মডারেট সমীপে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ০৪ মে, ২০১৪, ০৯:৩০:০২ সকাল
বরাবর
মডারেট সমীপে
টুডে ব্লগ
বাংলাদেশ
বিষয়: ভাল মানের পোষ্ট স্টীকি করা প্রসঙ্গে
জনাব,
যথা বিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি উক্ত বহুল প্রচারিত ব্লগের একজন অত্যন্ত নগন্য ব্লগার। আপনার সুপরিচালনায় উক্ত ব্লগটি যেমন পেয়েছে প্রচার তেমনি পেয়েছে চাকচিক্য ও জন সাধারন গৃহীত।
বর্তমানে এই ব্লগটি বাংলাদেশ তথা সারা পৃথিবীর প্রবাসীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং মানসম্মত মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। আজ আমি কিছু অপ্রসাংগিক কিছু কথা বলতে চাই, আর সেটা হলো বিভিন্ন ব্লগে আমার পদ চারনা এবং কিছু সমস্যা।
বাংলাদেশে সব ব্লগেই কোন না কোন সমস্যায় জর্জরিত, সোনার বাংলাদেশ ব্লগটি যখন সরকার বন্ধ করে দেয় তখন আমি দিশেহারা হয়ে তন্ন তন্ন হয়ে সোনার বাংলার মতো অন্য আরেকটা ব্লগ খুজি, যতই খুজি ফিরি ততই বেরিয়ে আসছে পঁচা গন্ধ কিছু ব্লগ, যা কোন ভাবেই মনকে শান্তি দেয়ার উপযুক্ত নয়।
আমি সর্ব প্রথম দিকবেদিক দিশেহারা হয়ে ধর্না দিয়েছিলাম প্রথম আলোর বদলে দাও বদলে যাও ব্লগে, কিন্তু সেখানে এতই সমস্যা যে বলার মতো না, সেখানে কোন ছবিই আফলোড হয়না,
সেখানে পাঠক আর লেখকের সংখ্যা খুবই নগন্য, পোষ্ট স্টীকি করা হয় জাগরন মুলক কিংবা অন্য ধাচের যা কমিনিউজম ।পাঁচ ছয়মাস পরে সন্ধ্যান পেলাম প্রথম আলো ব্লগে, সদস্য হলাম, কিন্তু কেউ কারো খবর নেয়ার ব্লগ না, প্রায় লেখককে উত্সাহিত করা হয়না, সেখানে টেকনিক্যালি অনেক প্রবলেম আছে, যেমন লগিন করা , ছবি আফলোড করা, মাঝে মাঝে ব্লগটি উপেন না হওয়া, তাছাড়া সেখানে স্টীকি হয় এক ধরনের লেখকের পোষ্ট, যারা জীবনী কিংবা মৃত্যু কিংবা জম্মদিনের শুভেচ্ছা মুলক পোষ্ট দেন, অন্য লেখকের আহা মরি অবস্থা, যে স্টীকি পোষ্ট একটি মাত্র কমেন্ট পাওয়ার যোগ্য না সেটা স্টীকি করে ঝুলিয়ে লটকায়ে রাখা মানে অন্য লেখককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা।
আমি বরাবরেই কিন্তু সেমু ব্লগে রেজি: করতে ভুলিনি, পাঁচটা ইমেইল নষ্ট হয়েছে রেজি: করতে কিন্তু হয়না কোন একটা সমস্যার কারনে,
চেষ্টার পর প্রায় তিন বছর পর আমি প্রবেশ করতে অনুমতি পেয়েছি, অনুমতি পাওয়ার প্রায় তিন মাসের পর প্রথম পাতায় অনুমতি পাই,
তবে সেমু ব্লগের কিছু নিয়ম কানুন প্রসংশার দাবীদার।
উক্ত টুডে ব্লগে যে লেখাতে দু চারটে কমেন্ট পড়েছিল সেই একই লেখা সেমু ব্লগে গিয়ে একেবারেই স্টীকি নোটিশ বোর্ডে! লেখাটি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি - প্রসঙ্গ -খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক
এমন শত পোষ্ট আছে টুডে ব্লগের মডারেট ভাইগন সম্মান দিচ্ছেনা ঠিক একই পোষ্ট সেখানে স্টীকি হচ্ছে যেটার ক্ষতির পরিমান টুডে ব্লগকে পোহাতে হবে একদিন।
সেখানে তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট পেলেই মডারেট ভাইগন তাড়াতাড়ি লোপে নিয়ে নির্বাচিত পাতায় স্থান করে দেয় যাতে উক্ত লেখক ব্লগার ভাই কষ্ট করে হলেও আরেকটা লেখার উত্সাহ পায়।
খুবই দুঃখ সোনার বাংলা ব্লগের জন্য, যখন মনে পড়ে তখন বুকটা একেবারেই ফেটে যায়, টুডে ব্লগে এসে এসবি ব্লগের সুনাম গাওয়া কেমন যেন নিজেকে খুব খারাপ লাগতেছে তবুও বলি সেখানে একটা সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন ছিল পোষ্ট স্টীকির ব্যাপারে
এরা ছয়টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিত
০১। নির্দিষ্ট দিনে দেশের খ্যাতনামা ব্যক্তির মৃতবার্ষিকী, জম্মবার্ষিকী মুলক পোষ্ট।
০২।কোন ভ্রমন কাহিনী, কিংবা লেখকের নিজের তুলা কোন ছবি ফেলেই তারা স্টীকি করার জন্য পাগল হয়ে যেতো।
