পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় এবং রহস্যময় কয়েকটি স্থান
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০৮:৩০ দুপুর
মানুষ বরাবর ই কৌতুহলি।পৃথিবী সে চষে বেড়াতে চাই,জানতে চাই সমস্ত অজানারে।কিন্তু চাইলেই কি পৃথিবীর সব গোপনীয়তা ভেদ করা সম্ভব??উত্তরটা অবশ্যই না।পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে চাইলেও কখনই যাওয়া যায়না,জানা যায়না কি হচ্ছে সেখানে,আর কেনইবা এতসব গোপনীয়তা??আজকে এমনি কিছু রহস্যময় জায়গার কথা বলব যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় অধরাই থেকে গেছে।সাধারণ মানুষ পরতের পর পরত রহস্যের গল্প বুনে গেছে এগুলো নিয়ে,কিন্তু কূলকিনারা করা হয়নি কোন রহস্যের।
১।এরিয়া ৫১
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদাই অবস্থিত এই জায়গাটি নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে।এটি একটি মিলিটারি বেইজ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউর এলাকাগুলোর একটা।এর এরিয়ার বাইরেও একটা বিশাল এলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।কি করা হয় ওখানে???পৃথিবীর একটা বিশাল অংশ মানুষের ধারনা ওখানে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করা হয়।অনেক মানুষ এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করা গেছে বলেও বিশ্বাস করে।
২।Ise Grand Shrine : Japan
জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান।খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়।জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এতটা কাল এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।এই শ্রিন টি প্রতি ২০ বছর পরে ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়।কেন এত গোপনীয়তা???ইতিহাসবিদদের মতে এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে,যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনই আসেনি।
০৩।
Vatican Secret Archives
যুগযুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক,সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান।এই জায়গাটিকে storehouse of secret o বলা হয়।খুব সংখ্যক স্কলার ই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে।এখানে প্রায় ৮৪০০০ বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিমি দীর্ঘ।ধারনা করা হয় খ্রিষ্টান,মেসনারি,প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।
০৪।
club 33 disneyland
সারাবিশ্বের মানুষের জন্য ডিজনিল্যান্ড একটি বিনোদনের জায়গা।পুরো জায়গাটিই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত শুধুমাত্র ক্লাব ৩৩ ছাড়া।খুব খুব রেস্ট্রিক্তেড করে রাখা হয়েছে ওই জায়গাটি।স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি এই ক্লাবটির প্রতিসঠাতা।খুব আশ্চর্যের ব্যাপার হল আপনি যদি আজকে আবেদন করেন এই ক্লাবটির সদস্য হতেই আপনার প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে।
০৫।
Moscow Metro-2
এটি রাশিয়ায় অবস্থিত।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রউন্ড সিটি এইটি।কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকারের তরফ থেকে কখনই এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়নি।স্তালিনের আমলে এইটি তৈরি করা হয়েছিল।একটা বিশাল অংশের মানুষ মনে করে এটি ক্রেম্লিনের সাথে fsb headquarter এর সংযোগ স্থাপন করেছে।পুরো একটি শহর এটি অথচ মানুষ এই জায়গায় যাওয়া তো দূরে থাক,এখনো এই সম্পর্কে ভাল করে কিছু জানেইনা।
০৬।
RAF Menwith Hill :
সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল।এটি আমেরিকার ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত।এটি একটি মিলিটারি বেইজ যেটি ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত।আমেরিকা আর ইংল্যান্ড কে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এটি তৈরি করা হয়।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশান এখানেই রয়েছে।তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এতটাই জটিল সাধারণ মানুষের ওই পুরো এলাকায় ঢুকা এক্কেবারেই অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। রোমান্সপ্রিয় কেউ যদি সে সপ্ন কখনো দেখেও থাকে তা স্রেফ আকাশকুসুম কল্পনাই হবে।
০৭।
Mount Weather Emergency Operations Center
১৯৫০ সালে আমএরিকার ভার্জিনিয়াই এটি তৈরি হয়।মুলত তখনকার সমসাময়িক শীতলযুদ্ধের প্রেক্ষাপটেই এটি তৈরি করা হয়। এটি fema (federal emergency management agency) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।কেন এটিকে এতটা গোপন রাখা হয়েছে??আসলে এটি মুলত যেকোন জাতীয় বিপর্যয়ের সময় আমেরিকার (অতি) উচ্চপর্যায়ের নাগরিক আর মিলিটারি অফিশিয়ালদের জন্য এটি সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।কে জানে আমেরিকানরা হয়তো সত্যি সত্যি কোন doomsday এর জন্য অপেক্ষা করছে!!!
