এলিয়েন রহস, কোরান মজিদের ব্যাখ্যা এবং কিছু ছবি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:৫৭:২১ সকাল
এলিয়েন নিয়ে প্রচুর সিনেমা হয়েছে, হিন্দিতে কুয়ি মিলগেয়া, যতবার দেখানো হয়েছে টিভিতে ততবার দেখিছি শুধু এলিয়েনটা দেখার জন্য, হলিউট ছবিতে তো হারহামিশাই দেখি, বিশেষ করে আবতার,
তো যা হোক হঠাত করে মাথায় চাপলো , এলিয়েন কী সত্যি সত্যি আছে? নাকি বিজ্ঞানের কল্পকাহিনী?
ছোট কালে একটি হাদিস পড়েছিলাম হুজুর পাক হযরত মুহাম্মদ (দ)কে জিজ্ঞাস করা হলো অন্য গ্রহে আমাদের মতো কোন জীব আছে কিনা,
তিনি বলেছিলেন হ্যা অবশ্যই আছে , আমি সেখানেরই নবী
এই হাদিসখানার রেফারেন্স আমার জানা নেই, তবে মুল বক্তব্য মনে আছে বিদায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি,
এখন আমি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করবো বিভিন্ন এলিয়েন নিয়ে ইতিপূর্বে যা গবেষনা হয়েছে তার চিত্র
প্রথমেই একটি প্রথম আলোর কবিতা শুনা যাক এলিয়েনের ব্যপারে
একটা গ্রহে এমন আছে—
মানুষগুলো হাত-পা ছাড়া,
আরেক গ্রহে—মানুষগুলোর
আর কিছু নেই, সাত পা ছাড়া।
আরও একটা গ্রহ আছে—
সব মানুষই এক পা-অলা,
আরেক গ্রহের মানুষগুলোর
নামই হলো ‘প্যাকপাওলা’।
একটি গ্রহের মানুষ কেমন
বলছি এবার তা শোনো—
রাঁধে-বাড়ে শূন্যে তারা
নেইকো থালা-বাসনও।
ছাব্বিশ হাজার কোটি মাইল
দূরের গ্রহে কী জানো?
সব মানুষই মাছের মতো
বরফজলে ভিজানো।
আরেক গ্রহের সবাই শিশু,
সবার নামই ‘পেলিয়েন’
গ্রহান্তরের যত প্রাণী,
নাম দিয়েছি ‘এলিয়েন’।
এই বার আসা যাক এলিয়েনের ব্যাখ্যা
মহাবিশ্বের তুলনায় সৌরজগৎ কিছুই নয়, একেবারে বালির মতো। আর সে তুলনায় পৃথিবী তো অনেক ছোট। এই মহাকাশের অনেক কিছুই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। অধরা রয়ে গেছে মহাবিশ্বের অনেক রহস্যও। আমাদের জানার সীমাবদ্ধতায় হয়তো অচেনা রয়ে গেছে নানা বিস্ময়কর জগৎ। কতটা জানি আমরা? আরও কত কোটি কোটি গ্যালাক্সি রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা তো কেবল চাঁদে পা দিলাম, মঙ্গলে যান প্রেরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু এর বাইরে প্রায় সবই আমাদের অজানা। অজানা সেই জগতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক নয় পৃথিবী ছাড়া বসবাসযোগ্য কোনো গ্রহের অস্তিত্বও। আর সেই অচীন গ্রহের বাসিন্দাদেরই আমরা এলিয়েন বলি। অর্থাৎ এলিয়েন বলতে এমন জীবকে বোঝায় যাদের উদ্ভব পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও। আর সেখানেই এদের বসবাস। এলিয়েন দেখতে কেমন হবে তার কোনো ঠিক নেই। তারা দেখতে পৃথিবীর প্রাণীদের কাছাকাছিও হতে পারে, আবার এ ধারণা থেকে সম্পূর্ণ আলাদাও হতে পারে। আবার সত্যি সত্যি মহাবিশ্বে এলিয়েনের কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা এ নিয়েও দ্বিধার অন্ত নেই। তবে এলিয়েন আসলেই রয়েছে_ এরকম বিশ্বাসীদের সংখ্যাই বেশি। এলিয়েনরা দেখতে কেমন? আমাদের চেয়ে পিছিয়ে নাকি অনেক এগিয়ে?
তাদের ভাষা কি?
সাম্প্রতিক জরিপের ভাষ্য
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষই এলিয়েনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। আর তাদের ধারণা এলিয়েন আমাদের মাঝেই হেঁটে বেড়াচ্ছে। ভিনগ্রহের প্রাণী বা 'এলিয়েন' আছে এবং তারা আমাদের মধ্যেই মানুষের ছদ্মবেশে হাঁটছে, চলছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাস্তবে তার প্রমাণ মিলুক বা না মিলুক অন্ততপক্ষে প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ এমনটাই বিশ্বাস করে।
এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি নেই থাকলে তারা কোথায় কিভাবে রয়েছে এ নিয়ে 'রয়টার্স বিসিএমএম'-এর এক বিশ্ব জরিপের ফলাফলে মানুষের এই বিশ্বাস প্রতিফলিত হয়েছে। ২২টি দেশের ২৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ভারত এবং চীনে এ বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে এলিয়েনরা মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য, বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ মানুষই এলিয়েনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। বাজার গবেষণা সংস্থা ইপসস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জন রাইট বলেন, 'জরিপের ফলাফলে এটা মনে হচ্ছে যে, জনসংখ্যা বেশি হওয়ার সঙ্গে এলিয়েনে বিশ্বাস বেশি থাকার হয়তো একটা সম্পর্ক আছে। কেননা, কম জনসংখ্যার দেশের মানুষের মধ্যে এবিশ্বাস তুলনামূলকভাবে কম।'
এছাড়া দেখা গেছে, এলিয়েনে বিশ্বাস নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি। পুরুষদের মধ্যে এ বিশ্বাস ২২ শতাংশ হলেও নারীদের মধ্যে তা ১৭ শতাংশ। আর ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এলিয়েনে বিশ্বাস বেশি।
থাকা না থাকার দ্বন্দ্ব
