বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের লোকদের উদ্দেশ্যে-
লিখেছেন লিখেছেন বিবেকের কষ্ঠিপাথর ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৫:৩৪ রাত
যখন ন্যাড়িলীগ গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশ প্রতিরোধ করে বলছে বিএনপিকে দেশের কোথাও সমাবেশ করতে দেয়া হবেনা, সেখানে বিএনপির হরতালের কি উদ্দেশ্য? তারা না যেকোন মূল্যে গাজীপুরে সমাবেশ করে?
[u]
আরো কিছু নেতা জেলে যাবে আর ছাড়া পাওয়ার জন্য জেলে বসে আওয়ামীলীগের সাথে নাকে খত দিয়ে সমঝোতা করবে। আবার বৈঠকে বসবে, হরতাল দেবে। লোক দেখানো আটক হবে। যদিও এভাবে জনবিচ্ছিন্ন হবে, তবু তেলাপোকার মত কিছু সুবিধাবাদী মানূষের দল হয়তো টিকে থাকবে। আর সুযোগের সন্ধানে ওঁত পেতে থাকবে কেউ সুযোগ করে দিলে তা কাজে লাগানোর আশায়। তবে এবার সে আশা গুড়ে বালি কারন এবার ভারত এমন দালালের মত মওকা পেয়ে আর গণেশ উল্টে যেতে দিতে চাচ্ছে না। কিচ্ছুতেই না।
বিএনপিকে জামায়াতের হয়তো এতক্ষণে চেনা হয়েছে। জামায়াত বেশী দরকষাকষি করলে হয়তো বিএনপি বলতো জামায়াতের অসহযোগিতার কারণেই বাকশালকে নামানো যাচ্ছে না। এমনকি জোটের বৈঠকে জামায়াত আঁতাত করেছে এই মর্মে হাসাহাসি। জামায়াত তো ১৪৪ ধারা ও ভাঙ্গতে চেয়েছে। ছাত্রদল, যুবদল গেল কই। ২৮ শে অক্টোবর বিএনপি জামায়াতের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। এখন বকশিবাজারে বিএনপির উপর ২৮ শে অক্টোবর এসে পড়েছে। ইতিহাস বার বার ফিরে আসে। আজ বিএনপির (তথাকথিত) যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামায়াতের পক্ষে কথা বলতে লজ্জ্বা লাগে। হয়তো একদিন অন্যদের ও বিএনপির (তথাকথিত) দেশদ্রোহীদের পক্ষে কথা কলতে লজ্জ্বা লাগবে। তবে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি, কিন্তু সময় খুব সীমিত। বিএনপির উচিত জাসদের মত নির্বংশ হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মেকি, অকর্মণ্য-অপদার্থ বড়ত্বের অহমিকা ছেড়ে বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনী আসন বা আন্দোলনের ক্ষেত্রে জামায়াতকে অগ্রগণ্যতা দিয়ে অগ্রসর হওয়া। অন্যথায় কার্যত অপদার্থ বিএনপির প্রধান বিরোধীদলের মুখোশ সারা দেশকে ও দেশের ১৬ কোটি জনতাকে আওয়ামী-ভারতীয় খোয়াড় থেকে উদ্ধার হওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা থেকেও বঞ্চিত করবে। বিএনপির দ্রুত শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া ভালো। তাদের অসহযোগিতায় জামায়াতের খুব বেশী ক্ষতি হওয়ার আশংকা ক্ষীণ। কারণ জামায়াত বলতে কিছু না, কতগুলো লোকের সমষ্টি ছাড়া। আর এ লোকদের হারাবার একটা জিনিস ই আছে। তা হল দুনিয়া, যা হারাবার জন্যই এবং যা না হারালে স্বর্গ পাওয়া যায় না।
যাই হোক, পৃথিবী অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত বদলাচ্ছে। আমার কাছে সব দেখে মনে হচ্ছে, ইমাম্ মাহদীর আগমন আর দুয়েক দশকের দূরত্বে। সুতরাং, এ গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডে জাতীয়তাবাদ বা কল্যান রাষ্ট্র নামক এসব মিথ্যা আদর্শের ধোঁকায় পড়ে না থেকে এদেশের ইসলামী আন্দোলনগুলোর উচিত যতটুকু সম্ভব ঐক্যবদ্ধভাবে নিজের পায়ের উপর ভর দিয়ে এবং সম্মত হলে বিএনপির কিছু আল্লাহভীরু ও দেশপ্রেমিক জনতাকে (যদি ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী বিএনপিকে না পাওয়া যায়) কাজে লাগিয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সাথে নিজেদের কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন পরিচালনা করা যার লক্ষ্য থাকবে নিজেদের ঈমান আকিদা রক্ষার নিমিত্তে খিলাফাত প্রতিষ্ঠা তা যত ক্ষুদ্র পরিসরেই হোক। সেটা সর্বব্যাপী পরিকল্পনা ও শক্তি (বিশ্বমানের জ্ঞান ও সামরিক শক্তিসহ) নিয়েই। ভারত যদি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে, আমরা কেন পারিনা ভারতের মত শক্তিকে মোকাবেলায় ভারতের শত্রু এবং ভারতের মত শক্তিশালী কাউকে আমাদের সাহায্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করাতে। আমাদের বুঝতে হবে ইতোমধ্যে ভারত আমাদের স্বাধীন মানচিত্র মুছে দিয়েছে। অতএব, মেকি রাষ্ট্র, রাষ্টদ্রোহ আর কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মুখোশ ধরে নিজেদের নেড়ি কুকুরের কামড় থেকে রক্ষা করা যাবে না।
আপনারা কি বলেন?
বিষয়: বিবিধ
১২১৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন