কিছু তথ্য উপাথ্য আপনার ভাল লেগেও যেতে পারে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ১৪ মে, ২০১৪, ০৯:৪২:১৮ সকাল

১।



মায়ের গর্ভ থেকেই এবার হাতে হাত

ধরেই পৃথিবীতে এলো দুই যমজ বোন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও

অঙ্গরাজ্যের

একটি হাসপাতালে হাতে হাত ধরে ওই দুই

যমজ বোন জন্ম নেয়। জানা যায়, গত শুক্রবার ওহিওর

অ্যাকর্নের জেনারেল মেডিকেল

সেন্টারে সারাহ দিসটিলেথওয়াইট

নামে এক মা যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম

দেন। জিলিয়ান ও জিনা নামে ওই দুই যমজ

একই ডিম্বাসয় ও গর্ভফুলে জন্ম নেয়।

যা প্রজনন বিদ্যায় একটি বিরল ঘটনা।

চিকিৎসকরা একে বলে থাকেন

‘মনোঅ্যামিনোটিক বার্থ’। যা শিশু জন্ম

সংক্রান্ত ঘটনার প্রতি ১০ হাজার

বারের মধ্যে এক বার ঘটে থাকে।

হাত ধরে পৃথিবীতে আসা জিলিয়ান ও

জিনা বর্তমানে সুস্থ আছে।

চিকিৎসকরা তাদের হাত

ছাড়িয়ে উভয়কেই মায়ের

কোলে তুলে দিয়েছেন। তাদের মা সারাহ

জানিয়েছেন, দুই বোনের মধ্যে বন্ধুত্ব এখনও অটুট আছে।

তারা এখনই একে অপরের

সেরা বন্ধু।

০২।



অবিশ্বাস্য সমুদ্রের নিচের নদী!!!

আচ্ছা নদী চিনেন?

কি পাগলের মত প্রশ্ন

করছি নদী মাতৃক

বাংলাদেশে নদী চেনে না এমন কেউ

কি আছে? মনে হয় নেই।

নদী বলতে আমরা যা বুঝি তা হল,

ভূমি চিড়ে বয়ে চলা মিষ্টি পানির ধারা যার উৎপত্তি কোন এক হিমালয়ের

বরফ গলা পানির ধারা থেকে আর যা শেষ

হয়েছে নোনা পানির সমুদ্রের

সাথে মিলিত হয়ে।

কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক নদীর

সাথে পরিচয় করিয়ে দিব

যে নদীকে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সমুদ্রের

নিচে। আর এই নদীর উপর

দিয়ে বয়ে চলেছে নোনা পানির সমুদ্র।

কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাহলে চলুন এবার জেনে নেই

এই অবিশ্বাস্য সমুদ্রের নিচের

নদী সম্পর্কে। এই নদীর আবাস স্থান মেক্সিকোতে।

ফটোগ্রাফার "এনাটলি বেলাশিন" (Anatoly

Beloshchin) প্রথম এই নদীর ছবি তোলেন। এই

নদী মেক্সিকোর Cenote Angelita তে,

যা মেক্সিকোর পূর্ব সমুদ্র সৈকত Yucatan

Peninsula তে অবস্থিত।

এখন আরেকটু মজার তথ্য দেই।

আচ্ছা আপনার কি মনে হয়

সত্যি সত্যি এরকম নোনা পানির সমুদ্রের

নিচে কোন নদী আছে?

নাকি এটা অন্য কোন

কিছু? আচ্ছা তাহলে খুলে বলি এই নদীর

আসল রহস্য।

পানির নিচে যে নদীর

ছবি এনাটলি বেলাশিন তুলে এনেছেন

তা আসলে খুবই নিখুত চোখের ভুল। এখন একটু

বিস্তারিত বলি তাহলে আপনাদের

বুঝতে সুবিধা হবে। আমি আগেই বলেছি প্রতিটি নদীর শেষ হয়

সমুদ্রের সাথে মিলে। আর নদীর

মিষ্টি পানি আর নোনা পানি কিন্তু কোন

না কোন এক জায়গায় মিলে যায়। ঠিক

এরকম একটা জায়গায় এই নদীর অবস্থান।

মানে যেখানে সমুদ্রের নোনা পানির সাথে নদী দিয়ে বয়ে আসা মিষ্টি পানির

মিলন ঘটেছে। আর এইখানেই ৩০ মিটার

পানির গভীরে লুকিয়ে আছে একটা রহস্য।

আর তা হল এখানে পাওয়া যায়

হাইড্রোজেন সালফাইড।

আর এই

হাইড্রোজেন সালফাইডের সাথে পানির রাসায়নিক ক্রিয়ার কারনে তৈরি হয়

কুয়াশা। যা এমন একটা পরিবেশ

সৃষ্টি করে মনে হয় যেন পানির নিচ

থেকে বয়ে চলেছে অন্য আরেক কোন

জলাশয়।

আর মিষ্টি পানির রহস্য

হচ্ছে নিচের পাথরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নদীর পানির ক্ষর