থিবী ব্যতীত অন্য কোনো গ্রহে অন্য কোনো প্রাণী আছে কিনা সেই তর্ক-বিতর্ক চলছে এখনও। মহাশূন্যে কোথাও কেউ আছে কিনা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য চলছে বিরামহীন প্রচেষ্টা। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো রিসার্চ প্রজেক্টের পিছনে ব্যয় করছে কোটি কোটি ডলার। আমেরিকান জ্যোতিবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ড্রেক ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে সৌরজগতের বাইরের কোনো সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে একটি প্রজেক্ট চালু করেন, যার নাম ছিল প্রজেক্ট ওজমা। এখন ১০টিরও বেশি দেশে সেটি অনুসন্ধান কাজ চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বর্হিবিশ্ব থেকে বিচ্ছুরিত কোনো সঙ্কেত ধরা পড়েনি। বিশাল মহাশূন্যে এই খোঁজার শুরু আর শেষ কোথায় সেটা নির্ণয় করাই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের পৃথিবী যে গ্যালাক্সির বাসিন্দা তার নাম হলো মিল্কিওয়ে। অন্য হাজার কোটি গ্যালাক্সির কথা বাদই দিলাম, শুধু মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই রয়েছে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র। আবার এই নক্ষত্র পরিভ্রমণরত প্রাণের উপযোগী কোনো গ্রহ খুঁজে ফেরা অনেকটা পাগলামোই মনে হতে পারে। এরপরও বিজ্ঞানীরা এলিয়েন রহস্যের মোড়ক উন্মোচনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা, এই মহাবিশ্বে আমরা মোটেও একা নই। আমাদের মতো আরও অনেক বুদ্ধিমান প্রাণীই নাকি ছড়িয়ে আছে মহাবিশ্বে। আর এদেরই আমরা এলিয়েন নাম দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এরকম কিছু যদি থেকেই থাকে, তাহলে এরা কেমন? তারা খায়ই বা কি? তাদের কি আমাদের মতোই বুদ্ধি আছে, নাকি স্রেফ পোকামাকড়ের মতো বোকাসোকা। তবে অধিকাংশেরই অভিমত, এরা আমাদের থেকেও অনেক বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন। আজকের সভ্যতা যতটুকু এগিয়েছে, সে তুলনায় এলিয়েনরা নিশ্চয়ই আরও অনেক অগ্রগামী। আমাদের সভ্যতার শুরু থেকেই যদি তারা ভিন্ন গ্রহ থেকে এখানে আসতে পারে, তাহলে এতদিনে তাদের উন্নতি কতটুকু হতে পারে তা কেবল কল্পনা করা যায়। কে জানে তারা হয়তো নিয়মিতভাবেই পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করে চলেছে! আর এ কারণেই হয়তো পৃথিবীতে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় কিছু অদ্ভুত চেহারার জীব। চোখের পলকেই আবার তারা মিলিয়েও যায়। তারাই কি তবে ভিনগ্রহের বাসিন্দা, এলিয়েন?
এলিয়েনরা কিসে চড়ে পৃথিবীতে আসে ?
রশ্ন আসে এলিয়েনরা কিসে চড়ে পৃথিবীতে আসে? অনেক সিনেমায় দেখা গেছে, এলিয়েনরা বিশাল বিশাল মহাকাশযানে চড়ে ঘুরে বেড়ায়। এ মহাকাশযানগুলো নিয়েও গবেষণার শেষ নেই। কেউ এদেরকে বলে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকতি, আবার কেউ বলে আন-আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট সংক্ষেপে ইউএফও। এই ফ্লাইং সসারে করে এলিয়েনরা দূর কোনো গ্রহ থেকে চোখের পলকে পৃথিবীতে আসে এবং আবার চলেও যায়। তাদের গতির কাছে আমরা হার মেনে যাই। অর্থাৎ আমাদের বিজ্ঞান হার মেনে যায়। যে কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় এই সসার দেখতে পেয়েও তাকে শনাক্ত করা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই সেটি অশনাক্তই থেকে গেছে। আবার জোর করে কেউ বলতেও পারছে না যে এগুলো সব মিথ্যা। কারণ হিসেবে অনেক প্রমাণও রয়েছে সবার সামনে, যাতে এলিয়েনদের যান বলেই তাদেরকে শনাক্ত করা যায়।
টাইটানে এলিয়েন !
কিছুদিন আগে নাসার গবেষকদের এক দাবিতে এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়া গেছে। নাসার গবেষকরা নাকি শনির সবচেয়ে বড় চাঁদ টাইটানে এলিয়েন বা মহাজাগতিক প্রাণী থাকার প্রমাণ পেয়েছেন। নাসার ক্যাসিনি থেকে পাঠানো ডেটা বিশ্লেষণ করেই গবেষকরা টাইটানে এ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন। গবেষকদের বরাতে টেলিগ্রাফ অনলাইনে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শনির অনেকগুলো চাঁদের মধ্যে একমাত্র টাইটানের আবহাওয়াই প্রাণ ধারণের উপযোগী। আর চাঁদের এই আবহাওয়ায় জীবনের উৎপত্তি হয়েছে এবং তারা শ্বাস নিতে পারছে। আরো জানা গেছে, এ ভূপৃষ্ঠের জ্বালানি খেয়েই নাকি বেঁচে আছে টাইটানের এসব এলিয়েন।
দেখতে কেমন বুদ্ধিমানরা
বিতর্ক থাকলেও যেহেতু এলিয়েন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আর কৌতূহলের কোনো শেষ নেই, তাই ধরে নেওয়া যায় সত্যিই হয়তো ভিনগ্রহের কিছু একটা আছে। যদি থেকেই থাকে তাহলে ওদের আকৃতি কেমন? এই বুদ্ধিমান প্রাণীরা দেখতে ঠিক কী রকম হবে তা নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু এদের চেহারায় কী কী থাকতে পারে, তা অন্তত বলা যায়। কারণ, বিজ্ঞানের প্রাথমিক নিয়মগুলোকে কোনো ক্ষেত্রেই উতরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্বজগতের সব জায়গাতেই বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক নিয়ম মোটামুটি একই রকম।
কি পরে
আমরা প্যান্ট, শার্ট, জুতা, হাতঘড়ি কতো কিছুই তো পরি, কিন্তু এলিয়েনরা কি পরে? যারা এলিয়েন দেখেছেন তাদের ভাষ্য, এলিয়েনরা নাকি কিছুই পরে না। ব্যাপারটা একটু খাপছাড়া মনে হতে পারে। প্রশ্ন জাগে, তবে কি ওরা এখনও কাপড় আবিষ্কার করতে পারেনি? এলিয়েনরা কি আমাদের চেয়ে বুদ্ধিতে এখনও পিছিয়ে আছে? বিষয়টি আসলে এমন নয়। কাপড় না পরলেও ওরা এক ধরনের হুড ব্যবহার করে। সম্ভবত আমাদের মতো স্পেস স্যুট টাইপের কিছু একটা। যেহেতু বুদ্ধিতে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে তাই কাপড়-চোপড়ের ব্যাপারে ওদের অতি আধুনিকায়ন একেবারে অবাস্তব নয়।
এলিয়েন দেখেছেন এমন মানুষদের দাবি_এলিয়েনরা লম্বা লম্বা জোব্বা পরে থাকে। তাদের মুখ ঢাকা থাকে লম্বা হুডে। আর আকৃতিতে অনেকটা মানুষের মতো হলেও তারা দেখতে রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এলিয়েনরা ক্লোজ ফিটিং জাম্পস্যুট পরে থাকে। অনেকটা সুপারম্যানের মতো। আবার রোবটের মতো বিভিন্ন পদার্থের আবরণও নাকি পরে থাকতে দেখা গেছে।
এলিয়েন কি স্কুলে যায় ?
