গেইম কি জায়েজ?

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১১:০০:০৩ সকাল



ব্লুো_হোয়াইল_গেইম

কোথাকার একজন এডমিন আপনাকে ধাপে ধাপে ধ্বংশের দিকে নিয়ে যাবে আর আপনি মৃত্যু জেনেও তার কথা মত আপনি এগিয়ে যাবেন এটা কোন কথা হলো?

আর আমরা প্রতিদিন আপনার কানে এসে নেকির দাওয়াত দিচ্ছি আমাদের পাত্তা দিচ্ছেন না,

আর বলছেন সময় নেই, অথচ কোথাকার অচেনা একজন এডমিন আপনাকে এটা করতে বলবে ঐটা করতে বলবে সেটা আপনি করেই যাবেন এমনকি মৃত্যুর মতো ঝুকিও নিবেন তাহলে তো বলতে হয় ঐ মৃত্যু আপনার জন্য যথেষ্ট নয়, আখেরাতে আপনার জন্য দোযখের ফেরেস্তা অপেক্ষা করতেছে।

আপরার আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই,

গেইম খেলা এমনেই শরীয়তের দৃষ্টিতে সময় অপচয় একটা খেলা

২৪ঘন্টা সময় হচ্ছে আল্লাহর বিশাল একটা নিয়ামত

সুতরাং আপনি কোন ইবাদত না করে এই বিশাল একটা সময় গেইমে অপচয় করছেন এটা তো হতে পারেনা,

খানাপিনা আর পানি অপচয় করলে আমরা তাকে বলি শয়তানের ভাই,

সে হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো এই সময়

আর অযথা সময় কাটানোর জন্য গেইম খেলে খেলে সময় অপচয় করলে আমরা কি তাকে শয়তানের বড় ভাই বলতে পারিনা?

#মুসলিমরা_কখনো_গেইমে_আসক্ত_হবেনা,

কেননা তারা বুঝতে পারে তাদেরকে কেবলি আল্লাহর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন, এমনকি এও বুঝে তাদের প্রতিটি ঝররা ঝররা সময়ের হিসেব আল্লাহর কাছে দিতে হবে,

আল্লাহ কোরানে বলছেন "দুনিয়ার হায়াত কেবল খেলা ধুলার জন্য নয়"

সুতরাং মুসলিমরা কেবলিই ইবাদতের প্রতি আসক্ত হয়

সকল_কিছু_নেশাই_হারাম

মদ হারাম, গাজা হারাম, জুয়া খেলা হারাম কেননা এ গুলো নেশা

মদ হারাম কেননা এটা খেলে নেশা হয়, মা বাবার চিহ্ন তার চোখে ধরা পড়েনা, তার বিকেবে আর কাজ করেনা, জুয়া হলো খাওয়ার জিনিস নয় এটা একটা খেলার নাম, এই খেলা যে খেয়েছে সেই বুজেছে এটাতে কত নেশা আছে,

জুয়া হচ্ছে প্রাচিন খেলা , সুতরাং এর কথা কোরানে বর্ণিত হয়েছে,

ক্রিকেট ফুটবল আর কম্পিউটার বা মোবাইলে গেইম খেলা হলো আধুনিক খেলার নাম,

এই খেলা গুলোর ব্যপারে কোরান হাদিসে হারাম হালালের ব্যপারে উল্লেখ নেই,

তবে যখন এই খেলা নেশার পরিনত হবে তখন জুয়া খেলার মত এই খেলা গুলোও হারাম হবে

কেননা জুয়া খেলা যারা খেলে তারা নামাজ বা ধর্মীয় কাজ করার সময় পায়না, নেশার কারনে তাদের বিবেক শক্তি হ্রাস পায়

আর ক্রিকেট ফুটবল বা কম্পিউটারে যারা গেইম খেলে তারাও এমন যে নামাজের সময় পায়না,

নামাজ আর তাদের ভাল লাগেনা, তাদের বিবেক শক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পায়,

সুতরাং কোরান মজিদে অসংখ্য জায়গা আল্লাহ তায়ালা খেলাধুলা প্রতি নিরুত্সাহিত করা হয়েছে