স্রোতার কারনে বেশ

কিছুটা এলাকা জুড়ে এই নোনা পানি আর

মিষ্টি পানির মধ্যে পার্থক্য

থাকে কিন্তু অবশেষে এই

মিষ্টি পানি পরিনত হয় সমুদ্রের নোনা পানিতে।

০৩।



চীনাদের নকল শহর !

বিশ্বে চীনাদের একটি খ্যাতি আছে যে, তারা যে কোন জিনিস সুনিপূনভাবে নকল করতে পারে। বর্তমান বাজারে মোবাইল, কম্পিউটার, ঘড়ি, গাড়ী থেকে শুরু করে যে কোন জিনিস চীনারা অত্যন্ত সূচারুভাবে নকল করে থাকে। বাজারে নতুন কোন পণ্য আসলে হয়, অমনি সেটি চীনাদের নকলবাজির খপ্পরে পড়ে যায়। নকল করার এই প্রতিযোগীতায় এবার যেন তারা নিজেরাই নিজেদের হার মানিয়ে দিয়েছে। কম্পিউটার, ঘড়ি গাড়ী থেকে এবার তারা আস্ত দুটি শহর নকল করে ফেলেছে।

চীনের সাংহাই শহর থেকে মাত্র এক ঘন্টা পথ গেলেই দেখা যাবে বার, রেস্তোরা, আলিসান শপিং মল ঘেরা সেই শহর। চমৎকার নির্মাণশৈলীর সারি সারি বাড়ি চোখে পড়ার মতো। পাশ্চাত্য ধাচেঁর সেই সব বাড়ী দেখে কৌতুহলী ব্যক্তি মাত্রই হোচট খাবেন। চমকের এখানেই শেষ নয়, বৃটিশ রাজনীতিক উইনষ্টন চার্চিলের ব্রোঞ্জের মূর্তি দেখে খনিকের জন্য হলেও বিভ্রান্ত হতে পারেন - একি ভুল করে কোন ব্রিটেনের শহরে এসে পড়লাম নাকি!

ধাঁধার মতো মনে হলেও এমনই কাজ বাস্তবে সম্পন্ন করেছে চীনারা। ব্রিটেনের ঐতিহাসিক লিম রেজিস ও বাথ শহর দুটো নকল করে চীনারা যে শহরটি নির্মাণ করেছে তার নাম টেমস। শহরটি ঘুরে মনে হবে বৃটেনের শহর দুটিকে যাদু বলে তুলে আনা হয়েছে সূদুর চীনে। চীনের পাঁচটি রিয়েল এষ্টেট ডেভেলপারসের অদম্য পরিশ্রমে তৈরি করা হয়েছে টেমস শহরটি। যার নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৬৩ কোটি মার্কিন ডলার। গোটা শহরে ১০ হাজার লোকের বসবাসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

এই শহরে ভিক্টোরীয় যুগের ব্রিটেনের শান-শওকত, মনোরম স্থাপত্যকলা ও নিদর্শন চোখে পড়ার মতো। ব্রিটেনের লিম রেজিস ও বাথ শহর দুটি ঠিক যেভাবে, যে নকশা ও সৌন্দর্যে গঠিত টেমস শহরটি ঠিক সেই নকশা ও সৌন্দর্যে তৈরি করা হয়েছে। শহরের সকল ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট, শপিং মল এমনকি তাদের ডিজাইন ও রং সমূহ নকল করা হয়েছে। মোট কথা বৃটেনের শহর দুটোর রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছে চীনে। টেমস শহরটি কেমন অবিকল নকল করা হয়েছে ছোট্ট একটা উদাহরন দ্বারা সেটা বুঝা যাবে। ব্রিটেনের লিম রেজিস শহরে কোব নামে একটি দোকান আছে। যার মালিক গেইল ক্যাডি। টেমস শহরে ঠিক এই দোকানের অনুকরণেও তৈরি করা হয়েছে কোব নামক আরেকটি দোকান। এখানেই নকলবাজী শেষ নয়। গেইল ক্যাডির দোকানের দরজা থেকে শুরু করে ভিতরে সাজসজ্জা, মাছ রাখার পাত্র, তাকিয়া সহ আস্ত দোকানটিই নকল করা হয়েছে।