মজার ব্যাপার হলো_ এলিয়েনদের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থাও নাকি আছে। তবে সবাই কিন্তু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না। কেবল যেসব এলিয়েন লম্বা তারাই পড়াশোনা করার সুযোগ পায়! আর এমনই একদল ছাত্র এলিয়েন নাকি পৃথিবীতে পড়তে এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কোনো এক বনের মধ্যে এই এলিয়েন দলকে পড়াচ্ছিলেন তাদেরই এক শিক্ষক। আর এই ঘটনা দেখে ফেলেন বিখ্যাত লেখক হোয়াইটি স্ট্রেইকার। তিনি তার 'সিক্রেট স্কুল : প্রিপারেশন ফর কন্ট্রাট' বইতে এদের কথা লিখেছেন। এ নিয়ে অবশ্য বিতর্কও কম হয়নি।
টিভি পর্দায় নাটক কিংবা সিরিয়ালে অথবা মুভিতে আমরা বিচিত্র আকৃতির সব এলিয়েনদের দেখে থাকি। 'দি ব্লব' সিনেমার নায়ক স্টিভ ম্যাকুইন যাদের সঙ্গে লড়াই করলেন, সেই গ্রহান্তরের বুদ্ধিমানরা জেলির মতো থকথকে এক ধরনের প্রাণী। এরা এককোষী প্রাণী অথচ মাংসাশী! একেকোষী প্রাণীর মাংস গিলে খাওয়া যে কত হাস্যকর, তা জীববিজ্ঞানের প্রথম পড়ুয়ারাও জানে। কারণ, একটি কোষ যদি বিশাল আকৃতির হয় তা হলে তার প্রোটোপ্লাজমের কেন্দ্রস্থল হবে পরিধির থেকে অনেকটা দূরে। ফলে তার মধ্যে খাদ্য-নির্যাস ও গ্যাসীয় পদার্থের চলাচল হবে এত ধীরে যে, তার অস্তিত্ব রক্ষাই সম্ভব নয়।
উল্টো দিকে আবার একটা গল্পে দেখা যাচ্ছে যে, গ্রহান্তরের প্রাণীগুলো মসুর ডালের চেয়ে ছোট। এর লেখক হয়তো 'মাইকোপ্লাজমা' নামক ব্যাকটেরিয়ার কথা জেনে উৎসাহিত হয়েছিলেন। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার দৈর্ঘ্য এক ইঞ্চির এক কোটি ভাগের এক ভাগ। প্রাণীদের ছোট হওয়ার সীমা নেই বটে। তবে তারা বুদ্ধিমান হবেই না। কারণ বুদ্ধির জন্য যে কয়েক কোটি জটিল কোষ সমন্বিত মস্তিষ্ক দরকার, তা ওইটুকু মাথায় ধরবে না। তাই বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য আকৃতির একটা সীমা আছে। একটা জন্তুর আকৃতিকে যদি কোনো উপায়ে অর্ধেক করে দেওয়া যায়, তাহলে জ্যামিতিক নিয়মে তার উপরতলের ত্বক ও অভ্যন্তরীণ কলকব্জার অনুপাত হয়ে যাবে চার গুণ। ফলে তখন তার দেহের তাপ ছড়িয়ে পড়বে অনেক তাড়াতাড়ি। অর্থাৎ শরীরটা দ্রুত ঠাণ্ডা হতে থাকবে। এ কারণে তাকে ঘনঘন খাবার গ্রহণ করে দেহের তাপ ঠিক রাখতে হবে। এই ব্যাপারটাই ঘটে ছোট্ট হামিং বার্ডের ক্ষেত্রে। তাই গ্রহান্তরের বুদ্ধিমান প্রাণীরা এত ছোট হতে পারে না যে, তাদের খাওযা-দাওয়াতেই সময় চলে যাবে।
এলিয়েনদের কি ডানা আছে ?