বলা হয়েছে #মুমিনদের_জন্য_এই_পৃথিবীটা_খেলার_মাঠ_নয়,

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

যার_মৃত্যু_যে_অবস্থা_হয়েছে_সেই_অবস্থায়_কিয়ামতের_ময়দানে_উঠবে

সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমাদের মৃত্যু তো আর সিজদায় আবস্থায় হয়না,

কেননা ২৪ঘন্টা = ১৪৪০ মিনিট,

আমরা সারাদিনে নামাজে ব্যয় করি মাত্র ৪০ মিনিট,

আর বাকী থাকে ১৪০০মিনিট,

আর ১৪০০ মিনিট হতে আমরা অনেকে ব্যয় করি খেলাধুলায়

অনেকে ব্যয় করি গেইম খেলে,

অনেকে ব্যয় করি অনর্থক আড্ডাতে

অনেকে ব্যয় করি সিনেমা নাটক দেখে,

অনেকে ব্যয় করি গান বাজনা দেখে বা শুনে,

অনেকে ব্যয় করি মোবাইলে বা প্রেমের আলাপ করে ইত্যাদি

যদি আমাদের মৃত্যু উল্লেখিত সময়ে হয় তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমরা নির্ঘাত দোযখে নিক্ষেপিত হবো।

গেইম_খেলা_কি_জায়জ?

প্রিয় প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা!

আমরা যারা বড় গেইমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি আমাদের উচিত যেন ধীরে ধীরে তা থেকে বেরিয়ে আসা,

এমনকি আমাদের ছোট শিশুদেরকেও যেন এই গেইমে আসক্ত হতে না হয় সেদিকে খেয়াল করা আমাদের উপর ফরজ হয়ে দাড়ায়েছে।

ভিডিও গেম এ অনর্থক খেলার মাঝে শামিল। যেহেতু এর দ্বারা শারিরিক কোন উপকার নেই। অহেতুক সময় নষ্ট করা, তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু বর্তমানের ভিডিও গেমগুলোতে নানা ধরণের হারাম মিউজিক থাকে।যা সম্পূর্ণই নাজায়েজ। আর এসব মারামারি দৃশ্যগুলো বাচ্চাদের মন মগজে খুবই খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে। বাচ্চাদের প্রতিহিংসা পরায়ন, প্রতিশোধী মনোভাবাপন্ন বানিয়ে দেয়।

আমাদের ধারণা এসব ভিডিও গেম এবং সিনেমাগুলোর এ্যাকশন দৃশ্যগুলোর কুপ্রভাবে কম বয়সী বাচ্চাদের দ্বারাও বড় বড় অপরাধমূলক কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাই এসব অহেতুক ভিডিও গেম থেকে বিরত রাখাই জরুরী।

বাচ্চাদের ইসলামী সংগীত শুনাতে পারেন। কুরআন তিলাওয়াত শুনাতে পারেন। বাচ্চাদের আপনি যে পরিবেশে বড় করবেন, সে সেই পরিবেশেই নিজেকে মানিয়ে নিবে। গেমস টিভিতে অভ্যস্ত করলে সে তাতেই অভ্যস্ত হবে, কুরআন তিলাওয়াত গজলে অভ্যস্ত করলে ইনশাআল্লাহ তাতেই অভ্যস্ত হবে।

আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, সন্তানকে কোন পরিবেশে দেখতে চান?

وكره كل لهو لقوله عليه الصلاة والسلام كل لهو المسلم حرام إلا ثلاثة: ملابعة اهله، وتأديبه لفرسه، مناضلته بقوسه… ألخ

وقال ابن عابدين- كره كل لهو أى كل لعب وعبث (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة-6/395،

وأما ما لم يرد فيه (اى فى اللهو) النص عن الشارع، وفيه فائدة وصلحة للناس، فهو بالنظر الفقهى على نوعين: الأول ما شهدت التجربة بأن ضرورة أعظم من نفعه، ومفاسده أغلب على منافعه، وأنه من اشتغل بها ألهاه عن ذكر الله وحده، وعن الصلوات الله والمساجد، إلتحق بذالك بالمنهى عنه لإشراك العلة، فكان حراما أو مكروها، (تكملة فتح الملهم-4/434-435)

মোহাম্মদ ওমর ফারুক পরব

বিষয়: বিবিধ

১০২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File