বর্তমানে মানুষ এই শহরে বসবাস করা ছাড়াও অন্যান্য শহর হতে এই শহরে ঘুরতে আসে চীনাদের নকলের চমৎকারিত্ব দেখার জন্য। চীনাদের এই শহর নকল করার কৃতিত্বটা মোটেও পছন্দ হয়নি ব্রিটিশদের। হবেও বা কেন? কারন, ব্রিটিশদের সৌন্দর্য দেখতে তো এখন আর ব্রিটেনে যেতে হবে না চীনে গেলেই যথেষ্ঠ। তবে চীনারা তাদের কর্মকান্ডে দারূন খুশি। নকলবাজির দৃষ্টান্তকে তারা বেমালুম চেপে গেছে। তাদের দাবী এখানে কিছুই নকল করা হয়নি বরং সবই ভুল বোঝাবুঝি। নকল হোক আর যাই হোক টেমস শহরকে নিয়ে চীনারা এখন দারুন গর্বিত।

০৪।



০৫।



০৬।



০৭।



০৮।



০৯।



১০।



'amazon water lily' এর পাতার ব্যাস প্রায় ৩মিটার পর্যন্ত হয়। এতো বিশাল আকারের কারনে এর পাতা নিজের উপরে প্রায় ৭০ পাউন্ড ওজন সহ্য করে ভেসে থাকতে পারে

১১।



১২।



১৩।



১৪।



১৫।



১৬।



১৭।



১৮।



১৯।



বিড়াল এবং বিড়ালের মালিক দুই জনই 'Multi-Colored Heterochromic Eye' এর অধিকারী

বিষয়: বিবিধ

১৪৩৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

221324
১৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
হতভাগা লিখেছেন : ৩. ''বিশ্বে চীনাদের একটি খ্যাতি আছে যে, তারা যে কোন জিনিস সুনিপূনভাবে নকল করতে পারে।''

০ চীনকে তাহলে পৃথিবীর জিন্জিরা বলাই যায় ।

৫. মেয়েরা যেভাবে গাড়ীর উপরে নিচে , আশে পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিয়েছে - এরকম তারা এখনও দেয় , তবে সেটা গাড়ির মডেল হিসেবে ।

৭.Onoda কে সবাই উল্লু বানিয়েছে । তার শত্রুরাও কি জানতো না যে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে ?


8.আপনি দিয়েছেন ভাষ্কর্য , বার্লিন আক্রান্ত হবে না এর ফলে । ওরা এটা নিয়ে যতটা না সমব্যাথী তার চেয়ে বেশী মজাপ্রার্থী ।

আর এটা হল জীবন্ত এবং এটা যারা প্রথমেই ও ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হবে তাদেরই প্রতিবাদ স্বরুপ বানানো বার্লিনওয়ালাদের জন্য





১৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
168822
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : বাহ! অনেক তথ্য উপাথ্য দিয়ে আমার ছবির জওয়াব দিয়েছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ
221332
১৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ৯নং তথ্যটা বাংলাদেশের হলুদ সাংবাদিকদের জন্যও একদিন সত্য হবে। তারা সবাইকে জঙ্গি বানায় আসলে নিজেরাই তাই।
১৪ মে ২০১৪ সকাল ১১:০৩
168827
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : প্রায় সাংবাদিক তাদের আচরন সাংঘাতিক
জঙ্গির চেয়ে বয়াবহ,
কারন তারা জঙ্গি সৃষ্টিও করতে পারে, আবার দেশকে ধ্বংশও করতে পারে
221347
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটি সত্যিই সুন্দর।
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
168833
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
221362
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অবাক হয়ে পড়লাম। দারুন...
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০২
168846
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : পোষ্ট তো আপনার স্টিকি হয়েছে, আমি ভাবছিলাম আপনার পোষ্ট খানা এই বার স্টিকি না করলে কিন্তু আবার একখানা দরখাস্ত দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাবো মডুদের।
তো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য।
১৪ মে ২০১৪ রাত ০৯:২৪
169029
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহে আমার পোস্ট স্টিকি করার জন্যে আপনি দরখাস্ত করেছিলেন নাকি ?? জাজাকাল্লাহ Happy
১৫ মে ২০১৪ সকাল ০৮:০৭
169116
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : এখানে ক্লিক করুন
221383
১৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩৬
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
১৫ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
169114
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
221553
১৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:১৭
সবুজেরসিড়ি লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ . . .
১৫ মে ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
169115
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
221701
১৫ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
আহ জীবন লিখেছেন : ১৬> চেইন অফ প্রেসার।
১৭> কাইন্দা দেখতে হইব।

জ্ঞান ভাণ্ডারে তথ্য যোগের জন্য অনেক ধন্যবাদ
১৫ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
169183
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File