এলিয়েন নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন সবার মধ্যে গাঢ় আকারে রয়েছে। আর তা হলো এলিয়েনের কি ডানা থাকতে পারে। বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ এমনটি মোটেও সম্ভব নয়। কেননা, আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যেসব প্রাণীকে উড়তে দেখা গেছে, তাদের ওজন খুব বেশি হলে ২০ পাউন্ড। তার চেয়ে বেশি ওজনের কোনো প্রাণীকে উড়তে হলে ধড়ের চেয়ে মাথাটাকে হতে হবে অনেক বেশি হাল্কা। এটুকু মাথায় ঘিলু আর কতটুকু থাকবে! বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য অসংখ্য জটিল সেল থাকতে হয়। ছোট মাথায় তা কি করে সম্ভব? তবে আরেকটি যুক্তি রয়েছে। গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব যদি খুব বেশি হয় বা গ্রহটার মাধ্যাকর্ষণ খুব কম হয় তা হলে ভারী মাথার প্রাণীদেরও ওড়ার সুবিধা হতেও পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আবার ব্যাপারটা হয়ে যায় সোনার পাথরের মতো। কারণ মাধ্যাকর্ষণের টান কম হলে ঘন বায়ুমণ্ডল থাকা খুব অস্বাভাবিক। আবার ঠিক তেমনই ঘন বায়ুমণ্ডল থাকা মানে মাধ্যাকর্ষণের টানও খুব বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। তাই গ্রহান্তরের উড়ন্ত বুদ্ধিমানের কল্পনা বাস্তবায়িত হওয়া খুব মুশকিল।
এলিয়েনদের পা কয়টি ?
আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, পায়ে চাকা লাগানো থাকলে চলাফেরা বা দৌড়ানোর খুব সুবিধা হতো। তাই গ্রহান্থরের কিছু রোবট জাতীয় জীবকে চাকার সাহায্য দৌড়তে দেখানো হয়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, খুব মসৃণ রাস্তা বা রেললাইনের ওপর চাকার যে সুবিধা তা এবড়োথেবড়ো জায়গায় কখনোই পাওয়া যায় না। যদি সেটা হতো, তাহলে বিবর্তনের দয়ায় পৃথিবীতে কারও না কারও শরীরে একটু আধটু চাকা গজাবার লক্ষণ দেখা দিতই! কিন্তু চাকা না হোক, অনেকেরই প্রশ্ন এলিয়েনেরও কি দুটি করে পা থাকে? নাকি দুটোর বেশি পা রয়েছে? যদি সত্য জীবের দুটোর বেশি পা থাকত, তা হলে সুবিধা কি হতো? বিজ্ঞানীদের যুক্তি, মাথাটাকে উপরে তুলে শরীরটাকে খাড়া করে রাখার জন্য দুটো পা-ই সবচেয়ে আদর্শ। কারণ এর বেশি পা হলে জন্তুদের মতো দেহটাকে অনুভূমিক রাখতে হবে পায়ের ওপর ভর দিয়ে। এতে জন্তুদের মতো দৌড়ার জোর হবে বটে, কিন্তু তা হলে পেশি স্নায়ুর মধ্যে সামঞ্জস্য করার জন্য মস্তিষ্কেও স্নায়ুকেন্দ্রের কোষগুলোকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করে অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় করতে হবে। ফলে মস্তিষ্কের এই অঞ্চলটুকুর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অন্য অঞ্চলগুলো হয়ে পড়বে দুর্বল। আবার অন্যদিক দিয়ে বলতে গেলে, পৃথিবীতে ৬ পা বা তার বেশি পা ওয়ালা পোকামাকড়ের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু কেউই বুদ্ধিমান নয়। চার পাখনা ওয়ালা আদিম মাছ 'ইউস্থেনোপ্টেরন' থেকে যেসব চার পা ওয়ালা জন্তু বিবর্তিত হয়েছে, তাদের বুদ্ধি বেড়েছে বেশি কিন্তু পায়ের সংখ্যা বাড়েনি। মানুষও এই বংশধারার উত্তরপুরুষ, তবে তার দুটো পা বদলে দিয়ে দুটো হাত হয়েছে বুদ্ধিপ্রয়োগের জন্য। আর তাই গ্রহান্তরের বুদ্ধমানদেরও এর চেয়ে বেশি হাত-পা থাকার কথা নয়।
এলিয়েনদের চোখ কেমন ?
চোখ সম্পর্কে ও একই কথা বলা যায়। সারা গায়ে গাদা গাদা চোখ থাকা মানে মস্তিষ্কেও গাদা গাদা দৃষ্টিকেন্দ্র থাকা বা একটা দৃষ্টিকেন্দ্রের মধ্যে জটিলতা বাড়ানো। আমরা যখন দেখি, তখন একটা জিনিসেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করি, দুটো জিনিসে একসঙ্গে দৃষ্টি দেয়া যায় না। বস্তু থেকে আলোক রশ্মি্ন দুটো চোখে পড়লেও চোখের লেন্স তাকে মস্তিষ্কের ভেতর একই বিন্দুতে মিলিত করে। অনেক চোখ থাকলে সবকিছু গুলিয়ে যাবে। সৃষ্টির আদি থেকে আজ পর্যন্ত যত প্রাণীর চোখ ফুটেছে, তাদের দুটো চোখের জায়গা থেকেছে একদম কাছাকাছি, এমনকি কিছু কিছু কীট পতঙ্গের পুঞ্জাক্ষিও তৈরি হয়েছে ঘেঁষাঘেঁষি করে। একটা বড় চোখ বা অনেক চোখ থাকলে জীবন সংগ্রাম যদি সামান্যও সুবিধা হতো তা হলে প্রকৃতি একবার অন্তত কোনো জীবের ক্ষেত্রে তা পরীক্ষা করে দেখত। তাই গ্রহান্তরের বুদ্ধিমানদের সামনে-পেছনে চোখ থাকতে পারে না, এটা নিশ্চিত। শুধু চোখ নয়, কান ও নাকের অবস্থান হবে মস্তিষ্কের একদম কাছে। এই ইন্দ্রিয়গুলো যদি দূরে থাকে, তা হলে সংবেদন অনুভূত হতে সময় লাগবে বেশি, ফলে প্রাণীরা চটপটে হবে না, প্রতিক্রিয়া হবে দেরিতে। তাই গ্রহান্তরের কোনো বুদ্ধিমানের মস্তিষ্ক যদি থাকে পেটের কাছে, তা হলে ওই ইন্দ্রিয়গুলোও থাকবে তার কাছাকাছি। কিন্তু সেটাও সম্ভ নয়। কারণ সবচেয়ে দরকারি নিয়ম হচ্ছে মস্তিষ্কে থাকতে হবে এমন জায়গায়, যাতে তা মাটি থেকে সবচেয়ে উঁচুতে উঠতে পারে। রেডিওর 'এরিয়াল' বা টিভির 'অ্যান্টেনা' যেমন উঁচু করে রাখতে হবে ভালোভাবে সংকেত পাওয়ার জন্য, তেমনি চোখ কান-নাকও যথাসম্ভব উঁচুতে রাখতে হবে পরিবেশ থেকে আলো-শব্দ-গন্ধের সংকেত গ্রহণ করার জন্য। তবে এ ধরনের ভুল অনেক কম হবে, যদি মনে করা