসমেটের সাথে সম্পর্কে জড়ানোর চিন্তাটা মাথায় আসেনা। আর যারা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা সবক্ষেত্রেই এক-এটাই বলতে চেয়েছিলাম
247409
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৪১
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে ব্লগে সবসময় না আসায় এমন অনেক লিখা পড়া মিস হয়। কি করবো ব্লগে একটিভ থাকার মতো সময়ও পাইনা। এখন ফেইসবুকে ভিশু ভাইয়া লিংকটি শেয়ার করায় পড়তে পারলাম। ধন্যবাদ ভিশু ভাইয়া। আর আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এই লিখাটি উপহার দেওয়ার জন্য।
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২০
192097
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান Happy
247413
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক দিন পর আপনার লিখা। একটি জরুরি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। কো-এডুকেশন প্রাইমারি এবং উচ্চ শিক্ষায় থাকতে পারে কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে এটি অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।আমাদের মধ্যে সংস্কৃতিক বিপর্যয় যে অবস্থায় রয়েছে সেখানে কো-এডুকেশন আরো বাড়িয়ে তুলছে সমস্যা। কিন্তু এখন সরকারি উদ্যোগেই কিছুক্ষেত্রে ছাত্রী বৃদ্ধির অযুহাতে কো-এডুকেশন চালু হয়েছে। এমনকি কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একই হলে ছেলে মেয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে। আমি যতটুক জানি বিশ্বের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড,কেম্ব্রিজ বা প্রিন্সটন এ কো-এডুকেশন থাকলেও তারা তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ি কিছু বিষয় এখনও মেনে চলে। যেমন নারি-পুরুষ আলাদা হল এবং ক্লাসে বা ডাইনিং এ আলাদা বেঞ্চ এ বসা।
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৫
192099
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : ক্সফোর্ড,কেম্ব্রিজ বা প্রিন্সটন কতটুকু মেনে চলে আমি সন্দিহান। আমি নিজে কানাডাতে আমার ইউনিভার্সিটিতে দেখছি তো। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে একটা অমুসলিম দেশের কাছ থেকে এসব আশা করা বোকামী। তারা কখনই আমাদের রোল মডেল হতে পারে না।
১০
247414
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:২৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সহমত আপনার সাথে।

আপনার উপস্থাপিত (২) এবং (৩) নং পয়েন্টের জন্য বলি যে – আমাদের দেশের প্রত্যেকটা জেলায় এবং আমার মনে হয় অধিকাংশ থানা শহরেও মহিলা কলেজ রয়েছে এবং এর বেশীরভাগ-ই সরকারী; যেগুলো এখনও বাকী রয়েছে উনীতকরণে সেগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার মাত্র! আর শিক্ষকের অভাব নাই দেশে, শুধুমাত্র বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা কম বিধায় বেশীরভাগ-ই এই পেশায় গমনে ইচ্ছুক না। প্রত্যেকটা জায়গায় শিক্ষকও দেয়া যাবে তাদের একটু সুবিধা দিয়ে। আর সঠিকভাবে শিক্ষার প্রসারে – এটা করাই উচিৎ।

ান্তরিক ধন্যবাদ জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অবতারনার জন্য।
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৬
192100
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
১১
247418
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৫৫
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : মুসলিম প্রধান দেশ হলে সে দেশের সরকারের একটা বিরাট দায়িত্ব সিঙ্গেল সেক্স এডুকেশন সিস্টেম চালু করা। সেক্ষেত্রে তারা আলাদা ক্যাম্পাস, আলাদা ক্লাস রুম বা দুই শিফটে ল্যাব চালু করতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে দেশে ইসলাম কায়েম না হলে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর না হলে সিঙ্গেল সিস্টেম চালু করা হয়ত স্বপ্নই থেকে যাবে।

সৌদি আরবে শতভাগ ইসলাম কায়েম আছে। সিঙ্গেল সেক্স এডুকেশনও চালু আছে। কিন্তু নেই শুধু মেধা। অথচ পৃথিবী শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়- হার্বাড, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রীজ, সাংহাই, ম্যাকগিল, মাদ্রাজ........ সবই তো কো-এডুকেশন। তো??????
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:১৯
192096
সিরাজুম মুনিরা রুমি লিখেছেন : আপনাকে প্রথমেই বলেছি। এই লেখা আপনার জন্য না। কোন ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিং কি সেটা আমি খুব ভাল ভাবেই অবগত। অযথা বিরক্ত করবেন না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File