০৮।
White’s Gentlemen’s Club
এটি মুলত ডিজনিল্যান্ডের ক্লাব ৩৩ এর মত একটি ক্লাব।পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব হিসেবে ধরা হয় এটিকে।লন্ডনে অবস্থিত ক্লাবটিতে শুধুমাত্র সমাজের অভিজাত শ্রেণীর মানুষের ই পদচিহ্ন পড়ে।অবশ্য ক্লাবটির শুরুর ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে।ফ্রাঞ্চিস বিয়াঙ্কো নামে এক লোক এটি তৈরি করে নতুন ধরনের চকলেট বিক্রির জন্য অথচ এটি এখন পৃথিবীর সেরা ক্লাব গুলোর একটি।এই ক্লাবের সদস্য হওয়া রীতিমত একটি সম্মানের বিষয়।টাকা আছে কিন্তু চাইলেই আপনি এর সদস্য হতে পারবেন না, হাজারটা কাঠ খর পুড়িয়ে আপনাকে এই ক্লাবের সদস্য হতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
২৮৭৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরিয়া ৫১ এ মুলত কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল অস্ত্র টেষ্ট করা হয়। সে সঙ্গে বিশ্বব্যাপি ইলেকট্রনিক নজরদারির কাজটিও করা হয়। আর সেগুলিকে ঢাকা দিতে এলিয়েন আর স্পেসশিপ এর গল্প ছড়ান হয়।
এইদের যুক্তির কোন সীমা নেই,
বলে এক করে অন্যটি,
ধন্যবাদ সবুজ ভাই আপনার মুল্যবান পোষ্টের জন্য
০ পৃথিবীর বাইরে বসতি স্থাপন করতে পেরেছে ?
০ মানুষকে পাখির মত উড়তে পারার মত জিনিস প্র্যাকটিক্যালী বের করেছে ?
০ জ্বালানী হিসেবে তেলের বওপর নির্ভরশীলতা বন্ধ করতে পেরেছে ?
০ মানুষকে টেলিপোর্টেশন করার প্রেকটিকাল প্রয়োগ আনতে পেরেছে ?
০ সমুদ্রের লবনাক্ত পানিকে পান করার টেকসই ও চলমান পদ্ধতি এনে হাজির করেছে ?
০ টাইটানিকসহ সব ডুবে যাওয়া জাহাজগুলোকে সাগরের অতল থেকে তুলে এনে আবারও সচল করতে পেরেছে ?
০ পৃথিবী থেকে মশার কামড় দুর করতে পেরেছে ?
০ ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনতে পেরেছে ?
০ সকল খনিজগুলোকে কোন খোড়াখুড়ি ছাড়া ভূ-পৃষ্ঠে তুলে আনতে পেরেছে ?
এসব ঢাক ঢাক গুড় গুড় কখনও মানবজাতির কল্যানের জন্য হয় না , হয় মানবজাতিকে ধ্বংসের পায়তারা করার জন্য ।
ভাল/কল্যানের জিনিসই যদি হবে তাহলে তো এরকম রহস্যের দরকার পড়ে না ।
তারা এসব করে ভাব দেখাতে । মানুষকে দেখায় যে তারা কি না কি নিয়ে হেব্বি গবেষনা করছে ।
আসলে কিছুই করে না , শুধু ধান্ধা করে , আর ধান্ধা করে টাকা হাতায় । আর নিজেদের ''আমি কি হনুরে'' মুডে আনে ।
তারা আসলেই ঘবেষনার নামে অন্য কিছু করছে
অবশ্যই আমি ঢুকতে পারি কারন আমাকে কাজ করতে হয় অনলাইনে, তবে ফেইজবুক আর ব্লগ আমার জন্য হারাম,
মাঝে মাঝে এসে আমাকে চেক করা হয়, আমার কোন হালতে আছি, কোন সাইটে ঢুকছি, তো চুরি করে হজম করতে পারলে দোষের কিছু নয়, আমার জন্য
ধন্যবাদ ভুল শুধরে দেয়ার জন্য
অনেক বার তো ধরা খেয়েছি,
অফিসের কাজ ফেলে ব্লগে লেখতেছি এমন সময় পেছনে এসে বস এসে দাড়ায়ে আছে,
ব্লগ লেখা এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল, তারপর থেকে আবার শুরু,
বসরা তো আমাকে বকাঝকা করতে পারে না, কারন আমার উপর অনেক কিছু তাদের নির্ভরশীল
মন্তব্য করতে লগইন করুন