যায় সেই গ্রহের পরিবেশ অনুযায়ী তাদের বিবর্তন হয়েছে। সে পরিবেশ যদি একদম পৃথিবীর মতো হয়, তা হলে বিবর্তনও হবে পৃথিবীর মতো। কিন্তু সে গ্রহের পরিবেশ যদি পৃথিবীর চেয়ে একদম আলাদা হয় তাহলে তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নতুন রকম চেহারা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতেই পারে। কিন্তু সেই শরীর নিয়ে পৃথিবীতে এসে লড়াই করা কখনোই সম্ভব নয়, পৃথিবীর পরিবেশই তাদের ধ্বংস করে দেবে। এমনকি, কৃত্রিম স্পেস স্যুট পরিধান করেও তারা এখানে আসার ঝুঁকি নেবে না, কৌতূহল মেটানোর জন্য তারা নিদেনপক্ষে স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযান পাঠাতে পারে। তাই এ পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে হাত মেলানো বা হাতাহাতি করা কোনো দিনই হয়তো সম্ভ্ব হবে না।
রিয়া ৫১ এ এলিয়েনের সম্পর্ক
পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন স্থান হিসেবে চিহ্নিত আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিক ঘাঁটি এরিয়া ৫১। আজ পর্যন্ত কোনো বেসামরিক লোক এখানে ঢুকতে পারেনি। দুর্ভেদ্য বেষ্টনী ঘেরা এ ঘাঁটির প্রবেশপথে লেখা আছে 'অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে'। তাই কেউ যদি এখানে ঢুকেও থাকেন তাহলে তিনি হয়তো আর জীবিত থাকতে পারেননি। লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিমি দূরে গ্রুমলেকের পাশে অবস্থিত এ জায়গাটি নানা কারণে বিতর্কিত। তবে এলাকাটিকে বিতর্কিত ও রহস্যময় করে তোলার পেছনে এর আশপাশের বাসিন্দারাই দায়ী। তাদের অনেকের দাবি, এরিয়া ৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মতো কিছু উড়তে দেখেছেন তারা। আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন। যার গতি সাধারণ বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সঙ্গেই মিলে না। এরিয়া ৫১ নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত বিতর্ক হচ্ছে মানুষের চন্দ্রাভিযানের নাটক। অ্যাপোলো-১১ এর চন্দ্রবিজয়ের ঘটনা নিয়ে সন্দেহবাদীদের সংখ্যা অনেক। তাদের ধারণা, মানুষ আসলে চাঁদে যেতে পারেনি। পুরো নাটকটি সাজানো হয়েছে এই এরিয়া ৫১ এর ভেতর। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এত বিতর্ক চললেও আমেরিকান সরকার এসব কোনো কিছুই স্বীকার করেনি। তাতে সন্দেহ না কমে বরং আরও বেড়েছে।
সব সত্য-মিথ্যা নিয়ে সমগ্র বিশ্ব যখন দ্বিধাবিভক্ত, তখন বোমা ফাটান এরিয়া ৫১ এ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন এরিয়া ৫১ এ এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয় যা এখনো আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে তার বক্তব্যকে অনেকেই ধোঁয়াটে বলে বর্ণনা করেছেন। তার মতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে। যেটি ৪৭টি ১০ মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট। ওখানে নাকি চাকতি আর বল দিয়ে তৈরি একটি সরল যন্ত্র আছে। যন্ত্রের বলের চিপে ওই মৌলটি রাখা হলে নাকি সময় স্থির হয়ে যায়। তারা নাকি সময় স্থির করে রাখার পরীক্ষা চালিয়ে সফলও হয়েছেন। তার মতে, ওই মৌল পদার্থটি বলের চিপে রাখামাত্র তা কোনো একভাবে অ্যান্টিম্যাটার তৈরি করে এবং তার ফলে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়। অ্যান্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদ্যুৎ বেগে ছুটতে পারে। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চগতিসম্পন্ন ফ্লাইং সসার তৈরির গবেষণা চলছে।
তবে বিজ্ঞানী বব সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান এলিয়েন প্রসঙ্গে। তিনি বলেন সেখানে নাকি এলিয়েনদের নিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছে। সেই সঙ্গে রয়েছে এলিয়েনের দেহাবশেষও। সেই এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি জানা গেছে, ওই প্রাণীটি রেটিকুলাম-৪ নামক জ্যোতিষ্ক থেকে এসেছে। প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট। শরীর লোমহীন। কালো বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃষ্ণকায়। এর দেহব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে এ সংক্রান্ত ছবি ও ডেটার অসংখ্য লিংক পাওয়া গেছে। তবে যেহেতু এরিয়া ৫১ সংক্রান্ত কোনো বিষয়েরই সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা যাচাই-বাছাই সম্ভব নয়, তাই এসব বিতর্কেরও কোনো সমাধান খুঁজে বের করা যায়নি। আর বরাবরের মতো উড়ন্ত সসার আর এলিয়েন প্রসঙ্গেও আমেরিকা সরকার ও আমেরিকা সেনাবাহিনী নিশ্চুপ রয়ে গেছে। আর তাই এরিয়া ৫১ এ সত্যি কোনো এলিয়েন কানেকশন আছে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা যা রটে তা কিছুটা হলেও বটে। এরিয়া ৫১ এ এলিয়েন সংশ্লিষ্টতা থাকলেও থাকতে পারে।
এরিয়া ৫১ এর এই ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে পাওয়া। তবে এলিয়েনের দেহবশেষের ছবিগুলো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
সব শেষে মজার একটি তথ্য......