০৩। সমসাময়িক দেশের কোন বিরাজমান পরিস্থিতি কোন ঘটনা, এর সমাধানের উপর লেখা মানেই তো স্টীকি। এত বড় বাংলাদেশে ঘটনা গড়ছে বিশেষ করে গুম হত্যার ব্যাপারে এত লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরও কেন টুডে ব্লগের মডারেট ভাইগন একটি লেখাও স্টীকি করে রাখলনা তা খুব দুঃখের বিষয়।
০৪।ধর্ম নিয়ে বিশুদ্ধ আলোকপাত কোরান হাদিসের আলোকে যেটা ব্লগারের মনমানসিকতাকে উন্নত করবে এমন লেখাকে প্রায় স্টীকি করে রাখতো এসবি ব্লগের মডারেটগন।
৫। সেখানে রাজনৈতিক ছত্রছায়া না থাকায় সেখানে অরানৈতিক লেখক ব্লগার ভাইরা খুবই গুরুত্ব পেত।
০৬। ব্লগারের কোন নতুন সন্তান জম্ম হলে তার ছবি সম্বলিত কোন পোষ্ট দিলে কিংবা ব্লগারের অসুস্থ্য হয়েছে দোয়া মুলক পোষ্ট দিলে সাথে সাথে স্টীকি করে রাখাটা দায়ের মধ্যে পড়তো এসবি মডারেট ভাইগনের।
মূলকথা এসবি ব্লগের পরিবেশটা ছিল ঘরোয়া, পরস্পরের দুঃখে সুখে আমরা ভাগাভাগি করে নিতাম, পরস্পরের সম্প্রীতিটা ছিল দারুন,
এখন মনে পড়ছে ঠিক এই লেখার সময়ে।এরই মাঝে হঠাত দেখা পেলাম টুডে ব্লগকে, আমাকে সন্ধান দিয়েছিলেন এক বন্ধু ফেইজবুকে, তার একটি পোষ্ট স্টীকি করা হয়েছিল, এই উত্সাহে সে সবাইকে দেখানোর জন্য আমাদেরকে শেয়ার করে। ব্যস পেয়ে গেলাম সোনার হরিন।
আমি ডুকার সাথে সাথে সিটিজি,নেহায়াত ও প্রবাসী মজুমদার ভাইগনের মতো আরো অনেক নামি দামি ব্লগার দেখে নিজেকে খুবই অবাক মনে হয়েছে,
এখানে উল্লেখ্য যে টুডে ব্লগের সাথে এসবি ব্লগের প্রায় মিল খুজে পাওয়া যায় আর সেটা হলো ব্লগার লেখক পাঠকের সম্প্রীতি কিংবা লেখক সংখ্যা, পেইজের গঠন পদ্ধতি।
মডারেট ব্যপারে আমার বহুত দুঃখ আছে।
আমি আজ পর্যন্ত ব্লগে দেখিনি যে কোন এক ধর্ম বিরুধী পোষ্ট করে তা নোটিশের মাধ্যমে ভ্যান করে দিতে, যাতে অন্য ব্লগার বুঝতে পারে এখানে যে রুলস দেয়া আছে তা পালন করতে মডারেট ভাইগন সচেতন।
এখানে রুলস লেখা আছে কোন ধর্ম বিরুধী লেখা ( সেই যেই ধর্মের হোক না কেন) অগ্রহন যোগ্য কিংবা অপরাধ, এই রকম লেখা প্রকাশিত হলে সাথে সাথে ব্লগার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এই রকম প্রায় ব্লগের নিয়ম নীতিতে লিপিবদ্ধ থাকে। কিন্তু কোন ব্লগেই এর নিয়ম নীতির বালাই নেই, যে যা পারে মন্তব্য করে যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে মডারেটরা ঘমের মধ্যে থাকে সব সময়। যদি এমন হয় তাহলে উক্ত নিয়ম নীতিটা বাদ করে দেয়া হোক। বলা হোক "এই মন যা চায় তাই লেখুক মডারেটরা দায়ী নয়"
অতএব, বিনীত প্রার্থনা যে, উক্ত ভাল মানের পোষ্ট গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনার মাধ্যমে পোষ্ট স্টীকি করে ব্লগার লেখককে আরো বেশি লেখার উত্সাহ দিয়ে উক্ত ব্লগকে আরো বেশি প্রচার প্রসার করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো
নিবেদক
উক্ত ব্লগের ব্লগার বৃন্দ
বিষয়: বিবিধ
১৩২৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কয়েকটা পয়েন্ট ছাড়া বাকিগুলিতে সহমত পোষন করছি।
মডারেট তো আমার লেখা দেখেছে,
তাছাড়া আপনার লেখা স্টীকি দেখে আরো বেশি ভাল লাগতেছে,
জানি সম্পাদকের উপর অনেক ঝড়-ঝাপটা যাচ্ছে। তার পরও তাঁহাদের কাছে আমাদের বিনিত অনুরুধ স্টিকির স্থানটা মোটামুটি মান সম্পন লেখা দিয়ে ভরাট রাখা হোক।
আর যে ভাইরা পরিশ্রম করে মন্তব্য করে দশ জনের ভিতর স্থান করে নিচ্ছে তাদের লিস্টকে আরও উপরের দিকে রাখা হোক যাতে সবার নজরে আসে সহজে।
কারন এই মন্তব্যকারিরাই ব্লগটাকে প্রানবন্ত রেখেছে ।
ধন্যবাদ
বিঃ দ্রঃ- কবিতা কখনই স্টিকি করা উচিত না কারণ ভালো কবিতা লিখা পানির মত সহজ...যে কেউ কবিতা লিখতে পারে হাতের ময়লা ফেলার মত।
এই ব্লগে এই পর্যন্ত কারো কবিতা স্টীকি হতে দেখলাম না
সহমত + + +
মন্তব্য করতে লগইন করুন