এলিয়েন নিয়ে কত মাতামাতি। বিজ্ঞানীরাও হন্যে হয়ে খুঁজছেন এলিয়েনের অস্তিত্ব। কেউ কেউ আবার এমনটিও বলছেন, পৃথিবীর ভেতরেই নাকি এলিয়েন পাওয়া যাবে খুব শিগগিরই। তবে এখন পর্যন্ত সত্যিকার এলিয়েন পাওয়া না গেলেও চীনের গুয়াংজি অঞ্চলের ডালু নামের একটি গ্রামে এলিয়েনের মতো মাছ দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ের গুহায় থাকা লেকের তলদেশ থেকে ওটা পেয়েছেন চীনের প্রাণিবিদরা। মাটির প্রায় এক কিলোমিটার নিচেই সেটার বাস। অনেকটা হাঁসের মতো লম্বাটে মুখ আর লাল রঙের ঠোঁট। লম্বা ও পাতলা মাছটির মুখের বেশ কাছাকাছি চোখ। ঠোঁটের কাছে আছে লম্বা গোঁফ! ডালু গ্রামের বৃদ্ধ লি জুনেং জানান, 'স্থানীয়রা এ রকম মাছের কথা বড়দের মুখে অনেক শুনেছে।' মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফু ইয়ান ডং নামের যে গুহার লেক থেকে মাছটি পাওয়া গেছে, তাকে স্থানীয়রা 'সৌভাগ্যের গুহা' বলে ডাকে। এই গুহার লেকের পানিই গ্রামের পানির মূল উৎস। মনে করা হয়, এই লেকের পানি পান করেই গ্রামের মানুষ শত বছরের বেশি আয়ু পায়
আগামী ২৫ বছরের মাঝেই দেখা মিলবে এলিয়েনদের!
ভিন্ন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে এরকম সম্ভাবনা মাথায় রেখে যারা গবেষণা করছেন, article-2556219-002D932D00000258-190_634x333তাদেরই একজন জানিয়েছেন আগামী ২৫ বছরের মাঝেই আমরা এ মহাবিশ্বের ‘বুদ্ধিমান’ প্রাণীর সন্ধান পাবো। উন্নততর প্রযুক্তির উপর নাসা আয়োজিত এক কনফারেন্সে সেথ সস্তাক নামের একজন গবেষক এ দাবি করেন। তিনি SETI (Search for Extraterrestrial Intelligence) ইন্সটিটিউটের একজন গবেষক।
তিনি বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীদের উচিত নিয়মিত আকাশকে পর্যবেক্ষণে রাখা। কারণ ভিন্ন গ্রহের প্রাণীরা সংকেত পাঠাবে মূলত তড়িৎচুম্বক তরঙ্গ আকারে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নাসা’র Innovative Advanced Concepts (NIAC) সিম্পোজিয়ামে সেথ বলেন, ‘এসব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামী ২৫ বছরের মাথায় মহাবিশ্বের বুদ্ধিমান প্রাণীদের সন্ধান পাওয়া যাবে। ভিন্ন গ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনদের পাঠানো সংকেত নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় ১৯৬০ সালে। তখন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক ড্র্যাক দুটি সুর্যের মতো নক্ষত্রের সন্ধান পান। যেহেতু আমদের এ সৌরজগতে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি ও বিস্তারের একটা প্রধান অনুঘটক হচ্ছে সূর্য, তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা সূর্যের মতো অন্যান্য নক্ষত্রকে ঘিরে তৈরি সৌরজগতেও থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। দেখাই যাক কি হয়!
এলিয়েন (ভিনগ্রহের প্রাণী) সম্পর্কে আল-কুরআনের ভাষ্য!
এলিয়েন (ভিনগ্রহের প্রাণী) সম্পর্কে বিজ্ঞান থেকে আল-কুরআনের ধারনা অনেক বেশি সুস্পষ্ট। বিজ্ঞান যেখানে দ্বিধাদ্বন্দে কিন্তু আল-কুরআন সেখানে দিচ্ছে ১০০% নিশ্চয়তা। যেই দিন-ই আমরা এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারব, সেই দিন হয়তো দলে দলে মানুষ ইসলামের ছায়াতলে এসে আশ্রয় গ্রহণ করবে!
খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচ শতকে থেলাস সর্বপ্রথম ভিনগ্রহের প্রাণীর ধারনা পোষন করেন। তার ধারনা মতে “দৃশ্যমান গ্রহ ব্যবস্থা ছাড়াও অন্য কোন জীবন বহুল জগত রয়েছে”। পুটার্চ তার ধারণায় চাঁদে স্বর্গের অসুরদের আবাস ভূমিকে খুঁজে পেয়েছিলেন। অনুরূপভাবে মধ্যযুগের জ্যোতির্বিদগণও পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে জীবনের কল্পনায় শুধু করতেন না, তারা কল্পিত জগতগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনেরও নিরন্তর প্রয়াস ও ধ্যান ধারণার চিহ্ন রেখে গেছেন ইতিহাসের পাতায়। বিখ্যাত গণিতবিদ সি এফ গাউস সাইবেরীয় জঙ্গলের বৃক্ষরাজিতে একটি অতিকায় ত্রিকোণ তৈরীর প্রস্তাব করেছিলেন যা অন্যান্য গ্রহের অধিবাসিগণকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হবে। জে জে ভন লিট্রো সাহারা মরুভূমিতে জ্যামিতির পদ্ধতি অনুসারে সুবৃহৎ আকৃতির নালা তৈরী করে তাতে কেরোসিন ঢেলে রাতের বেলায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব রাখেন। সি গ্রস দিনের সূর্যালোকে অতিকায় আয়না স্থাপন করে আলোর প্রতিফলন ঘটিয়ে ভিন গ্রহের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পরামর্শ পর্যন্ত দান করেছিলেন। এই তো গেল প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় দার্শনিকদের প্রচেষ্টা। আর আধুনিক যুগে ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানে পৃথিবীতে এবং পৃথিবী থেকে পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন অভিযান। পৃথিবীর অভিযানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সেটি (SETI:Search for Extraterrestrial Intelligence), যা ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ড্রেক। 'সেটি' বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধান করে পৃথিবী থেকেই। বর্তমানে ১০টিরও বেশি দেশে 'সেটি' এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে আংকিক কিংবা যৌক্তিক কিংবা বিশ্বাসগত এই বিপুল সমর্থনের কারণেই গবেষকরা খুঁজে চলেছেন প্রাণের অস্তিত্ব। এই সন্ধান-কার্যক্রমে গবেষকরা একদিকে অতীতের ঐতিহাসিক উৎসে খোঁজ করছেন ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব আর বিজ্ঞানীরা খোঁজ করছেন পৃথিবীর বাইরের গ্রহ কিংবা উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব।
শুধু বিজ্ঞানিক ও দার্শনিক নয় গণমাধ্যমও রেখে যাচ্ছেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা- ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে বহু চটকদার এবং কখনও কখনও ভাবগম্ভির কাজও হয়েছে। যেমন লেখা হয়েছে বই, প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকার প্রতিবেদন, তেমনি তৈরি হয়েছে গান, চলচ্চিত্র এবং এ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র। যা নতুন করে বলার কোন অবকাশ রাখেনা, কারণ এগুলো সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি।
এবার আমরা আল-কুরআনের দিকে দৃষ্টি দেয়-
“মহান আল্লাহই জগতসমূহের প্রতিপালক। বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা” (৪০:৬৪-৬৫)।
“জগতসমূহের প্রতিপালক আবার কি? তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীসমূহ এবং উহাদিগের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হও” (২৬:২৩-২৪)।
“তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন” (৪২:২৯)।
“আল্লাহ হইতেছেন তিনি, যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন অসংখ্য আকাশ আর অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের উপরও আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়; (এ তথ্যটি) এই জন্য যে তোমরা যেন অবগত হও, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বাজ্ঞ” (৬৫:১২)।
আল-কুরআনের আরো অনেক আয়াতে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে- শুধু আমাদের এই পৃথিবীই নয়, অন্য কোন অজানা প্রান্তেও রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টি জীব। কিন্তু এর বিপরীতে মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ নেই এরকম কোন বার্তা আল-কুরআনে দেয়নি। আর ৪২ নং সূরার ২৯ নং আয়াত এবং ৬৫ নং সূরার ১২ নং আয়াত ২টি আমাদের কে ১০০% নিশ্চিয়তা প্রদান করে ভিন গ্রহের প্রাণী সম্পর্কে এবং ৬৫ নং সূরার ১২ নং আয়াতটি আমাদেরকে যে ধারনা দান করে তাহল- “ভিন গ্রহের প্রাণীরা আমাদের মতই বুদ্ধিমান এবং গঠন গত দিক থেকে আমাদের মতই (হতে পারে আমাদের থকেও বেশি) উন্নত । কারণ তাদের উপর যেহেতু আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, তারা অবশ্যই বুদ্ধিমান হতে হবে। তাদের থাকবে জ্ঞান, থাকবে পড়ার ও লিখার ক্ষমতা। যদি পড়ার ও লিখার ক্ষমতা থাকে, তহলে তাদের মস্তিষ্ক হতে হবে বড় এবং থাকতে হবে নূন্যতম আমাদের হাতের মত গঠন, যা কলম ধরতে সহায়ক। কিন্তু এলিয়েনের গঠনগত বিজ্ঞানের ধারনা গুলো আনেক বৈচিত্র পূর্ণ, যা শুধু কল্পনা মাত্র।
.........................................................................................
আমি উক্ত লেখা বিভিন্ন সাইট থেকে সম্পাদনা করেছি যাতে উক্ত ব্লগার ভাইগন এলিয়েন বিষয়ে বিভিন্ন রহস্য সম্পর্কে জানতে পারে,
এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করুন
বিষয়: বিবিধ
৫৮৯১ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এলিয়েনরা কিসের মধ্যে পড়ে ?
এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই,
আমরা যেহেতু এলিয়েন অস্তিত্ব প্রকাশের জোর যুক্তি দিচ্ছি সেহেতু
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া অবশ্যই দরকার,
আমার মনে হয় মানব জাতির অংশ হিসেবে তাদের ধরা হবে, কারন এরা দৃশ্যমান জাতি হয়তো এই পৃথিবীতে থাকেনা বলেই তাদের আমরা দেখিনা,
এরা জিন জাতির অংশ হতে পারেনা কারন জিনদের দেখা যায়না,
এই দের ব্যপারে কোরানে তেমন প্রকাশ্য জীবন ধারা উল্লেখ করেন নি যেহেতু আমাদের নবী করিম (স) ও কোরান মজিদকে পৃথিবীতেই প্রেরন করা হয়েছিল,
আর কোরান মজিদকে সমগ্র জাহানের কিতাব বলা হয়
রহমাতুল্লিল আলামিন অর্থ হলো সমস্ত জগত
অর্থ্যাত পৃথিবীর মতো যত ভুখন্ড রয়েছে প্রত্যেক ভুখন্ডের নবী, আর কোরান হলো সেই সমস্ত ভুখন্ডের কিতাব,
হয়তো সেখানেও আমার নবীর পয়গাম প্রেরন করা হয়েছে যেভাবে প্রেরন করা হয়েছে এইখানে,
আল্লাহই মালুম।
আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করার আগে ফেরেশতাদেরকে ডেকে বলেছেন যে , আমি(আল্লাহ) দুনিয়াতে আমার খলিফা নিযুক্ত করতে যাচ্ছি , তোমরা (ফেরেশতারা)কি বল ?......
ওরা নিশ্চয়ই আদম (আঃ) এরপর এসেছে ? এলিয়েনরা তাহলে কার বংশধর ?
মানুষেরই এক অংশ কিভাবে দুনিয়া ছেড়ে আরেক জায়গায় বসতি করেছে যেখানে এখনও পর্যন্ত এ যুগের মানুষ চাঁদেই বসতি গড়তে পারে নাই ?
ঐ সময়ে কি প্রযুক্তি অনেক উন্নত ছিল ?
এক রাসূল (সাঃ) এর ব্যাপারে জানি যে উনি বোরাকে করে ৭ আসমান ঘুরে এসেছেন এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ নিয়ে এসেছেন । এর পর আর কারও এরকম বিশেষ ভাবে দুনিয়া ত্যাগ করে অন্য জায়গায় বসতি গড়ার খবর কোথাও শুনেছি বলে মনে হয় না ।
কোরানে সব কিছু ব্যপারে সুস্পষ্ট ধারনা দিয়েছে, আমরা এতটা জ্ঞানী নই বলে তা বের করতে পারছিনা,
অথবা সুস্পষ্ট ধারনা দেয়নই, কারন এটা আমাদের জীবন ধারনার মধ্যে পড়েনা,
এলিয়েন আমাদের পৃথিবীর কোন অংশ নয়, সুতরাং আমাদের কোন দরকারী বলে মনে হয়না,
তবে আমাদের নবী হুজুর পাক (দ)কে রহমাতুল্লিল আলামিন বলেছেন,
রহমাতুল্লিল আলামিন হলো সারা জাহানের রহমত,
সারা জাহান হলো এই পৃথিবী ছাড়া আরো যে গৃহ উপগ্রহ রয়েছে সে গুলো,
তো সেখানে যদি প্রাণের ষ্পন্দন না থাকে তাহলে তো রহমতের কোন প্রশ্নই আসেনা,
তাছাড়া আমাদের গ্রন্থ আলকোরানো সারা জাহানের গ্রন্থ,
প্রশ্ন হলো আল কোরান তো মানুষের জন্য,
শুধু মাত্র গ্রহ উপগ্রহের জন্য নয়, যদি সেখানে মানুষের অস্তিত্ব না থাকে সেখানে আলকোরান যে সারা জাহানের সেটা ভুল হবে,
হয়তো এক সময় রহস্য বের হবে,
যেভাবে আমরা কেবল বাতাস দিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ইউস করতেছি, অথচ সেটা কোরানে উল্লেখ নেই,
হয়তো একদিন বাতাসকেও দেখতে পারবো, এমনিক জিনকেও,
এটা হচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞান,
আল্লাহ তায়ালা সব সময় কোরানে বলেন "আল্লাহু আহকামুল হাকিমীন"
আল্লাহ সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী,
হয়তো এলিয়েন সামান্য ব্যপার, এটাও একদিন আমাদের করাতলে আসবে, সেটা বেশি দিন নয়
আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন যে তিনি মানুষ ও জ্বিন দিয়ে দোজখ পূর্ণ করবেন। তাহলে কেন এর মধ্যকার একটা অস্তিত্বের চিন্তা করছেন যাদের মনে করেন মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান ?
মানুষ যদি নিজ শক্তিবল মেধা প্রয়োগ করে তাহলে শক্তিশালী,
আর যদি না করে তাহলে দূর্বল,
এখন ক্বিয়ামত চলছে , আর কিয়ামতের নমুনা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা এই মহা জগতে যা কিছু গোপন রয়েছে তা ফাঁস করে দিবেন
আমাদের কিছু করার নেই,
মহান আল্লাহ তায়ালা সব সময় কোরানে বলেন,
আমি যা কিছু জানি তা তোমরা জান না,
আমরা যদি সামান্য জ্ঞানই তার সহস্য উত্ঘাটনে ব্যস্ত থাকতাম তাহলে আমরা এতটা অবাক হতাম যেটাতে অন্য কিছুতে নয়,
এই জন্য যারা আল্লাহ সৃষ্টি রহস্য উত্ঘাটনের জন্য চিন্তা করেন আল্লাহ তায়ালা তাদের ইবাতদের পূন্যতা দেন,
আল্লাহ তায়ালা সব সময় একটা ঘটনার উদৃতির পর কোরানে , "চিন্তাশীল এবং জ্ঞানীদের জন্যই" এই কথাটা বার বার বলে থাকেন
আপনি শুধু কোরান মজিদের অর্থ জানার জন্য পড়লে পাবেন আদেশ নিষেধ পূন্যতা, পাপের শাস্তি,কিছু হিস্টুরী,
আর কিছু নয়, কিন্তু যখন কোরানকে ব্যাখ্যা কিংবা তাফসীর, এর রহস্য উত্ঘাটন করতে যাবেন তখন কোরান আপনার সামনে ধরা দিবে বিজ্ঞান হিসেবে,
তখন আপনি বুঝতে পারবেন এলিয়েন একটা সামান্য ব্যপার আমাদের জন্য
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে আমরা কেবলি কোরান কিছু আয়াত নিয়ে ব্যস্ত থাকি
আর তা হলো নবী সম্পর্কিত কিছু আয়াত
কেউ কেউ খুজে ফিরে নবী নুর নাকি মাটি, নবী গায়েব জানে নাকি জানেনা,
নবী মরে পচে গেছে নাকি এখনো আগের মতো বিদ্ধমান,
ইত্যাদিতে ফ্যাসাদের মধ্যে বিদ্ধমান আমাদের রহস্য গুলো
এই গুলো একটা চক্রান্ত ব্রিটিশদের
আমরা যাতে আসল উদ্দেশ্য থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতে পারি, সেজন্য তারা আমাদের মধ্য ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে এই ফাসাদের মধ্য আমাদের আলেম সমাজকে সীমাদ্ধ করে রাখে
আমরা কোরান নিয়ে গবেষনা করিনা, করে খৃষ্টান বিজ্ঞানীরা,
এটার প্রতি আক্ষেপ করে কবি ইকবাল বলেন
"মেজবান আমাদের কিন্তু মেজবানের ভাত আমরা পাইনা"
তিনি বলেছিলেন হ্যা অবশ্যই আছে , আমি সেখানেরই নবী)
ভাই এখানে হুজুর(সাঃ)কে প্রশ্নটি কে করেছিলেন? আর তিনি অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তিনি এলিয়েন বা ভিনগ্রহের মানব সদৃশ কোন প্রাণীর কথা উল্লেখ করেন নাই।যদি জানা থাকে তাহলে শেয়ার করবেন।
তবে কোন সাহাবা জিজ্ঞাস করেছেন সেটা মনে নেই , বলেছিলাম, আমি যখন ছোট তখন পড়েছিলাম বলে রেফারেন্স জানা নাই, তবে হাদিসের মূল বক্তব্য আমার মনে আছে, ভূল হলে আমাকে ক্ষমা করুক মহান আল্লাহ
আপনি যে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন সেটাতে আমি ধন্য
এই বিশাল মহাবিশ্বের অতি সামান্য অংশ সম্পর্কেই আমরা জানি। যার পুর্ন রহস্য ও এখন সমাধান করতে পারিনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন